শুক্রবার, ২৭ মে, ২০১৬

বিশ্ববিখ্যাত একটি উপকথা “পশু বিদ্যালয়”।

বিশ্ববিখ্যাত একটি উপকথা “পশু বিদ্যালয়” লিখেছেন শিক্ষাবিদ ডক্টর আর. এইচ. রিভিস। এখানে তিনি ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলির গুরুত্বের মূল্যায়ন সম্বন্ধে চমৎকার ভাবে তুলে ধরেন। আমরা একটি সমাজে বাস করি। এখানে অনেক পুরুষ এবং নারী রয়েছে, যাদের চিন্তা একে অপরের থেকে ভিন্ন হতে পারে। একজন পুরুষের গুণাবলি অপর পুরুষের গুণাবলি থেকে ভিন্ন হতে পারে। এই ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলিকে আমাদের বুঝতে হবে যে আমার নিজের গুণাবলি থেকে অন্য একজনের গুণাবলি ভিন্ন হতে পারে। এই চিন্তা করার মতন সক্ষমতা তৈরির জন্য আমাদের আজকের এই উপকথা (মিথ্যা রচনা) “পশু বিদ্যালয়”।

একদা, পশুরা সকলে নিলে সিদ্ধান্ত নিল যে এই “নতুন বিশ্বের” সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার জন্য তাদেরকে অবশ্যই কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে, তাই তারা একটি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করলো। তারা একটি কার্যকলাপ ভিত্তিক পাঠ্যসূচি গ্রহণ করলো যা গঠিত ছিল দৌড়, গাছে চড়া, সাঁতার এবং উড়া সম্বন্ধীয়। তদারকি করার সুবিধার্থে সব পশুরা সবগুলো বিষয়ই নিলো।



হাঁস সাঁতারে ছিল দক্ষ, এমন কি তার শিক্ষকের চেয়েও উত্তম এবং উড়াতেও বেশ চমৎকার নম্বর নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু সে দৌড়ে খুবই অদক্ষ ছিল। যেহেতু সে দৌড়ে নম্বর কম পেয়েছে তাই তাকে বিদ্যালয় শেষে থাকতে হয় এবং দৌড় অনুশীলন করতে হয়। এভাবে দৌড় অনুশীলন করতে গিয়ে তাকে সাঁতারও ছাড়তে হয়। ইহা চালু ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না তার বুনট পাগুলো (জলচর পক্ষীর পায়ের আঙুলের মাঝখানের চামড়া) ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন সে সাঁতারে মধ্যম বা গড় নম্বর পায়। কিন্তু বিদ্যালয়ে গড় নম্বর গ্রহণযোগ্য, তাই এই নিয়ে একমাত্র হাঁস ব্যতীত আর কেউ উদ্বিগ্ন নয়।

খরগোশ শুরুর দিকে দৌড়ে শ্রেণির মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেত, কিন্তু তার স্বাস্থ্য ভেঙে গেল সাঁতারের এত গঠনপ্রণালী শিখতে গিয়ে।

কাঠবিড়াল গাছে চড়ায় অত্যন্ত দক্ষ ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না সে উড়া শ্রেণির পাঠ নিতে গিয়ে হতাশ হয়। যেখানে তার শিক্ষক তাকে মাটি থেকে গাছে চড়তে না দিয়ে গাছের চূড়া থেকে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করে। তাই সে দিন-রাত প্রয়াস চালাল। উড়া পাঠের প্রতি তার অতি প্রয়াসে সে গাছে চড়ায় পেল সি (C) এবং দৌড়ে পেল ডি (D)

ঈগল ছিল একটি দুষ্ট বালক এবং তাকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হত। গাছে চড়া শ্রেণিতে সে সকলের চেয়ে আগে গাছের চূড়ায় পৌঁছাতো, কিন্তু সে অন্যান্যদের মতন না করে তার নিজস্ব পন্থায় চূড়ায় পৌঁছে যেত।

বছরে শেষের দিকে, একটি প্রতিবন্ধী বানমাছ যে অতীব ভালো সাঁতার পারতো এবং অল্প কিছুটা দৌড়, গাছে চড়া, এবং উড়তে পারতো সে গড়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেল এবং তার প্রতি সকলের বিদায়কালীন শুভ কামনা রইল।



কুকুরগুলো অবশ্য বিদ্যালয়ের বাইরে ছিল এবং তারা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের (যারা বিদ্যালয় তদারকি করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করে) সাথে লড়াই করছিল, কারণ প্রশাসন মাটি গর্ত করা এবং ভরাট করাকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করে নাই। তারা তাদের শিশুদের নিজেরাই শিক্ষা দিতে আরম্ভ করলো এবং পরবর্তীতে গর্তকারী শূকররা, এবং ইঁদুররা একত্রিত হয়ে একটি সফল ব্যক্তিগত বিদ্যালয় চালু করলো।

এই উপকথায় যে সূত্রটি রয়েছে তা হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব বল রয়েছে এবং আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে সেগুলোকে বৃদ্ধি করতে হলে, আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এমন কোন কাজে ভালো হওয়ার চেষ্টা দ্বারা যা আমাদের জন্য স্বাভাবিক নয়।


যদি আপনি একজন নেতা বা অগ্রপথিক হয়ে থাকেন তবে চিন্তা করুন যে আপনার সংগঠনে বা প্রতিষ্ঠানে কোন কোন ব্যক্তি এই উপকথার হাঁস, খরগোশ, কাঠবিড়ালি এবং ঈগলের মতন, এবং সবার কাছ থেকে একটি গড় কর্মক্ষমতা পাওয়ার চেষ্টা না করে কিভাবে আপনি তাদের বিশেষ দক্ষতাগুলো এবং বলগুলো উত্তমভাবে প্রয়োগ করতে পারেন।

ভিন্ন ভিন্ন গুণাবলিকে মূল্যায়নের গুরুত্ব বুঝানোর জন্য একটি উপকথা (মিথ্যা রচনা) “পশু বিদ্যালয়”। রচনাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কোন মতামত থাকলে অনুগ্রহ করে জানান। আমরা আপনার মতামত জানতে আগ্রহী। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র – Covey. Stephen R. (1989). The 7 Habits of Highly Effective People. Free Press.

রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ১০১টি থেকে ১১০টি।


আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।

১০১। আপনি পিছনে ফিরে দেখতে পারবেন না। আপনাকে সামনে দেখতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে। - লুসি লিউ

১০২। বই পাঠ করে যদি বাস্তব জীবনে ইহার জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন তবেই সেই বইয়ের জ্ঞান সার্থক, নতুবা বই কেবল কাগজের দলা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

১০৩। ক্রমাগত প্রচেষ্টা! না শক্তি না বুদ্ধিমত্তা, হচ্ছে আপনার সম্ভাব্য ক্ষমতাকে বের করে আনার চাবি।
আপনার মধ্যে অসীম ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশের মহান এবং ধনী পুরুষরা - জহুরুল ইসলাম, জনাব আজাদ, জনাব খালেক এরা প্রত্যেকেই পুরুষ এবং এক সময় আমাদের মতন সাধারণ পুরুষই ছিলেন। কিন্তু তারা নিজেদের অন্ত:নিহিত অসীম ক্ষমতাকে ভিতর থেকে বের করে আনেন এবং নিজেকে তৈরি করেন; জহুরুল ইসলাম - ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, জনাব আজাদ - আজাদ প্রোডাক্টসের প্রতিষ্ঠাতা, জনাব খালেক - কেয়া কসমেটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা।

আপনিও পারবেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং এগিয়ে যান। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন। এগিয়ে যান, পরিকল্পনা করুন, ব্যর্থ হলে পুনরায় পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান। যতক্ষণ পর্যন্ত না সাফল্য অর্জন করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে যান।

১০৪। আপনার স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যকার ফাঁকা স্থান দেখে ভয় পাবেন না। যদি আপনি ইহা সম্বন্ধে স্বপ্ন দেখতে পারেন, তবে আপনি ইহা পূরণ করতেও পারবেন। - বেলভা ডেভিস



১০৫। যদি তোমার লক্ষ্য নিয়ে কেউ হাসি-তামাশা না করে, তবে বুঝতে হবে তোমার লক্ষ্যটি খুব ছোট। - আজিম প্রেমজি



১০৬। ঐ ব্যক্তিই প্রকৃত বুদ্ধিমান, যে নিজে নত হয়ে অপরকে বড় ভাবে। আর সে ব্যক্তিই নির্বোধ, যে সর্বদাই নিজেকে বড় ভাবে। - হযরত আলী (রাঃ)

১০৭। একমাত্র সেই লোকদের অনুসরণ করুন এবং শুনুন যারা সেই জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আপনি পৌঁছাতে চান।

১০৮। যদি আপনি চান যে আপনার স্বপ্ন পূরণ হোক তবে উঠে দাঁড়ান, কাজ করুন, এগিয়ে যান এবং সাফল্য অর্জন করুন। আপনার স্বপ্ন আপনাকেই পূরণ করতে হবে। কাজ করে যান। কিছু একটা করুন। থামবেন না।




১০৯। জীবনে ঝুঁকি নাও। যদি সফল হও তবে নেতৃত্ব দিতে পারবে। যদি ব্যর্থ হও তবে গাইড করতে বা নির্দেশনা দিতে পারবে।



১১০। যেকোন জিনিস যদি আপনি ভালোভাবে তৈরি করতে না পারেন, তবে অন্ততপক্ষে ইহাকে দেখতে ভালো দেখা যায় এমন করে তৈরি করুন। - বিল গেটস

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord.
খ। Success Magazine.
গ। Spirit Science.
ঘ। Brainy Quote.

বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬

ধারণা




ধারণা হচ্ছে একটি বাধা পার হতে একটি তড়িৎ চিন্তা। এই চিন্তা হঠাৎ উদয় হতে পারে অথবা একটি চিন্তাকে আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ আপনার মনে পোষণ করে রাখতে পারেন। ইংরেজিতে ধারণাকে বলা হয় Idea. একটি ধারণা একজন ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করতে বা সাফল্য অর্জন করতে অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান। একটি কাজ সম্পাদন করতে তৈরি করা একটি পরিকল্পনাও ধারণা হতে পারে।

সোমবার, ৯ মে, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ৯১টি থেকে ১০০টি।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।


৯১। জীবনে কঠিন বাধাসমূহ আসে তোমাকে ধ্বংস করতে নয়, বরং আসে তোমার ভেতর লুকানো অমিত শক্তি ও সম্ভাবনাকে অনুধাবন করাতে, বাধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও। - এ পি জে আবদুল কালাম


৯২। কখনো সত্যের পাশে দাঁড়াতে ভয় পাবেন না, যদিও আপনি একা হোন।

৯৩। যে ঝুঁকি নেওয়ার মতন সাহসী নয় সে জীবনে কিছুই অর্জন করতে পারে না। - মুহাম্মদ আলী

৯৪। বিজয় মূলত তাদের জন্য যারা সবচেয়ে বেশি অধ্যবসায়ী। - নেপোলিয়ন বেনাপোর্ট

৯৫। পুরুষ এমন ভাবে তৈরি যে যখন তার লক্ষ্য সম্বন্ধে সে নির্দিষ্ট এবং আকাঙ্ক্ষাটি জ্বলন্ত হয়ে ওঠে তখন অসম্ভবগুলো এই আগুনে জ্বলে ভস্ম হয়ে যায়। - জীন ডী লা ফাউন্টেন

৯৬। চমৎকার কিছু করুন, লোকজন হয়ত ইহা অনুকরণ করবে। - আলবার্ট সোয়েটজার

৯৭। স্বপ্ন দেখা ভালো, কিন্তু স্বপ্ন দেখা এবং কাজ করা হচ্ছে উত্তম। আস্থা শক্তিশালী, কিন্তু আস্থার সাথে কাজ করা হচ্ছে অধিক শক্তিশালী। আকাঙ্ক্ষা সাহায্যকারী, কিন্তু আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে অপরাজেয়। - থমাস রবার্ট গেইনস
আপনি আজ কি কাজ করেছেন আপনার স্বপ্ন পূরণে?


৯৮। অনেক লোকজনই সাফল্যের স্বপ্ন দেখে। আমার কাছে সাফল্যের সূত্র হচ্ছে - সাফল্য অর্জন করা যায় পুনঃপুন ব্যর্থতা এবং অন্তর্দর্শনের মাধ্যমে। - সোছিরো হোন্ডা

৯৯। লোকজন আসলে অবিস্মরণীয়, অসাধারণ কাজ করতে সক্ষম যখন তারা চিন্তা করা আরম্ভ করে যে তারা কাজগুলো করতে পারবে। যখন তারা নিজেদের ওপর বিশ্বাস করতে পারে তখনই তারা সাফল্যের প্রথম গোপন সূত্রটি পেয়ে যায়। - নরম্যান ভিসেন্ট পেইলী

১০০। আপনি যা চান তারজন্য জিজ্ঞেস করুন। সাহায্যের জন্য জিজ্ঞেস করুন, অংশগ্রহণ করতে জিজ্ঞেস করুন, পরামর্শ এবং ধারণার জন্য জিজ্ঞেস করুন -- কিন্তু কখনওই জিজ্ঞেস করতে ভয় পাবেন না। - ব্রায়ান ট্রেসি

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord.
খ। Success Magazine.
গ। Spirit Science.
ঘ। Brainy Quote.

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে আরও পৃষ্ঠা - ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০

রবিবার, ১ মে, ২০১৬

জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণরা।


জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে (UNDP এর Regional Human Development Report 2016) বাংলাদেশকে যে তরুণদের দেশ রূপে অভিহিত করা হয়েছে, সেটি একটি বড় সুযোগ। এখন জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশেরই বয়স ২৪ বছরের কম। যেকোনো দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য কর্মক্ষম জনশক্তিই সবচেয়ে বেশি এবং কার্যকর অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা (১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী) ১০ কোটি ৫৬ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে এটি বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৯৮ লাখে, যা মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ।

এই যে তরুণদের বাংলাদেশ, তার সুযোগটি আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি? তরুণদের কাজে লাগানোর উপায় হলোঃ

প্রথমত, তাদের বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা।

দ্বিতীয়ত, তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং কাজের সুযোগ প্রদান।

ইউরোপ, আমেরিকা, চিন এবং জাপানসহ যেসব দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি করেছে, তারা তাদের জনশক্তির সদ্ব্যবহার করেছে দেশের ভেতরে এবং বাইরে। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী ভারত এবং  শ্রীলঙ্কাও এক্ষেত্রে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু শিক্ষার হার বাড়লেও আমরা দেশের বর্ধিত চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তুলতে পারিনি। বিদেশে কর্মরত জনশক্তিরও বেশিরভাগ অদক্ষ।

আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন নয় বলেই বিশ্বে শিক্ষিত বেকারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। প্রতিবছর বর্ধিত হারে যে তরুণেরা শ্রম বাজারে আসছেন, তাদের কাজে লাগাতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় যেমন বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ আনতে হবে, তেমনি বাড়াতে হবে কর্মসংস্থানের পরিধিও। বর্তমানে দেশে প্রতিবছর ছয় লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয় বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। অন্যদিকে দেশে নারী শিক্ষার হার বাড়লেও এখনো কর্মক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি নগণ্য।

শ্রমশক্তির মান উন্নয়ন করতে না পারলে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ (Demographic Dividend) বোঝা হয়ে দেখা দিতে পারে বলে বিশেজ্ঞরা যে আশঙ্কা করছেন, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই, বর্ধিত কর্মশক্তির সুযোগ এবং সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চাই টেকসই পরিকল্পনা এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন।