“আমরা প্রায়ই শুনি—‘ঔপনিবেশিকতা মৃত’ বা কলোনিয়ালিজম মরে গেছে। কিন্তু এই কথা ঠিক না। ঔপনিবেশিকতা মরে গেছে বলে আত্মতুষ্ট হওয়া ঠিক নয়। আমি আপনাদের বলছি, ঔপনিবেশিকতা এখনো মরেনি। এটা কীভাবে মৃত হতে পারে, যখন এশিয়া ও আফ্রিকার বিশাল অংশ এখনও স্বাধীন নয়?
আমি আপনাদের অনুরোধ করি, ঔপনিবেশিকতাকে শুধু তার সেই চিরাচরিত রূপে কল্পনা করবেন না—যেই রূপে আমরা ইন্দোনেশিয়াবাসীকে দেখি, আর আমাদের ভাই-বোনেরা এশিয়া ও আফ্রিকার নানা প্রান্তে থেকে এটাকে জেনেছি। আজকের দিনে ঔপনিবেশিকতার একটি আধুনিক রূপ আছে—অর্থনৈতিক দখলদারিত্বের মধ্যে, বুদ্ধিবৃত্তিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে, এমনকি একটি দেশের ভেতরেই সংখ্যায় অল্প হলেও এমন জনগোষ্ঠী তৈরির মাধ্যমে যারা নিজের দেশ ও সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা পোষণ করে।
এটা এক চতুর এবং একনিষ্ঠ শত্রু, যা বিভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করে। এটা সহজে তার লুটের মাল ছেড়ে দেয় না। যেখানে-ই হোক, যেভাবেই হোক, যেকোনো রূপে হাজির হোক না কেন—ঔপনিবেশিকতা একটি অন্যায্য, অন্যায় এবং অশুভ ব্যবস্থা। এটি পৃথিবী থেকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।”
- ১৯৫৫ সালে বান্দুং সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট সুকার্নোর প্রদত্ত বক্তব্যের অংশ বিশেষ।
তথ্যসূত্র: Taneja, Anjela, et al. Takers Not Makers: The unjust poverty and unearned wealth of colonialism. Oxfam International, 20 Jan. 2025.