বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এরিক এরিকসনের মানসিক বিকাশের পর্যায়গুলো

এরিক এরিকসনের মানসিক বিকাশের পর্যায়গুলো:


এরিক এরিকসন জোয়ান এরিকসনের সহযোগিতায় বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে (১৯৫০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে) আট পর্যায় বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানের তত্ত্ব প্রকাশ করেন। এতে রয়েছে একটি সুস্থ উন্নয়নশীল ব্যক্তি শৈশব থেকে যে ধাপগুলো অতিক্রম করে তার বিস্তারিত বর্ণনা। শেষ ধাপ হচ্ছে প্রাপ্তবয়স্কদের ধাপ।


এরিকসনের তত্ত্ব অনুসারে প্রতিটি ধাপে ইতিবাচক বা নেতিবাচক বিষয় রয়েছে যা পরবর্তী ধাপের ফলাফলকে প্রভাবিত করে। এরিকসন ১৯৫০ সালে চাইল্ড অ্যান্ড সোসাইটি শিরোনামে বই প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি তার গবেষণাকে প্রকাশ করেন এবং মনোসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলোকে আটটি ধাপে ভাগ করেন।


এরিকসন মূলত সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মানুষের ব্যক্তি উন্নয়নের মনস্তাত্ত্বিক ধাপগুলো থেকে প্রভাবিত হন। তিনি ফ্রয়েডের তত্ত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু যখন তিনি আরও গভীরভাবে ব্যাপারগুলো নিয়ে চিন্তা করেন, মনোস্তত্ত্বের ওপর সামাজিক পরিবেশের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন এবং পরিবেশ কীভাবে মানুষের বিকাশকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে কাজ করেন তখন তিনি শীঘ্রই ফ্রয়েডের তত্ত্বের অগ্রগতি আনলেন এবং তার নিজস্ব আইডিয়া তৈরি করলেন।










এটিটিউড ইজ এভরিথিং বইয়ের পর্যালোচনা

এটিটিউড ইজ এভরিথিং বইয়ের পর্যালোচনা:


এ বই সাফল্যের এক দিকনির্দেশনা স্বরূপ গাইড। যা পাঠকদের তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং নিজেদের অবিশ্বাস্য সম্ভাবনাকে প্রকাশের জন্য ধাপে ধাপে শক্তি যোগাবে। বইয়ে রয়েছে ১২টি অধ্যায়:

- আপনার মনোভাব হচ্ছে আপনার ভুবনকে দেখার জানালা

- আপনি একজন মনুষ্য চুম্বক

- মনের জানালা দিয়ে নিজের সাফল্যকে স্পষ্টভাবে দেখুন

- অঙ্গীকার করুন... আর জীবন বদলে দিন

- সমস্যাকে সুযোগে রূপান্তর করুন

- আপনার ব্যবহৃত শব্দগুলো আপনার জীবনের নতুন সূচনা করবে

- কেমন আছেন?

- অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন

- ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে এমন লোকজনের সাথে চলাফেরা করুন

- ভয়কে মোকাবিলা করে উন্নতি লাভ করুন

- কাজে নামুন এবং ব্যর্থ হোন

- নেটওয়ার্কিং-যা সুফল বয়ে আনে

এ বই দেখায় যে কীভাবে লেখক জেফ কেলার এসব সূত্র ব্যবহার করে আইনজীবী থেকে একজন অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা হয়ে ওঠেন। আরও দেখায়, কীভাবে তার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তন ঘটে। লেখক যেমন তার জীবনে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন, তেমন পাঠকও তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুপরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।

এটা এমন এক বই যা পড়তে সহজ এবং আনন্দদায়ক। এ বই আত্ম-উন্নয়ন সাহিত্যের এক কালজয়ী বই।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

অবজারভেশন বইয়ের পর্যালোচনা

অবজারভেশন বইয়ের পর্যালোচনা:


এ বইটি শিক্ষাবিদ ও পণ্ডিতদের কাছে সাহিত্যের এক অনন্য নির্দশন হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। এতে রয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জ্ঞানের এক অমূল্য ভাণ্ডার। আমরা একে তেমনভাবেই অনুবাদ করে প্রকাশ করেছি যেমনভাবে এ বই প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। আন্তরিকতার সাথে লেখক রাসেল হেরমান কনওয়েল এর বক্তব্যকে বাংলা ভাষায় অনূদিত করা হলো।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ব্রাশের হরতাল!


আর না। আমাকে দিয়ে আর দাঁত মাজাতে পারবেন না।

হ্যাঁ! কে? কে কথা বলে?

এডভোকেট সোয়াদ খাঁন। দিনরাত মামলা-মোকাদ্দমা এবং কোর্ট-ক্লায়েন্ট নিয়ে ব্যস্ত। এই ব্যস্ত জীবন তিনি নিয়ম মেনে অতিবাহিত করেন। দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করেন। সকালে নাস্তা খেয়ে আর রাতে খাবার খেয়ে। কিন্তু আজ রাতে খাবার খেয়ে দাঁত ব্রাশ করতেই কে যেন কথা বলে উঠল।

কে? কে কথা বলে?

ব্রাশ: আমি।

সোয়াদ: আমি কে?

ব্রাশ: আমি আপনার দাঁত মাজার ব্রাশ।

চমকে গিয়ে হাত থেকে ব্রাশটি মেঝেতে পড়ে গেল।

ব্রাশ: ভয় পাবেন না।

সোয়াদ: ভয় পাবো না মানে! তুমি জানো আমি কে! তোমার সাহস কত বড়!

ব্রাশ: হুমম।

সোয়াদ: কিন্তু তুমি কথা বলছ কীভাবে? (চোখ রগড়ে বলল) আমি কি স্বপ্ন দেখছি!

ব্রাশ: না। আপনি স্বপ্ন দেখছেন না। আমিই কথা বলেছি।

সোয়াদ: ও তাই। তা কী কথা বলেছ? কেন বলেছ? মনে মনে চিন্তা করছে, ব্রাশ কীভাবে কথা বলে।

ব্রাশ: আমি এভাবেই কথা বলি। মুখ দিয়ে বলি। খাঁটি বাংলা ভাষায় বলি। কারণ আপনি ব্রাশিং ভাষায় বললে বুঝতে পারবেন না।

সোয়াদ: ও মাই গড! তোমাদের ভাষাও আছে নাকি!

ব্রাশ: গড শুধু আপনার না। আমাদেরও আছে।

সোয়াদ: তাই নাকি! তুমি কোন ধর্মের?

ব্রাশ: আপনি আমাদের ভাষা বোঝেন না। ধর্ম বুঝবেন কীভাবে?


ব্রাশ: যাই হোক, আমি বলছিলাম, আমি আর আপনার দাসত্ব করতে পারব না।

সোয়াদ: কী বলো! তুমি আবার আমার দাসত্ব করলে কোথায়?

ব্রাশ: এই যে, দিনরাত আমাকে দিয়ে মেজেই যাচ্ছেন, মেজেই যাচ্ছেন। কোন ছুটিছাটা নেই। কোন বিনোদন নেই।

সোয়াদ: কী বলো! তোমার আবার বিনোদনও লাগবে!

ব্রাশ: কী বলেন! লাগবে না! আমি দিনরাত খাটি। আপনার দাঁতগুলো পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দিই। আর আমার ছুটি লাগবে না!

সোয়াদ: (হঠাৎ মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি খেলে গেল) তোমাকে যদি ছুটি না দিই?

ব্রাশ: কেন দিবেন না? দিতেই হবে। না দিলে, আমি কাজ করব না।

সোয়াদ: তুমি তো জড় পদার্থ। তুমি তো নড়াচড়া করতে পারবে না। কাজ বাদও দিতে পারবে না। এই দেখো আমি শক্ত করে ধরে রাখছি তোমায়। পারলে মুক্ত হয়ে দেখায়।

না, ছাড়েন। ছাড়েন আমাকে।


এই ভাই? কী শুরু করলেন? বাসের মধ্যে ঘুম যান, আবার আমার হাত নিয়ে টানাটানি করেন। দেখি, ছাড়েন। ছাড়েন বলছি।

মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রতিদিন আধ ঘণ্টা হলেও পড়ুন


মার্ক টোয়েন বলেন, যে মানুষ পড়ে না, সে যে মানুষটি নিরক্ষর বা পড়তে পারে না তার সমান। তারমানে কেউ যদি পড়তে পারে, অথচ তার এই ক্ষমতাকে কাজে না লাগায় তবে সে নিরক্ষর ব্যক্তির চেয়ে উন্নত নয়, বরং নিরক্ষর ব্যক্তির সমান। অথচ চিন্তা করে দেখুন আপনি যদি দিনে আধ ঘণ্টা পড়েন তাহলে সপ্তাহে সাড়ে তিন ঘণ্টা এবং বছরে ১৮২ ঘণ্টা পড়ছেন! এতো আপনার জন্য অনেক জ্ঞান। আমার কোচিংয়ের প্রথম কাজ হচ্ছে প্রশিক্ষণার্থীদের ‘আর পাঠ করুন` কাজ দেয়া। একটা সময় ছিল যখন আমি বছরেও একটা বই পড়তাম না। আর এখন আমি প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২টি বই পড়ি। আমি গত ছয় মাসে যত বই পড়েছি তা বিগত ১৫ বছরেও অধ্যয়ন করিনি। এমনকি আমার অনার্সের পড়া সহ ধরলেও আমি এত পড়িনি।

তাই সবসময় সাথে একটি বই রাখবেন। আপনার যদি টিভি দেখার অভ্যাস থাকে, তবে বই পড়তে পারেন। আর যদি সংবাদপত্র পড়েন, এটা টিভি দেখার চেয়েও বাজে অভ্যাস, তবুও বলব একটা বই পড়ুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটা বই পড়তে পড়তে ঘুমান। এতে করে আপনি মানসিক শান্তি পাবেন। আরেকটা বাড়তি সুবিধা পাবেন, তা হচ্ছে আপনার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। তো অপেক্ষা কীসের? এখনই ৬টি বইয়ের নাম লিখে ফেলুন। লক্ষ্য নিন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে এ ৬টি বই পড়বেন। আপনি যদি কী বই পড়বেন তা খুঁজে না পান তবে আমার ওয়েবসাইট দেখতে পারেন (https://saphollo.com/)। সেখানে আমি কিছু বইয়ের নাম দিয়েছি।  আশা করি আপনার পছন্দ হবে। আর যাই হোক, ৬টি বইয়ের নাম এখনই লিখে ফেলুন!

শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ওয়ান স্মল স্টেপ ক্যান চেঞ্জ ইউর লাইফ বইয়ের পর্যালোচনা

ওয়ান স্মল স্টেপ ক্যান চেঞ্জ ইউর লাইফ বইয়ের পর্যালোচনা:


আপনি কাইযেনের এই অপরিহার্য গাইডের সাহায্যে নির্ভয়ে আপনার জীবনকে উন্নত করতে পারবেন। এ হচ্ছে ছোট ও ধীরস্থির পদক্ষেপের মাধ্যমে জীবনমানকে উন্নত করার এক মহান ও টেকসই শিল্প।

কাইযেন এক ধরনের দর্শন। এ দর্শন খুব সহজ এক জীবন পন্থা: ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে বড় বড় পরিবর্তন সাধিত করা। এটা একটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। ছোট ছোট পদক্ষেপ মস্তিষ্কে নতুন আচরণ তৈরিতে বা পূর্বেকার আচরণ বদলাতে সাহায্য করে।

লক্ষ্য যাই হোক না কেন: ওজন কমানো, ধূমপান ছেড়ে দেওয়া, একটি উপন্যাস লেখা, একটি ব্যায়াম কর্মসূচি শুরু করা অথবা আপনার জীবনের ভালোবাসার সাথে মিলিত হওয়া - কাইজেনের শক্তিশালী কৌশল এ লক্ষ্য অর্জনের সর্বোত্তম পন্থা। মনোবিজ্ঞানী এবং কাইজেন বিশেষজ্ঞ ড. রবার্ট মৌরার লিখেছেন, একটি ছোট পদক্ষেপ আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে, নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে এবং আপনার জীবনকে ঘুরে দাঁড়ানোর সহজ কিন্তু শক্তিশালী দিকনির্দেশনা দিতে পারে। আপনার আত্মবিশ্বাসকে ক্রমাগত গড়ে তুলতে এবং অদম্য লক্ষ্যকে আকস্মিকভাবে অনুভবযোগ্য করে তুলতে, কার্যকরভাবে চিন্তাভাবনা করা, ভয় ও গড়িমসির অভ্যাস ত্যাগ করতে কাইযেন পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারেন।

ড. রবার্ট মৌরার কীভাবে ভার্চুয়াল পরিবর্তন ভিজুয়ালাইজ করবেন তাও দেখান যাতে বাস্তব পরিবর্তন আরও সহজ হয়। কেন ছোট ছোট পুরস্কার বড় ফলাফল তৈরি করে তিনি তাও দেখিয়েছেন। আর ছোট ছোট বিবরণের প্রতি মনোযোগ দিয়ে কত বড় আবিষ্কার করা যায় যা আমরা অধিকাংশ মানুষই উপেক্ষা করি। তার সহজ বক্তব্য হলো কাইযেন পদ্ধতি। আপনার ওজন কমানো থেকে শুরু করে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া, ঋণ পরিশোধ করা, অথবা লজ্জা দূর করা এবং নতুন নতুন মানুষের সাথে দেখাসাক্ষাৎ করা পর্যন্ত যেকোনো কিছুর জন্য আপনার দরকার কাইযেন পদ্ধতি। এ হচ্ছে উন্নতির এক পর্যায়ক্রমিক পন্থা। তাও তে চিং-এর দুই হাজার বছরের পুরনো প্রজ্ঞার মধ্যে প্রোথিত আছে এ দর্শন - ‘হাজার মাইলের যাত্রা আরম্ভ হয় একটি পদক্ষেপ কদম দিয়ে’ - এখানে ভয় ছাড়া, ব্যর্থতা ছাড়াই আপনার জীবন পরিবর্তন করার এবং নতুন করে শুরু করার বহু উপায় রয়েছে। যা আপনাকে সহজেই জীবনের উন্নতির পথ দেখাবে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

স্টার্ট উইথ হোয়াই বইয়ের পর্যালোচনা

স্টার্ট উইথ হোয়াই বইয়ের পর্যালোচনা:


২০০৯ সালে, সাইমন সিনেক মানুষকে কর্মক্ষেত্রে আরও অনুপ্রাণিত হতে সাহায্য করার জন্য একটি আন্দোলন শুরু করেন এবং এর ফলে তাদের সহকর্মী ও গ্রাহকদের অনুপ্রাণিত করেন। তারপর থেকে, লাখ লাখ মানুষ তার আইডিয়ার শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যার মধ্যে ২ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ যারা স্টার্ট উইথ হোয়াই এর উপর ভিত্তি করে সাইমন সিনেকের টেডটক (TED talk) এর ভিডিও দেখেছেন। এটা ছিল টেড ভিডিওগুলোর মধ্যে সর্বকালের তৃতীয় সবচেয়ে জনপ্রিয় টেড ভিডিও।

সিনেক একটি মৌলিক প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেন: কেন কিছু মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান অন্যদের চেয়ে বেশি উদ্ভাবনী, অধিক প্রভাবশালী ও অধিক লাভজনক? কেন অল্প কিছু কোম্পানি তাদের গ্রাহক ও কর্মচারীদের কাছ বেশি বিশ্বাস ও ভরসা অর্জন করতে সক্ষম হয়? এমনকি যেসব কোম্পানি বা ব্যক্তিরা সফল তাদের মধ্যেও, কেন তাদের সফলতা বারবার পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম হয়?

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, স্টিভ জবস এবং রাইট ব্রাদার্সের মতো লোকের মধ্যে খুব কম মিল ছিল, কিন্তু তারা সবাই কেন প্রশ্ন দিয়ে আরম্ভ করেছিল । তারা বুঝতে পেরেছিল যে লোকেরা প্রকৃতপক্ষে কোনও পণ্য, পরিষেবা, আন্দোলন বা আইডিয়া কিনবে না যতক্ষণ না তারা এর পিছনের কারণ বুঝতে পারে।

কেন প্রশ্ন দিয়ে আরম্ভ করুন  বইটি দেখায় যে নেতারা যারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলেছেন তারা সবাই একইভাবে চিন্তা করে, কাজ করে এবং যোগাযোগ করে। আর এটা অন্য সবাই যা করে তার বিপরীত। সিনেক এই শক্তিশালী ধারণাকে দ্য গোল্ডেন সার্কেল বলেন এবং এটা একটা কাঠামো প্রদান করে যার ভিত্তিতে সংগঠন তৈরি করা যায়, আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া যায় এবং মানুষকে অনুপ্রাণিত করা যায়। আর এই সবকিছুই আরম্ভ হয় কেন প্রশ্ন দিয়ে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

কুড়াল এবং কোবরা সাপের গল্প

এক কুড়াল একবার একটা কোবরা সাপকে কামড় দিল।

হলো কী, এক কাঠমিস্ত্রি তার দোকান বন্ধ করে বাড়ি গেল। কিন্তু দোকানে নিচ দিয়ে ছিল ছোট্ট একটা গর্ত। সেই গর্ত দিয়ে একটা কোবরা সাপ দোকানে ঢুকে পড়ল।

কোবরাটা খুব ক্ষুধার্ত ছিল। চিন্তা করছিল, দোকানের ভেতর হয়তো কোন খাবার খুঁজে পাবে।

সাপটা দোকানের ভেতর সব জায়গায় খুঁজে দেখতে লাগল কোন খাবার আছে কিনা। কিন্তু হঠাৎ তার গায়ে একটি কুড়াল পড়ল। এতে করে সাপের কিছু জায়গায় কেটে গেল এবং রক্ত পড়তে লাগল।

সাপ তো তখন ভীষণ ক্ষেপে গেল। যে করেই হোক, এর প্রতিশোধ নিতে হবে। তখন সাপটা সর্বশক্তি দিয়ে লোহার কুড়ালের মধ্যে কামড় দিল।

সাপের কামড়ে আসলে লোহার কুড়ালে কী ক্ষতি হতে পারে! বরং কোবরা সাপের নিজের মুখই রক্তাক্ত হয়ে গেল।

এবার সাপটা ক্রোধে উন্মাদ হয়ে গেল। ক্রোধ এবং অজ্ঞতার কারণে কোবরা চেষ্টা করল যেই জিনিসটা এটাকে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত করেছে, সেটাকে টাইট করে পেঁচিয়ে ধরবে।

পরের দিন কাঠমিস্ত্রি তার দোকান খুলে দেখল, এক বিষাক্ত কোবরা সাপ তার লোহার কুড়ালকে পেঁচিয়ে মরে পড়ে আছে।

এখানেই গল্পের শেষ। কোবরা কিন্তু অন্যের দোষের কারণে মারা যায়নি। এটা মারা গেছে, বরং এটার নিজের রাগ ও ক্ষোভের ফলাফলস্বরূপ মারা গেছে।

কখনো কখনো আমাদের রাগের কারণে আমরা অন্যদের আঘাত করতে চাই, কিন্তু সময় গেলে দেখা যায় এই রাগ-ক্ষোভ আমাদের নিজেদেরকেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে।

একটি সুখী জীবনযাপনের জন্য আমাদেরকে এড়িয়ে চলা শিখতে হয়, কখনো কখনো কিছু জিনিস, মানুষ, ঘটনা, স্মৃতিসহ বিভিন্ন জিনিসকে বাদ দিয়ে দিতে হয়।

সবকিছুর প্রতি আমাদের নজর দেওয়া বা প্রতিক্রিয়া করার প্রয়োজন নেই।

একটু সময় নিন এবং নিজেকে জিজ্ঞেস করুন যে এই প্রতিক্রিয়া করার আসলেই দরকার আছে কিনা। চলুন, মানুষকে আমরা সহজবোধ্যভাবে এবং দয়ামায়ার সাথে আপন করে নিই। স্বীকার করে নিই যে মানুষ পরিবর্তনকে মেনে নেয় না, নিজেও পরিবর্তিত হয় না। তাদেরকে নীরবভাবে মেনে নিই এবং তাদের জন্য দোয়া করি।

আশা করি এ গল্প আপনাকে কিছু ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

ইংরেজিতে পড়ুন: http://funnnyfunny.com/the-axe-the-cobra/

ফজলে রাব্বির গল্প


ফজলে রাব্বি ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে ভালোবাসতেন। তার বাবার বইয়ের দোকান ছিল। যেকোন ধরনের বইয়ের দরকার হলেই বাবা (মো: রুহুল আমিন) কিনে আনতেন। তার মা (সুফিয়া আক্তার), ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন কমিকস, গল্পের বই কিনে দিয়ে তাকে বই পড়তে উৎসাহ দিয়েছেন।

কিন্তু অনার্স করার সময় জ্ঞানকে ব্যবহারিক কাজে লাগাতে না পেরে ফজলে রাব্বি প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়েন। তারপর একসময় ডেল কার্নেগি, শিব খেরা সহ কয়েকজন লেখকের বই পড়েন। তখন আরও বইয়ের খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, বইয়ের বাজারে অনুপ্রেরণামূলক তথা ব্যক্তিগত উন্নয়নের বই বাংলা ভাষায় খুব কম। বেশিরভাগ বই ইংরেজিতে পাওয়া যায়। এরপর ইংরেজি ভাষায় বই পড়তে আরম্ভ করেন। কিন্তু খুব দ্রুতই
অনুভব করেন যে এ ধরনের বই বাংলা ভাষায় প্রকাশ করার গুরুত্ব অপরিসীম। সেই বোধ থেকেই ফজলে রাব্বি তার ইংরেজির দক্ষতা ইংরেজি বই বাংলা অনুবাদ করতে কাজে লাগান।

২০১৩ সাল থেকে ইংরেজি বই বাংলা অনুবাদ করতে শুরু করেন। রাব্বি দেখলেন, বাংলাদেশের বইয়ের বাজারে অনুপ্রেরণামূলক তথা ব্যক্তিগত উন্নয়নের বইয়ের খুব অভাব, অথচ এর চাহিদা রয়েছে। তখন ২০১৫ সালে, তার বাবার সহায়তায় প্রথম বাংলা অনুবাদকৃত বই নেপোলিয়ন হিল-এর থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ প্রকাশ করেন। প্রথমে অবশ্য এ বইয়ের নাম ছিল চিন্তা করুন এবং ধনী হোন। এরপর থেকে বাংলিশ শিরোনাম ব্যবহার করা হয়েছে।

থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ বই প্রকাশের মাধ্যমেই অনুপ্রেরণামূলক বই এবং প্রতিষ্ঠান হিসাবে সাফল্য প্রকাশনীর যাত্রা শুরু। ফজলে রাব্বি বিশ্বাস করেন, যে জ্ঞান তার নিজের উপকারে এসেছে, তা অন্যদের কাছেও প্রকাশ করতে হবে, যাতে করে মানুষ উপকৃত হতে পারে। মানুষের মধ্যে সুখ, সমৃদ্ধি ও সাফল্য দেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সাফল্য প্রকাশনীর মাধ্যমে একের পর এক অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত (২০২১ সাল পর্যন্ত) ফজলে রাব্বি অনূদিত ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা ১৫টি। এসব বইয়ের হাজারো কপি বিক্রি হয়েছে। হাজারো মানুষ এসব বইয়ের জ্ঞানকে তাদের ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হচ্ছে। জ্ঞানকে নিজের ব্যক্তি জীবনে কাজে লাগানোর যে স্বপ্ন ফজলে রাব্বি দেখেছিলেন, তার সাথে যুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ রাশেদুল হক, এ.এম. নাইম হোসেন, শাহরিয়ার মাহমুদ, ফারহা আহমেদ সহ হাজারো পাঠক।

ফজলে রাব্বি অনূদিত ও সম্পাদিত বইয়ের তালিকা:

০১. থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ। মূল: নেপোলিয়ন হিল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৫।
০২. ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।
০৩. সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড। মূল: নেপোলিয়ন হিল ও ডব্লিউ. ক্লেমেন্ট স্টোন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।
০৪. টাইম ম্যানেজমেন্ট। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: মোহাম্মদ রাশেদুল হক ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।
০৫. অবজারভেশন। মূল: রাসেল এইচ. কনওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।
০৬. জিরো টু ওয়ান। মূল: পিটার থিয়েল ও ব্লেইক মাস্টার। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৮।
০৭. আউটলায়ার্স। মূল: ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল। অনুবাদ: এ.এম. নাইম হোসেন ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৮।
০৮. 7 স্ট্র্যাটেজিস ফর ওয়েলথ এন্ড হ্যাপিনেস। মূল: জিম রন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।
০৯. ওয়ান স্মল স্টেপ ক্যান চেঞ্জ ইউর লাইফ। মূল: ড. রবার্ট মৌরার (পিএইচডি)। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।
১০. অ্যাজ আ ম্যান থিংকথ। মূল: জেমস অ্যালেন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।
১১. স্টার্ট উইথ হোয়াই। মূল: সাইমন সিনেক। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।
১২. এটিটিউড ইজ এভরিথিং। মূল: জেফ কেলার। অনুবাদ: ফারহা আহমেদ, শাহরিয়ার মাহমুদ ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।
১৩. মেনটরিং ১০১। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।
১৪. গেট স্মার্ট। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: ফারহা আহমেদ। সম্পাদনা: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।
১৫. টিমওয়ার্ক ১০১। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।


নেতৃত্বের গল্প: প্রজাপতির গল্প

চিনা প্রবাদে আছে, একজন মানুষকে যদি একটি মাছ দাও তবে সে একদিন খেতে পারবে। কিন্তু তাকে যদি মাছ ধরতে শিখিয়ে দাও তবে সে সারাজীবন খেতে পারবে। আমাদের নবীজীও তাই করেছেন। একজন গরিবকে কুড়াল কিনে দিয়ে কাঠ কাটতে বলেছেন। এতে করে সে সারাজীবন কাজ করার মাধ্যমে সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারে। কিন্তু এসব থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি? আমি বলব, এখান থেকে আমরা নেতৃত্বের শিক্ষা নিতে পারি।

আজ আমরা নেতৃত্ব বিষয়ক একটি গল্প বলব। একে প্রজাপতির গল্পও বলা হয়। গল্প বলার আগে নেতৃত্বের কিছু সংজ্ঞা বলে নিই। ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ বইয়ের লেখক জন সি. ম্যাক্সওয়েল বলেন, নেতৃত্ব মানে পদ, পদবি বা অবস্থান নয়, বরং এর মানে হচ্ছে একটি মানবজীবন আরেক মানবজীবনকে প্রভাবিত করছে। তিনি আরও বলেন যে অন্যদেরকে গুণান্বিত করতে হলে প্রথমে আপনাকে অন্যদের মূল্য দিতে হবে। নেতৃত্ব সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, কাউকে তার নিজের সমস্যা সমাধানে সক্ষম করে তোলা, তাদেরকে তাদের নিজ পরিস্থিতিকে খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ করে দেয়াই হচ্ছে নেতৃত্ব।

যেমন আমি আমার ছোট ভাইকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দেওয়ার চেয়ে তাকে রাস্তা পারাপার হতে গেলে রাস্তার দুইদিকে, ডানে-বামে তাকাতে বলি, তারপর রাস্তা পার হতে বলি। ফলে সে যখনই রাস্তা পার হবে, নিজে নিজে পার হতে পারবে। আবার সেদিন বাসার পাশের প্রতিবেশী বিদ্যুতের মিটারে প্রিপেইড কার্ড প্রবেশ করাতে পারছিলেন না। তার সাথে গিয়ে তাকে বলেছি কী কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে। তিনি নিজে তার হাতে প্রিপেইড কার্ড মিটারে প্রবেশ করালেন এবং ঠিক আছে কিনা দেখলেন। আমি কেবল তার পাশে থেকে দিকনির্দেশনা দিলাম। এতে করে তিনি আর কখনো কার্ড নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না। আর পড়লেও তা সমাধান করতে নিজের মধ্যে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস অনুভব করবেন। এবার প্রজাপতির গল্পটা বলা যাক।


আমি বহু বছর আগে এ গল্পটা আমার দাদীর কাছে শুনেছি। এক লোক পার্কের ভেতর দিয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, একটি গাছে শুঁয়োপোকা তার গুটি থেকে বের হতে চেষ্টা করছে। তিনি বেশ সময় নিয়ে ঘটনাটি দেখলেন। গুটির ভেতর শুঁয়োপোকার তীব্র নাড়াচাড়া করছে। তিনি দেখে অফিসে চলে গেলেন।

পরেরদিন, তিনি আবার সেই জায়গায় দেখলেন শুঁয়োপোকা চেষ্টা করছে তার গুটি থেকে বের হতে। তিনি একবার চিন্তা করলেন কী করবেন। শুঁয়োপোকার এত চেষ্টা ও কষ্ট দেখে তিনি সাহায্য করতে নিজের ভেতর তীব্র তাড়না বোধ করলেন। কিন্তু তারপরও তিনি কিছু না করে চলে গেলেন।

তৃতীয়দিন তিনি একটি ছুরি নিয়ে এলেন। শুঁয়োপোকার এত সংগ্রাম তার সহ্য হলো না। লোকটি ছুরি দিয়ে গুটি কেটে শুঁয়োপোকাকে বের করে আনলেন এবং এর সংগ্রাম থেকে মুক্তি দিলেন। কিন্তু দেখা গেল কিছুক্ষণ পরেই শুঁয়োপোকাটি মারা গেল।

গল্পের এখানেই শেষ। এ গল্প থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে আমরা অন্যের সমস্যা সমাধান করে দিতে পারি না এবং তা উচিতও নয়। আমরা কেবল তাকে তার সমস্যা সমাধানে সক্ষম হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারি, তার নিজ পরিস্থিতিকে খুঁটিয়ে দেখার সুযোগ করে দিতে পারি।


সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

হোয়াই নেশনস ফেইল (Why Nations Fail) তথা কেন একটি জাতি বা দেশ ব্যর্থ হয়

হোয়াই নেশনস ফেইল তথা কেন একটি জাতি বা দেশ ব্যর্থ হয়:


মুখবন্ধ

এ বই হচ্ছে মূলত বিশ্বের ধনী দেশ এবং গরিব দেশের (এদের মধ্যে অনুন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশ নামক তকমাধারীরাও বিদ্যমান) মধ্যে যে আয় ও জীবনমানের বিরটা বৈষম্য রয়েছে তা নিয়ে লেখা। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন এবং জামার্নি। আরও আছে আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাংশের দেশসমূহ, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া। আমরা যখন এ ভূমিকা লিখছি তখন মধ্যপ্রাচ্যে জেসমিন বিপ্লব বলে একটি আন্দোলন হচ্ছে। যা মূলত রাস্তার এক বিক্রেতা মোহাম্মদ বোযাজিজি’র আত্মহত্যাকে ঘিরে গড়ে ওঠে। তার আত্মহত্যা থেকেই জনরোষের মাধ্যমে এ আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। মোহাম্মদ বোয়াজিজি আত্মহত্যা করেন ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ সালে। এ আন্দোলনের ফলে তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রপতি জিন এল আবিদিন বেল আলী, যিনি ১৯৮৭ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে আছেন, তিনি ১৪ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে পদত্যাগ করেন। কিন্তু এতে করেও আন্দোলন স্তিমিত হয়নি। বরং বিদ্যমান এলিট শ্রেণির বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার হয় এবং এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশগুলোতে। হোসনে মোবারক ইজিপ্টি শাসন করেন ৩০ বছর যাবৎ। তিনি খুব শক্ত হাতে দেশ শাসন করেছেন। কিন্তু ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাচ্যুত হন। অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশগুলো, যেমন, বাহারাইন, লিবিয়া, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের শাসনকর্তাদের ভাগ্য সম্পর্কে এখনো আমরা জানি না কী ঘটবে।


যাই হোক, এসব দেশের জনগণের যে অসন্তুষ্টি তার মূল হচ্ছে তাদের দারিদ্রতা। ইজিপ্টি তথা মিশরের নাগরিকদের গড় আয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের গড় আয়ের মাত্র ১২%। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের গড় আয় ১০০ টাকা হলে, মিশরের নাগরিকদের গড় আয় ১২ টাকা। আবার মিশরের নাগরিকদের গড় আয়ু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের গড় আয়ুর থেকে ১০ বছর কম। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের গড় আয়ু ৭৭ বছর হলে, মিশরের নাগরিকদের গড় আয়ু ১০ বছর কম ৬৭ বছর হবে। আবার মিশরের ২০ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। যদিও এসব পার্থক্যগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমরা যদি অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করি, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলো, যেমন উত্তর কোরিয়া, সিয়েরা লিওন এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে তুলনা করলে এ সংখ্যা খুব ছোট মনে হবে, যেখানে জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।

মিশর দেশটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এত গরিব কেন? মিশরীয়দের আরও উন্নত হতে বাধা দেয় কী কী বিষয়? দারিদ্রতা কি মিশরের জন্য অনিবার্য? নাকি এটা নির্মূল করা সম্ভব? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে চিন্তা আসে মিশরীয়রা তাদের সমস্যা সম্পর্কে কী চিন্তা করে তা জানা  এবং কেন তারা মোবারক সরকারের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করল তা বোঝা। কায়রোর এক বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মী, বয়স চব্বিশ বছর, নোহা হামিদ তাহরির স্কোয়ারে প্রতিবাদ জানানোর সময় তার মতামত স্পষ্টভাবে জানান, আমরা দুর্নীতি, নিপীড়ন এবং মন্দ শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নির্যাতিত। আমরা একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমের মধ্যে বাস করছি যা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।

তাহরির স্কয়ারের আরেক আন্দোলনকারী, ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র, মোসাব এল শামি  একমত প্রকাশ করে বলেন, আমি আশা করি যে এই বছরের শেষের দিকে আমাদের একটি নির্বাচিত সরকার থাকবে এবং সার্বজনীন স্বাধীনতা প্রয়োগ করা হবে। আর যে দুর্নীতি এ দেশকে গ্রাস করে নিয়েছে তা থেকে দেশকে মুক্ত করব। তাহরির স্কোয়ারের অন্যান্য বিক্ষোভকারীরাও সরকারের দুর্নীতি, জনসেবা প্রদানে অক্ষমতা এবং মিশরে সুযোগের সমতার অভাব নিয়ে একই সুরে কথা বলেছেন। তারা বিশেষ করে রাজনৈতিক অধিকারের অনুপস্থিতি এবং দমন-পীড়নের ব্যাপারে অভিযোগ করেছিল।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ এল বারাদেই যেমন টুইটারে লিখেছেন ১৩ জানুয়ারী, ২০১১, "তিউনিসিয়া: দমন-পীড়ন + সামাজিক ন্যায়বিচারের অনুপস্থিতি + শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য যেসব সিস্টেম ও চ্যানেল দরকার সেগুলোকে অস্বীকার = একটি টাইম বোমা।" মিশর এবং তিউনিশিয়ান, উভয়েই তাদের অর্থনৈতিক সমস্যাকে মৌলিকভাবে তাদের রাজনৈতিক অধিকারের অভাবের কারণে দেখেছিল। বিক্ষোভকারীরা যখন তাদের দাবিগুলো আরো সুশৃঙ্খলভাবে গঠন করতে শুরু করে, তখন মিশরীয় প্রতিবাদ আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও ব্লগার ওয়ায়েল খলিলের পোস্ট করা প্রথম বারোটি দাবি, সবই ছিল রাজনৈতিক পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ করা। ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর মতো বিষয়গুলো কেবল সেই ক্রান্তিকাল দাবিগুলির মধ্যে উপস্থিত হয়েছিল যা পরে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল।

মিশরীয়দের কাছে, যে জিনিসগুলি তাদের দারিদ্রের দুষ্টচক্রের মধ্যে আটকে রেখেছে তার মধ্যে রয়েছে একটি অকার্যকর এবং দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র এবং এমন একটি সমাজ যেখানে তারা তাদের মেধা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে পারে না এবং তারা উন্নত শিক্ষা পেতে পারে, কিন্তু তা পায় না। কিন্তু তারা এটাও স্বীকার করে যে এই সমস্যাগুলোর শিকড় রাজনৈতিক পটভূমি। মিশরের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে যত বাধার সম্মুখীন হচ্ছে তার মূল কারণ মিশরে রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যবহার এবং অভিজাত শ্রেণী এ ক্ষমতাকে এমন সংকীর্ণ পথে ব্যবহার করে যাতে করে এই রাজনৈতিক ক্ষমতার একচেটিয়া ব্যবহার করা যায়। এতে করে সব অর্থনৈতিক সুবিধাদি কেবল অভিজাত শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে পড়ে। এভাবেই জনগণ বুঝতে পারে যে রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তন করাই তাদের প্রথম কাজ।


