সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২

আপনি কি জানেন, পরিকল্পনা বা লক্ষ্য কীভাবে তৈরি করতে হয়?

 সাফল্য অর্জনের অন্যতম সূত্র হচ্ছে আপনার চিন্তাভাবনা কাগজে লিখে ফেলা। কাগজকলম নিয়ে বসুন। মাত্র ৫ মিনিটেই এ প্রতিবেদন পড়তে পড়তেই তৈরি করে ফেলুন আপনার পরিকল্পনা বা লক্ষ্য।

How to make a goal or plan - Fazle Rabbi - Saphollo Prokasoni 

প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ—তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য স্পষ্টভাবে কাগজে লেখে। এই স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তিদের সাফল্যের মাত্রা, তাদের সমমানের শিক্ষার অধিকারী অথবা তাদের তুলনায় বেশি শিক্ষিত মানুষদের তুলনায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি—যারা অজ্ঞতার কারণে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো কাগজে লেখার সময় করে উঠতে পারে না।

 

আমেরিকান লেখক, কোচ ও স্পিকার অ্যান্টনি জে রবিনস (টনি রবিনস) বলেন, লক্ষ্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে আপনি এই প্রথম একটা অদৃশ্য আকাঙ্ক্ষাকে দৃশ্যমান জিনিসে পরিণত করলেন।

 

লক্ষ্য নির্ধারণ ও অর্জন বিষয়ে একটি শক্তিশালী ফরমুলা রয়েছে যা আপনি আজীবন ব্যবহার করতে পারবেন। এই ফরমুলা ৭টি সহজ ধাপের সমন্বয়ে গঠিত। এই ধাপগুলোর মধ্যে যেকোন ১টি আপনার বর্তমান প্রোডাক্টিভিটিকে দ্বিগুণ বা তিনগুণ করতে পারে। যদি ইতোমধ্যে আপনি তা ব্যবহার না করে থাকেন, তবে এখন কাগজকলম বসে যান। এই সহজ ৭ ধাপের কৌশল ব্যবহার করে আমার অনেক প্রশিক্ষণার্থী কয়েক বছর অথবা কয়েক মাসে তাদের আয় নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।

 

ধাপ ১: আপনি কী করতে চান সে ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিন। এই সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারেন অথবা আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো সম্পর্কে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানার চেষ্টা করতে পারেন—কোন কাজগুলো, কী ধরনের গুরুত্বের ধারাবাহিকতা আপনার কাছ থেকে আশা করা হচ্ছে। এটা খুবই আশ্চর্যজনক বিষয় যে—বহু কর্মী দিনের পর দিন অসংখ্য গুরুত্বহীন কাজ করে সময় নষ্ট করে, কারণ তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য তাদের বসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে না।

সময়ের নিকৃষ্টতম অপচয় ঘটে তখন, যখন এমন কোন কাজ খুব ভালোভাবে করা হয় যা করার আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল না। স্টিফেন কোভি বলেছেন, ‘যদি কোন কর্মী তার মই সঠিক দেয়ালে স্থাপন না করে, তাহলে তার প্রতি পদক্ষেপ অতি অল্প সময়ে তাকে ভুল জায়গায় পৌঁছে দিবে।’

কথায় বলে, আপনি কোন মই দিয়ে কোন বিল্ডিং এর চূড়ায় পৌঁছাতে চান তা আগে থেকে ঠিক করুন। কারণ চূড়ায় পৌঁছে যদি দেখেন ভুল জায়গায় এসেছেন তাহলে তো পণ্ডশ্রম। এজন্য স্টিফেন আর. কোভি বলেন, ‘যদি মইটি সঠিক দেয়ালে ঠেকানো না হয়, তবে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদেরকে দ্রুত ভুল জায়গায় নিয়ে পৌঁছায়।’

Inspirational Quote - Fazle Rabbi - Saphollo Prokasoni 

ধাপ ২: আপনার পরিকল্পনা একটি কাগজে লিখে ফেলুন। নিজের চিন্তাকে কাগজে স্থানান্তর করুন। যখন কোন উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য আপনি কাগজে লিখে লিখিত রূপ দেন, তখন সেটা স্পষ্টতা ও স্থায়িত্ব লাভ করে। আপনি এমন কিছু সৃষ্টি করেন যা দেখা ও স্পর্শ করা যায়। অন্যভাবে বলা যায়, যে লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য লিখিত রূপ পায় না—তা নিছক একটি ইচ্ছঅ বা কল্পনা আকারে থেকে যায়, যা অত্যন্ত অকার্যকর। ব্যক্তির অলিখিত লক্ষ্যসমূহ তাকে বিভ্রান্তি, অস্পষ্টতা এবং ভুল পথে চালিত করে।

 

ধাপ ৩: আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন। প্রয়োজনে সম্পূর্ণ কর্মসূচিকে সময়ের ভিত্তিতে একাধিক অংশে বিভক্ত করুন এবং প্রতিটি ভাগের জন্য আলাদা আলাদা ডেডলাইন তথা সময়সীমা দিন। একটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় যদি নির্ধারণ করা না হয়, তাহলে সেটা শেষ করার কোন তাগিদ থাকে না। এর বাস্তব কোন সূচনা বা সমাপ্তিও থাকে না। কোন প্রকল্প শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া না হলে অথবা সেটা সমাপ্ত করার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব কেউ গ্রহণ না করলে—স্বভাবতই কাজ নিয়ে গড়িমসি করা হবে এবং কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হবে না।

 

ধাপ ৪: আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেসব কাজ করা দরকার বলে আপনি মনে করেন, সেগুলোর একটি লিখিত তালিকা তৈরি করুন। যদি নতুন কোন কর্মকাণ্ডের চিন্তা মাথায় খেলে, তাও এই তালিকায় যোগ করুন। এভাবে তালিকাটি সম্পূর্ণ করুন। যে বৃহত্তর কাজ বা উদ্দেশ্য আপনি সম্পাদন করবেন তার একটি চাক্ষুষ ছবি এই তালিকা। এটা আপনার কর্মসম্পাদনের পথ, যার উপর দিয়ে হেঁটে আপনি সমাপ্তির দিকে অগ্রসর হতে পারবেন এবং এর ফলে আপনার কাজগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে।

 

ধাপ ৫: আপনার তালিকাটিকে একটি পরিকল্পনার আকৃতি দিন। এতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো গুরুত্বের ক্রমানুসারে এবং সময়ের পরম্পরা অনুযায়ী সাজান। অর্থাৎ কোন কাজের পর কোনটি সম্পাদন করবেন—এমন ধারাবাহিকতা। প্রথমে কী করবেন এবং পরে কী করা যাবে, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কিছু সময় নিন। ভেবে ঠিক করুন—অন্য কিছুর আগে কী করা দরকার এবং পরে কোন কাজটি করা সুবিধাজনক ও যুক্তিসঙ্গত হবে।

এর তুলনায় কার্যকরী কৌশল হল আপনার পরিকল্পনাগুলো কাগজের উপর ধারাবাহিক বর্গক্ষেত্র অথবা বৃত্ত আকারে অঙ্কন করা এবং সরল রেখা বা তীরচিহ্ন এঁকে কাজগুলোর একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক প্রদর্শন করা। কাজের প্রতিটি ধাপকে এভাবে রেখাচিত্রের আকারে বিভক্ত করার ফলে আপনার লক্ষ্য অর্জন যতটা সহজ হবে, তা প্রত্যক্ষ করে আপনি বিস্মিত হবেন।

এমন অঙ্কিত লক্ষ্য এবং কর্মসম্পাদনের সুশৃঙ্খল পরিকল্পনার সাহায্যে আপনি সেসব ব্যক্তিদের তুলনায় অনেক বেশি উৎপাদনশীল ও দক্ষ হয়ে উঠবেন, যারা নিজেদের পরিকল্পনাগুলোকে তাদের চিন্তার মাঝে সীমাবদ্ধ রাখে।

 

ধাপ ৬: অতি দ্রুত আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করুন। আপনার তালিকার ক্রমানুসারে যে কোন একটি কাজ আরম্ভ করে দিন। দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করা একটি মধ্যম মানের পরিকল্পনা, কার্যকর না করা একটি উৎকৃষ্টতর পরিকল্পনার তুলনায় শ্রেষ্ঠ। যে কোন ধরনের সাফল্য লাভের জন্য কর্মসম্পাদনই মূল বিষয়।

 

ধাপ ৭: সিদ্ধান্ত নিন প্রতিদিন এমন কিছু কাজ করবেন যা আপনাকে আপনার প্রধান লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর করবে। এই কার্যক্রমকে আপনার দৈনিক রুটিনে পরিণত করুন। আপনার কাজ বা ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান বা খদ্দেরদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন; দিনের কিছুটা সময় ব্যায়াম করতে পারেন; কোন বিদেশী ভাষার নতুন কিছু শব্দ শিখতে পারেন। কোন না কোন ফলপ্রসূ কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন যাতে আপনার একটি দিনেরও অর্থহীন অপচয় না ঘটে।

দৃঢ়তার সাথে অগ্রসর হোন। একবার যখন সক্রিয় হবেন, তখন অলসতাকে উপেক্ষা করে চলার গতি অব্যাহত রাখবেন। আপনার এই সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলাবোধ এককভাবে আপনার প্রজন্মের যেকোন ব্যক্তির তুলনায় আপনাকে অধিক উৎপাদনশীল ও সফল মানুষে পরিণত করবে। মিকি মাউস এবং ডিজনিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনি বলেন, "আমাদের সব স্বপ্নই পূরণ হতে পারে, যদি আমরা সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করি।" তাই আজই আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা করুন এবং আপনি কী করতে চান তা কাগজেকলমে লিখে ফেলুন।

এ সম্পর্কিত আরও লেখা পড়তে ক্লিক করুন সাফল্য ব্লগ। অথবা বই পড়তে অর্ডার করুন: থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ, সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড, ওয়ান স্মল স্টেপ ক্যান চেঞ্জ ইউর লাইফ, টাইম ম্যানেজমেন্ট, গেট স্মার্ট বা ইট দ্যাট ফ্রগ

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২

কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করবেন?


ছবিসূত্র: https://www.wikihow.com/Be-Confident

অনুপ্রেরণা কী? এটাকে এক ধরনের ভেতরগত তাগিদ বলতে পারে। যা আপনাকে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে উৎসাহ দেয় বা উদ্যোমী করে তোলে। একে এক ধরনের আশাও বলতে পারেন। কারণ আশা আছে বলেই তো মানুষ বেঁচে আছে। আর নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে দূরবর্তী সেই আশাকেই কাজে লাগান।


নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে হলে প্রথমে একজনকে জানতে হবে মানুষের প্রতিটি কাজকর্মের পিছনে কারণ কী। তাই নিয়ে আমরা কথা বলব। মানুষের প্রতিটি কাজকর্মের পিছনে ১০টি কারণ থাকে।

১। নিজেকে সংরক্ষণ করার আকাঙ্ক্ষা

২। ভালোবাসার অনুভূতি

৩। ভয়ের অনুভূতি

৪। যৌনতার অনুভূতি

৫। মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রতি আকাঙ্ক্ষা

৬। দেহ ও মনের মুক্তির প্রতি আকাঙ্ক্ষা

৭। রাগের অনুভূতি

৮। ঘৃণার অনুভূতি

৯। সামাজিক স্বীকৃতি ও আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা

১০। দুনিয়ার সম্পত্তির প্রতি, জিনিসের প্রতি আকাঙ্ক্ষা


আমি নিজেকে কীভাবে অনুপ্রাণিত করি? আমি স্বপ্ন দেখি, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ, সফল এবং উন্নত দেশে পরিণত হবে। যেখানে প্রত্যেক নাগরিক তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সেই স্বপ্নই আমাকে আশা দেখায়, কাজ করার প্রেরণা যোগায়। একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলছি। এক্ষেত্রে আমার প্রতিটি কাজকর্মের পিছনে সামাজিক স্বীকৃতি ও আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা কাজ করে।


আমি মনে করি, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। দরকার কেবল সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মতো যথেষ্ট পরিমাণ সুযোগের। তাই আমরা নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি অন্যদের জন্য সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমেও নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পারি। এই বিশ্বাস আমি পেয়েছি নেপোলিয়ন হিল এবং ডব্লিউ ক্লেমেন্ট স্টোন রচিত অসামান্য গ্রন্থ সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড থেকে।


সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড বই অর্ডার করতে লিংকে ক্লিক করুন।


নিজেকে উদ্বুদ্ধ রাখতে এ ৫ পরামর্শ কাজে লাগাতে পারেন।

  • প্রতিদিন একই সময়ে কাজ করার মাধ্যমে নতুন নতুন ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • নিজের পোশাকের দিকে মনোযোগ দিন।
  • অন্যদের সাফল্য এবং ব্যর্থতার গল্প থেকে শিক্ষা নিন।
  • ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যান।
  • টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে শিখুন।


এ ধরনের আরও কার্যকর লেখা পড়তে ক্লিক করুন সাফল্য ব্লগ


তথ্য সহযোগিতায়:

- সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড বই

- উইকি হাউ ডটকম

- প্রথম আলো পত্রিকা

- ঠিক ধারণা ব্লগ

- সাফল্য ব্লগ

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২২

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোন ১০টি সফটওয়্যার কাজে দিবে?

