রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৬

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে হবেই হবে দেখা দেখা হবে বিজয়ে।


"যদি লক্ষ্য থাকে অটুট
বিশ্বাস হৃদয়ে
হবেই হবে দেখা
দেখা হবে বিজয়ে।"

আপনাদের অনেকেরই নিশ্চয়ই মনে আছে ক্লোজ আপ ওয়ান-তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ এর থিম সংগীতটি। জনপ্রিয় এই গানটি আমাদেরকে শেখায় কি করে জীবনে বিজয়ের দেখা পাওয়া সম্ভব, কি করে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায়।

জীবনে সাফল্য অর্জন করতে আপনার দরকার দুইটি সূত্র :

১। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য।
২। বিশ্বাস।



ক। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য - একটি কাগজে পরিষ্কার করে এবং নির্দিষ্টভাবে লিখুন আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য।

খ। আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আপনি অর্জন করতে পারবেন। ইহাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করুন। হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করুন যে আপনি পারবেন।

এভাবেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন। আপনার কোন অভিমত বা পরামর্শ থাকলে নিচে মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। আর রচনাটি আপনার বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি শেয়ার করুন। এতে করে আপনিও তাদের কাছ থেকে আরও এমন বহু ইতিবাচক তথ্য পাবেন যা আপনার জীবনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা রূপে কাজ করবে।


তথ্য সহযোগিতায় :
ক। http://closeup1-2012.blogspot.com/2012/07/closeup-1-theme-song.html
খ। http://www.beshto.com/contentid/561081

সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

অনুপ্রেরণার প্রতীক - হেলেন কেলার।




গত শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর একজন হেলেন কেলার। উনি একজন অন্ধ, বধির এবং বোবা মহিলা ছিলেন। তার শিক্ষক ছিলেন সুলিভান। ৪৮ বছর যাবৎ তিনি হেলেন কেলারকে শিখিয়েছেন, তাকে বই পড়িয়ে শুনিয়েছেন। এইভাবে হেলেন স্নাতক পাশ করে।

সুলিভান তার স্বামী, সংসার সব ত্যাগ করেছিলেন হেলেনকে সহযোগিতা করার জন্যে। হেলেনের জন্যে বই পড়তে পড়তে মহান এই শিক্ষক শেষ বয়সে অন্ধ হয়ে যান। তার চেষ্টার ফলে হেলেন কেলার পরবর্তীতে কথা বলা শিখেন। হেলেনের জীবনের প্রথম বাক্য ছিলো, "আমি আর বোবা নই।"

পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিখ্যাত লেখিকা, অনুপ্রেরণার বক্তা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ হয়েছেন। নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাকে নিজ উদ্যোগে, সসম্মানে "ডক্টরেট" প্রদান করেছে। "অনুগ্রহ করে, আমাদের ডিগ্রীটি নিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে আপনাকে ডিগ্রী দিতে পারলে।" যদিও কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে একটা সময় ভর্তি করতেই চাইছিলো না।

খ্যাতি ছড়ানোর পর গ্রাহামবেল, রবীন্দ্রনাথ, আমেরিকা, জাপানের মন্ত্রীরা, চার্লি চ্যাপলিন সহ অনেকে উনার সাথে বন্ধুত্ব এবং আলাপ করেন।

হেলেন প্রায় ৯টি ভাষা জানতেন। গায়কের গলায় হাত রেখে জ্ঞানের কথা বুঝতেন। একবার তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, "আপনার যে দৃষ্টিশক্তি নেই, কানে শুনতে পান না, আপনার দুঃখ লাগে না?" হেলেন উত্তর দিয়েছিলেন, "আমার কাছে এতো কিছু আছে, যে কি নেই তা নিয়ে আমি চিন্তা করার মতন কোন সময় পাই না।"

তার মতে, "যার দৃষ্টিশক্তি আছে, কিন্তু জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই তার অবস্থা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ।" তাই, আজ থেকেই আত্মবিনাশী আলসেমী পরিহার করে আত্মবিশ্বাসী জীবন গড়ার সংকল্প করুন।

তথ্য সহযোগিতায় : আবেদ নিয়াজ, Corporate Ask এর প্রধান কার্যনির্বাহী।

রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬

অনুপ্রেরণার প্রতীক - ভুজিসিক নিক।




ভুজিসিক নিকের সবই আছে, খালি তিনটি হাত আর দুইটি পা নাই। তৃতীয় হাত বুঝেছেন তো? সবচেয়ে বড় হাত, অজুহাত।

উনি শামুকের মত শরীর বাকিয়ে চলাফেরা করেন। তারমানে, মাথা প্রথমে মেঝেতে ঠেকান, তারপর শরীরকে ভাঁজ করে সামনে এগোন।

পা না থাকলেও আল্লাহ তার শরীরের এক কোণা দিয়ে দুইটি আঙ্গুল বের করে দিয়েছেন। উনি দুই আঙ্গুল দিয়ে মিনিটে ৪৭টি শব্দ টাইপ করতে পারেন।

উনি এই দুই আঙ্গুল নিয়ে দুইবার স্নাতক পাশ করেছেন। ফাইনান্সিয়াল প্লানিং ও অ্যাকাউন্টিং। আমরা অনেকে অবশ্য দুইবার জন্ম নিয়েও দুইবার স্নাতক করার কথা চিন্তা করতেও পারি না।

উনি একজন অনুপ্রেরণার বক্তা। ৫৩ বার প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর উনি প্রথম বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। বক্তৃতার মঞ্চে প্রতিবন্ধী লোককে উঠতে দেখে ১০০০ জন শ্রোতার মধ্য থেকে ৯৯০ জন উঠে চলে যান।

ঐদিন কেবল মাত্র ১০ জন শ্রোতা অবশিষ্ট ছিলেন। কিন্তু উনি এখন পর্যন্ত, ৩০ লক্ষেরও অধিক লোককে অনুপ্রাণিত করেছেন।

উনি প্রেম করে বিয়ে করেছেন। উনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, "আপনার ছেলে-মেয়ে হলে তাদেরও যদি হাত পা না থাকে, তাহলে কি হবে।" উনি উত্তরে বলেছিলেন, "আমি তাকে আরেকটি ভুজিসিক নিক বানাবো।"

উনার নাম গ্রিনিচ বুক অফ ওয়ার্ডে উঠেছে কারণ উনি এক ঘন্টায় ১৮০০ লোককে বুকে জড়িয়েছেন এই জন্যে।

আমরা কত অসহায়। ভয়, আলসেমি, অজুহাতই আমাদের শেষ করে দিলো। জন্ম একবার হয়েছে, মৃত্যুও একবার হবে। দুর্বলদের মতন বারবার মরার মধ্যে বাড়তি নেকির কোন ব্যবস্থা নাই।

স্বামী বিবেকানন্দের কথা দিয়ে শেষ করছি। তিনি বলেছেন : "মৃত্যু যখন এত নিশ্চিত, তখন একটি মহান উদ্দেশ্যের জন্য জীবনপাত করার চেয়ে আর বড় জিনিস কিছু নেই।"

তথ্য সহযোগিতায় : আবেদ নিয়াজ, Corporate Ask এর প্রধান কার্যনির্বাহী।