আজ আমরা নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করবো। নেতৃত্ব হচ্ছে পরিচালিত করা। ইহা উভয় সম্মুখ দিকে বা পশ্চাৎ দিকে পরিচালিত করা হতে পারে। ইহা নির্ভর করে যিনি নেতৃত্ব দিবেন তার চিন্তা এবং মনোভাবের ওপর। আপনি যদি আপনার চয়নকৃত পেশায় নেতৃত্ব দিতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে নেতৃত্ব সম্বন্ধে এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্বন্ধে জানতে হবে এবং এই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
এই পৃথিবীতে দুই রকমের পুরুষ রয়েছে। এক রকম যারা পরিচিত নেতা রূপে এবং অন্যরা অনুসারী রূপে। প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি কোন ধাপে থাকতে চান। আপনি কি আপনার চয়নকৃত পেশায় নেতা রূপে বিরাজ করতে চান বা অনুসারী রূপে থাকতে চান? একজন নেতা এবং একজন অনুসারীর মধ্যকার বড় পার্থক্য হচ্ছে তাদের সেবার বিনিময় মূল্য যার পার্থক্য খুবই বিশাল।
একজন অনুসারী হওয়া অসম্মানজনক নয়। অপর পক্ষে, একজন অনুসারী হয়ে থাকাতে কোন খ্যাতিও নেই। তবে বেশিরভাগ নেতারা আরম্ভ করেছিলেন অনুসারীর স্থান থেকে। তারা মহান নেতা ছিলেন কারণ তারা ছিলেন বুদ্ধিমান অনুসারী। কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত, যে পুরুষ একজন নেতাকে বুদ্ধিমত্তার সাথে অনুসরণ করতে পারে না, সে একজন দক্ষ নেতা হয়ে উঠতে পারে না। নেতার কাছ থেকে একজন অনুসারীর শিক্ষার অন্যতম বিষয় হচ্ছে যে তার নেতার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ।
নেতৃত্বের প্রধান গুণাবলী হচ্ছে –
ক। স্থির সংকল্প সাহস।
খ। আত্ম নিয়ন্ত্রণ।
গ। ন্যায়বিচার সম্পর্কে তীক্ষ্মধার অনুভূতি।
ঘ। সিদ্ধান্তের স্থিরতা।
ঙ। পরিকল্পনাগুলোর স্থিরতা।
চ। বিনিময় মূল্যের অধিক কাজ করার অভ্যাস।
ছ। একটি আনন্দদায়ক ব্যক্তিত্ব।
জ। সহানুভূতি এবং বুঝজ্ঞান।
ঝ। পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে দক্ষ।
ঞ। পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষা।
ট। সহযোগিতা।
নেতা কখনও স্বয়ংক্রিয়ভাবে জন্ম হয় না। নেতা হতে হলে নিজেকে উপরোক্ত গুণাবলী দিয়ে তৈরী করতে হয়। নিজেকে তৈরী করুন নেতা রূপে এবং জীবনে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যান।
তথ্য সহযোগিতায় – নেপোলিয়ন হিলের চিন্তা করুন এবং ধনী হোন। সাফল্য প্রকাশনী।