রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে।


"যদি লক্ষ্য থাকে অটুট
বিশ্বাস হৃদয়ে
হবেই হবে দেখা
দেখা হবে বিজয়ে।"

আপনাদের অনেকেরই নিশ্চয়ই মনে আছে ক্লোজ আপ ওয়ান-তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ এর থিম সংগীতটি। জনপ্রিয় এই গানটি আমাদেরকে শেখায় কি করে জীবনে বিজয়ের দেখা পাওয়া সম্ভব, কি করে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায়।

জীবনে সাফল্য অর্জন করতে আপনার দরকার দুইটি সূত্র :

১। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য।
২। বিশ্বাস।



ক। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য - একটি কাগজে পরিষ্কার করে এবং নির্দিষ্টভাবে লিখুন আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য।

খ। আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আপনি অর্জন করতে পারবেন। ইহাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করুন। হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করুন যে আপনি পারবেন।

এভাবেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন। আপনার কোন অভিমত বা পরামর্শ থাকলে নিচে মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। আর রচনাটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করুন। এতে করে আপনিও তাদের কাছ থেকে আরও এমন বহু ইতিবাচক তথ্য পাবেন যা আপনার জীবনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা রূপে কাজ করবে।


তথ্য সহযোগিতায় :
ক। http://closeup1-2012.blogspot.com/2012/07/closeup-1-theme-song.html
খ। http://www.beshto.com/contentid/561081

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

অনুপ্রেরণার প্রতীক - হেলেন কেলার।




গত শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর একজন হেলেন কেলার। উনি একজন অন্ধ, বধির এবং বোবা মহিলা ছিলেন। তার শিক্ষক ছিলেন সুলিভান। ৪৮ বছর যাবৎ তিনি হেলেন কেলারকে শিখিয়েছেন, তাকে বই পড়িয়ে শুনিয়েছেন। এইভাবে হেলেন স্নাতক পাশ করে।

সুলিভান তার স্বামী, সংসার সব ত্যাগ করেছিলেন হেলেনকে সহযোগিতা করার জন্যে। হেলেনের জন্যে বই পড়তে পড়তে মহান এই শিক্ষক শেষ বয়সে অন্ধ হয়ে যান। তার চেষ্টার ফলে হেলেন কেলার পরবর্তীতে কথা বলা শিখেন। হেলেনের জীবনের প্রথম বাক্য ছিলো, "আমি আর বোবা নই।"

পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিখ্যাত লেখিকা, অনুপ্রেরণার বক্তা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ হয়েছেন। নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাকে নিজ উদ্যোগে, সসম্মানে "ডক্টরেট" প্রদান করেছে। "অনুগ্রহ করে, আমাদের ডিগ্রীটি নিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে আপনাকে ডিগ্রী দিতে পারলে।" যদিও কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে একটা সময় ভর্তি করতেই চাইছিলো না।

খ্যাতি ছড়ানোর পর গ্রাহামবেল, রবীন্দ্রনাথ, আমেরিকা, জাপানের মন্ত্রীরা, চার্লি চ্যাপলিন সহ অনেকে উনার সাথে বন্ধুত্ব এবং আলাপ করেন।

হেলেন প্রায় ৯টি ভাষা জানতেন। গায়কের গলায় হাত রেখে জ্ঞানের কথা বুঝতেন। একবার তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, "আপনার যে দৃষ্টিশক্তি নেই, কানে শুনতে পান না, আপনার দুঃখ লাগে না?" হেলেন উত্তর দিয়েছিলেন, "আমার কাছে এতো কিছু আছে, যে কি নেই তা নিয়ে আমি চিন্তা করার মতন কোন সময় পাই না।"

তার মতে, "যার দৃষ্টিশক্তি আছে, কিন্তু জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই তার অবস্থা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ।" তাই, আজ থেকেই আত্মবিনাশী আলসেমী পরিহার করে আত্মবিশ্বাসী জীবন গড়ার সংকল্প করুন।

তথ্য সহযোগিতায় : আবেদ নিয়াজ, Corporate Ask এর প্রধান কার্যনির্বাহী।

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

অনুপ্রেরণার প্রতীক - ভুজিসিক নিক।




ভুজিসিক নিকের সবই আছে, খালি তিনটি হাত আর দুইটি পা নাই। তৃতীয় হাত বুঝেছেন তো? সবচেয়ে বড় হাত, অজুহাত।

উনি শামুকের মত শরীর বাকিয়ে চলাফেরা করেন। তারমানে, মাথা প্রথমে মেঝেতে ঠেকান, তারপর শরীরকে ভাঁজ করে সামনে এগোন।

পা না থাকলেও আল্লাহ তার শরীরের এক কোণা দিয়ে দুইটি আঙ্গুল বের করে দিয়েছেন। উনি দুই আঙ্গুল দিয়ে মিনিটে ৪৭টি শব্দ টাইপ করতে পারেন।

উনি এই দুই আঙ্গুল নিয়ে দুইবার স্নাতক পাশ করেছেন। ফাইনান্সিয়াল প্লানিং ও অ্যাকাউন্টিং। আমরা অনেকে অবশ্য দুইবার জন্ম নিয়েও দুইবার স্নাতক করার কথা চিন্তা করতেও পারি না।

উনি একজন অনুপ্রেরণার বক্তা। ৫৩ বার প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর উনি প্রথম বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। বক্তৃতার মঞ্চে প্রতিবন্ধী লোককে উঠতে দেখে ১০০০ জন শ্রোতার মধ্য থেকে ৯৯০ জন উঠে চলে যান।

ঐদিন কেবল মাত্র ১০ জন শ্রোতা অবশিষ্ট ছিলেন। কিন্তু উনি এখন পর্যন্ত, ৩০ লক্ষেরও অধিক লোককে অনুপ্রাণিত করেছেন।

উনি প্রেম করে বিয়ে করেছেন। উনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, "আপনার ছেলে-মেয়ে হলে তাদেরও যদি হাত পা না থাকে, তাহলে কি হবে।" উনি উত্তরে বলেছিলেন, "আমি তাকে আরেকটি ভুজিসিক নিক বানাবো।"

উনার নাম গ্রিনিচ বুক অফ ওয়ার্ডে উঠেছে কারণ উনি এক ঘন্টায় ১৮০০ লোককে বুকে জড়িয়েছেন এই জন্যে।

আমরা কত অসহায়। ভয়, আলসেমি, অজুহাতই আমাদের শেষ করে দিলো। জন্ম একবার হয়েছে, মৃত্যুও একবার হবে। দুর্বলদের মতন বারবার মরার মধ্যে বাড়তি নেকির কোন ব্যবস্থা নাই।

স্বামী বিবেকানন্দের কথা দিয়ে শেষ করছি। তিনি বলেছেন : "মৃত্যু যখন এত নিশ্চিত, তখন একটি মহান উদ্দেশ্যের জন্য জীবনপাত করার চেয়ে আর বড় জিনিস কিছু নেই।"

