ব্যক্তিগত উন্নয়ন বিষয়ে কিছু আলোচনা।




ব্যক্তিগত উন্নয়ন সম্বন্ধীয় কার্যক্রমে যেগুলো অন্তর্ভুক্ত হয় সেগুলো হচ্ছে অনন্যতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি, সম্ভাবনা এবং বিশেষ দক্ষতা গঠন, মানব সম্পদ বা আত্মিক মূলধন বৃদ্ধি এবং কর্মের সামর্থ্য বৃদ্ধি করা এবং সহজ করা, জীবনের গুণাবলীকে প্রবল করা এবং স্বপ্নগুলো এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলোর স্পষ্ট উপলব্ধি ঘটানো যাতে সেগুলো কাজে লাগানো যায়, ধারণাটি কেবলমাত্র আত্ম-সহায়তার মধ্যে সীমিত নয়, বরং রীতি এবং অরীতি কার্যক্রমগুলো অন্তর্ভুক্ত যাতে অন্যান্যদেরকেও উন্নত করার জন্য ভূমিকা নেওয়া যায় যেমন শিক্ষক, নির্দেশক, পরামর্শদাতা, ব্যবস্থাপক, জীবন শিক্ষক বা গুরু। যখন প্রতিষ্ঠানগুলো প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত উন্নয়ন জায়গা নেয় বা অবস্থান করে, ইহা সুপারিশ করে পদ্ধতি, কার্যক্রম, সরঞ্জাম, প্রযুক্তি এবং নির্ধারণ প্রণালী যা সংগঠনগুলোর কর্মচারি পর্যায়ে ব্যক্তিগত উন্নয়নকে সমর্থন করে। [অনন্যতা মানে ভিন্ন নয়, একই অবস্থার মতন, যেমন আছে তেমন অবস্থায় বিরাজ করা।]

ব্যক্তিগত উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত করে পরবর্তী কার্যক্রমগুলোঃ

o   আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি
o   আত্ম-জ্ঞান বৃদ্ধি
o   নতুন দক্ষতাগুলো বৃদ্ধি বা শেখায়
o   একজন আত্ম-নেতা তৈরী করা
o   অনন্যতা বা আত্ম-সম্মান নির্মাণ করা বা পুনরায় নতুন করা
o   সামর্থ্যগুলো বা মেধাগুলো বিকশিত হয়
o   সম্পদ বৃদ্ধি
o   আত্মিক বর্ধন বা সম্প্রসার [সম্প্রসার মানে ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ]
o   সম্ভাবনাগুলো সনাক্ত করা বা বৃদ্ধি করা
o   কর্মদক্ষতা বা মানব মূলধন নির্মাণ [মানব মূলধন দুই প্রকার, যথাঃ বস্তুগত মূলধন এবং মানসিক মূলধন। বস্তুগত মূলধন হচ্ছে অর্থ, কাগজ, কলম এবং মানসিক মূলধন হচ্ছে জ্ঞান, নীতি, সত্য।]
o   জীবন ধরন বা জীবনের গুণ বর্ধিত করা
o   স্বাস্থ্য বৃদ্ধি
o   উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলোকে পরিপূর্ণ করা
o   জীবনের একটি অসমসাহসিক বা কঠিন কর্ম অথবা ব্যক্তিগত স্বশাসনের সূত্রপাত করা
o   ব্যক্তিগত উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো সঠিক বা নির্ভুলভাবে স্থির করা এবং কার্যে পরিণত করা
o   সামাজিক কর্মদক্ষতাগুলো বৃদ্ধি

ব্যক্তিগত উন্নয়ন আরও সংযুক্ত করতে পারে অন্যান্য লোকজনের উন্নয়নকে। ইহা হয়ত ভূমিকার মাধ্যমে জায়গা নিতে পারে যেমন একজন শিক্ষক বা গুরু অথবা একটি ব্যক্তিগত দক্ষতায় (যেমন নির্দিষ্ট গুণসম্পন্ন ব্যবস্থাপকগণ যারা কর্মচারিদের কাজের সম্ভাবনা বিকশিত করার দায়িত্বে থাকেন) বা একটি পেশাদারি সেবা (যেমন প্রশিক্ষণ, নির্ধারণ বা গৃহে শিক্ষা দেওয়া)।

স্বকীয় বিকাশ এবং অন্যান্যদের উন্নয়ন ছাড়াইয়া, ব্যক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে অনুশীলন এবং গবেষণার একটি ক্ষেত্র। একটি অনুশীলন ক্ষেত্র রূপে ইহাতে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিগত উন্নয়ন পদ্ধতিগুলো, শিক্ষণীয় অনুষ্ঠানগুলো, নির্ধারণ ব্যবস্থাগুলো, যন্ত্রগুলো এবং কৌশলগুলো। একটি গবেষণা ক্ষেত্র রূপে ব্যক্তিগত উন্নয়নের আলোচনা বিষয়গুলো ক্রমবর্ধমান ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে বৈজ্ঞানিক সাময়িকীগুলোতে, উচ্চতর শিক্ষা পর্যালোচনায়, ব্যবস্থাপনা সাময়িকীগুলোতে এবং ব্যবসায়িক বইগুলোতে।

যেকোন রকমের উন্নয়ন – হতে পারে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, জীববিজ্ঞান, সাংগঠনিক বা ব্যক্তিগত – প্রয়োজন একটি কাঠামোবদ্ধ কাজ যদি একজন জানতে চায় প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তন হয়েছে কিনা। ব্যক্তিগত উন্নয়নের ঘটনায়, একজন স্বতন্ত্র প্রায়ই কাজ করেন যেন উন্নয়নের একজন প্রাথমিক বিচারক রূপে, কিন্তু যুক্তিসিদ্ধ উদ্দেশ্যের বিকাশে প্রয়োজন আদর্শ বিচারনীতি নির্ধারণ করা। ব্যক্তিগত উন্নয়নে কাঠামোবদ্ধ কাজগুলোতে অন্তর্ভুক্ত লক্ষ্যগুলো বা উচ্চাশাগুলো যা সীমা নিরূপণ করে একটি উন্নয়ন পথের প্রস্তর বরাবর এবং একটি প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যবস্থা যা পরিবর্তনের ফলে তথ্য প্রদান করে।

বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই লেখাটি আমি বাংলা উইকিপিডিয়াতেও দিয়েছি। বাংলা উইকিপিডিয়াতে রচনাটি দেখতে এখানে দেখুন ব্যক্তিগত উন্নয়ন

তথ্যসূত্রঃ

ক। উইকিপিডিয়া।

খ। প্লেটোর রিপাবলিক। অনুবাদক – সরদার ফজলুল করিম।
ফজলে রাব্বি (Fazle Rabbi)

আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশ করা। saphollo.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন