রবিবার, ৩১ মে, ২০১৫

একটি মন সর্বোৎকৃষ্ট কাজ করে যাতে ইহা সর্বাধিক প্রয়োগ হয়।






আপনার কি একটি অবিরত উন্নয়ন কার্যপ্রণালী আছে আপনার সর্বাধিক মূল্যবান সম্পদ – আপনার মনের জন্য? নিশ্চিত করুন যে আপনি কমপক্ষে প্রত্যেক দিন আধা ঘন্টা অধ্যয়ন, চিন্তা এবং পরিকল্পনা করছেন। পুনর্বিচার করুন দীর্ঘ-মেয়াদী, মধ্যবর্তী-মেয়াদী এবং স্বল্প-মেয়াদী লক্ষ্যগুলো এবং উক্ত তারিখে আপনার অগ্রগতি পরিমাপ করুন। আপনি কি অনুসূচি অনুযায়ী এগুলোকে সম্পন্ন করছেন? নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, “কি তথ্য আমার কাছে নাই যা আমার লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমাকে সহায়তা করতে পারে?” তারপর আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি যোগাড় করুন এবং কাজে পরিণত করুন।

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

আত্ম-সহায়তা




আত্ম-সহায়তা বা আত্ম-উন্নতিসাধন হচ্ছে একটি আত্ম-নির্দেশিত উন্নতিসাধন – অর্থনৈতিকভাবে, বুদ্ধিমানভাবে বা অনুভূতিমূলক – প্রায়ই একটি মনস্তত্ত্বের বাস্তব ভিত্তিতে। [উন্নতিসাধন মানে সংশোধন এবং ক্রম বর্ধমান উন্নয়ন, ধাপে ধাপে বিকাশ লাভ করা]। বহু ভিন্ন ধরনের আত্ম-সহায়তা সঙ্ঘের অনুষ্ঠান বিদ্যমান, প্রত্যেকেরই রয়েছে এদের স্বীয় কেন্দ্রীভূত বিষয়গুলো, কৌশলগুলো, সংশ্লিষ্ট বিশ্বাসগুলো, প্রবক্তরা এবং কিছু ক্ষেত্রে নেতাগণ। আত্ম-সহায়তা আমাদেরকে বলবান কিছু শব্দ প্রদান করেছেঃ আরোগ্যলাভ, অক্রিয় পরিবারগুলো এবং অনির্ভরতা। [সক্রিয় এর বিপরীত অক্রিয়।]

আত্ম-সহায়তা প্রায়ই জনগণকে সুবিধা দিয়ে থাকে সহজলভ্য তথ্য বা সঙ্ঘবদ্ধ সমর্থন দ্বারা, যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তেমন ব্যক্তিগত ভাবেও। যেখানে একইরূপ অবস্থাগুলোর লোকজন একত্রে যুক্ত হন। আত্ম-চালনার বৈধ অনুশীলন এবং ঘরে-দেওয়া পরামর্শের আদি দৃষ্টান্তগুলো হইতে, শব্দটির অন্তর্নিহিত মানে ছড়িয়েছে এবং প্রায় বিশেষভাবে প্রয়োগ করা হয় শিক্ষা, ব্যবসা, মনস্তত্ত্ব এবং মনস্তত্ত্ব রোগের চিকিৎসায়, সাধারণভাবে বিতরণ করা হয় আত্ম-সহায়তা বইগুলোর জনপ্রিয় রীতির মাধ্যমে। এপিএ মনস্তত্ত্ব অভিধান অনুসারে, আত্ম-সহায়তা সঙ্ঘগুলোর সম্ভাবনাসূচক বা প্রচ্ছন্ন মুনাফাগুলো পাওয়া যেতে পারে যে পেশাদারীগণ হয়ত প্রদান করতে পারবেন না যেমন বন্ধুত্ব, অনুভূতিমূলক সমর্থন, অভিজ্ঞতামূলক জ্ঞান, অনন্যতা, দরকারি ভূমিকাগুলো এবং অধিকারভুক্ত হওয়ার একটি অনুভূতি।

সঙ্ঘগুলো যারা সংগঠিত হয় স্বাস্থ্যের শর্তগুলো বজায় রাখতে, হয়ত গঠিত হতে পারে রোগীদের এবং যত্ন দানকারীদের নিয়ে। অধিকন্তু, দীর্ঘ-সময়ের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো বিনিময় করেন [কোন কিছুর বিশিষ্ট অংশ যাহা মনোযোগ আকর্ষণ করে], এসকল স্বাস্থ্য সঙ্ঘগুলো হয়ে উঠতে পারে শিক্ষামূলক সামগ্রীর জন্য সমর্থিত সঙ্ঘগুলো এবং প্রধান দফতর রূপে। তারা যারা নিজেদের সহায়তা করে স্বাস্থ্য সমস্যা সম্বন্ধে শিখতে এবং সনাক্ত করতে, ইহাকে দৃষ্টান্ত রূপে বলা যায় আত্ম-সহায়তা, যখন আত্ম-সহায়তা সঙ্ঘগুলোকে আরও অধিক সঙ্গীর প্রতি সঙ্গীর সমর্থন দিতে দেখা যেতে পারে।

বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই লেখাটি আমি বাংলা উইকিপিডিয়াতেও দিয়েছি। বাংলা উইকিপিডিয়াতে রচনাটি দেখতে এখানে চাপ দিন আত্ম-সহায়তা

তথ্য সহযোগিতায় – বাংলা উইকিপিডিয়া।

শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

ব্যক্তিগত উন্নয়ন বিষয়ে কিছু আলোচনা।




ব্যক্তিগত উন্নয়ন সম্বন্ধীয় কার্যক্রমে যেগুলো অন্তর্ভুক্ত হয় সেগুলো হচ্ছে অনন্যতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি, সম্ভাবনা এবং বিশেষ দক্ষতা গঠন, মানব সম্পদ বা আত্মিক মূলধন বৃদ্ধি এবং কর্মের সামর্থ্য বৃদ্ধি করা এবং সহজ করা, জীবনের গুণাবলীকে প্রবল করা এবং স্বপ্নগুলো এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলোর স্পষ্ট উপলব্ধি ঘটানো যাতে সেগুলো কাজে লাগানো যায়, ধারণাটি কেবলমাত্র আত্ম-সহায়তার মধ্যে সীমিত নয়, বরং রীতি এবং অরীতি কার্যক্রমগুলো অন্তর্ভুক্ত যাতে অন্যান্যদেরকেও উন্নত করার জন্য ভূমিকা নেওয়া যায় যেমন শিক্ষক, নির্দেশক, পরামর্শদাতা, ব্যবস্থাপক, জীবন শিক্ষক বা গুরু। যখন প্রতিষ্ঠানগুলো প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত উন্নয়ন জায়গা নেয় বা অবস্থান করে, ইহা সুপারিশ করে পদ্ধতি, কার্যক্রম, সরঞ্জাম, প্রযুক্তি এবং নির্ধারণ প্রণালী যা সংগঠনগুলোর কর্মচারি পর্যায়ে ব্যক্তিগত উন্নয়নকে সমর্থন করে। [অনন্যতা মানে ভিন্ন নয়, একই অবস্থার মতন, যেমন আছে তেমন অবস্থায় বিরাজ করা।]

ব্যক্তিগত উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত করে পরবর্তী কার্যক্রমগুলোঃ

o   আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি
o   আত্ম-জ্ঞান বৃদ্ধি
o   নতুন দক্ষতাগুলো বৃদ্ধি বা শেখায়
o   একজন আত্ম-নেতা তৈরী করা
o   অনন্যতা বা আত্ম-সম্মান নির্মাণ করা বা পুনরায় নতুন করা
o   সামর্থ্যগুলো বা মেধাগুলো বিকশিত হয়
o   সম্পদ বৃদ্ধি
o   আত্মিক বর্ধন বা সম্প্রসার [সম্প্রসার মানে ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ]
o   সম্ভাবনাগুলো সনাক্ত করা বা বৃদ্ধি করা
o   কর্মদক্ষতা বা মানব মূলধন নির্মাণ [মানব মূলধন দুই প্রকার, যথাঃ বস্তুগত মূলধন এবং মানসিক মূলধন। বস্তুগত মূলধন হচ্ছে অর্থ, কাগজ, কলম এবং মানসিক মূলধন হচ্ছে জ্ঞান, নীতি, সত্য।]
o   জীবন ধরন বা জীবনের গুণ বর্ধিত করা
o   স্বাস্থ্য বৃদ্ধি
o   উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলোকে পরিপূর্ণ করা
o   জীবনের একটি অসমসাহসিক বা কঠিন কর্ম অথবা ব্যক্তিগত স্বশাসনের সূত্রপাত করা
o   ব্যক্তিগত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো সঠিক বা নির্ভুলভাবে স্থির করা এবং কার্যে পরিণত করা
o   সামাজিক কর্মদক্ষতাগুলো বৃদ্ধি

ব্যক্তিগত উন্নয়ন আরও সংযুক্ত করতে পারে অন্যান্য লোকজনের উন্নয়নকে। ইহা হয়ত ভূমিকার মাধ্যমে জায়গা নিতে পারে যেমন একজন শিক্ষক বা গুরু অথবা একটি ব্যক্তিগত দক্ষতায় (যেমন নির্দিষ্ট গুণসম্পন্ন ব্যবস্থাপকগণ যারা কর্মচারিদের কাজের সম্ভাবনা বিকশিত করার দায়িত্বে থাকেন) বা একটি পেশাদারি সেবা (যেমন প্রশিক্ষণ, নির্ধারণ বা গৃহে শিক্ষা দেওয়া)।

স্বকীয় বিকাশ এবং অন্যান্যদের উন্নয়ন ছাড়াইয়া, ব্যক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে অনুশীলন এবং গবেষণার একটি ক্ষেত্র। একটি অনুশীলন ক্ষেত্র রূপে ইহাতে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিগত উন্নয়ন পদ্ধতিগুলো, শিক্ষণীয় অনুষ্ঠানগুলো, নির্ধারণ ব্যবস্থাগুলো, যন্ত্রগুলো এবং কৌশলগুলো। একটি গবেষণা ক্ষেত্র রূপে ব্যক্তিগত উন্নয়নের আলোচনা বিষয়গুলো ক্রমবর্ধমান ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে বৈজ্ঞানিক সাময়িকীগুলোতে, উচ্চতর শিক্ষা পর্যালোচনায়, ব্যবস্থাপনা সাময়িকীগুলোতে এবং ব্যবসায়িক বইগুলোতে।

যেকোন রকমের উন্নয়ন – হতে পারে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, জীববিজ্ঞান, সাংগঠনিক বা ব্যক্তিগত – প্রয়োজন একটি কাঠামোবদ্ধ কাজ যদি একজন জানতে চায় প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তন হয়েছে কিনা। ব্যক্তিগত উন্নয়নের ঘটনায়, একজন স্বতন্ত্র প্রায়ই কাজ করেন যেন উন্নয়নের একজন প্রাথমিক বিচারক রূপে, কিন্তু যুক্তিসিদ্ধ উদ্দেশ্যের বিকাশে প্রয়োজন আদর্শ বিচারনীতি নির্ধারণ করা। ব্যক্তিগত উন্নয়নে কাঠামোবদ্ধ কাজগুলোতে অন্তর্ভুক্ত লক্ষ্যগুলো বা উচ্চাশাগুলো যা সীমা নিরূপণ করে একটি উন্নয়ন পথের প্রস্তর বরাবর এবং একটি প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যবস্থা যা পরিবর্তনের ফলে তথ্য প্রদান করে।

বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই লেখাটি আমি বাংলা উইকিপিডিয়াতেও দিয়েছি। বাংলা উইকিপিডিয়াতে রচনাটি দেখতে এখানে দেখুন ব্যক্তিগত উন্নয়ন

তথ্যসূত্রঃ

ক। উইকিপিডিয়া।

খ। প্লেটোর রিপাবলিক। অনুবাদক – সরদার ফজলুল করিম।