আপনি কি ছাত্র, নাকি পেশাজীবী? ব্যবসায়ী অথবা অন্য কোন পেশায় যুক্ত? যে কাজই করুন না কেন নিজেকে এগিয়ে রাখতে এই ১০টি সফটওয়্যার এর জুড়ি নেই। আর ছাত্রাবস্থা থেকেই যদি এসব সফটওয়্যার সম্পর্কে কাজ জেনে রাখেন তবে তা ভবিষ্যৎ জীবনেও কাজে লাগবে।
১। লেখালিখির জন্য MS Word বা Google Word। 
২। প্রেজেন্টেশনের জন্য MS Power Point বা Google Slides
৩। হিসাবনিকাশ করতে MS Excell বা Google Sheets 
৪। Mat Lab
৫। Photoshop
৬। Mircrosoft movie maker or Adobe Premier Pro
৭। Adobe Illustrator
৮। SPSS statistics
৯। Enterprise Resourse Software or SAP
১০। Sell force or Tally

এছাড়াও শিখতে পারেন Endnote, Adobe Acrobat Reader editor or Foxit PDF editor

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো পত্রিকা

যেকোনো বিষয়ের সেরাটা খুঁজে বের করতে ব্যবহার করুন সোয়াট বিশ্লেষণ পদ্ধতি

ছবিসূত্র: https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/0/0b/SWOT_en.svg

সোয়াট বিশ্লেষণ (বা সোয়াট ম্যাট্রিক্স ) হলো একটি কৌশলগত পরিকল্পনা এবং কৌশলগত ব্যবস্থাপনা কৌশল যা একজন ব্যক্তি বা সংস্থাকে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বা প্রকল্প পরিকল্পনার সাথে সম্পর্কিত শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ ও হুমকি সনাক্ত করতে সাহায্য করে। একে কখনও কখনও পরিস্থিতিগত মূল্যায়ন বা পরিস্থিতিগত বিশ্লেষণ বলা হয়। একই উপাদান ব্যবহার করে অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত TOWS মধ্যে রয়েছে TOWS এবং WOTS-UP ।

এই কৌশলটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের সংস্থার (লাভকারী উদ্যোগ, স্থানীয় ও জাতীয় সরকার, এনজিও ইত্যাদির কৌশলগত অবস্থানের মূল্যায়নের জন্য একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ) [৪] এটি উদ্যোক্তা বা প্রকল্পের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অনুকূল এবং প্রতিকূল অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণগুলো সনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত। একটি SWOT বিশ্লেষণের ব্যবহারকারীরা প্রায়শই টুলটিকে উপযোগী করতে এবং তাদের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা চিহ্নিত করতে প্রতিটি বিভাগের জন্য অর্থপূর্ণ তথ্য তৈরি করতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে ও জবাব দেয়। SWOT কে কৌশলগত বিশ্লেষণের একটি পরীক্ষিত এবং সত্য হাতিয়ার হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, [৫] কিন্তু এর সীমাবদ্ধতার জন্যও সমালোচিত হয়েছে এবং বিকল্পগুলো তৈরি করা হয়েছে।


মোটামুটিভাবে সোয়াট শব্দের শাব্দিক অর্থ:

সোয়াট (SWOT) নামটি হচ্ছে চারটি উপাদানের সংক্ষিপ্ত রূপ:


শক্তি: শক্তি হচ্ছে ব্যবসা বা প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য যা একে অন্যদের তুলনায় একটি সুবিধা দেয়

দুর্বলতা: দুর্বলতা হচ্ছে এমন বৈশিষ্ট্য যা ব্যবসা বা প্রকল্পকে অন্যদের তুলনায় একটি অসুবিধার মধ্যে রাখে

সুযোগ ও সম্ভাবনা: ব্যবসা বা প্রকল্প পরিবেশের উপাদান যা ব্যবসা বা প্রকল্প তার সুবিধার কাজে লাগাতে পারে

হুমকি: এমন কোনো উপাদান যা ব্যবসা বা প্রকল্পের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে


মূল্যায়নের ফলাফলগুলো প্রায়শই একটি ম্যাট্রিক্স আকারে বা কেবল অনুচ্ছেদ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়।


তথ্যসূত্র:

১। সোয়াট বিশ্লেষণ

২। গুগল ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২

সফলতার তিনটি ধাপ

সফলতার অর্থ সফলভাবে বাঁচা। দীর্ঘ সময় ধরে শান্তি, আনন্দ এবং সুখ বিরাজ করলে তা সফলতায় রূপান্তরিত হয়। 

সফলতার তিনটি ধাপ।

সফলতার প্রথম ধাপ হলো আপনি কী করতে ভালোবাসেন তা খুঁজে বের করুন, তারপর সেটা করুন। কাজকে ভালোবাসলেই সফলতা আসে। কোনো মানুষ যদি মনোবিদ হন, তবে তার একটি ডিপ্লোমা দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখাটাই যথেষ্ট হবে না, তদুপরি তাকে অবশ্যই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সম্মেলনে যোগদান করতে হবে, পড়াশোনা ও কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে। একজন সফল মনোবিদকে ক্লিনিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমসাময়িক সর্বশেষ প্রাপ্ত বিজ্ঞানভিত্তিক লেখাগুলোও পড়ে নিতে হবে। 

সাফল্যের দ্বিতীয় ধাপটি হল কাজের কিছু বিশেষ শাখাতে পারদর্শী হওয়া অর্থাৎ অন্য কারও চেয়ে ঐ বিষয়ে আরও বেশী জানুন। উদাহরণস্বরূপ  বলা যায়, যদি কোনো যুবক রসায়নবিদ্যাকে তার পেশা হিসাবে বেছে নেন, তবে তিনি অবশ্যই এর অনেক শাখার মধ্যে যে কোন একটিতে মনোনিবেশ করবেন। তার সব সময় ও মনোযোগ তার পছন্দের বিষয়েই দেওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রে যা কিছু জানার আছে তা জানার আছে তা জানার জন্য তাকে যথেষ্ট উৎসাহী হতে হবে এবং সম্ভব হলে অন্যদের চেয়ে বেশি জানতে হবে। তরুণদের কাজের প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ থাকতে হবে এবং জগতের সেবা করার আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। 

সাফল্যের তৃতীয় ধাপটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনি যা করতে চান তা যেন শুধু আপনার সফলতার জন্য না হয়। আপনার ইচ্ছা যেন স্বার্থপরের মতো না হয়, এর দ্বারা অবশ্যই যেন মানবতার উপকার হয়। একটি সম্পূর্ণ বৃত্ত যেন গঠিত হয়। অন্যভাবে বললে, আপনার ভাব যেন প্রসারিত হয়ে আশীর্বাদস্বরূপ বর্ষিত হয় এবং বিশ্বের সেবা করে। 

আমরা যা কিছু চিন্তা করি ও অনুভব করি, তাই সৃষ্টি করি। আমরা সেটাই সৃষ্টি করি যা বিশ্বাস করি। এমনকি একজন প্রতারণা করে তার ভাগ্য নির্মাণ করতে পারে। তাই বলে তাকে সফল বলা যাবে না। মনের শান্তি ব্যতিরেকে সফলতা আসে না। সেই সম্পদ পাওয়ার কী লাভ যাতে রাতে ঘুম আসে না, শরীর খারাপ হয় বা নিজেকে দোষী মনে হয়।

সাফল্য নিছক অর্থ সংগ্রহের চেয়ে উচ্চতর আদর্শের উপর বেশি নির্ভরশীল। যার দুর্দান্ত মানসিক ও আধ্যাত্মিক বোঝাপড়া রয়েছে তিনি সফল। 

সফলতাত তিনটি ধাপের কথা ভাবলে আপনার  অবচেতন মনের সৃজনশীল শক্তির কথা কখনোই ভুলবেন না। সফলতার পিছনে এই শক্তিই কাজ করে। আপনার চিন্তা সৃজনশীল। চিন্তা অনুভূতির সঙ্গে মিশে গিয়ে বিশ্বাসে পরিণত হয় এবং আপনার বিশ্বাসের ফলে তা কার্যে পরিণত হয়। 

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২

সাফল্য প্রকাশনীর Mission Statement:

সাফল্য প্রকাশনীর Mission Statement:
- সাফল্য প্রকাশনী মূলত আপনার সাফল্যের সারথি, সহযোগী।
- পাঠক যেন তার ব্যক্তি জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয় সেজন্য সাফল্য প্রকাশনী সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে।
- আমরা নিজেরা বই পড়ি এবং নতুন নতুন আইডিয়া সম্পর্কে সচেতন হই। তারপর পাঠকদের এসব নতুন আইডিয়া সম্পর্কে জানাই।

রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২২

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কেন মানুষের জীবন বদলে দেয়?

ছবিসূত্র: https://www.wonderopolis.org/wonder/do-you-have-a-positive-attitude

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের দেখার নজরকে স্বচ্ছ করে এবং ঘটনার ভালো দিক দেখতে সাহায্য করে। আর আপনি যখন জীবনের সদর্থক দিক সম্পর্কে সচেতন হন, তখন জীবন আরও সমৃদ্ধ ও সাফল্যমণ্ডিত হয়ে ওঠে। নিচে পড়ুন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ৭টি উক্তি যা আপনার জীবন বদলে দিবে। উক্তিগুলো নেওয়া হয়েছে সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড বই থেকে।

১। ❝একটি ভালো বইয়ের লক্ষণ হচ্ছে বইটি আপনার জীবনকে স্পর্শ করবে।❞ – বিখ্যাত ডেনিশ দার্শনিক ও ধর্মীয় চিন্তাবিদ সারেন কিয়েরকেগর

২। ❝যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরতে পারে, অধ্যবসায় এবং ঘাম ঝড়াতে পারে তার সাফল্য নিশ্চিত।❞ – নেপোলিয়ন হিল

৩। ❝নেতিবাচক আবেগ, অনুভূতি বা নেতিবাচক কিছুর প্রতি আগ্রহ আমাদের চিন্তায় মাকড়সার জাল তৈরি করে।

❝প্রায়ই এমন অনেক কাজ আমরা করে ফেলি যা আমরা করতে চাই না। এটা হচ্ছে নেতিবাচক অভ্যাসের ফল। আমরা যা চাই, আমরা সেভাবে নিজেকে না তৈরি করে যেভাবে আমরা নিজেকে চাই না সেভাবে অভ্যাস গঠন করি।❞

৪। ❝আপনার মনের মধ্যে কেবল সেই জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করুন যেগুলো আপনি চান, আর যেগুলো চান না সেগুলো নিয়ে চিন্তা করবেন না বা তেমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।❞

৫। ❝আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে লোকজনের সাথে ভদ্র ব্যবহার করা।❞ – সক্রেটিস

৬। ❝অজ্ঞতা কী জিনিস? একজন ব্যক্তি যখন পূর্ণ তথ্য না নিয়ে এবং সত্য না জেনেই সিদ্ধান্ত নেয় – এটাই অজ্ঞতা। বিশেষ করে এই অজ্ঞতার মধ্যেই নেতিবাচক মনোভাব বেঁচে থাকে, মোটাসোটা হয়ে ওঠে। এটা দূর করুন!❞

৭। নিজেকে বলুন। নিজেকে স্বপরামর্শ দিন। ❝দিনের পর দিন, প্রতিটি পথে, আমি ভালো থেকে আরও ভালো হচ্ছি।❞

❝দিনের পর দিন, প্রতিটি পথে, আল্লাহর রহমতে আমি ভালো থেকে আরও ভালো হচ্ছি।❞

❝আপনি যদি বিশ্বাস করেন আপনি পারবেন, আপনি আসলেই পারবেন!❞

আশা করি, এ উক্তিগুলো আপনার জীবনকে সুখ ও সমৃদ্ধির স্পর্শে ঋদ্ধ করবে।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

আপনি কি দ্রুত কাজ শেষ করে পরিবারকে সময় দিতে চান?

মেয়ে: ❝মা, মা, বাবা কেন প্রতি রাতে অনেক কাগজপত্র নিয়ে বাসায় আসে? রাতভর কাজ করে? কেন আমাদের সাথে সময় কাটায় না?❞
মা: ❝মামণি, মন খারাপ করে না। তোমার বাবার অনেক কাজ। অফিসে কাজ শেষ করতে পারে না। তাই বাসায় এসেও কাজ করে।❞
মেয়ে: ❝তাহলে ওরা বাবাকে ধীরে কাজ করে এমন বাচ্চাদের ক্লাসে দিচ্ছে না কেন?❞

আমরা কাজ করি, যাতে করে কাজ শেষে পরিবারকে সময় দিতে পারি। সময়মতো কাজ শেষ করলে সন্তানের এমন কথা শুনতে হবে না। সময়মতো কাজ শেষ করে পরিবারকে বেশি বেশি সময় দিতে চাইলে পড়ুন ইট দ্যাট ফ্রগ! এ বইয়ে আছে গড়িমসি অভ্যাস ত্যাগ করা এবং অল্প সময়ে আরও বেশি কাজ দক্ষভাবে সম্পন্ন করার ২১টি বাস্তবসম্মত উপায়।

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন সাফল্য ডটকম: https://saphollo.com/

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

সাফল্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আত্ম-উন্নয়নমূলক বইসমূহ


সাফল্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আত্ম-উন্নয়নমূলক বই নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটে:

Name: Saphollo Prokasoni

Address: 302, Lalbag Road, Ward No. 25, Lalbag, Dhaka-1211
Phone number: +8801534902882, +8801682058171,
Website: www.saphollo.com


সাফল্য প্রকাশনীর Mission Statement:

- সাফল্য প্রকাশনী মূলত আপনার সাফল্যের সারথি, সহযোগী।

- পাঠক যেন তার ব্যক্তি জীবনে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয় সেজন্য সাফল্য প্রকাশনী সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে।

- আমরা নিজেরা বই পড়ি এবং নতুন নতুন আইডিয়া সম্পর্কে সচেতন হই। তারপর পাঠকদের এসব নতুন আইডিয়া সম্পর্কে জানাই।

বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

জীবনের ৮০% সমস্যার সমাধান করুন মাত্র ৭টি উপায়


১। সকালবেলার একটি অভ্যাস গড়ে তুলুন।

২। সোশ্যাল মিডিয়া চালানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন।

৩। কিছু কিছু ব্যাপারে কোন আপস নয়।

৪। কোন একটা কাজ করতে যদি ৫ মিনিটের কম সময় লাগে তবে কাজটি সাথে সাথে করুন।

৫। যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নিন।

৬। ৮০/২০ সূত্র মেনে চলুন।

৭। ঘুমানোর আগেই পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা করে রাখুন।

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২

বয়েলিং ফ্রগ সিনড্রোম একটি জনপ্রিয় মেটাফোর

বয়েলিং ফ্রগ সিনড্রোম একটা জনপ্রিয় মেটাফোর।


একটা ব্যাঙ কে যদি আপনি একটি পানি ভর্তি পাত্রে রাখেন এবং পাত্রটিকে উত্তপ্ত করতে থাকেন তবে ব্যাঙটি পানির তাপমাত্রার সাথে সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রা ভারসাম্যে রাখতে থাকে। সে পানির উত্তাপ সহ্য করতে থাকে, লাফ দিয়ে বেরোনোর পরিবর্তে।

কিন্তু একসময় পানির প্রচন্ড তাপমাত্রা ব্যাঙের শরীর আর মানিয়ে নিতে পারে না। যখন সে আর পানির প্রচন্ড তাপমাত্রা তার শরীরের তাপমাত্রার সমতায় আসতে পারে না, তখন ব্যাঙটি ফুটন্ত পানির পাত্র থেকে লাফ দেয়ার স্বীদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু হায়! সে লাফ দিতে পারে না তখন, কারণ সে তার সমস্ত শক্তি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে ব্যায় করে ফেলেছে। অত:পর সে পানিতে সেদ্ধ হতে থাকে।

তার মৃত্যুর কারণটা আসলে গরম পানি না, বিপদজনক পরিস্থিতির শুরুতে সেই পরিস্থিতি অস্বীকার করে লাফ না দেয়াটা তার মৃত্যুর কারণ। সব কিছু সহ্য করে নেবার মত বড় ভুল তার মৃত্যুর কারণ। মানিয়ে নেবার, পাত্রের পানি গরম কেন তার প্রতিবাদ না করে বরং তার সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়াই তার জীবন্ত সেদ্ধ হবার কারণ। সঠিক স্বীদ্ধান্ত সঠিক সময়ে না নেয়াই তার মৃত্যুর কারণ।

হঠাৎ করে সেই সিদ্ধ হওয়া ব্যাঙের কথা মনে পড়লো। খুব সম্ভবত আমরাও ঐ ব্যাঙের মত আমাদেরকে মানিয়ে নিচ্ছি আমাদের চারপাশের সাথে। সহ্য করছি সব, আর ভাবছি টিকে আছি, টিকে থাকবো। আসলে আমরা সেই বয়লিং ফ্রগ সিনড্রোমে আক্রান্ত। যখন বুঝবো, তখন ডিসিশান মেকিং এর কোন শক্তিই আর শরীরে অবশিষ্ট থাকবে না।

মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

কিছু অবাক করা মজার তথ্যে যা আমরা অনেকেই জানি না !

কিছু অবাক করা মজার তথ্যে যা আমরা অনেকেই জানি না !


★প্রাচীনকালে মিশরে মমি পুড়িয়ে আগুন তৈরি করা হতো। কারণ, সেখানে কাঠের সল্পতা ছিলো, কিন্তু মমির স্বল্পতা ছিল না।

★অ্যান্টার্কটিকাতে সবচেয়ে মোটা (প্রস্থে) বরফের টুকরাটির ব্যাসার্ধ ৩ মাইল!!
★পৃথিবীর মোট বিক্রি হওয়া ৯৬ শতাংশ মোমবাতিই মেয়েরা কিনে।
★পাবলিক টয়লেট বা বাথরুম ব্যবহার করার পর বিশ্বের ৪২ শতাংশ পুরুষ এবং ২৫ শতাংশ নারীই তাদের হাত পরিষ্কার করেন না।
★সুইজারল্যান্ডের মানুষরা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চকলেট খায়। বছরে গড়ে প্রতিজন খায় প্রায় ১০ কেজি করে।
★প্রতি মিনিটে পুরো বিশ্বে ৬ হাজার বা তার অধিকবার বজ্রপাত হয়!
★আফ্রিকা মহাদেশে অন্য যে কোনো প্রাণীর আক্রমণের চেয়ে জলহস্তীর আক্রমণে বছরে বেশি মানুষ মারা যায়।
★ফ্রেন্স ফ্রাইয়ের জন্মস্থান ফ্রান্সে নয়, বরং বেলজিয়ামে।
★কোথাও ভ্রমণ করার সময় মানুষ টুথব্রাশ নিতে সবচেয়ে বেশি ভুলে যায়।
★আগস্ট মাসে জন্মহার অন্য সব মাসের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ বিশ্বে আগস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি জন্মদিন পালন করা হয়।
★যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো খাবার আপনার মুখের লালার সঙ্গে না মিশে আপনি ততক্ষণ সেই খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন নাং
★অধিকাংশ লিপস্টিক তৈরিতে মাছের আঁশ ব্যবহার করা হয়।
★পাখিদের খাদ্য গেলার জন্য অভিকর্ষজ বলের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ কোনো পাখিকে যদি চাঁদে নিয়ে খাবার খেতে দেয়া হয়, তবে সেটি খাবার গিলতে পারবে না।
★পৃথিবীর মোট উৎপাদিত খেলনার মধ্যে ৭০ ভাগই চীন তৈরি করে থাকে!
★ভারতে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি সংখ্যক পোস্ট অফিস রয়েছে?
★ইংরেজি ‘level’ শব্দটির অক্ষরগুলো উল্টে দিলেও তা একই থাকবে!
★ইংরেজি বর্ণমালায় সর্বাধিক ব্যাবহার করা বর্ণ হলো ‘E’ এবং সবচেয়ে কম ব্যবহার করা বর্ণ হলো ‘Q’।
★একটি ডিমে শুধু ভিটামিন সি বাদে অন্য সব প্রকার ভিটামিন থাকে!
★নারীদের হার্ট পুরুষদের হার্টের চেয়ে দ্রুত স্পন্দিত হয়।
■শুধু হৃৎপিণ্ডই নয়, নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশি চোখের পাতাও দ্রুত ফেলে!! (প্রায় দিগুন দ্রুত)
ধন্যবাদ 😊

সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২২

লিডারশিপ বইয়ের পর্যালোচনা



মহান নেতৃত্ব কোন রহস্য নয়; বরং এটা এক ধরনের দক্ষতা যা শেখা যায়।


আপনার জীবনজুড়ে আপনি অন্যদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি এবং দক্ষতা দেখেছেন। একে চিনতে পেরেছেন। লেখক ব্রায়ান ট্রেসি সেই অবর্ণনীয়, কিন্তু আকর্ষণীয় দক্ষতাকেই লিডারশিপ বইয়ে তুলে ধরেছেন।


নেতা কে? নেতা এমন এক ব্যক্তি যাকে আপনি বিশ্বাস করেন, অনুসরণ করেন এবং তার কাছ শেখে অনেক কিছু শেখেন। নেতৃত্বের গুণাবলি সবাই মাঝেই বিদ্যমান। আপনার দরকার কেবল একে জাগিয়ে তোলা। আপনার ভেতরের সেই গুণাবলিকে অনুপ্রাণিত করা, উদ্দীপ্ত করা। বলতে গেলে ঝাঁকি দেওয়া। যাতে করে আপনিও অন্য সব মহান নেতাদের মতো করে নেতৃত্ব দিতে পারেন।


সবসময় মনে রাখবেন, আপনি পারবেন। আপনার পক্ষে সম্ভব। আজকে আপনি যাদেরকে মহান ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলে দেখছেন তারা একদিনে এই উচ্চতায় এসে পৌঁছাননি। তারা আপনার মতো অবস্থা থেকেই শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাদের মনে সেই আত্মবিশ্বাস ছিল যে তারা একদিন আজকের এই সফল অবস্থায় পৌঁছাবেন। ঠিক এমন আত্মবিশ্বাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলুন। সেই আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতেই পড়ুন ব্রায়ান ট্রেসি রচিত অসামান্য গ্রন্থ “লিডারশিপ”।


সাফল্য বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান ট্রেসি বহু বছর বিশ্বের সফল সব নেতাদের পর্যবেক্ষণ করে এই বই রচনা করেছেন। এ বইয়ে পাবেন:


– নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার কৌশল


– অন্যদের মধ্যে উদ্দীপনা এবং বিশ্বস্ততা গড়ে তোলার উপায়


– আপনার সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণের পন্থা


– অন্যদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ গড়ে তোলা যাতে করে আপনার স্বপ্ন পূরণে তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে সহযোগিতা করে


– আপনার লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনা স্পষ্ট করার পদ্ধতি


– বিক্রয় বৃদ্ধির আইডিয়া


– বিজয়ী দল তৈরির দিকনির্দেশনা


– সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে অসাধারণ কাজ হাসিলের অভিনব কায়দা


– এমন এক ব্যক্তি হয়ে ওঠা যিনি সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে যোগ্য এবং সক্ষম


আর এ ধরনের মিথ্যা বক্তব্যে বিশ্বাস করবেন না যে নেতৃত্ব কেবল জন্মগত এক ব্যাপার। “রাজার ছেলে রাজা হবে। তেমন নেতার ছেলে নেতা হবে।” – এসব কথায় বিশ্বাস করবেন না। সামান্য কিছু লোক জন্মগতভাবে নেতৃত্বের মেধাসম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু তাদেরকেও পরবর্তীতে নেতৃত্বের সব গুণ বিকশিত করতে কঠোর পরিশ্রম ও চর্চার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তাই আজই লিডারশিপ বইয়ের ব্যবহারিক ও প্রমাণিত পদ্ধতিগুলো নিজের জীবনে প্রয়োগ করুন এবং একজন অপ্রতিরোধ্য নেতা হয়ে সমাজ ও দেশকে নেতৃত্ব দিন।


 


‍”লিডারশিপ” লেখক ব্রায়ান ট্রেসি” বইয়ের সূচি:


ভূমিকা – ৯

অধ্যায় এক – নেতা হয়ে কেউ জন্ম নেয় না, নেতা হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হয় – ১১