সমস্যার মূূল হচ্ছে রাজনৈতিক অধিকারের অভাব। তাহরির স্কয়ারের আন্দোলনকারীদের মনে এ কথা থাকা সত্ত্বেও তারা এ বিষয়টি থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে। যখন তারা কারণ দেখায় যে কেন মিশরের মতো একটি সম্ভাবনাময় দেশ গরিব হয়ে আছে, তখন বেশিরভাগ শিক্ষাবিদ এবং মন্তব্যকারীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দেয়। কিছু মানুষ জোর দিয়ে বলে মিশরের দারিদ্রতার মূল কারণ এর ভৌগলিক ব্যাপার। কারণ দেশের বেশিরভাগ জায়গা মরুভূমি এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাব রয়েছে। এর ফলে মাটি এবং জলবায়ুও উৎপাদনশীল কৃষির অনুকূল নয়। আর কিছু মানুষ বলে যে ভৌগলিক পরিস্থিতির বদলে মিশরের সাংস্কৃতিক কারণে মিশর একটি গরিব দেশ। তারা মিশরের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের দিকে ইঙ্গিত দেয় যে এর কারণেই মিশরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সম্ভব হচ্ছে না। এসকল মিশরীয় শিক্ষাবিদরা আরও যুক্তি দেখান যে অন্য যারা উন্নতি করেছে তাদের যেসব নৈতিকতা ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার অভাব মিশরে বিদ্যমান। তাই তারা উন্নতি করতে পারছে না। তারা আরও বলেন, এসব ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্বাসগুলোও রয়েছে যা অর্থনৈতিক সাফল্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। আরেক দল অর্থনীতিবিদ এবং পণ্ডিত রয়েছেন যারা বেশ প্রভাবশালী। এদের বক্তব্য হচ্ছে মিশরের শাসকরা জানে না যে তাদের দেশকে সমৃদ্ধ করতে কী কী প্রয়োজন। শাসকরা কেবল ভুল নীতি ও কলাকৌশল অনুসরণ করে যাচ্ছে। যদি এই শাসকরা সঠিক উপদেষ্টাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ পেত, তবে শাসকরা সঠিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করতে পারত। এসব অর্থনীতিবিদ এবং পণ্ডিতদের কাছে মিশর যে অল্প কিছু এলিট শ্রেণি দ্বারা শাসিত, যারা (এলিট শ্রেণি) দেশের বেশিরভাগ মানুষের শ্রমের বিনিময়ে রাজার হালে বাস করছে, এসব এলিট শ্রেণি যে মিশরের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তা অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। অর্থনীতিবিদরা এবং পণ্ডিতরা এসব এলিট শ্রেণির শোষণের কথা বাদ দিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেন।


এ বইয়ে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করবে যে মিশরের তাহরির স্কয়ারের আন্দোলনের মূল গোড়া কোথায় এবং বেশিরভাগ শিক্ষাবিদ ও মন্তব্যকারীদের ঘাটতি কোথায়।


নিঃসন্দেহে মিশর একটি গরিব দেশ। কারণ দেশটি শাসিত হয় অল্প কিছু এলিট তথা অভিজাত শ্রেণি দ্বারা, যারা পুরো সমাজকে এমনভাবে সংগঠিত করেছে যাতে করে দেশের অধিকাংশ মানুষের শ্রমের ফল তারা তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য কাজে লাগাতে পারে। রাজনৈতিক ক্ষমতাও এসব এলিট শ্রেণির মধ্যে ঘনীভূত হয়ে আছে। আর এই রাজনৈতিক ক্ষমতাই তাদেরকে বিপুল সম্পত্তি ও সম্পদ গড়তে সাহায্য করছে। যেমন মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হন, যার আর্থিক মূল্য ৭০ বিলিয়ন ডলার তথা ৬ লাখ কোটি টাকার ওপর। এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিশরের জনগণ। কারণ তাদেরকে শোষণ করেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তোলা হয়েছে।


আমরা দেখাব, মিশরের এই দারিদ্রতার কারণ, এই সম্বন্ধে জনগণের ব্যাখ্যা এবং সেখান থেকে একটি কমন ব্যাখ্যা দাঁড় করাব যে গরিব দেশগুলো কেন গরিব। এবার দেশ হিসাবে যে দেশই হোক না কেন; উত্তর কোরিয়া, সিয়েরা লিওন বা জিম্বাবুয়ের মতো যে দেশই হোক না কেন, আমরা দেখাব যে গরিব দেশগুলো ঠিক একই কারণে গরিব যে কারণে মিশর দেশটা গরিব। গ্রেট ব্রিটেন এবং আমেরিকার মতো দেশগুলো ধনী হয়ে উঠেছিল তার কারণ তাদের নাগরিকরা দেশের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকারী অভিজাতদের উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছিল এবং এমন এক সমাজ গড়ে তুলেছিল যেখানে রাজনৈতিক অধিকারগুলো আরও বিস্তৃত পরিসরে বিতরণ করা হয়েছে; যেখানে সরকার নাগরিকদের কাছে দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহি করতে বাধ্য; যেখানে বিপুল সংখ্যক জনগণ অর্থনৈতিক সুযোগের সদব্যবহার করতে পারে। আমরা দেখাব যে কেন আজ বিশ্বে এত বেশি বৈষম্য বিদ্যমান। এজন্য আমাদেরকে অতীতে খুঁজে দেখতে হবে এবং ইতিহাসের পরিক্রমাকে অধ্যয়ন করতে হবে। আমরা দেখব যে ব্রিটেন মিশরের চেয়ে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণ ১৬৮৮ সালের এক আন্দোলন। ব্রিটেনে (তৎকালীন সময়ে ডাকা হত ইংল্যান্ড নামে) ১৬৮৮ সালে এক আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলন পরে বিপ্লবে পরিণত হয়, যেখানে ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক অধিকারের বিপুল পরিবর্তন সাধিত হয়। তৎকালে ইংল্যান্ডে এই বিপ্লবের ফলে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে জনগণের অর্থনৈতিক পরিবর্তনও সাধিত হয়। এরপর জনগণ আরও রাজনৈতিক অধিকারের জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। ফলস্বরূপ এসব রাজনৈতিক অধিকার তাদেরকে অর্থনৈতিক সুযোগ এনে দিয়েছে। রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের এসব আন্দোলনের ফলাফল কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধাদির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং এগুলোর ফলে পরবর্তীতে শিল্প বিপ্লবের সূচনা ঘটেছে।


শিল্প বিপ্লব এবং এর ফলে যে প্রযুক্তিগুলো বিকাশ লাভ করেছিল তা মিশরে বিস্তার লাভ করেনি। কাণ তখন মিশর অটোমান সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ফলে অটোমান সম্রাটরাও মিশরকে আজকের মোবারক পরিবারের মতোই আচরণ করেছিল। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৭৯৮ সালে মিশরে অটোমান শাসনের পতন ঘটান। কিন্তু দেশটি তখন ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ব্রিটিশদেরও অটোমানদের মতো মিশরের সমৃদ্ধিতে সামান্যই আগ্রহ ছিল। যদিও মিশরীয়রা অটোমান এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে ঝেড়ে ফেলেছে এবং ১৯৫২ সালে অটোমানদের রাজতন্ত্রকে উৎখাত করেছে, তবুও এ পরিবর্তনগুলো ১৬৮৮ সালের ইংল্যান্ডের বিপ্লবের মতো ছিল না। এতে করে মিশরের রাজনীতিতে মৌলিক কোন পরিবর্তন আসেনি; বরং পূর্বের এলিট শ্রেণির বদলে নতুন এক এলিট শ্রেণি ক্ষমতায় এসেছে, যারা সাধারণ মিশরীয় জনগণের চেয়ে নিজেদের সমৃদ্ধিতেই বেশি আগ্রহী। ফলস্বরূপ, সমাজের মৌলিক কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয়নি এবং মিশর যেই গরিব গরিবই রয়ে গেছে।


এ বইতে আমরা দেখাব কীভাবে সামাজিক প্যাটার্নগুলো শত শত বছর পরও টিকে থাকে ও নতুন রূপে উপস্থিত হয় এবং কেন এগুলো বদলায়। যেমন বদলেছে ১৬৮৮ সালের ইংল্যান্ড এবং ১৭৮৯ সালের ফ্রান্সের বিপ্লবের কারণে। এটা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে যে আজকে মিশরের আন্দোলনের ফলাফল কী হতে পারে, মোবারককে উৎখাত করার বিপ্লব সামনের দিনে সাধারণ মিশরীয় নাগরিকদের সমৃদ্ধি আনতে পারে কিনা। অবশ্য মিশরে এমন বিপ্লব আগেও হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তন কিছুই হয়নি। কারণ যারা বিপ্লব করেছে তারা কেবল ক্ষমতা দখল করেছে। বিপ্লবকারীরা একই ধরনের ব্যবস্থা বা সিস্টেম পুনরায় তৈরি করেছে যাতে সাধারণ জনগণকে শোষণ করা যায়। অবশ্য সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করা এবং তাদের সমাজের কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন করা কঠিন। কিন্তু কঠিন হলেও এটা সম্ভব। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, বতসোয়ানা এবং ব্রাজিলে এটা কীভাবে ঘটেছিল তাই আমরা দেখব।


সত্যি বলতে, আমরা পরিবর্তন বলতে এমন এক অবস্থার কথা বলছি যা এক ধরনের রাজনৈতিক রূপান্তর, যা একটি দরিদ্র সমাজকে ধনী করতে হলে আবশ্যক। এর প্রমাণ আমরা মিশর থেকেই পাব। তাহরির স্কয়ারের এক বিক্ষোভকারী রেদা মেটওয়ালি বলেন, ‘এ আন্দোলনে আপনি মুসলমান ও খ্রিস্টানদের একসাথে দেখছেন, বৃদ্ধ ও তরুণকে একসাথে দেখছেন। এরা সবাই এক জিনিসই চায়।’ আমরা দেখাব যে সমাজে এ ধরনের বিস্তৃত আন্দোলন কতটা দরকার এবং এর ফলে কীভাবে পৃথিবীর নানান জায়গায় রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো সাধিত হয়। আমরা যদি বুঝতে পারি কখন এবং কেন এ ধরনের রূপান্তর ঘটে, তখন আমরা মূল্যায়ন করতে পারব যা আমাদেরকে আরও সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করবে। এতে করে আমরা বুঝতে পারব যে কোন ধরনের আন্দোলন অতীতের মতো ব্যর্থ হবে না এবং দেশের জনগণের জীবনে, লাখ লাখ মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
















রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

টিমওয়ার্ক ১০১ বইয়ের পর্যালোচনা

 টিমওয়ার্ক ১০১ বইয়ের পর্যালোচনা:


প্রতিভা থাকলে হয়তো একটা ম্যাচে জেতা যায়, কিন্তু টিমওয়ার্ক থাকলে পুরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা সম্ভব।  এ কথা খেলাধুলা, পপ সংস্কৃতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সহ অন্যান্য প্রতিটি কর্মক্ষেত্রের জন্য সত্য।  এই অপরিহার্য গাইড বইতে, নিউ ইয়র্ক টাইমস -এর সর্বাধিক বিক্রিত লেখক জন সি. ম্যাক্সওয়েল ব্যাখ্যা করেছেন কেন টিমওয়ার্ক ব্যবসায় সাফল্য অর্জনের কেন্দ্রবিন্দু এবং পাঠকদের দেখান কীভাবে বিজয়ী ফলাফল অর্জনের জন্য টিমওয়ার্ক ও সহযোগিতার অগ্রাধিকার দিতে হয়।

এই বইয়ে আপনি শিখবেন কীভাবে টেকসই একটি দল তৈরি করবেন; দলে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করবেন;  একটি দলের সৃজনশীলতা ব্যবহার করে অগ্রগতি করবেন;  দুর্বল খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করবেন যারা আপনার দলকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে;  এবং বিচার করবেন যে আপনার দল স্বপ্ন পূরণ করতে পারে কিনা।  আপনি একটি বিজয়ী দল কীভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ জ্বালানী তাও আবিষ্কার করবেন: কারণ প্রত্যেকেই বিজয়ী দলের অংশ হতে চায়, আপনি কেবলমাত্র সেরা প্রতিভা আকর্ষণ করতে থাকবেন এবং শীর্ষে আরোহণ করবেন।  একটি দুর্দান্ত দল দুর্দান্ত ফলাফলের চাবিকাঠি। স্বতন্ত্র কর্মচারী, নেতৃবৃন্দ এবং সামগ্রিকভাবে কোম্পানির জন্য একটি দুর্দান্ত দল দরকার।  টিমওয়ার্ক ১০১ বই দেখায় কীভাবে নিজের জন্য একটি দল তৈরি করতে হয় এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যায় যাতে করে আপনি ব্যতিক্রমী টিমওয়ার্কের সুযোগ-সুবিধা এবং সম্ভাবনা লাভ করতে পারেন।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

আপনার কাজে লাগবে এমন কী কী আছে টাইম ম্যানেজমেন্ট বইয়ে?


১। এ বইয়ের মাধ্যমে আপনার যে যে সমস্যা দূর হবে:

ক। আপনি আপনার কাজগুলো সময়মতো গুছিয়ে করতে পারবেন।

খ। দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

গ। যে ইচ্ছাগুলো কখনো সময়ের অভাবে করতে পারেননি বলে আফসোস করেন, সেগুলোও সম্পন্ন করতে পারবেন।

২। টাইম ম্যানেজমেন্ট বইয়ের গুণগত মান কেমন?

বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য সহজ সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। অনুবাদের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে। হার্ডকভার বই ছাপানো হয়েছে ৮০ গ্রাম অফ-হোয়াট কাগজ দিয়ে। সর্বোত্তম বাঁধাই।

৩। এ বইয়ের বিশেষত্ব কী?

আমেরিকান ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রকাশিত বেস্ট সেলিং বই। আমেরিকান ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন হচ্ছে হারপারকলিন্স লিডারশিপ একটি বিভাগ। আপনার জন্য সাফল্য প্রকাশনী আমেরিকার হারপারকলিন্স লিডারশিপ থেকে বাংলা অনুবাদের অনুমতি নিয়েছে। Time Management (Brian Tracy Success Library) by Brian Tracy (the “Work”). ISBN: 9780814433430 গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ। বইয়ের ভেতর বিস্তারিত পাবেন।

৪। এ বই পড়া কতটা আরামদায়ক?

জী, এ বেশ ছোট্ট বই। পড়া বেশ আরামদায়ক। মাত্র ১২৮ পৃষ্ঠা। এক অধ্যায় পড়তে আপনার সময় লাগবে মাত্র ৬ মিনিট।

৫। আমি কি বইটা ঠিকঠাকভাবে পাব?

জী, নিশ্চয়। আপনাকে আপনার বই নিরাপদে পৌঁছে দিতে দুইটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান: নীলক্ষেত বুক মার্কেট এবং বং কুরিয়ার দিনরাত কাজ করছে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

আপনার কাজে লাগবে এমন কী কী আছে জিরো টু ওয়ান বইয়ে?


প্রতিটি উদ্যোগের সুযোগ ও মুনাফা একবারই আসে। পরবর্তী বিল গেটস একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করবে না। পরবর্তী ল্যারি পেইজ বা সার্জি ব্রিন কোন সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করবে না। আর পরবর্তী মার্ক জাকারবার্গ কোনও সামাজিক নেটওয়ার্ক তৈরি করবে না। আপনি যদি এই উদ্যোক্তারা যা বানিয়েছে তা কপি করতে চান তবে আমি বলব আপনি এখান থেকে কিছুই শিখছেন না।

অবশ্য নতুন কোনকিছু তৈরি করার চেয়ে আগের কোন মডেল কপি করা সহজ। যা আমরা জানি এমন ব্যবসা আবার করতে যাওয়া মানে তীব্র প্রতিযোগিতায় পড়ে মরা ছাড়া আর কিছু নয়। একে আমি বলি ১ থেকে ম'তে গমন। ম মানে তীব্র প্রতিযোগিতার চাপে ব্যবসায়িক ক্ষতি বা মারা যাওয়া। কিন্তু যখনই আমরা নতুন কিছু তৈরি করব, তখন আমরা ০ থেকে ১ এ চলে যাব। এ হচ্ছে এক সৃষ্টিশীল কাজ। এ কাজ যেমন নতুন সৃষ্ট তেমন এর ফলাফলটিও তাজা ও অদ্ভুত কিছু।

আজকে আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলো যদি নতুন নতুন জিনিস তৈরির কঠিন কাজে বিনিয়োগ না করে, তবে আজকে তারা যতই মুনাফা করুক না কেন ভবিষ্যতে ব্যর্থ হবেই। আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পুরানো ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেগুলো কী পেয়েছি? সেসব ক্ষেত্র থেকে যা অর্জন করার ছিল তা অর্জিত হয়েছে। এরপর কী? অস্পষ্টভাবে যেমন শোনা যায়, সামনে ২০০৮ এর চেয়ে ভয়ানক ব্যবসায়িক বিপর্যয় আসছে। কেন? কারণ আমরা এমন এমন পথ ধরে ব্যবসায়িক কাজকর্ম করছি যা নতুন কোনো সম্ভাবনা তৈরি করছে না। কেবল ক্ষতি ও মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিত নতুন ও অপ্রচলিত পথে এগিয়ে যাওয়া।

সরকারি ও বেসরকারি, উভয়ই বিশাল প্রশাসনিক আমলা নিয়ে আশা করছে নতুন কোন পথ অলৌকিকভাবে তাদের সামনে এসে পড়বে। আসলে, বর্তমান আমেরিকার ব্যবসা যেভাবে চলছে এমন ভাবে সফল হতে গেলে আমাদের কয়েকশ বা এমনকি হাজারো অলৌকিক কাজের প্রয়োজন হবে। এ নিশ্চয় হতাশাজনক। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্যের আমাদের সবারই জানা: মানুষ অলৌকিক কাজ করতে সক্ষম বলেই অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা। আর আমরা এ আলৌকিক শক্তির নাম দিয়েছি প্রযুক্তি (technology)।

আসলে প্রযুক্তি সত্যিই এক অলৌকিক শক্তি। কারণ এ আমাদের মৌলিক দক্ষতাকে খুব কম সময়ের বেশি কাজ করে উচ্চ স্তরে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। অন্যান্য প্রাণীরা মধুচক্রের মতো জিনিস তৈরিতে সহজাতভাবে চালিত হয়। তবে আমরা মধুচক্রের চেয়ে বেশি ও জটিল জটিল নতুন জিনিস উদ্ভাবন ও সৃষ্টি করতে পারি। নতুন প্রযুক্তি এমন কিছু তৈরি করে যা দ্বারা আমরা বিশ্বের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নতুন করে লিখি।

জিরো টু ওয়ান কীভাবে এমন নতুন সংস্থাগুলি তৈরি করতে পারে যা নতুন জিনিস তৈরি করে। এটি পেপাল এবং পালান্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং তারপরে ফেসবুক এবং স্পেসএক্স সহ কয়েকশ স্টার্টআপে বিনিয়োগকারী হিসাবে আমি যা শিখেছি তার সবকটিই আকর্ষণ করে। তবে আমি অনেক নিদর্শন লক্ষ্য করেছি এবং আমি এগুলি এখানে উল্লেখ করছি। এ বই সাফল্যের কোনো সূত্র সরবরাহ করে না। উদ্যোক্তা হওয়ার শিক্ষা দিতে গিয়ে আমি দেখলাম উদ্যোক্তারা নিত্যনতুন সূত্র, পন্থা, পদ্ধতি বা উপায় তৈরি করছে যা আগে কেউ করেনি। যেহেতু প্রতিটি উদ্ভাবন নতুন এবং অনন্য, কোন কর্তৃপক্ষ ঠিক ছক আকারে বলতে পারে না কে সফল হবে আর কে ব্যর্থ। প্রকৃতপক্ষে, আমি যে সবচেয়ে শক্তিশালী ধারাটি লক্ষ্ করেছি তা হল সফল ব্যক্তিরা অপ্রত্যাশিত জায়গাগুলিতে বিভিন্ন ধরনের মূল্য খুঁজে পায় এবং তারা সূত্রের পরিবর্তে প্রথমে নীতিগুলোর সাথে ব্যবসায় সম্পর্কে চিন্তা করে।

এ বই আমি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১২ সালে যে স্টার্টআপের ক্লাস লেকচার দিয়েছিলাম, তারই সারসংক্ষেপ। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়ার নানা কলাকৌশল শেখানোর জন্য এ কোর্স চালু করেছিল। ক্লাসে পড়ানোর সময় আমার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদেরকে বিস্তৃত ভবিষ্যতের রাস্তা খুঁজে পেতে সাহায্য করা। সেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন, ব্লেক মাস্টার্স। এ ক্লাসগুলোর বিস্তারিত নোট নিয়েছিল। যা ক্যাম্পাস থেকে বহুল প্রচারিত হয়। জিরো টু ওয়ান বইয়ে আমি তার সাথে বিস্তৃত দর্শকের জন্য নোটগুলি সংশোধন করতে কাজ করেছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যৎ কেবল সিলিকন ভ্যালি বা স্ট্যানফোর্ডের মধ্যেই আটকে থাকবে না। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো উদ্যোগ ভবিষ্যতের দুনিয়াকে বদলে দিতে পারে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

7 স্ট্র্যাটেজিস ফর ওয়েলথ এন্ড হ্যাপিনেস বইয়ের পর্যালোচনা

7 স্ট্র্যাটেজিস ফর ওয়েলথ এন্ড হ্যাপিনেস বইয়ের পর্যালোচনা:


টনি রবিন্স বলেন, আমি মন থেকে বিশ্বাস করি জিম রন একজন মানুষ হিসাবে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং তার দর্শন যে কাউকে জীবনের গুণমান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

টম হপকিন্স বলেন, খুব কম মানুষই আছে যারা জিম রনের মতো মানুষকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রাখে এবং মানুষের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রভাবিত করতে পারে।

লেস ব্রাউন বলেন, জিম রন একজন গভীর চিন্তাবিদ। তিনি ব্যক্তির মনকে প্রসারিত করতে বিরাট অবদান রেখেছেন। আমার সৌভাগ্য যে আমি তার কথা শোনার সুযোগ পেয়েছি।

মার্ক ভিক্টর হ্যানসেন বলেন, জিম রন অনুপ্রেরণার একজন গুরু। তার স্টাইল, জ্ঞান, কারিশমা, প্রাসঙ্গিকতা, মানুষকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা এবং তিনি যা কিছু বলতেন তার সবকিছুরই একটা আলাদা ধরন ছিল। আমার প্রিয় বন্ধু জিম রন সম্পর্কে আমি বলব, তার কথা শুনলে এ বিশ্ব আরও উত্তম জায়গায় পরিণত হবে।

আপনাকে সম্পদ ও সুখের মধ্যে যেকোন একটিকে নির্বাচন করতে হবে না। আপনি জীবনে সম্পদ ও সুখ, উভয়ই পেতে পারেন। এগুলো একই উৎস থেকে উদ্ভূত। এ বইয়ের মাধ্যমে, আপনি সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় সাতটি দিকনির্দেশনা পাবেন, যা আপনার জীবনে সম্পদ ও সুখ নিয়ে আসবে:


-- একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের ক্ষমতা বুঝুন

-- জ্ঞান অন্বেষণ করুন

-- আত্নোন্নয়নের জাদুকরি শক্তি অর্জনের কলাকৌশল শিখুন

-- আপনার অর্থের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করুন

-- সময়কে কাজে লাগাতে দক্ষ হোন

-- নিজেকে বিজয়ী ও সফল ব্যক্তিদের দ্বারা ঘিরে রাখুন

-- ভালোভাবে জীবনযাপন করা এক ধরনের শিল্প। এই শিল্পের কলাকৌশল শিখুন


লেখক জিম রনের দর্শন লাখো মানুষকে সমৃদ্ধ ও সুখী জীবনযাপন করতে সাহায্য করেছে। বইটি পড়ে দেখুন, আপনার জন্য আপনি এ শিক্ষা কীভাবে কাজে লাগাবেন।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

আউটলায়ার্স বইয়ের পর্যালোচনা

 আউটলায়ার্স বইয়ের পর্যালোচনা:


এই আশ্চর্যজনক বইয়ে, ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল আমাদেরকে “আউটলায়ার্স” নামক এক বুদ্ধিবৃত্তিক যাত্রার দিকে নিয়ে যান যেখানে সমাজের সবচেয়ে ভালো ও উজ্জ্বল ব্যক্তিরা কীভাবে সফল ও বিখ্যাত হন তার অভিনব দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। তিনি যে প্রশ্নটি তোলেন তা হচ্ছে: সফল ব্যক্তিরা আমাদের থেকে আলাদা এমন কী করে যা তাদেরকে সফল করে তোলে?

তার জবাব ছিল, আমরা সফল মানুষজন কেমন তার দিকে খুব বেশি মনোযোগ দিই। অথচ তারা কোথা থেকে এসেছে সেই ব্যাপারে খুব কম গুরুত্ব দিই। অর্থাৎ তাদের সংস্কৃতি, তাদের পরিবার, তাদের প্রজন্ম এবং তাদের লালনপালনের যেসব স্বতন্ত্র অভিজ্ঞতা সেগুলোর দিকে তত মনোযোগ দিই না। গল্পের ছলে তিনি আমাদের জানান সফটওয়্যারে শত কোটি টাকার মালিকদের রহস্যের কারণ, দুর্দান্ত ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার রহস্য, কেন এশিয়ার মানুষজন গণিতে ভালো এবং কেন বিটলস রক ব্যান্ড সবচেয়ে বড় রক ব্যান্ডে পরিণত হয়।

বেশ চমৎকার ও আকর্ষণীয় এই বিনোদনমূলক বইটি, যার শিরোনাম আউটলায়ার্স তথা বৃত্তের বাইরে পাঠ করা একই সাথে আনন্দদায়ক এবং পাঠকের জন্য নতুন চিন্তার খোরাক জোগাবে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ বইয়ের পর্যালোচনা

ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ বইয়ের পর্যালোচনা


এই বইয়ে নেতৃত্ব বিশেষজ্ঞ জন সি. ম্যাক্সওয়েল বিভিন্ন ধরনের নেতৃত্বের মধ্যকার পার্থক্য তুলে ধরেন, নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি ও কলাকৌশল উল্লেখ করেন এবং অন্যদের কীভাবে নেতৃত্ব দিবেন তার উপায় বলেন। এসব সূত্র যেকেউ ব্যবহার করতে পারে। যেকোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান এ সূত্রাবলি ব্যবহার করে তাদের প্রতিষ্ঠানে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি আনতে পারে।

ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ বই পাঠে পাঠক আরও বুঝতে পারবে সর্বোত্তম নেতৃত্ব দিতে কী কী জিনিস দরকার। আর নেতৃত্বের সর্বোচ্চ শিখরে উঠে কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবেন, কাজকর্ম শৃঙ্খলার সাথে বজায় রাখবেন, কার্যকরভাবে নেতৃত্ব দিবেন, সেগুলো সম্পর্কে অবহিত হবেন। আবার ম্যানেজার পদ থেকে নেতৃত্বের পদ ও দায়িত্ব কীভাবে আলাদা তাও বুঝতে পারবেন।

জন সি. ম্যাক্সওয়েলের এই সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ে, তিনি পাঠককে দেখান কীভাবে ভিশন নিতে হয়, নিজের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করতে হয় এবং অন্যদের প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করতে হয়, যাতে করে উক্ত ব্যক্তি একজন সফল নেতা হতে পারে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

জিরো টু ওয়ান বইয়ের পর্যালোচনা

জিরো টু ওয়ান বইয়ের পর্যালোচনা:


জিরো টু ওয়ান নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ১ নম্বর বেস্টসেলার বই। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে রহস্যময় জিনিস হলো এখনো এমন অনেক কিছু আছে যা আমাদের অজানা এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের অপেক্ষায় আছে। জিরো টু ওয়ান বইয়ে কিংবদন্তি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল দেখান আমরা কীভাবে সেই নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করতে পারি এবং এই অনুসন্ধান চালানোর উপায়সমূহ।

থিয়েল কিছু প্যারাডক্সিকাল বা বৈপরীত্যমূলক ধারণা দিয়ে আলোচনা শুরু করে দেখান যে আমরা মূলত প্রযুক্তিগত স্থবিরতার যুগে বাস করছি। যদিও আমাদের মোবাইল ডিভাইসগুলো আগের থেকে অনেক চকচকে হয়েছে, তবুও এসব চকচকে জিনিসই আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে এবং আমাদের স্থবিরতাকে আড়াল করছে। তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু এ উন্নতি কেবল কম্পিউটার বা সিলিকন ভ্যালিতে সীমাবদ্ধ থাকার কোন কারণ নেই। যেকোন শিল্প বা ব্যবসার ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির এসব অগ্রগতিকে কাজে লাগানো সম্ভব। আজকের বিশ্বে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা নেতাদের অর্জন করতে হবে। নেতাদের শিখতে হবে নতুন চিন্তাভাবনা করার উপায় নিয়ে।

কিছু কিছু মানুষ জানে কীভাবে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত যাওয়া যায়। যেমন মাইক্রোফোন দিয়ে কথা বলা যায়, গান গাওয়া যায়। এমন আরও অনেক কাজ করা যায়। কিন্তু ০ থেকে ১ হবে বৈপ্লবিক কিছু। যার দ্বারা পুরো সমাজের চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা যায়। যেমন কাগজের টাকার থেকে ভিন্ন ডিজিটাল কারেন্সি বা অর্থ। বৈপ্লবিক বিষয় হবে এমন কিছু যা আমরা এখনো চিন্তা করে বের করতে পারিনি। আগামী বিশ্বের বিল গেটস উইন্ডোজ নামক অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে নেতৃত্ব দিবে না, নাকি ল্যারি পেজ বা সার্গেই ব্রিনের মতো সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করবে। আজকের বাজারে তারা নির্মমভাবে প্রতিযোগিতা করে চ্যাম্পিয়ন হবে না। কারণ উদ্ভাবকরা সবসময় নতুন নতুন বাজার বা ক্ষেত্র তৈরি করে। তারা প্রতিযোগিতা করে না। তাদের ব্যবসাগুলো হবে অনন্য।

জিরো টু ওয়ান আমেরিকা সহ বিশ্বের অগ্রগতি ও উন্নতির ভবিষ্যৎ দেখিয়েছে এবং উদ্ভাবন সম্পর্কে নতুনভাবে চিন্তা করার খোরাক জুগিয়েছে। এটা এমন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করতে উৎসাহ দিয়েছে যাতে করে আপনি অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকেও অসাধারণ কিছু খুঁজে পেতে পারেন।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

টাইম ম্যানেজমেন্ট বইয়ের পর্যালোচনা

টাইম ম্যানেজমেন্ট বইয়ের পর্যালোচনা:


আপনার কর্মজীবনের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে কোন কোন দক্ষতা? অন্য যেকোন দক্ষতার চেয়ে সময়কে ঠিকভাবে ব্যবহার করার দক্ষতা আপনার কর্মজীবনের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। এ কথা যেকেউ খুব সহজেই স্বীকার করবে। আপনি যত ভালোভাবে আপনার সময়ের ব্যবহার করতে পারবেন, আপনি তত বেশি অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং এর জন্য আরও বেশি বেশি পুরস্কার লাভ করবেন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট শিরোনামের এ বইয়ে ২১টি অসাধারণ সূত্র আপনাকে একজন কার্যকর সফল ব্যক্তিত্বের দিকে পরিচালিত করবে। আপনি তাৎক্ষণিক এর প্রভাব টের পাবেন। আপনি দেখবেন দিনের সব কাজ শেষ করেও আপনার হাতে অনেক সময়। ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান ট্রেসি এসব অসাধারণ সূত্র নিজে কাজে লাগিয়েছেন এবং অন্যদেরও কাজে লাগাতে সহায়তা করেছেন। তিনি বই লিখে, ভিডিও অডিও এর মাধ্যমে, বক্তৃতা দিয়ে এসব সূত্রের কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রচার করেছেন। তার বক্তব্য ও লেখা থেকে আপনি পাবেন:

কীভাবে মনোযোগ বিঘ্নকারী নানা বিষয় বা ঘটনা ঠেকানো যায়;

মিটিং, ইমেইল এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার কীভাবে সঠিকভাবে এবং সর্বোচ্চ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়;

আপনার দায়িত্বের সর্বোচ্চ ও সর্বপ্রধান কাজটির জন্য কীভাবে সময় বের করে নিতে হয়;

একই ধরনের কাজকে এক জায়গায় আনা এবং একসাথে সব কাজ সম্পন্ন করা;

গড়িমসি অভ্যাস ত্যাগের কলাকৌশল;

কী কী কাজ অন্যদের দিতে হবে;

আর কী কী কাজ বাদ দিতে হবে;

প্রোগ্রাম ও প্রজেক্ট কীভাবে তৈরি করতে হয়;

ভবিষ্যৎমুখী চিন্তা করতে হয় এবং আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য যেন পূরণ হয়;

প্রোগ্রাম ও প্রজেক্টগুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করতে হয় এবং পুনর্নিরীক্ষণ করতে হয়;

ব্রায়ান ট্রেসির জ্ঞানগর্ভ বক্তব্যে এ চমৎকার বইটি পরিপূর্ণ। আপনি যাতে আরও কম সময়ে আরও বেশি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন এবং মানসিক চাপ হ্রাস পায় সেই ব্যাপারে এ বই আপনাকে সাহায্য করবে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড বইয়ের পর্যালোচনা

 সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড বইয়ের পর্যালোচনা:


আপনার মন হচ্ছে এক ধরনের অদৃশ্য শক্তির ধারক। এর মধ্যে এমন এক অদেখা শক্তি আছে যা আপনাকে বহু দিক থেকে রক্ষা করে। হয়তো আপনি নিজেও জানেন না। এ শক্তির এক দিকে থাকে ইতিবাচক শক্তি, আরেক দিকে থাকে নেতিবাচক শক্তি। আমরা একে নাম দিয়েছি ইতিবাচক মানসিক শক্তি এবং নেতিবাচক মানসিক শক্তি। সাধারণত ইতিবাচক মানসিক শক্তি এর নামের মতোই আপনার জীবনের দিকে ভালো ও সুন্দর জিনিস আকর্ষণ করে। আর নেতিবাচক মানসিক শক্তি জীবনে যা কিছু মূল্যবান তার থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে দেয়।

আপনার সুখ, স্বাস্থ্য, সম্পদ ও সাফল্য নির্ভর করে আপনি কীভাবে আপনার মনকে স্থির করেছেন! বলে না যে আপনি যদি সুখ, স্বাস্থ্য, সম্পদ ও সাফল্যের দিকে মনস্থির করেন, তবে তাই পাবেন। এ কথা যেমন সত্য, তেমন এর বিপরীত কথাও সত্য।


থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ বইয়ের অবিস্মরণীয় লেখক নেপোলিয়ন হিল এবং কোটিপতি ব্যবসায়ী ডব্লিউ. ক্লেমেন্ট স্টোন যখন মানুষের জীবনে সাফল্যের পথ দেখাতে একত্র হন, তখন সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড-এর মতো বিস্ময়কর ও কার্যকর এক বই প্রকাশ পায়। এ বইয়ে উল্লিখিত সূত্রাবলি বর্তমান বিশ্বে সফল হতে কী ধরনের ঠিক মনোভাব দরকার তা তুলে ধরে। যার ফলে যেকেউ, সে পুরুষ হোক বা নারী, তার স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবে।

আজকের একবিংশ শতাব্দীতেও এই অসাধারণ বই কার্যকর বলে প্রমাণিত। আপনিও এই প্রোগ্রাম থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। যারা নিজেদের জীবনকে আরও উন্নত করতে উপায় খোঁজে, চেষ্টা করে, তাদের প্রত্যেকেই এ বই থেকে উপকৃত হবে।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

অ্যাজ আ ম্যান থিংকথ বইয়ের পর্যালোচনা

অ্যাজ আ ম্যান থিংকথ বইয়ের পর্যালোচনা:


আমরা যা কিছু অর্জন করি এবং আমরা যা কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হই, তা আমাদের নিজস্ব চিন্তার প্রত্যক্ষ ফলাফল। আত্ম-নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে এক ধরনের শক্তি। সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারা এক ধরনের দক্ষতা, যা আমাদেরকে শক্তি দেয়। এই আত্ম-নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারা আমাদের মধ্যে প্রশান্ত ভাব আনে, যা এক ধরনের ক্ষমতা বলা চলে। কারণ এ ক্ষমতা সবার থাকে না। কালজয়ী বই অ্যাজ আ ম্যান থিংকথ এর লেখক জেমস অ্যালেন এসব কথাই তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন।

অ্যাজ আ ম্যান থিংকথ জেমস অ্যালেনের একটি সাহিত্যিক প্রবন্ধ। এটা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০২ সালে। পুরো বিংশ শতাব্দী জুড়ে এটা অন্যান্য হাজারো অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের লেখকদের প্রেরণা দিয়ে গেছে। এটা একটা চিরায়ত সাহিত্য হয়ে উঠেছে। এ ক্লাসিক বইয়ের লাখ লাখ কপি সারা বিশ্ব জুড়ে বিক্রি হয়েছে। যারাই এ বইয়ের সংস্পর্শে এসেছে তারাই এ থেকে নিজেদের আত্মশক্তি ও প্রেরণা খুঁজে পেয়েছে।

অ্যালেন এ বইয়ে দেখায় কীভাবে প্রত্যেক মানুষের চিন্তাভাবনা তার জীবনে প্রভাব বিস্তার করে, কীভাবে প্রতিটি চিন্তাভাবনা ভালো বা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করে এবং ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সাথে চিন্তা করলে কীভাবে ব্যক্তি তার জীবনে সমৃদ্ধি আনতে পারে, তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

অনেক মানুষই চায় তাদের দুনিয়ার জীবনে উন্নতি করতে। খুব কম মানুষই আছে আধ্যাত্মিক উন্নতি চায়। জেমস অ্যালেন নিজেও তার সময়ে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাই তিনি অনেক অধ্যয়ন করে, খোঁজাখুঁজি করে নিজের পথ-নির্দেশিকা স্বরূপ এ ধারণাগুলো এক করেছেন। যা তাকে পথ দেখিয়েছে এবং তিনি এর মাধ্যমে অন্যদেরও পথ-নির্দেশ দিয়ে গেছেন।

লেখক তার বক্তব্য এত সংক্ষেপে গুছিয়ে লিখেছেন যে তা পকেটে করে বহন করা যাবে। এ এক সত্যিকার ক্লাসিক বই যা প্রতিটি বুক শেলফে থাকার যোগ্য।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

গেট স্মার্ট বইয়ের পর্যালোচনা

 গেট স্মার্ট বইয়ের পর্যালোচনা:


বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা কীভাবে চিন্তা করে এবং তাদের কাজ করার রহস্যগুলো কী?-আপনি যদি তা আবিষ্কার করতে চান তবে এখনই পড়ুন সাকসেস এক্সপার্ট ব্রায়ান ট্রেসির বই গেট স্মার্ট।

আজকের বিশ্ব ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এ জগতে আপনাকে এগিয়ে যেতে হলে স্মার্ট হতে হবে। কিন্তু গড়পড়তা ব্যক্তিরা তাদের মানসিক ক্ষমতার মাত্র ২ ভাগ ব্যবহার করে। বাকি ৯৮ ভাগই অপচয় হয় বলতে পারেন। আমরা যদি শিখতে পারি আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি, তবেই আমরা আমাদের সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করতে পারব। যেমনটা সফল ব্যক্তিরা করে থাকেন।

গেট স্মার্ট বইটি বিশ্বের সাকসেস এক্সপার্টদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। এখানে ব্রায়ান ট্রেসি খুব সহজ এবং কার্যকর সব সূত্র তুলে ধরেছেন। এসব সূত্র ও পদ্ধতি আমাদের স্বাভাবিক চিন্তাধারাকে কাজে লাগিয়ে অসাধারণ ফলাফল অর্জনে সহায়তা করবে। এটা অনেকটা কোয়ান্টাম লাফের মতো। আমরা অল্প সময়ে আমাদের জীবনে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারব। ব্রায়ান এখানে প্রমাণিত সব উপায় এবং কলাকৌশল তুলে ধরেছেন। এ এক অপরিহার্য সাফল্য গাইড। এখান থেকে আপনি শিখবেন:

-- আপনার মস্তিষ্ককে এমনভাবে চিন্তা করতে প্রশিক্ষিত করবেন যাতে করে তা অসাধারণ সব ফলাফল তৈরি করতে পারে

-- যেকোন পরিস্থিতিতে সুযোগ ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলোকে চিনতে পারবেন

-- আপনাকে পেছনে আটকে রেখেছে এমন সব নেতিবাচক চিন্তা ও বাধাগুলো ধরতে পারবেন এবং সেগুলোর সমাধান করে এগিয়ে যেতে পারবেন

-- পরিকল্পনা, উদ্যোম এবং অধিক নির্ভুলতার সাথে দ্রুত গতিতে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন


আপনি কি আপনার বিক্রয় বাড়াতে চান, চান সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে বা জীবনের অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনগুলোকে আরও ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে? তাহলে আপনাকে আরও স্মার্ট হতে হবে। আপনি যদি সেসব ফলাফল পেতে চান যা সফল ব্যক্তিরা পেয়েছে, তবে আজই পড়ুন গেট স্মার্ট এবং নিজের মানসিক শক্তিকে পুরোপুরি নিজের বিকাশে কাজে লাগান।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সঠিকভাবে চিন্তা করার ছয়টি উপায়


সঠিকভাবে চিন্তা করার ছয়টি উপায়:

১। পর্যবেক্ষণ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন

২। যেকোন ধরনের গড়পড়তা মতামত দেয়ার আগে একটু যাচাই-বাছাই করে নিন

৩। কুসংস্কার পরিহার করুন

৪। আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন

৫। ফলাফলের দিকে নজর দেয়ার অভ্যাগ গড়ে তুলুন

৬। ভালো ও ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়ান


প্রায়ই দেখা যায় আমরা ভুলভাবে চিন্তা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। এতে করে আমাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পায়, সংশয় ও অস্থিরতা তৈরি হয়। আমরা এর থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজি কিন্তু সমাধান খুঁজে পাই না। এজন্য আমাদের দরকার সবকিছু সঠিকভাবে চিন্তা করার এক পদ্ধতি। এখানে ছয় ধাপের এক পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হলো। আশা করি, এতে আপনি মানসিকভাবে স্বস্তি পাবেন। আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বা ইমেইলে নিশ্চয় জানাবেন। এখন কিছুটা বিস্তারিত জানানো হচ্ছে:


১। পর্যবেক্ষণ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন: অনেক সময় দেখা যায় আমরা আংশিক তথ্য থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই। এ কাজ করা ঠিক নয়। কারণ অপর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিলে তা ব্যর্থ আনে। যেমন, আমরা এক বন্ধু আমাকে আনুমানিকভাবে বলেছিল, পেপারব্যাক বইয়ের কাভারে খরচ হবে ১৮ টাকা। আমিও আর বাঁধাইওয়ালাকে জিজ্ঞেস করিনি পেপারব্যাক বইয়ের খরচ কত। এরপর আমি বই ছাপালাম ৫ হাজার কপি। তারপর বাঁধাইওয়ালা এসে বিল করল বই প্রতি ৫৪ টাকা করে। আমার তো মাথায় হাত। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম। সে বলল এত হবে তা তো বুঝতে পারিনি। অথচ আমার তিনগুণ বেশি খরচ দিতে হলো। তাই এভাবে অনুমানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবেন না।


২। যেকোন ধরনের গড়পড়তা মতামত দেয়ার আগে একটু যাচাই-বাছাই করে নিন: সাধারণত আমরা গড়পড়তা মতামত দিতে অভ্যস্ত। সবকিছুর একটা সাধারণ জবাব আমাদের কাছে আগে থেকেই জমা থাকে। এরকমভাবে যেকোন ধরনের গড়পড়তা মতামত দেয়ার আগে একটু যাচাই-বাছাই করে নিন।


৩। কুসংস্কার পরিহার করুন: আমরা আমাদের চিন্তা ও আমাদের পরিবেশের দ্বারা বেড়ে উঠি। হয়তো আমাদের পরিবেশের মধ্যেই নানা ধরনের কুসংস্কার বিদ্যমান। এসব কুসংস্কার কিন্তু আমাদের চিন্তাকে প্রভাবিত করে। তাই আমাদের উচিত বৈজ্ঞানিক ও পরীক্ষিত পদ্ধতিতে চিন্তা করা। আমাদের উচিত আমাদের যৌক্তিক অংশকে ব্যবহার করা। আমাদের মধ্যে যৌক্তিকভাবে চিন্তাভাবনা করার উপাদান আগে থেকে রয়েছে। আমাদের কেবল এগুলোর চর্চা ও অনুশীলন করতে হবে।


৪। আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন: আমরা আমাদের চিন্তাভাবনার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব না যদি আমরা আমাদের আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারি। তাই আমাদের আবেগের ওপর আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। আমরা আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি আমাদের যুক্তিযুক্ত চিন্তাভাবনার মাধ্যমে।


৫। ফলাফলের দিকে নজর দেয়ার অভ্যাগ গড়ে তুলুন: মানুষের উচিত বাস্তবতার ভিত্তিতে চিন্তাভাবনা করা। বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া। বাস্তবতাকে মেনে নিলেই আপনি এটা থেকে শিখতে পারবেন। একই ভুল বারবার করবেন না। তখন আপনি সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারবেন। নইলে আমরা নিজেরাই নিজেদের ধোঁকা দিব। আমাদেরকে অবশ্যই সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, নাকি সমস্যা থেকে পালিয়ে বেড়াব। আপনি যেরকম চান, সেরকম চিন্তা না করে, বাস্তবতা বা সমস্যার প্রকৃত অবস্থাকে দেখুন, মেনে নিন, তারপর তা মোকাবিলা করার চেষ্টা করুন।


৬। ভালো ও ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়ান: যারা আপনাকে একটি যথাযথ পন্থায় এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে এমন মানুষদের সাথে চলুন। তাদের সাহায্য নিন। তাদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ করুন, কথা বলুন।

তথ্যসূত্র: https://www.psychologydiscussion.net/thinking/6-methods-which-can-lead-to-correct-way-of-thinking/592

থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ বইয়ের পর্যালোচনা

থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ বইয়ের সারসংক্ষেপ:



থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ  তথা চিন্তা করুন এবং ধনী হোন বইকে “সব প্রেরণাদায়ক সাহিত্যের জনক” বলা হয়। এ বইই প্রথম বই ছিল যা সাহসের সাথে আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল,  “একজন বিজয়ী হতে গেলে কী কী লাগে? কী কী জিনিস বা গুণ একজন বিজয়ী মানুষ তৈরি করে?” নেপোলিয়ন হিলই সেই ব্যক্তি যিনি এ প্রশ্ন করেন এবং এর জবাব খুঁজে বের করেন। তারপর থেকে তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্বের বিজয়ী মানুষদের মধ্যে এক নম্বর ব্যক্তি।

সাফল্যের সকল শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত “দ্য সাকসেস ল  তথা সফলতার আইন” দর্শন তৈরিতে তিনি তার জীবনের অন্যতম সময় ব্যয় করেন। এই সময় বিনিয়োগ করে তিনি যে দর্শন আবিষ্কার করেন তারই মূলভিত্তি এবং মূল সূত্রাবলি থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ বইয়ে প্রকাশ করেন।


১৯৩৭ সালে প্রকাশিত প্রকৃত থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ -এ, নেপোলিয়ন হিল যাদের গল্প তুলে ধরেছেন, তারা ছিলেন তৎকালীন েএবং এখন পর্যন্ত সর্বাধিক আলোচিত এবং সফল ব্যক্তিত্ব। অ্যান্ড্রু কার্নেগি, টমাস আলভা এডিসন, হেনরি ফোর্ড এবং তার প্রজন্মের অন্যান্য কোটিপতিদের গল্প নেপোলিয়ন হিল তার বইয়ে গল্পের ছলে বর্ণনা দিয়েছেন। বই পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন নেপোলিয়ন হিলের চিন্তাধারা কীভাবে বিল গেটসের মতো সমসাময়িক কোটিপতি এবং বিলিয়নিয়ারদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। মেরি কে অ্যাশ, ডেভ থমাস এবং স্যার জন টেম্পলটন তাদের সম্পদ এসব সূত্র প্রয়োগ করেই অর্জন করেছেন। নতুন প্রজন্মের পাঠকরা যেকোন উদ্যোগে হোঁচট খাওয়ার আগেই এ বই পড়ে শিক্ষা নিতে পারেন এবং সতর্ক হতে পারেন। এ বইয়ের পুরনো সব উদাহরণ এবং রূপকের বিষয়গুলো বর্তমানের ডিজিটাল প্রজন্মের জন্যও অপরিহার্য। তাই এ বইয়ের নীতিগুলোকে বলা হয় চিরসবুজ এক সাফল্যের দর্শন।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

টিমওয়ার্ক ১০১ বইয়ের পর্যালোচনা

টিমওয়ার্ক ১০১ বইয়ের পর্যালোচনা:

পৃথিবীতে কৃতিত্বপূর্ণ কিছু কারও একার পক্ষে অর্জন করা সম্ভব হয়নি। (৪)

টিমওয়ার্কে কাজ করলে কাজ করার কষ্ট কমে এবং কাজের প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে (১৯)

এমন এক দল তৈরি করুন যা সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী তৈরি করে (২৩)

অন্যদের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করুন; এতে করে, আপনারই গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। (২৫)

চ্যালেঞ্জ বাড়ার সাথে সাথে, টিমওয়ার্কের প্রয়োজন বেড়ে যায় (২৭)

স্বপ্ন দিকে নয় বরং দলের দিকে মনোনিবেশ করুন। (৩৫)

অকার্যকর সদস্যদের সরান (৩৯)

একটি পরিবেশ তৈরি করুন যা নতুন নেতাদের বিকশিত করে (৪১)

প্রতিটি দলের সদস্য একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে (৬৭)

দলের খেলোয়াড় হওয়ার অর্থ কী?  (৭৫)

সেরা খেলোয়াড়রা দলকে প্রথমে রাখে (৭৫)

 নিঃস্বার্থতার চর্চা করুন:
 ১. উদার হোন
 ২. অভ্যন্তরীণ পলিটিক্স পরিহার করুন
 ৩. আনুগত্য প্রদর্শন করুন
 ৪. নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতার চেয়ে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতার মূল্য দিন

আরও নিঃস্বার্থ হতে এগুলো চর্চা করুন: (৮১)
নিজেকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে অগ্রগতি করতে সাহায্য করুন, তার জন্য অন্যদের কাছে সুপারিশ করুন,
বড় বলে হম্বিতম্বি না করে অনুসারী বা অধস্তনের ভূমিকা নিন
সাহায্য করুন কিন্তু গোপনে

৫. দায়িত্ব এবং কর্তৃত্ব দিয়ে দলের সদস্যদের ক্ষমতায়ন করুন ... এটা দলের মধ্য থেকে নেতাদের বের করে আনবে
৬. দলকে সাফল্যের কৃতিত্ব দিন ... এটা দলের মনোবল বাড়ায়
৭. দলে যে আপনি আপনার সময়, বুদ্ধি, শ্রম, অর্থ ও মেধা বিনিয়োগ করেছেন তার সুফল আসছে কিনা দেখুন... এতে করে দলের মধ্যে জবাবদিহিতা তৈরি হয় (৮৭)

 3. সবাই যাত্রা করতে পারে না
 *জায়গা তারা অন্য দলের সদস্যদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না
 তারা তাদের দায়িত্বের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় না
 তারা বড় ছবি দেখে না
 তারা ব্যক্তিগত দুর্বলতা নিয়ে কাজ করবে না
 তারা দলের বাকিদের সাথে কাজ করবে না
 তারা তাদের এলাকার জন্য প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না (94)

 তাদের প্রশিক্ষণ দিন অথবা তাদের ব্যবসা করুন।  আপনার দলের একটি দুর্বল লিঙ্ক যে কেউ অন্য দলের একটি তারকা হতে সক্ষম হতে পারে।  আপনাকে সেই ব্যক্তিকে অন্য কোথাও তার স্তর খোঁজার সুযোগ দিতে হবে (95)

 একটি দুর্বল লিঙ্কের প্রভাব
 1. শক্তিশালী সদস্যরা সপ্তাহ 1 চিহ্নিত করে
 2. শক্তিশালী সদস্যদের এক সপ্তাহ সাহায্য করতে হবে
 3. শক্তিশালী সদস্যরা 1 সপ্তাহে বিরক্ত হয়
 4. শক্তিশালী সদস্যরা কম কার্যকর হয়
 5. শক্তিশালী সদস্যরা নেতাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে

 যদি আপনার লক্ষ্য আপনার সমবয়সীদের পরাজিত করা হয় তবে আপনি তাদের কখনই প্রভাবিত করতে পারবেন না 103)

 শেষ পর্যন্ত, ফেরেশতাদের ছয়বার চলে যাওয়ার জন্য প্রচুর সংযোজন করতে হয়েছিল:
 1. তাকে "অনুরোধ"
 2. তারা তাকে "উঠতে" বলেছিল।
 3 তারা তাকে বলেছিল "তোমার স্ত্রীকে নি"
 4. তারা "তার হাত ধরে"
 5. তারা "তাকে বের করে এনেছিল।"
 6. শহরের বাইরে তাকে "বাম" করে (228)


To become more selfless (81
Promote someone other than yourself
take a subordinate role
Give secretly


5. Empower team members with responsibility and authority… This raises up leaders for the team
6. Give credit for success to the team… This lifts the morale of the team
7. Watch to see that the investment in the team is paying off… This brings accountability to the team (87)

3. Not everyone can take the journey
*space they can’t keep pace with other team members
They don’t grow in their area of responsibility
They don’t see the big picture
They won’t work on personal weaknesses
They won’t work with the rest of the team
They can’t fulfill expectations for their area (94)

Train them or trade them. Somebody who is a weak link on your team might be capable of becoming a star on another team. You need to give that person an opportunity to find his level somewhere else (95)

The impact of a weak link
1. The stronger members identify the week 1
2. The stronger members have to help the week one
3. The stronger members come to resent the week 1
4. The stronger members become less effective
5. The stronger members question the leaders ability

If your goal is to beat your peers then you will never influence them 103)

Ultimately, the angels had to coax lot to leave six times:
1. The “urged” him.
2. They told him to “get up.”
3 they told him to “take your wife.”
4. they “seized his hand.”
5. They “brought him out.”
6. The “left” him outside the city (228)

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

সাফল্য অর্জনের অন্যতম সূত্র হচ্ছে আপনার চিন্তাভাবনা কাগজে লিখে ফেলা

সাফল্য অর্জনের অন্যতম সূত্র হচ্ছে আপনার চিন্তাভাবনা কাগজে লিখে ফেলা।


প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ—তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য স্পষ্টভাবে কাগজে লেখে। এই স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিদের সাফল্যের মাত্রা, তাদের সমমানের শিক্ষার অধিকারী অথবা তাদের তুলনায় বেশি শিক্ষিত মানুষদের তুলনায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি—যারা অজ্ঞতার কারণে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো কাগজে লেখার সময় করে উঠতে পারে না।


আমেরিকান লেখক, কোচ ও স্পিকার অ্যান্টনি জে রবিনস (টনি রবিনস) বলেন, লক্ষ্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে আপনি এই প্রথম একটা অদৃশ্য আকাঙ্ক্ষাকে দৃশ্যমান জিনিসে পরিণত করলেন।


লক্ষ্য নির্ধারণ ও অর্জন বিষয়ে একটি শক্তিশালী ফরমুলা রয়েছে যা আপনি আজীবন ব্যবহার করতে পারবেন। এই ফরমুলা ৭টি সহজ ধাপের সমন্বয়ে গঠিত। এই ধাপগুলোর মধ্যে যেকোন ১টি আপনার বর্তমান প্রোডাক্টিভিটিকে দ্বিগুণ বা তিনগুণ করতে পারে। যদি ইতোমধ্যে আপনি তা ব্যবহার না করে থাকেন, তবে এখন কাগজকলম বসে যান। এই সহজ ৭ ধাপের কৌশল ব্যবহার করে আমার অনেক প্রশিক্ষণার্থী কয়েক বছর অথবা কয়েক মাসে তাদের আয় নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।


ধাপ ১: আপনি কী করতে চান সে ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিন। এই সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন অথবা আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো সম্পর্কে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানার চেষ্টা করতে পারেন—কোন কাজগুলো, কী ধরনের গুরুত্বের ধারাবাহিকতা আপনার কাছ থেকে আশা করা হচ্ছে। এটা খুবই আশ্চর্যজনক বিষয় যে—বহু কর্মী দিনের পর দিন অসংখ্য গুরুত্বহীন কাজ করে সময় নষ্ট করে, কারণ তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য তাদের বসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে না।


সময়ের নিকৃষ্টতম অপচয় ঘটে তখন, যখন এমন কোন কাজ খুব ভালোভাবে করা হয় যা করার আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল না। স্টিফেন কোভি বলেছেন, ‘যদি কোন কর্মী তার মই সঠিক দেয়ালে স্থাপন না করে, তাহলে তার প্রতি পদক্ষেপ অতি অল্প সময়ে তাকে ভুল জায়গায় পৌঁছে দিবে।’

 

কথায় বলে, আপনি কোন মই দিয়ে কোন বিল্ডিং এর চূড়ায় পৌঁছাতে চান তা আগে থেকে ঠিক করুন। কারণ চূড়ায় পৌঁছে যদি দেখেন ভুল জায়গায় এসেছেন তাহলে তো পণ্ডশ্রম। এজন্য স্টিফেন আর. কোভি বলেন, ‘যদি মইটি সঠিক দেয়ালে ঠেকানো না হয়, তবে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদেরকে দ্রুত ভুল জায়গায় নিয়ে পৌঁছায়।’


ধাপ ২: আপনার পরিকল্পনা একটি কাগজে লিখে ফেলুন। নিজের চিন্তাকে কাগজে স্থানান্তর করুন। যখন কোন উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য আপনি কাগজে লিখে লিখিত রূপ দেন, তখন সেটা স্পষ্টতা ও স্থায়িত্ব লাভ করে। আপনি এমন কিছু সৃষ্টি করেন যা দেখা ও স্পর্শ করা যায়। অন্যভাবে বলা যায়, যে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য লিখিত রূপ পায় না—তা নিছক একটি ইচ্ছঅ বা কল্পনা আকারে থেকে যায়, যা অত্যন্ত অকার্যকর। ব্যক্তির অলিখিত লক্ষ্যসমূহ তাকে বিভ্রান্তি, অস্পষ্টতা এবং ভুল পথে চালিত করে।


ধাপ ৩: আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। প্রয়োজনে সম্পূর্ণ কর্মসূচিকে সময়ের ভিত্তিতে একাধিক অংশে বিভক্ত করুন এবং প্রতিটি ভাগের জন্য আলাদা আলাদা ডেডলাইন তথা সময়সীমা দিন। একটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় যদি নির্ধারণ করা না হয়, তাহলে সেটা শেষ করার কোন তাগিদ থাকে না। এর বাস্তব কোন সূচনা বা সমাপ্তিও থাকে না। কোন প্রকল্প শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া না হলে অথবা সেটা সমাপ্ত করার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব কেউ গ্রহণ না করলে—স্বভাবতই কাজ নিয়ে গড়িমসি করা হবে এবং কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হবে না।


ধাপ ৪: আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেসব কাজ করা দরকার বলে আপনি মনে করেন, সেগুলোর একটি লিখিত তালিকা তৈরি করুন। যদি নতুন কোন কর্মকাণ্ডের চিন্তা মাথায় খেলে, তাও এই তালিকায় যোগ করুন। এভাবে তালিকাটি সম্পূর্ণ করুন। যে বৃহত্তর কাজ বা উদ্দেশ্য আপনি সম্পাদন করবেন তার একটি চাক্ষুষ ছবি এই তালিকা। এটা আপনার কর্মসম্পাদনের পথ, যার উপর দিয়ে হেঁটে আপনি সমাপ্তির দিকে অগ্রসর হতে পারবেন এবং এর ফলে আপনার কাজগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে।


ধাপ ৫: আপনার তালিকাটিকে একটি পরিকল্পনার আকৃতি দিন। এতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো গুরুত্বের ক্রমানুসারে এবং সময়ের পরম্পরা অনুযায়ী সাজান। অর্থাৎ কোন কাজের পর কোনটি সম্পাদন করবেন—এমন ধারাবাহিকতা। প্রথমে কী করবেন এবং পরে কী করা যাবে, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কিছু সময় নিন। ভেবে ঠিক করুন—অন্য কিছুর আগে কী করা দরকার এবং পরে কোন কাজটি করা সুবিধাজনক ও যুক্তিসঙ্গত হবে।

এর তুলনায় কার্যকরী কৌশল হল আপনার পরিকল্পনাগুলো কাগজের উপর ধারাবাহিক বর্গক্ষেত্র অথবা বৃত্ত আকারে অঙ্কন করা এবং সরল রেখা বা তীরচিহ্ন এঁকে কাজগুলোর একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক প্রদর্শন করা। কাজের প্রতিটি ধাপকে এভাবে রেখাচিত্রের আকারে বিভক্ত করার ফলে আপনার লক্ষ্য অর্জন যতটা সহজ হবে, তা প্রত্যক্ষ করে আপনি বিস্মিত হবেন।


এমন অঙ্কিত লক্ষ্য এবং কর্মসম্পাদনের সুশৃঙ্খল পরিকল্পনার সাহায্যে আপনি সেসব ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি উৎপাদনশীল ও দক্ষ হয়ে উঠবেন, যারা নিজেদের পরিকল্পনাগুলোকে তাদের চিন্তার মাঝে সীমাবদ্ধ রাখে।


ধাপ ৬: অতি দ্রুত আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করুন। আপনার তালিকার ক্রমানুসারে যে কোন একটি কাজ আরম্ভ করে দিন। দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করা একটি মধ্যম মানের পরিকল্পনা, কার্যকর না করা একটি উৎকৃষ্টতর পরিকল্পনার তুলনায় শ্রেষ্ঠ। যে কোন ধরনের সাফল্য লাভের জন্য কর্মসম্পাদনই মূল বিষয়।


ধাপ ৭: সিদ্ধান্ত নিন প্রতিদিন এমন কিছু কাজ করবেন যা আপনাকে আপনার প্রধান লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর করবে। এই কার্যক্রমকে আপনার দৈনিক রুটিনে পরিণত করুন। আপনার কাজ বা ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান বা খদ্দেরদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন; দিনের কিছুটা সময় ব্যায়াম করতে পারেন; কোন বিদেশী ভাষার নতুন কিছু শব্দ শিখতে পারেন। কোন না কোন ফলপ্রসূ কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন যাতে আপনার একটি দিনেরও অর্থহীন অপচয় না ঘটে।

দৃঢ়তার সাথে অগ্রসর হোন। একবার যখন সক্রিয় হবেন, তখন অলসতাকে উপেক্ষা করে চলার গতি অব্যাহত রাখবেন। আপনার এই সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলাবোধ এককভাবে আপনার প্রজন্মের যেকোন ব্যক্তির তুলনায় আপনাকে অধিক উৎপাদনশীল ও সফল মানুষে পরিণত করবে।


মিকি মাউস এবং ডিজনিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনি বলেন, "আমাদের সব স্বপ্নই পূরণ হতে পারে, যদি আমরা সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করি।" তাই আজই আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করুন এবং আপনি কী করতে চান তা কাগজেকলমে লিখে ফেলুন।