তথ্য সহযোগিতায় : আবেদ নিয়াজ, Corporate Ask এর প্রধান কার্যনির্বাহী।

শনিবার, ৯ জুলাই, ২০১৬

ইতিবাচক চিন্তা




ইতিবাচক চিন্তা হচ্ছে একটি ঘটনার আশাবাদী দিকের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। একটি ঘটনার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক উভয়ই থাকে, কিন্তু ইতিবাচক চিন্তা ঘটনার ভালো দিকটি নিয়ে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে, যাতে করে আপনি আশাবাদী চিন্তা করে মনোযোগের সাথে একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। আশা করা যায় যে একটি কাজ যদি মনোযোগের সাথে এবং ইতিবাচক চিন্তার সাথে সম্পন্ন করা হয় তবে তাতে সাফল্য অর্জন করার সম্ভাবনা বেশি যতটা থাকে নেতিবাচক চিন্তার সাথে সম্পন্ন করলে।

বুধবার, ৬ জুলাই, ২০১৬

কখনো হাল ছেড়ো না। - ফেলিপে কালদেরন




ফেলিপে কালদেরন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি। ১৯৬২ সালের ১৮ আগস্ট তাঁর জন্ম। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি এ বক্তব্য দেন। সূত্র: ওয়েবসাইট, ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফা ইসহাক।

সর্বপ্রথম আপনাদের অভিনন্দন। আমি জানি, আপনারা আপনাদের অর্জনের জন্য অনেক আনন্দিত ও গর্বিত।

আজকের এই সমাবর্তন কোনো কিছুর শেষ নয়, বরং আজকের দিনটা হচ্ছে আপনাদের জীবনে একটা নতুন যাত্রা শুরুর দিন। একদিন আপনাদের মধ্যকার অনেকেই বিখ্যাত ব্যবসায়ী, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হবে। তা যা-ই হন না কেন, একজন আদর্শ মানুষ রূপে নিজেকে গড়ে তোলাই হোক আপনার জীবনের ব্রত। নিজের দেশের একজন ভালো নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি পৃথিবীর একজন যোগ্য মানুষও আপনাকে হতে হবে। আজকে আপনারা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছেন সবচেয়ে আধুনিক জ্ঞান নিয়ে। নিঃসন্দেহে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়াটা সম্মানের এবং একই সঙ্গে দায়িত্বের।

আপনাদের সুযোগ আছে অন্যদের জন্য কিছু করার। আপনারাই পারবেন আপনাদের মেধা ও সাহস দিয়ে পৃথিবীকে ঠিক পরিবর্তনের পথে এগিয়ে নিতে—যদিও অনেকের কাছেই তা অসম্ভব। মহাত্মা গান্ধীর সেই কথাটা মনে করেন, "নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, যে পরিবর্তন আপনি দেখতে চান, তা নিজেকে দিয়েই কি শুরু করতে চান?"

আপনাদের আমি আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছি। আমি যখন আপনাদের বয়সী ছিলাম, মেক্সিকোতে তখনো স্বৈরাচারী শাসন ছিল। প্রতিটি প্রদেশের গভর্নর এবং সিনেটররা ছিলেন একই দলের সদস্য। বহু বছর ধরে সেই দলই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। যেমন—গণমাধ্যম কী বলবে, স্কুল কী শিক্ষা দেবে, কোন ধরনের রক কনসার্ট করা যাবে ইত্যাদি। একসময় আপনাদের মতো শিক্ষার্থীরাই এর বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করল। রাষ্ট্রজুড়ে তখনো আশার আলো ছিল এবং গণতন্ত্রের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। আমার বাবা সরাসরি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুব কঠিন সময় ছিল সেটা। আমার ভাইবোন ও আমি বাবার সঙ্গে ছিলাম। দরজায় ধাক্কা দিতে, চিৎকার করে স্লোগান দিতে খুব ভালো লাগত আমার।

ধীরে ধীরে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে গড়ে উঠতে লাগল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নির্বাচনী জালিয়াতিও শুরু হলো। ক্ষমতার হতাশাজনক অপব্যবহার দেখে একদিন বাবাকে বললাম যে আমাদের সব চেষ্টা বৃথা। একদিকে সরকার ভোট চুরি করছে, অন্যদিকে দেশের মানুষও এসব নিয়ে ভাবছে না। তখন তিনি বললেন, "আমি তোমার আক্ষেপের কারণ বুঝতে পারছি। আমরা যা করেছি, তা দেশের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব। হয়তো আমাদের দল থেকে আমরা কোনো প্রেসিডেন্ট বা গভর্নর পাব না। কিন্তু মেক্সিকোকে শান্তিপূর্ণভাবে বদলানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, এখানকার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলানো। আমরা না করলে আর কেউ সেটা করবে না।" গণতন্ত্র খুব ভালো করে আসার আগেই আমার বাবা মারা যান এবং এর কয়েক বছর পর সব ধরনের বিপত্তি কাটিয়ে আমি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হই।

আপনারা কখনোই আপনাদের স্বপ্ন এবং চিন্তার জগৎ থেকে সরে আসবেন না। বিশ্বাস করে লড়ে যান। আপনার প্রচেষ্টার মধ্যে কখনো সংশয় রাখবেন না। কারণ, মানুষের সৃষ্টি করার ক্ষমতা তার ধ্বংস করার ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলুন। আপনার নীতিতে অটল থাকুন। পৃথিবী আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আজকের পৃথিবী। যেমন—জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, বেকারত্ব ইত্যাদি।

প্রায় ৪০ বছর আগে ক্লাব অব রোমের বিশিষ্ট চিন্তাবিদেরা মানবতার ধারা নিয়ে গবেষণা করে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তা হলো "মানবজাতির সন্ধিকাল" বা "ম্যানকাইন্ড অ্যাট দ্য টার্নিং পয়েন্ট"। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে দুই ধরনের শূন্যতা চোখে পড়ে। একটা হলো মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে এবং অপরটা হলো ধনী-গরিবের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক। দিন দিন দরিদ্রতা বেড়ে চলেছে। ১০০ কোটির বেশি মানুষ এখন এক ডলারের চেয়ে কম উপার্জনে বেঁচে রয়েছে। অন্যদিকে, কার্বন নিঃসরণের কারণে গত শতাব্দীতে পৃথিবীর তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বেড়ে গেছে। সঠিক উদ্যোগের অভাব হলে এই শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা প্রায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব রয়েছে। অর্থনীতির উন্নয়ন নাকি পরিবেশ রক্ষা—কোনটাকে বেছে নেওয়া হবে, সেটা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেও অর্থনীতির উন্নয়ন করা সম্ভব। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তন ও দরিদ্রতার সঙ্গেও একসঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। একধরনের উভয় সংকটপূর্ণ অবস্থা দূর করার জন্য দরকার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং শ্রেষ্ঠ মন।


প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আপনারা অনেক দূর এসেছেন। আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। একটা শেষ উপদেশ দিচ্ছি, জীবনটাকে উপভোগ করুন, আনন্দ খুঁজে নিন—এটাই হলো বেঁচে থাকার নির্যাস। পৃথিবীতে আপনার বেঁচে থাকার অর্থ অনুসন্ধান করুন। আপনি যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান, তা নিয়ে চিন্তা এবং কাজ করে যান। জীবনতরীকে ঝড়ের বিপরীতে চালাতে ভয় পাবেন না। আজ থেকে আপনাদের নতুন এক যাত্রা শুরু হলো।

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। Inspirational Speech এন্ড্রয়েড অ্যাপ।
খ। http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-09-26/news/292614

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

উদ্যোক্তা




উদ্যোক্তা হচ্ছে একজন ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তি যারা জনগণের জন্য উপকারী সেবা সম্পন্ন করার প্রতি একটি কাজের সূচনা করেন। এতে তারা নিজেরাও মুনাফা অর্জন করেন। ইংরেজিতে উদ্যোক্তাকে বলা হয় Entrepreneur. একজন উদ্যোক্তার প্রধান গুণ হচ্ছে তার দূরদৃষ্টি। তিনি একটি সেবা যা ভবিষ্যতে সর্বাধিক ফল বয়ে আনবে দেশের জনগণের প্রতি, এমন সেবার প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং বিনিয়োগ করেন।

বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ১১১টি থেকে ১২০টি।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।


১১১। যখন আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস করবেন এবং বড় স্বপ্ন দেখবেন তখন যেকোন কিছু সম্ভব।



১১২। ইতিবাচক চিন্তা, ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি, ইতিবাচক জীবন।
আরও পাঠ করতে পড়ুন - https://bn.wikipedia.org/s/7awx

১১৩। আপনি যেভাবে অনুভব করেন সেই ধারাটি পরিবর্তন করতে পারেন আপনার চিন্তার ধারাটি পরিবর্তন করার মাধ্যমে।

আপনার নির্দিষ্ট স্বপ্ন পুরণে আরও একবার চেষ্টা করুন। এই বাক্যগুলো পাঠ করে নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন এবং এগিয়ে যান।



১১৪। সাফল্য কোন জায়গা নয় যেখানে আপনি দাঁড়াবেন, বরং সাফল্য হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট পথের দিক নির্দেশনা যেদিকে আপনি তাকিয়ে আছেন।

১১৫। বিজয় থেকে বল আসে না। আপনার সংগ্রামগুলো আপনার বল তৈরি করে। যখন আপনি শক্ত বাধাগুলোর মধ্য দিয়ে যাবেন এবং আত্মসমর্পণ না করার সিদ্ধান্ত নিবেন, সেটাই হচ্ছে বল। - আর্নল্ড সোয়াজনিগার



১১৬। আমরা সবাইকে সাহায্য করতে পারি না, কিন্তু সবাই কাউকে না কাউকে সাহায্য করতে পারে। - রোনাল্ড রিগ্যান

১১৭। যদি আপনি অবিরত কঠোর পরিশ্রম করেন, সাফল্যই আপনাকে অনুসরণ করবে। তবে লক্ষ্য অবশ্যই নির্দিষ্ট হতে হবে।



১১৮। আজকের সুন্দর এবং একটি চমৎকার দিনের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ।
আপনি আজকে কিসের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন?

১১৯। অবিরত ব্যক্তিগত উন্নয়ন ব্যতীত, আপনি এখন যেমন আছেন সর্বদা তেমনই থাকবেন এবং অগ্নিপরীক্ষা বা আন্তঃজ্বালা আরম্ভ হয় যখন আপনি সেই ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করেন যেরকম ব্যক্তি আপনি হয়ত হতে পারতেন। - এলি কোহেন

১২০। আপনার আজকের সাফল্যকে আপনার আগামীকালের আত্ম-প্রসাদ বা সুখ হতে দিবেন না। কারণ ইহাই হচ্ছে ব্যর্থতার ধরণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম। - অগ মানডিনো

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord.
খ। Success Magazine.
গ। Spirit Science.
ঘ। Brainy Quote.

শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

বিশ্ববিখ্যাত একটি উপকথা “পশু বিদ্যালয়”।

বিশ্ববিখ্যাত একটি উপকথা “পশু বিদ্যালয়” লিখেছেন শিক্ষাবিদ ডক্টর আর. এইচ. রিভিস। এখানে তিনি ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলির গুরুত্বের মূল্যায়ন সম্বন্ধে চমৎকার ভাবে তুলে ধরেন। আমরা একটি সমাজে বাস করি। এখানে অনেক পুরুষ এবং নারী রয়েছে, যাদের চিন্তা একে অপরের থেকে ভিন্ন হতে পারে। একজন পুরুষের গুণাবলি অপর পুরুষের গুণাবলি থেকে ভিন্ন হতে পারে। এই ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলিকে আমাদের বুঝতে হবে যে আমার নিজের গুণাবলি থেকে অন্য একজনের গুণাবলি ভিন্ন হতে পারে। এই চিন্তা করার মতন সক্ষমতা তৈরির জন্য আমাদের আজকের এই উপকথা (মিথ্যা রচনা) “পশু বিদ্যালয়”।

একদা, পশুরা সকলে নিলে সিদ্ধান্ত নিল যে এই “নতুন বিশ্বের” সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার জন্য তাদেরকে অবশ্যই কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে, তাই তারা একটি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করলো। তারা একটি কার্যকলাপ ভিত্তিক পাঠ্যসূচি গ্রহণ করলো যা গঠিত ছিল দৌড়, গাছে চড়া, সাঁতার এবং উড়া সম্বন্ধীয়। তদারকি করার সুবিধার্থে সব পশুরা সবগুলো বিষয়ই নিলো।



হাঁস সাঁতারে ছিল দক্ষ, এমন কি তার শিক্ষকের চেয়েও উত্তম এবং উড়াতেও বেশ চমৎকার নম্বর নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু সে দৌড়ে খুবই অদক্ষ ছিল। যেহেতু সে দৌড়ে নম্বর কম পেয়েছে তাই তাকে বিদ্যালয় শেষে থাকতে হয় এবং দৌড় অনুশীলন করতে হয়। এভাবে দৌড় অনুশীলন করতে গিয়ে তাকে সাঁতারও ছাড়তে হয়। ইহা চালু ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না তার বুনট পাগুলো (জলচর পক্ষীর পায়ের আঙুলের মাঝখানের চামড়া) ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন সে সাঁতারে মধ্যম বা গড় নম্বর পায়। কিন্তু বিদ্যালয়ে গড় নম্বর গ্রহণযোগ্য, তাই এই নিয়ে একমাত্র হাঁস ব্যতীত আর কেউ উদ্বিগ্ন নয়।

খরগোশ শুরুর দিকে দৌড়ে শ্রেণির মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেত, কিন্তু তার স্বাস্থ্য ভেঙে গেল সাঁতারের এত গঠনপ্রণালী শিখতে গিয়ে।

কাঠবিড়াল গাছে চড়ায় অত্যন্ত দক্ষ ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না সে উড়া শ্রেণির পাঠ নিতে গিয়ে হতাশ হয়। যেখানে তার শিক্ষক তাকে মাটি থেকে গাছে চড়তে না দিয়ে গাছের চূড়া থেকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করে। তাই সে দিন-রাত প্রয়াস চালাল। উড়া পাঠের প্রতি তার অতি প্রয়াসে সে গাছে চড়ায় পেল সি (C) এবং দৌড়ে পেল ডি (D)

ঈগল ছিল একটি দুষ্ট বালক এবং তাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হত। গাছে চড়া শ্রেণিতে সে সকলের চেয়ে আগে গাছের চূড়ায় পৌঁছাতো, কিন্তু সে অন্যান্যদের মতন না করে তার নিজস্ব পন্থায় চূড়ায় পৌঁছে যেত।

বছরে শেষের দিকে, একটি প্রতিবন্ধী বানমাছ যে অতীব ভালো সাঁতার পারতো এবং অল্প কিছুটা দৌড়, গাছে চড়া, এবং উড়তে পারতো সে গড়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেল এবং তার প্রতি সকলের বিদায়কালীন শুভ কামনা রইল।



কুকুরগুলো অবশ্য বিদ্যালয়ের বাইরে ছিল এবং তারা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের (যারা বিদ্যালয় তদারকি করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে) সাথে লড়াই করছিল, কারণ প্রশাসন মাটি গর্ত করা এবং ভরাট করাকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করে নাই। তারা তাদের শিশুদের নিজেরাই শিক্ষা দিতে আরম্ভ করলো এবং পরবর্তীতে গর্তকারী শূকররা, এবং ইঁদুররা একত্রিত হয়ে একটি সফল ব্যক্তিগত বিদ্যালয় চালু করলো।

এই উপকথায় যে সূত্রটি রয়েছে তা হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব বল রয়েছে এবং আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে সেগুলোকে বৃদ্ধি করতে হলে, আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এমন কোন কাজে ভালো হওয়ার চেষ্টা দ্বারা যা আমাদের জন্য স্বাভাবিক নয়।


যদি আপনি একজন নেতা বা অগ্রপথিক হয়ে থাকেন তবে চিন্তা করুন যে আপনার সংগঠনে বা প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ব্যক্তি এই উপকথার হাঁস, খরগোশ, কাঠবিড়ালি এবং ঈগলের মতন, এবং সবার কাছ থেকে একটি গড় কর্মক্ষমতা পাওয়ার চেষ্টা না করে কিভাবে আপনি তাদের বিশেষ দক্ষতাগুলো এবং বলগুলো উত্তমভাবে প্রয়োগ করতে পারেন।

ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলিকে মূল্যায়নের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য একটি উপকথা (মিথ্যা রচনা) “পশু বিদ্যালয়”। রচনাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কোন মতামত থাকলে অনুগ্রহ করে জানান। আমরা আপনার মতামত জানতে আগ্রহী। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র – Covey. Stephen R. (1989). The 7 Habits of Highly Effective People. Free Press.

রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ১০১টি থেকে ১১০টি।


আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।

১০১। আপনি পিছনে ফিরে দেখতে পারবেন না। আপনাকে সামনে দেখতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে। - লুসি লিউ

১০২। বই পাঠ করে যদি বাস্তব জীবনে ইহার জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন তবেই সেই বইয়ের জ্ঞান সার্থক, নতুবা বই কেবল কাগজের দলা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

১০৩। ক্রমাগত প্রচেষ্টা! না শক্তি না বুদ্ধিমত্তা, হচ্ছে আপনার সম্ভাব্য ক্ষমতাকে বের করে আনার চাবি।
আপনার মধ্যে অসীম ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের মহান এবং ধনী পুরুষরা - জহুরুল ইসলাম, জনাব আজাদ, জনাব খালেক এরা প্রত্যেকেই পুরুষ এবং এক সময় আমাদের মতন সাধারণ পুরুষই ছিলেন। কিন্তু তারা নিজেদের অন্ত:নিহিত অসীম ক্ষমতাকে ভিতর থেকে বের করে আনেন এবং নিজেকে তৈরি করেন; জহুরুল ইসলাম - ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, জনাব আজাদ - আজাদ প্রোডাক্টসের প্রতিষ্ঠাতা, জনাব খালেক - কেয়া কসমেটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা।

আপনিও পারবেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং এগিয়ে যান। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন। এগিয়ে যান, পরিকল্পনা করুন, ব্যর্থ হলে পুনরায় পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। যতক্ষণ পর্যন্ত না সাফল্য অর্জন করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে যান।

১০৪। আপনার স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যকার ফাঁকা স্থান দেখে ভয় পাবেন না। যদি আপনি ইহা সম্বন্ধে স্বপ্ন দেখতে পারেন, তবে আপনি ইহা পূরণ করতেও পারবেন। - বেলভা ডেভিস



১০৫। যদি তোমার লক্ষ্য নিয়ে কেউ হাসি-তামাশা না করে, তবে বুঝতে হবে তোমার লক্ষ্যটি খুব ছোট। - আজিম প্রেমজি



১০৬। ঐ ব্যক্তিই প্রকৃত বুদ্ধিমান, যে নিজে নত হয়ে অপরকে বড় ভাবে। আর সে ব্যক্তিই নির্বোধ, যে সর্বদাই নিজেকে বড় ভাবে। - হযরত আলী (রাঃ)

১০৭। একমাত্র সেই লোকদের অনুসরণ করুন এবং শুনুন যারা সেই জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আপনি পৌঁছাতে চান।

১০৮। যদি আপনি চান যে আপনার স্বপ্ন পূরণ হোক তবে উঠে দাঁড়ান, কাজ করুন, এগিয়ে যান এবং সাফল্য অর্জন করুন। আপনার স্বপ্ন আপনাকেই পূরণ করতে হবে। কাজ করে যান। কিছু একটা করুন। থামবেন না।




১০৯। জীবনে ঝুঁকি নাও। যদি সফল হও তবে নেতৃত্ব দিতে পারবে। যদি ব্যর্থ হও তবে গাইড করতে বা নির্দেশনা দিতে পারবে।



১১০। যেকোন জিনিস যদি আপনি ভালোভাবে তৈরি করতে না পারেন, তবে অন্ততপক্ষে ইহাকে দেখতে ভালো দেখা যায় এমন করে তৈরি করুন। - বিল গেটস

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord.
খ। Success Magazine.
গ। Spirit Science.
ঘ। Brainy Quote.

বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬

ধারণা




ধারণা হচ্ছে একটি বাধা পার হতে একটি তড়িৎ চিন্তা। এই চিন্তা হঠাৎ উদয় হতে পারে অথবা একটি চিন্তাকে আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ আপনার মনে পোষণ করে রাখতে পারেন। ইংরেজিতে ধারণাকে বলা হয় Idea. একটি ধারণা একজন ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করতে বা সাফল্য অর্জন করতে অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান। একটি কাজ সম্পাদন করতে তৈরি করা একটি পরিকল্পনাও ধারণা হতে পারে।

সোমবার, ৯ মে, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ৯১টি থেকে ১০০টি।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।


৯১। জীবনে কঠিন বাধাসমূহ আসে তোমাকে ধ্বংস করতে নয়, বরং আসে তোমার ভেতর লুকানো অমিত শক্তি ও সম্ভাবনাকে অনুধাবন করাতে, বাধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও। - এ পি জে আবদুল কালাম


৯২। কখনো সত্যের পাশে দাঁড়াতে ভয় পাবেন না, যদিও আপনি একা হোন।

৯৩। যে ঝুঁকি নেওয়ার মতন সাহসী নয় সে জীবনে কিছুই অর্জন করতে পারে না। - মুহাম্মদ আলী

৯৪। বিজয় মূলত তাদের জন্য যারা সবচেয়ে বেশি অধ্যবসায়ী। - নেপোলিয়ন বেনাপোর্ট

৯৫। পুরুষ এমন ভাবে তৈরি যে যখন তার লক্ষ্য সম্বন্ধে সে নির্দিষ্ট এবং আকাঙ্ক্ষাটি জ্বলন্ত হয়ে ওঠে তখন অসম্ভবগুলো এই আগুনে জ্বলে ভস্ম হয়ে যায়। - জীন ডী লা ফাউন্টেন

৯৬। চমৎকার কিছু করুন, লোকজন হয়ত ইহা অনুকরণ করবে। - আলবার্ট সোয়েটজার

৯৭। স্বপ্ন দেখা ভালো, কিন্তু স্বপ্ন দেখা এবং কাজ করা হচ্ছে উত্তম। আস্থা শক্তিশালী, কিন্তু আস্থার সাথে কাজ করা হচ্ছে অধিক শক্তিশালী। আকাঙ্ক্ষা সাহায্যকারী, কিন্তু আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে অপরাজেয়। - থমাস রবার্ট গেইনস
আপনি আজ কি কাজ করেছেন আপনার স্বপ্ন পূরণে?


৯৮। অনেক লোকজনই সাফল্যের স্বপ্ন দেখে। আমার কাছে সাফল্যের সূত্র হচ্ছে - সাফল্য অর্জন করা যায় পুনঃপুন ব্যর্থতা এবং অন্তর্দর্শনের মাধ্যমে। - সোছিরো হোন্ডা

৯৯। লোকজন আসলে অবিস্মরণীয়, অসাধারণ কাজ করতে সক্ষম যখন তারা চিন্তা করা আরম্ভ করে যে তারা কাজগুলো করতে পারবে। যখন তারা নিজেদের ওপর বিশ্বাস করতে পারে তখনই তারা সাফল্যের প্রথম গোপন সূত্রটি পেয়ে যায়। - নরম্যান ভিসেন্ট পেইলী

১০০। আপনি যা চান তারজন্য জিজ্ঞেস করুন। সাহায্যের জন্য জিজ্ঞেস করুন, অংশগ্রহণ করতে জিজ্ঞেস করুন, পরামর্শ এবং ধারণার জন্য জিজ্ঞেস করুন -- কিন্তু কখনওই জিজ্ঞেস করতে ভয় পাবেন না। - ব্রায়ান ট্রেসি

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord.
খ। Success Magazine.
গ। Spirit Science.
ঘ। Brainy Quote.

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে আরও পৃষ্ঠা - ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০

রবিবার, ১ মে, ২০১৬

জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণরা।


জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে (UNDP এর Regional Human Development Report 2016) বাংলাদেশকে যে তরুণদের দেশ রূপে অভিহিত করা হয়েছে, সেটি একটি বড় সুযোগ। এখন জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশেরই বয়স ২৪ বছরের কম। যেকোনো দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কর্মক্ষম জনশক্তিই সবচেয়ে বেশি এবং কার্যকর অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা (১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী) ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে এটি বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে, যা মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ।

এই যে তরুণদের বাংলাদেশ, তার সুযোগটি আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি? তরুণদের কাজে লাগানোর উপায় হলোঃ

প্রথমত, তাদের বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা।

দ্বিতীয়ত, তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং কাজের সুযোগ প্রদান।

ইউরোপ, আমেরিকা, চিন এবং জাপানসহ যেসব দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি করেছে, তারা তাদের জনশক্তির সদ্ব্যবহার করেছে দেশের ভেতরে এবং বাইরে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী ভারত এবং  শ্রীলঙ্কাও এক্ষেত্রে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু শিক্ষার হার বাড়লেও আমরা দেশের বর্ধিত চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তুলতে পারিনি। বিদেশে কর্মরত জনশক্তিরও বেশিরভাগ অদক্ষ।

আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন নয় বলেই বিশ্বে শিক্ষিত বেকারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। প্রতিবছর বর্ধিত হারে যে তরুণেরা শ্রম বাজারে আসছেন, তাদের কাজে লাগাতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় যেমন বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ আনতে হবে, তেমনি বাড়াতে হবে কর্মসংস্থানের পরিধিও। বর্তমানে দেশে প্রতিবছর ছয় লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয় বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। অন্যদিকে দেশে নারী শিক্ষার হার বাড়লেও এখনো কর্মক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি নগণ্য।

শ্রমশক্তির মান উন্নয়ন করতে না পারলে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ (Demographic Dividend) বোঝা হয়ে দেখা দিতে পারে বলে বিশেজ্ঞরা যে আশঙ্কা করছেন, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই, বর্ধিত কর্মশক্তির সুযোগ এবং সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চাই টেকসই পরিকল্পনা এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন।

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

Why Asia needs personal development training? Especially Bangladesh.


Character is the core base of development. By saying character I want to indicate mental power & strong ability. A person with a strong mind & character can lead himself with better ways and he can lead his entire society with that positive power. When society gets more men & women like that that society will create a sustainable development for them. Its so simple like that. I personally emphasize on the subject of personal development training because its a research based solution.

Development needs research. Personal development is a persons own life research. Its like he is trying to know more about himself and with that data he will try to improve himself. This whole process can be useful for the whole nation too. National human development research is about to collect data about people and then plan a development process for their countrys improvement. Now we need to give this idea of development planning to every individual. It is personal development.


When every individual person knows about himself then he can make him better. With this development planning idea we can motivate him to work for his society. He will make plan for better society and work with those who are doing better works for society & world development like UN & UNDP. In this way a person will mentally prepare for doing good jobs for himself & for his society.


We need two things: training & superintend. Train youth people and superintend those youth trainee after finishing training. In this way we can built a better society for better world.

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬

দেশের জনগণের চাহিদাগুলো পূরণের জন্য উদ্যোগ নিন।



একটি দেশের জনগণের যে চাহিদাগুলো তা পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদাগুলোই হচ্ছে একজন উদ্যোক্তার জন্য সুযোগ এবং সম্ভাবনা। বাংলাদেশে যারা সফল এবং ধনী উদ্যোক্তা হয়েছেন তারা সকলেই তাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন। আমরা আজ দুইটি সূত্র নিয়ে আলাপ করবো যা বাংলাদেশের সফল উদ্যোক্তারা কাজে লাগিয়ে দেশের জনগণের জন্য উপকারী সেবা সম্পন্ন করেছেন এবং নিজেদের জন্য মুনাফা অর্জন করেছেন।

১। দূরদৃষ্টি।

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি উদ্যোক্তার এই গুণটি একাধারে পাওয়া গিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই জনগণের ভবিষ্যৎ চাহিদাগুলোকে তাদের দূরদৃষ্টি দ্বারা অনুভব করেছেন এবং সেই নির্দিষ্ট চাহিদার যোগান দেওয়ার প্রতি কাজ করেছেন। যেমন জনাব এম এ হাসেম ১৯৮৩[1] সালে পারটেক্স বোর্ডের প্রতিষ্ঠান ক্রয় করেন। তার দূরদৃষ্টি ছিল ইহা বুঝার যে ভবিষ্যতে বোর্ড দ্বারা তৈরি আসবাবপত্র অফিস বা ঘরের শোভা বর্ধন করবে এবং জনগণের আসবাবপত্রের চাহিদা মেটাবে।

আজ তেত্রিশ বছর পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের পাঠ করার জন্য টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, বই রাখার তাক, বিভিন্ন অফিসে নানান আসবাবপত্র প্রভৃতি বোর্ড দ্বারা তৈরি। একটি বোর্ডের তৈরি জিনিস বানাতে যেকেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে সবচেয়ে পুরাতন এবং নির্ভরযোগ্য বোর্ড উৎপাদক প্রতিষ্ঠান কে? স্বাভাবিকভাবেই উত্তর পাওয়া যাবে পারটেক্স


২। নির্দিষ্ট লক্ষ্য।

একজন উদ্যোক্তা রূপে আপনি জনগণের কোন একটি ভবিষ্যৎ চাহিদা বুঝতে পেরেছেন, যাকে আমরা উল্লেখ করেছি দূরদৃষ্টি শব্দে। কিন্তু আপনার লক্ষ্যটি নির্দিষ্ট নয় এবং আপনি অন্য দিকে সহজেই মনোযোগ দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাহলে আপনার দূরদৃষ্টি থাকলেও লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন না। নির্দিষ্টতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। কারণ আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হন তখন আপনি সেই সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করেন, নতুন ধারণা পান, পরিকল্পনা করেন এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপান্তর করেন।

ধরুন, জনাব এম এ হাসেম ১৯৮৩ সালে বুঝতে পারলেন যে ভবিষ্যতে বোর্ডের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে কিন্তু তিনি তার লক্ষ্যকে নির্দিষ্ট করলেন না এবং কোন গুরুত্ব দিলেন না। তাহলে কি আমরা আজকে পারটেক্স প্রতিষ্ঠানকে এমন সফল রূপে পেতাম? তাই আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে এই দুইটি সূত্র কাজে লাগান এবং আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছান।

আশা করি এই সূত্রগুলো পালন করে আপনি আপনার জীবনে সমৃদ্ধি আনবেন। ধন্যবাদ। আপনার বন্ধুদের সাথে ইহা শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার মন্তব্য থাকলে নিশ্চয়ই জানাবেন। আমরা আপনার মন্তব্য শুনতে আগ্রহী।


[1] http://www.somewhereinblog.net/blog/crowetblog/28709753

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৬

আল্লাহকে ধন্যবাদ।


আল্লাহকে ধন্যবাদ। বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ এর প্রথম দিনটি সুন্দরভাবে আরম্ভ করার সুযোগ দিয়েছেন এজন্য। বছরের প্রথম দিনটি আরম্ভ হোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দ্বারা।

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

সফল উদ্যোক্তারা ছুটির দিনে যে ৫টি কাজ করে থাকেন।




সাধারণত লোকজন ছুটির দিনে কোন উৎপাদনমূলক কাজ করে না। কিন্তু যারা সফল উদ্যোক্তা তারা তাদের ছুটির দিন - শুক্রবার এবং শনিবারকে কাজে লাগায়। নতুন কিছু শিখে যাতে তার স্বপ্ন পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া যায়। তারা তাদের ছুটির দিনকেও পরিকল্পনা মতন কাজে লাগায়। আমরা এখানে ৫টি সাধারণ কাজের উল্লেখ করবো যা একজন উদ্যোক্তা রূপে আপনার করা উচিত।

১। ভোরে ঘুম থেকে উঠুন।
দেখা গেছে ভোরে যখন একজন ঘুম থেকে ওঠে তার মন এবং শরীর ভোরের সতেজ আলো এবং বাতাসে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাছাড়া দিনের শুরুতে ভোরে উঠলে সম্পূর্ণ দিনটিকে চমৎকার উপভোগ করা যায়।

২। ব্যায়াম।
ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। ভোরে উঠে আপনি দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন অথবা সাইকেল চালাতে পারেন। এতে আপনার মস্তিষ্ক এবং মন সজীব হয়ে উঠবে এবং নিশ্চিন্তে আরও দ্রুত কাজ করবে।

৩। সামাজিক এবং আত্মীয়দের অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান।
যেহেতু আমরা সামাজিক জীব তাই সামাজিকতা আমাদের রক্ষা করা উচিত। ছুটির দিনগুলোতে আত্মীয়দের সাথে বা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান করতে পারেন। এতে আপনি আনন্দ পাবেন এবং আপনার আনন্দও সকলের সাথে ভাগ করে নিতে পারবেন।



৪। অন্যান্য প্রকল্প তৈরি করুন।
সপ্তাহের অন্যান্য দিনে যে কাজগুলো শেষ করতে পারেননি তা এখন সম্পন্ন করতে পারেন। এতে আপনি আগামী সপ্তাহে নিশ্চিন্তে কাজ আরম্ভ করতে পারবেন। নতুন কোন প্রকল্পের চিন্তা এবং পরিকল্পনা করতে পারেন যা আপনাকে সামনে এগিয়ে নিতে আরও সহযোগিতা করবে।

৫। একটি শখ বজায় রাখুন।
একটি শখ পালন করা মানসিক প্রশান্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। আপনার নিজের মনের আনন্দের জন্য কাজ করুন। ছুটির দিনে সেই কাজটি করে আনন্দ নিন, হতে পারে ছবি আঁকা, বাচ্চাদের সাথে গল্প করা বা গান গাওয়া।

আশা করি এই কাজগুলো করে আপনি আপনার জীবনে সমৃদ্ধি আনবেন। ধন্যবাদ। আপনার বন্ধুদের সাথে ইহা শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার মন্তব্য থাকলে নিশ্চয়ই জানাবেন। আমরা আপনার মন্তব্য শুনতে আগ্রহী।

তথ্য সহযোগিতায় - Success সাময়িকী।

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৬

অনুপ্রেরণা




অনুপ্রেরণা হচ্ছে মানসিকভাবে উৎসাহিত হওয়া, অনুভব করা কিছু করার জন্য, বিশেষ করে সৃষ্টিশীল কাজ বা একটি সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে। ইংরেজিতে অনুপ্রেরণাকে বলা হয় Inspiration. একজন ব্যক্তি যখন একটি কাজ সম্পাদন করতে চায় তখন সে কাজটি সম্পাদন হবে এবং আমি করতে পারবো এই ধরনের চিন্তাকে উৎসাহিত করাই হল অনুপ্রেরণা।

বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৬

একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন।


ক্রমাগত প্রচেষ্টা! না শক্তি না বুদ্ধিমত্তা, হচ্ছে আপনার সম্ভাব্য ক্ষমতাকে বের করে আনার চাবি।
আপনার মধ্যে অসীম ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের মহান এবং ধনী পুরুষরা - জহুরুল ইসলাম, জনাব আজাদ, জনাব খালেক এরা প্রত্যেকেই পুরুষ এবং এক সময় আমাদের মতন সাধারণ পুরুষই ছিলেন। কিন্তু তারা নিজেদের অন্ত:নিহিত অসীম ক্ষমতাকে ভিতর থেকে বের করে আনেন এবং নিজেকে তৈরি করেন; জহুরুল ইসলাম - ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, জনাব আজাদ - আজাদ প্রোডাক্টসের প্রতিষ্ঠাতা, জনাব খালেক - কেয়া কসমেটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা।

আপনিও পারবেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং এগিয়ে যান। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন। এগিয়ে যান, পরিকল্পনা করুন, ব্যর্থ হলে পুনরায় পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। যতক্ষণ পর্যন্ত না সাফল্য অর্জন করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে যান।

সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬

আপনার স্বপ্ন বা নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কিত লোকজনের সাথে চলাফেরা করুন।


আপনি যাদের সাথে চলেন এমন পাঁচজনের চারিত্রিক গুণাবলীর যোগফল হচ্ছে আপনার চারিত্রিক গুণাবলী। তাই সতর্কভাবে আপনার সাথীদের চয়ন করুন। আপনি যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েছেন বা স্বপ্ন পূরণ করতে চান এমন বিষয় সম্পর্কিত লোকজনের সাথে চলাফেরা করুন।

কারণ আপনি যখন একই লক্ষ্য সম্পন্ন পাঁচজন লোকের সাথে চলেন তবে আপনি নানান সম্ভাবনাগুলো সম্বন্ধে জানতে পারবেন যা হয়ত আপনি খেয়াল করেননি।

চিত্র সহযোগিতায় - Entrepreneur সাময়িকী।

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ৮১টি থেকে ৯০টি।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।

৮১। যে উত্তম হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, সে ভালো হওয়া বন্ধ করে দেয়। - অলিভার ক্রমওয়েল

৮২। গতদিন আপনি যা করেছিলেন তা যদি আপনার কাছে বড় মনে হয়, তবে আপনি আজ এমন কিছুই সম্পন্ন করেননি। - লাও হোল্টজ

৮৩। যে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে সে পাঁচ মিনিটের জন্য বোকা হয়। কিন্তু যে প্রশ্ন করে না সে সর্বদার জন্যই বোকা হয়ে থাকে।


৮৪। সর্বদা আপনার সর্বোৎকৃষ্ট কাজ করুন। যা আপনি আজ রোপণ করবেন, পরবর্তীতে আপনি সেই কর্মফল পাবেন। - অগ মানডিনো

৮৫। যে পুরুষ বলে যে ইহা করা সম্ভব নয় তা অন্য পুরুষ করে দেখানোর সময় তাকে বাধা দেওয়া উচিত নয়। - চীনা প্রবাদ



৮৬। কাজে আনন্দ থাকলে সেই কাজ নিখুঁত হয়। - এরিস্টটল


৮৭। বৃষ্টির সময় সব পাখিরা কোথাও আশ্রয় নেয়। আর ঈগল বৃষ্টিকে এড়াতে মেঘের উপর দিয়ে ওড়ে। সমস্যাগুলো সকলের ক্ষেত্রেই সমান, শুধু আচরণ পার্থক্য গড়ে দেয়। - এ পি জে আবদুল কালাম


৮৮। যদি উড়তে না পার তবে দৌড়াও। যদি দৌড়াতে না পার তবে হাঁটো। যদি হাঁটতে না পার তবে হামাগুড়ি দাও। যাই কর না কেন মনে রেখ সামনে এগিয়ে যেতেই হবে। - মার্টিন লুথার কিং



৮৯। যদি তুমি নিজেকে দুর্বল ভাবো, তবে দুর্বল হইবে, তেজস্বী ভাবিলে তেজস্বী হইবে।


৯০। হতাশার কিছু নেই, অন্ধকার যত গভীর হয় সূর্য তত দ্রুতই উদিত হয়।

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord
খ। Wow Box
গ। Global Citizen

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে আরও পৃষ্ঠা - ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০

শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬

সহজ ৫টি কাজ করে লাখপতি হোন।



১। একজন পাইকারি ব্যবসায়ী হোন বা পণ্যের উৎপাদক হোন। জীবনে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু বিক্রয় করতে হবে। আর যদি লাখপতি হতে চান তবে পণ্যটি উৎপাদন করে পাইকারি ব্যবসা করার চেষ্টা করুন

২। আপনার প্রতিদিনকার আয় সম্বন্ধে জানুন। আপনি যদি প্রতিদিন ৳১০০, ৳৫০০ বা ৳১,০০০ আয় করে থাকেন তবে চিন্তা করুন আয়কে দ্বিগুণ করার। এতে আপনার সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার লাখপতি হওয়ার সম্ভাবনাও।

৩। সবকিছু উৎসর্গ করুন। একজন পুরুষ ৳২০০ দিয়ে একটি বই ক্রয় করতে চায় না যা তাকে ৳২০,০০০ আয় করার পথ দেখিয়ে দিতে পারে। সময় পেলেই বই পাঠ করুন, রচনা পাঠ করুন এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করুন।

৪। ধনীদের মতন চিন্তা করুন। ধনী ব্যক্তিরা সবকিছুতে বেশি খরচ করে না, বরং অল্প কিছু জিনিসে বেশি খরচ করে। যেমন পাঁচ জোড়া জুতো না ক্রয় করে এক জোড়া জুতো ক্রয় করবে, যার দাম হয়ত ৳২,০০০ এবং ইহা বেশি টেকসইও বটে।


৫। আপনার জন্মগত গুণাবলী ব্যবহার করুন। আপনি যে কাজটি সবচেয়ে দক্ষভাবে করতে পারেন তাই করুন। তারপর অধ্যবসায়ের সাথে ধৈর্য ধরে এগিয়ে যান। যদিও প্রথমে কষ্ট অনুভব হবে কিন্তু ধীরে ধীরে আপনি সমস্যা সমাধান করতে দক্ষ হয়ে উঠবেন এবং আনন্দ পাবেন।

আশা করি এই কাজগুলো করে আপনি আপনার জীবনে সমৃদ্ধি আনবেন। ধন্যবাদ। আপনার বন্ধুদের সাথে ইহা শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনার মন্তব্য থাকলে নিশ্চয়ই জানাবেন। আমরা আপনার মন্তব্য শুনতে আগ্রহী।

তথ্য সহযোগিতায় - Entrepreneur সাময়িকী।

রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

আপনার বয়স কি ১৮? তাহলে, জেনে নিন ১০টি জিনিস।


১। ভুলগুলো থেকে শিখতে ভালোবাসুন।
সর্বদাই চেষ্টা করবেন ভুলগুলো থেকে শেখার। আপনি এখনও তরুণ এবং শিখছেন। তাই ভুল হতেই পারে। ভুলগুলো বিশ্লেষণ করুন এবং এগুলো থেকে শিক্ষা নিন যাতে পরবর্তী সময় আরও ভালোভাবে একটি দায়িত্ব সম্পাদন করতে পারেন।

২। প্রায়ই হ্যাঁ বলুন।
কিছু সময় আপনার আরামদায়ক জায়গাগুলো থেকে বের হয়ে দেখুন বাহিরে কি ঘটছে। কোন নতুন জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। এতে আপনার মাঝে নতুন উদ্যম তৈরি হবে এবং আপনার শেখার আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।


৩। স্বল্পই কাজে দক্ষ হোন।
কখনই সব ধরনের কাজ করতে যাবেন না। যে সবগুলো কাজ সম্পন্ন করতে যায় সে কোন কাজেই দক্ষ হয়ে ওঠে না। আপনার মূল্যবান সময় এবং শ্রম বিভিন্ন দিকে অপচয় না করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে কাজে লাগান। বুঝতেই পারছেন, বিভিন্ন পথে হাঁটলে কোন গন্তব্যেই আপনি পৌঁছাবেন না, পথে পথে ঘুরে মরবেন।

৪। আপনি কেমন অনুভব করেন তা বলুন।
যদি কেউ আপনার অনুভূতিকে আঘাত করে থাকে তবে তাকে ইহা বলুন এবং সরাসরি, স্পষ্টভাবে বলুন। মনের মধ্যে কষ্ট পোষণ করে রাখবেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে যে অপরজন হয়ত আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বক্তব্যটি দেয়নি, হয়ত সে অন্যকোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তা আপনার কাছে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি। এছাড়াও আপনার পিতা-মাতাকে বলুন - আমি তোমাকে ভালোবাসি। জীবন অতি ছোট এবং এই স্বল্প সময়ে মধ্যেই আমরা আমাদের আশেপাশের লোকজন থেকে বহু ভালোবাসা পেয়ে থাকি। আমাদের দরকার এই জিনিসগুলোর প্রতি তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানানো, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

৫। পরিবর্তনকে ভালোবাসতে শিখুন।
একটি ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সময় যেমন পরিবর্তন হচ্ছে তেমনি অন্যান্য সকল জিনিসগুলোই পরিবর্তন হবে। তাই ইহাকে সহজভাবে গ্রহণ করুন এবং পরিবর্তন থেকে শিক্ষা নিন। পরিবর্তন মেনে নিয়ে এগিয়ে যান।


৬। আপনি যতটা ক্ষতি হওয়ার চিন্তা করেন, প্রকৃতপক্ষে ততটা ঘটে না।
প্রায় সময়ই দেখা যায় যে আমাদের ভীতি আমাদেরকে এমন সব ক্ষতির সম্ভাবনা কল্পনায় তুলে ধরে যে আমরা কাজটি করতে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে যাই এবং কাজটি করতে দীর্ঘসূত্রিতা বা ঢিলামি করি। আপনি বিদ্যালয় শেষ করে যে ব্যবসার চিন্তা করে ছিলেন তা করছেন না কেন? বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে যারা একটু সাহস করে নিজের পছন্দানুযায়ী কাজ আরম্ভ করেছে তারাই সবচেয়ে সফল এবং সুখী জীবন যাপন করছে। তাই আরও একটু সাহস নিয়ে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে একটি পদক্ষেপ দিন।

৭। অন্যান্য লোকজন কি চিন্তা করবে এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়া বন্ধ করুন।
আপনার জীবন আপনার নিজের। আপনার সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য লোকজনের প্রভাবকে এড়িয়ে চলুন। ইহাকে বলা হয় সমালোচনা ভীতি। একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে যে আপনি নিজে কি চিন্তা করেন এবং নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি কি অনুভব করেন।

৮। নিজের সাথে এবং অন্যান্যদের সাথে সৎ থাকুন।
সর্বদাই নিজের সাথে এবং অন্যান্যদের সাথে সৎ থাকুন। সততা আপনাকে মানসিক শান্তি দিবে এবং মানসিক শান্তি একটি অমূল্য জিনিস। যেকোন সম্পর্কে সততা বজায় রাখুন কারণ সততাই হচ্ছে যেকোন সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

৯। যত পারেন নতুন নতুন লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করুন।
ব্যাপারটি হয়ত প্রথম দিকে অস্পষ্ট হতে পারে, কিন্তু আপনি যত বেশি নতুন লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তত বেশি আপনার সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। কখন কোন লোক আপনার কাজে লাগবে হয়ত আপনি নিজেও বলতে পারেন না। তবে লোকজনের সাথে আচরণ করার ক্ষেত্রে ভদ্রতা বজায় রাখুন।

১০। একাকী হওয়ার জন্য আলাদা সময় রাখুন।
নিজের সাথে সময় কাটানো বেশ চমৎকার। নিশ্চুপ, নিশব্দভাবে নিজের সাথে সময় কাটান, চিন্তা করুন এবং নিজের চেতনাকে অনুভব করুন। একটি চলচ্চিত্র বা নাটক দেখুন, কোথাও একা বেড়াতে যান। অবশ্য একা যাওয়ার চিন্তাটি একটু ভীতি উৎপাদন করতে পারে, তবে আপনি ব্যাপারটি কাজে লাগিয়ে দেখুন চমৎকার অভিজ্ঞতা পাবেন। আপনি নতুন জিনিস শিখতে পারবেন এবং নিজের প্রতি আরও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।

রচনাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে এবং মন্তব্য দিতে ভুলবেন না আমরা আপনার মন্তব্য শুনতে আগ্রহী ধন্যবাদ

তথ্য সহযোগিতায় - Success Magazine.