শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

তোমার মনোযোগ ধরে রাখতে কাজে লাগাও পমোডোরো টেকনিক


ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া

ইতালিয়ান ভাষায় পমোডোরো মানে টমাটো। ১৯৮০ সালে ফ্রান্সেসকো সিরিল্লো নামক এক ছাত্র নিজের মনোযোগ ধরে রাখতে এই টেকনিক আবিষ্কার করে। সে তার পড়ালেখা ঠিকমতো মনোযোগ ধরে রাখতে পারছিল না। তারপর ঠিক করে অন্তত পক্ষে ২৫ মিনিট ধরে সে অন্য কোনদিকে না দেখে শুধু পড়ার দিকে মনোযোগ দিবে। তার সাথে ছিল টমোটোর মতো দেখতে একটি ঘড়ি। সেই ঘড়িতে সে টাইম সেট করে। এভাবে সিরিল্লো তার মনোযোগ ধরে রেখে দারুণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। এরপর এই পদ্ধতির নাম হয়ে ওঠে পমোডোরো টেকনিক, যা টাইম ম্যানেজ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এক কৌশল।


পমোডোরো টেকনিকে একটানা ২৫ মিনিট তুমি তোমার কাজ করলে। তারপর ৫ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিলে। যেমন আমি কম্পিউটারে লেখালেখির সময় মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখি ২৫ মিনিটের। তারপর ৫ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটি করি। এটাকে দ্বিগুণও করা যায়। কেউ কেউ একটানা ৫০ মিনিট কাজ করে। তারপর ১০ মিনিট বিরতি নেয়। এই পদ্ধতির আসল জিনিসই হচ্ছে এই ৫ বা ১০ মিনিটের বিরতি। যেখানে মস্তিষ্ক একটু স্থির হয় যে এটা গত ২৫ বা ৫০ মিনিট ধরে কী কাজ করেছে। তুমি তোমার ধৈর্য ও প্রয়োজন মতো ২৫ বা ৫০ মিনিটের ভাগ ব্যবহার করতে পারো। এটা যার যার নিজ ইচ্ছা ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।


তথ্যসূত্র:

১। The art of laziness by Library mindset, page: 68.

২। উইকিপিডিয়া - পমোডোরো কৌশল

৩। The Financial Express - পোমোডোরো টেকনিক – কাজে মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল

৪। প্রথম আলো - পড়া মনে রাখার ৫ বৈজ্ঞানিক উপায়

৫। পূর্বে প্রকাশিত সাফল্য ব্লগে

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ

মাছের বাজারে মাছ বিক্রি হয়। কাপড়ের মার্কেটে কাপড়। আর বইমেলায় বই। এতেই বোঝা যায় যেখানে দশজন এক কাজ করে সেখানে সেই কাজ করলেই তুমি বেশি সুবিধা করতে পারবে। এটাকে একটু ভিন্নভাবে বলি। বিখ্যাত স্পিকার এবং লেখক জিম রন বলে, তুমি যেই পাঁচজনের সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটাও, তুমি মূলত তাদের স্বভাবকেই অনুকরণ করো। তার মানে, তুমি আয়-ব্যয়, স্বভাব-চরিত্রের দিক থেকে এই পাচঁজন মানুষের সমষ্টি। তোমার বন্ধুবান্ধব যদি অলস হয়, তবে তুমিও অলস হবে।

অবশ্য ব্যতিক্রমীদের কথা আলাদা। তবে বিশেষ তো বিশেষই। আমরা সাধারণ মানুষ। সাধারণভাবে জীবনযাপন করি। কিন্তু এই সাধারণদের মধ্যেও অসাধারণ কাজ করে দেখাতে পারো যদি তোমার সঙ্গীসাথী উত্তম হয়। প্রবাদ আছে না: “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।” আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই অলস। অলস না বলে বলা যায়, তারা তাদের সময়কে সুষ্ঠভাবে কাজে লাগাতে পারে না। এর অন্যতম কারণ তাদের সঙ্গীসাথী। তারা যাদের সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তারাই মূলত নিজেদের সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে না। আর এর প্রভাব তোমার উপরেও পড়বে। আসলে তুমি যাদের সাথে চলো, তুমি না চাইলেও তাদের ভালো-মন্দ স্বভাব-চরিত্রের প্রভাব তোমার উপর পড়বে। তোমার বন্ধুরা যদি সময় নষ্ট করতে পছন্দ করে, তবে তুমিও তাদের সাথে তাই করবে। আশেপাশের মানুষ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে থাকাটা খুব কষ্টকর।

এখন তুমি কী করবে? প্রথমত, তোমাকে অনুধাবন করতে হবে যে তুমি কী করছ। তারপরই তুমি তোমার অলসতা এবং গড়িমসির স্বভাব বদলাতে পারবে। এজন্য তোমাকে তোমার কাজকর্ম সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তোমাকে না বলা শিখতে হবে।

যদি তোমার বন্ধুবান্ধব অলস না হয়, তবে তো ভালো কথা। তুমিও তাদের ভালো অভ্যাস দ্বারা প্রভাবিত হবে। তুমিও তাদের মতোই হয়ে উঠবে।

এখন সিদ্ধান্ত তোমার। কিন্তু এটা মনে রাখবে, তোমার আশেপাশের মানুষ, যাদের সাথে তুমি সবচেয়ে বেশি সময় কাটাও, তাদের ভালো-মন্দ স্বভাব সরাসরি তোমার উপরও ক্রিয়া করে। এজন্যই আমাদের অনেক বাবা-মা, অভিভাবকরা ছেলেমেয়ের বন্ধুবান্ধব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়। যদিও ছেলেমেয়েরা এসব বিষয়ে কথা বলতে বিরক্ত বোধ করে। কিন্তু বন্ধুবান্ধবের ভালোমন্দ স্বভাব যে তাদেরকে প্রভাবিত করে তা অভিভাবকরা জানে। এখন এটা তুমিও জানলে। এই কথাটা জীবনের সবক্ষেত্রেই সত্য। সঠিক মানুষ পাশে থাকলে তোমার জীবন উন্নত হবে, সমৃদ্ধ হবে। আর ভুল মানুষের উপস্থিতিতে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।


- তোমার সার্কেল পরিবর্তন করো, তোমার চিন্তাভাবনা বদলে যাবে।


- পরিবেশ বা জায়গার পরিবর্তন করো, দেখবে তোমার স্বাস্থ্য ও অবস্থার অগ্রগতি হচ্ছে।


- যে কারও কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করবে না।


- তুমি যদি ব্যর্থ মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নাও, তবে ব্যর্থ হবে।


- অসুখী মানুষের কথা শুনলে, জীবন নিরানন্দ হয়ে উঠবে।


- অসুস্থ মানুষের থেকে বুদ্ধি নিলে, তুমিও অসুস্থ হবে।


তাই যে কারও কাছ থেকে বুদ্ধি নেওয়া বন্ধ করো। অন্যদের সব কথা শুনতে নেই। নিজের জীবনকে পর্যবেক্ষণ করো। নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগাও। যারা জীবনেও কিছু করতে পারেনি, তারা তোমাকে যে পরামর্শই দিক তা কোন কাজে আসবে না। তোমার জীবন, এটা তোমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তুমি কীভাবে বাঁচবে।


ছবিসূত্র: https://danaiwellness.com/the-importance-of-surrounding-yourself-with-the-right-people/

সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

ব্যক্তিগত উন্নয়নে বইয়ের তালিকা

ব্যক্তিগত উন্নয়নে বইয়ের তালিকা:

০১. থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ। মূল: নেপোলিয়ন হিল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৫।

০২. ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

০৩. সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড। মূল: নেপোলিয়ন হিল ও ডব্লিউ. ক্লেমেন্ট স্টোন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

০৪. টাইম ম্যানেজমেন্ট। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: মোহাম্মদ রাশেদুল হক ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।

০৫. অবজারভেশন। মূল: রাসেল এইচ. কনওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

০৬. জিরো টু ওয়ান। মূল: পিটার থিয়েল ও ব্লেইক মাস্টার। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৮।

০৭. আউটলায়ার্স। মূল: ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল। অনুবাদ: এ.এম. নাইম হোসেন ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৮।

০৮. ৭ স্ট্র্যাটেজিস ফর ওয়েলথ এন্ড হ্যাপিনেস। মূল: জিম রন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।

০৯. ওয়ান স্মল স্টেপ ক্যান চেঞ্জ ইউর লাইফ। মূল: ড. রবার্ট মৌরার (পিএইচডি)। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।

১০. অ্যাজ আ ম্যান থিংকথ। মূল: জেমস অ্যালেন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।

১১. স্টার্ট উইথ হোয়াই। মূল: সাইমন সিনেক। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।

১২. এটিটিউড ইজ এভরিথিং। মূল: জেফ কেলার। অনুবাদ: ফারহা আহমেদ, শাহরিয়ার মাহমুদ ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।

১৩. মেনটরিং ১০১। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।

১৪. গেট স্মার্ট। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: ফারহা আহমেদ। সম্পাদনা: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।

১৫. টিমওয়ার্ক ১০১। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।

১৬. ইট দ্যাট ফ্রগ! মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি ও ফারহা আহমেদ। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।

১৭. ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড প্রবলেম সলভিং। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার মাহমুদ। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।

১৮. লিডারশিপ। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। রূপান্তর: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।

১৯. এমনভাবে মিটিং করুন যেন সুফল বয়ে আনে। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। রূপান্তর: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২২।

২০. আত্ম-উন্নয়ন ১০১। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২২।

২১. ইফেক্টিভ প্ল্যানিং অ্যান্ড টাইম ম্যানেজমেন্ট। মূল: ভিভেক বিন্দ্রা। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২২।

২২. স্টপ ওভারথিংকিং। মূল: নিক ট্রিনটন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৩।

২৩. দি ইফেক্টিভ এক্সিকিউটিভ। মূল: পিটার এফ. ড্রাকার। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার মাহমুদ ও ফারহা আহমেদ। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

২৪. আন্ডারস্ট্যান্ডিং হিউম্যান নেচার। মূল: আলফ্রেড এডলার। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি ও শাহরিয়ার মাহমুদ। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

২৫. এটিটিউড ১০১। মূল: জন সি. ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

২৬. দি আর্ট অফ ওয়ার। মূল: সান জু। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

২৭. দি আলমানাক অফ নাভাল রাভিকান্ত। মূল: এরিক জর্জেনসন। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

২৮. দ্য সাইকোলজি অফ মানি। মূল: মর্গান হাউসেল। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

২৯. নেগোসিয়েশন। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

৩০. রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড। মূল: রবার্ট টি. কিয়োসাকি। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।

৩১. সিক্রেটস অফ দ্য মিলিওনিয়ার মাইন্ড। মূল: টি. হার্ভ একার। অনুবাদ: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২৪।