অধ্যায় দুই – একটি উদ্দেশ্য পূরণের তাগিদ – ১৬

অধ্যায় তিন – উদ্যোগী – ২২

অধ্যায় চার – সাহসিকতার গুণমান – ২৭

অধ্যায় পাঁচ – দক্ষ পরিকল্পনাকারী হিসাবে নেতা – ৩১

অধ্যায় ছয় – উৎসাহ প্রদান এবং উদ্বুদ্ধকরণের ক্ষমতা – ৩৬

অধ্যায় সাত – জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন – ৪৩

অধ্যায় আট – যোগাযোগকারী হিসাবে নেতার ভূমিকা – ৪৭

অধ্যায় নয় – প্রতিকূল পরিবেশ থেকে শিখুন – ৫২

অধ্যায় দশ – একটি বিজয়ী দল গঠন করুন – ৫৬

অধ্যায় এগারো – ফলাফলের দিকে নজর দিন – ৬০

অধ্যায় বারো – নেতৃত্ব দেওয়ার আকাক্সক্ষা – ৬৪

অধ্যায় তেরো – নেতৃত্বের জন্য আত্মমর্যাদাবোধের ভূমিকা – ৬৯

অধ্যায় চৌদ্দ – উদাহরণের সাহায্যে নেতৃত্ব দিন – ৭৪

অধ্যায় পনেরো – নেতারা নিজেরাই নিজেদের প্রেরণা – ৭৯

অধ্যায় ষোলো – নেতৃত্বের গুণাবলির উন্নতি সাধন করুন – ৮২

অধ্যায় সতেরো – সহযোগিতার মধ্যেই আসল শক্তি – ৮৭

অধ্যায় আঠারো – ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেতৃত্ব প্রদান – ৯৩

অধ্যায় উনিশ – নেতারা ভালো শ্রোতা – ৯৮

অধ্যায় বিশ – একজন নেতার মতো বাঁচুন – ১০১

অধ্যায় একুশ – সততা, ন্যায়পরায়ণতা হচ্ছে নেতৃত্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় গুণ – ১০৬

ব্যক্তিগত উন্নয়নে অন্যান্য বইয়ের তালিকা – ১১১


বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড প্রবলেম সলভিং বইয়ের পর্যালোচনা


সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে ব্যবসা বা যেকোন কাজে আইডিয়া এবং মুনাফার একটি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এর মানে হচ্ছে আজকের অতি-প্রতিযোগিতার কালে যেখানে প্রযুক্তিগত বহু উন্নতির কারণে অনেকেই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ছে, সেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে সৃজনশীল চিন্তা করতে পারা বা সৃজনশীল চিন্তার দক্ষতা (Creative thinking skill)। যেকেউ তার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত, তিনিও যেকোন দুর্বল পেশা থেকে সম্ভাবনাময় পেশাকে খুঁজে বের করতে পারেন এই সৃজনশীল চিন্তার দক্ষতার মাধ্যমে (Creative thinking skill)। যদিও এই ব্যাপারটা অনেক ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তার জন্য শুনতে ভীতিকর মনে হতে পারে, তবে আপনার জন্য তা হবে না।


কারণ এ বই বেশ সংক্ষিপ্ত, সহজে পাঠযোগ্য। বইয়ের ভেতর ২১টি অধ্যায় রয়েছে। ছোট ছোট এসব অধ্যায়ে বিশ্বের বড় বড় সফল ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞ এবং উদ্যোক্তাদের ব্যবহৃত কলাকৌশল সম্পর্কে বলা হয়েছে। যা যেকোন পাঠক তার দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হতে পারে। এসব কলাকৌশল পাঠে পাঠকের মনমস্তিষ্কে সৃজনশীল অংশের টিস্যুগুলো উদ্দীপ্ত হবে, তাদের মধ্যে যেকোনো পরিবেশ-পরিস্থিতিতে সুযোগকে খুঁজে বের করার, চেনার এবং কাজে লাগানোর দক্ষতা সৃষ্টি হবে। পাঠকরা এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করবে, যেমন, ব্রেইনস্ট্রমিং, জিরো-বেসড থিংকিং, দলগত চিন্তা পদ্ধতি, নতুন পণ্যের নকশা করা, নতুন নতুন আইডিয়া উপস্থাপন এবং মার্কেটিং এর নতুন উপায় বের করা সহ প্রভৃতি। আপনি কীভাবে নতুন নতুন ধারণাগুলোকে পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন সেসব পদ্ধতি সম্পর্কেও উদাহরণ সহ বলা হয়েছে। ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড প্রবলেম সলভিং বই পাঠ করে আপনি সম্ভাবনার নতুন দিশা খুঁজে পাবেন। আপনার সৃজনশীল চিন্তাভাবনার নতুন দিক উন্মোচিত হবে। আপনি যে স্বপ্ন দেখেন তা পূরণে ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড প্রবলেম সলভিং বই এক মাইলফলক হয়ে দেখা দিবে।


“ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড প্রবলেম সলভিং” লেখক ব্রায়ান ট্রেসি” বইয়ের সূচি:

ভূমিকা – ০৯

অধ্যায় এক – সৃজনশীলতার মূল সূত্র – ১১

অতীতের প্রভাব – ১১

বর্তমানের শক্তি – ১২

অধ্যায় দুই – সৃজনশীলতার তিন ট্রিগার – ১৫

সৃজনশীলতার তিন কারণ – ১৫

নিজের ধারণা ও অনুমানগুলো পরীক্ষা করুন – ১৭

অধ্যায় তিন – মাইন্ডস্ট্রমিং – ১৯

মানসিক শক্তিকে শাণিত করা – ১৯

পরিবর্তনের চার উপায় – ২১

অধ্যায় চার – প্রশ্ন করা সৃজনশীলতাকে চাঙ্গা করে – ২৪

আমরা কী করার চেষ্টা করছি? – ২৪

কীভাবে আমরা তা করার চেষ্টা করছি? – ২৬

আপনি কেমন ফলাফল আশা করেন? – ২৭

অধ্যায় পাঁচ – ব্রেইনস্ট্রমিং – ৩০

ব্রেইনস্ট্রমিং পদ্ধতি – ৩০

অধ্যায় ছয় – আশাবাদই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি – ৩৫

আশাবাদীদের ভাষা – ৩৬

আপনার মনকে সুষম খাবার দিন – ৩৭

অধ্যায় সাত – প্রতিভার বিকাশ ঘটান – ৩৯

অপ্রত্যাশিত সম্পর্কের খোঁজ করুন – ৪০

একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করুন – ৪১

অধ্যায় আট – সমস্যা সমাধান করতে সাতটি ধাপ – ৪৩

কাগজে লেখার মাধ্যমে আপনার সমস্যাকে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করুন – ৪৩

পড়ুন, গবেষণা করুন এবং তথ্য যোগাড় করুন – ৪৪

অধ্যায় নয় – মনোদ্দীপক অনুশীলন – ৪৮

তাৎক্ষণিক তালিকা পদ্ধতি – ৪৮

৮০/২০ নিয়মের ব্যবহার – ৫০

অধ্যায় দশ – চিন্তার ক্ষেত্রে আপনার তিনটি মন ব্যবহার করুন – ৫৪

ধীরে চিন্তা করুন – ৫৫

কাগজে চিন্তা করুন – ৫৬

অধ্যায় এগারো – দুই ধরনের চিন্তা পাশাপাশি করার কৌশল চর্চা করুন – ৬২

যান্ত্রিক চিন্তা পদ্ধতি – ৬২

কেন এটা কাজ করে না? – ৬৩

অভিযোজনক্ষম চিন্তাভাবনা – ৬৪

অধ্যায় বারো – ঘুরপথে সমাধানের চিন্তা করুন – ৬৭

বিপরীত শব্দ ব্যবহার – ৬৮

গ্রাহক—উন্নতির কথা ভাবুন – ৭০

অধ্যায় তেরো – আপনার মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে – ৭২

কার্যকর সেমিনার ও কর্মশালা: আমার অর্জন – ৭৪

আপনার প্রধান ও প্রাধান্য বিস্তারকারী স্টাইল বা ধরন চিহ্নিত করুন – ৭৫

অধ্যায় চৌদ্দ – নিয়মমাফিক সমস্যা সমাধান: পুনর্বিবেচনা – ৭৭

যৌক্তিক সমাধান গ্রহণ করুন – ৭৭

ইতিবাচক ভাষা ব্যবহার করুন – ৭৮

অধ্যায় পনেরো – শূন্যভিত্তিক চিন্তাভাবনার অনুশীলন – ৮২

কেডব্লিউআইএনকে (কডওঘক) বিশ্লেষণ – ৮২

অধ্যায় ষোলো – বাস্তবতার মুখোমুখি হোন – ৮৬

সাহসই মূল চাবিকাঠি – ৮৮

মানসিক নমনীয়তার বিকাশ ঘটান – ৮৯

অধ্যায় সতেরো – কোনো বাধাকে সমস্যা হতে দিবেন না – ৯০

পথের মাঝে বাধা – ৯০

বিক্রয়ের দিকে মনোযোগ দিন – ৯১

গুচ্ছ সমস্যা – ৯২

অধ্যায় আঠারো – উদ্ভাবনের সাত উৎস – ৯৪

অপ্রত্যাশিত ঘটনা – ৯৪

অসঙ্গতি – ৯৫

প্রক্রিয়াজনিত প্রয়োজন – ৯৫

অধ্যায় উনিশ – অচল পণ্যের জন্য দশটি সৃজনশীল সমাধান – ১০০

অধ্যায় বিশ – মূল্য নির্ধারণ কৌশল – ১০৪

অধ্যায় একুশ – নিজের আইডিয়াকে যাচাই—বাছাই করুন – ১০৬

দক্ষতা – ১০৬

সামঞ্জস্যতা – ১০৭

আপনি কি তা পছন্দ করেন? – ১০৭

উপসংহার – ১১০

ব্যক্তিগত উন্নয়নে অন্যান্য বইয়ের তালিকা – ১১১


বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

ইট দ্যাট ফ্রগ বইয়ের পর্যালোচনা



ব্রায়ান ট্রেসির লেখা সব বইয়ের মধ্যে এ বইকে (ইট দ্যাট ফ্রগ!) সেরা বই হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইট দ্যাট ফ্রগ! কেন পড়বেন? – এ বই লেখা হয়েছে আপনাকে দেখানোর জন্য যে কীভাবে খুব দ্রুত পেশাগত জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং একইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকেও সমৃদ্ধ করা যায়।

এই বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোতে রয়েছে ব্রায়ান ট্রেসির আবিষ্কার করা গড়িমসি অভ্যাস ত্যাগ করা এবং অল্প সময়ে আরও বেশি কাজ দক্ষভাবে সম্পন্ন করার ২১টি বাস্তবসম্মত উপায়। তিনি দাবি করেন, এই পদ্ধতি ও কলাকৌশল বাস্তবসম্মত, প্রমাণিত এবং দ্রুত কাজ করে। সংক্ষেপে বলতে গেলে ইট দ্যাট ফ্রগ! আপনাকে দেখাবে কীভাবে আপনি কঠিন ও জটিল কাজগুলোকে অনেক সহজভাবে সাজাতে এবং সম্পন্ন করতে পারেন।

এই বইয়ের সূত্রগুলো অনুসরণ করলে দীর্ঘসূত্রতা অতিক্রম করে আপনি শুধু দ্রুত কাজ সম্পন্নই করতে পারবেন না; বরং সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি দ্রুতভাবে সম্পাদনও করতে পারবেন।

‍”ইট দ্যাট ফ্রগ! লেখক ব্রায়ান ট্রেসি” বইয়ের সূচি:

ভূমিকা – ১১
সূচনা – ইট দ্যাট ফ্রগ! তথা সবচেয়ে কঠিন কাজ দিয়ে আরম্ভ করুন – ১৬
অধ্যায় এক – টেবিল গুছিয়ে রাখুন – ২৩
অধ্যায় দুই – প্রতিদিনের কাজকর্মের আগাম পরিকল্পনা তৈরি করুন – ২৯
অধ্যায় তিন – সবক্ষেত্রে ৮০/২০ সূত্র প্রয়োগ করুন – ৩৫
অধ্যায় চার – পরিণতি বিবেচনা করুন – ৩৯
অধ্যায় পাঁচ – সৃজনশীল চিন্তাভাবনার মাধ্যমে গড়িমসি করুন – ৪৬
অধ্যায় ছয় – নিয়মিত ক-খ-গ-ঘ-ঙ পদ্ধতির প্রয়োগ করুন – ৫০
অধ্যায় সাত – প্রধান ফলাফল লাভের ক্ষেত্রগুলোর দিকে মনোযোগ দিন – ৫৪
অধ্যায় আট – তিনের নীতি প্রয়োগ করুন – ৬১
অধ্যায় নয় – যেকোন কাজ আরম্ভ করার আগে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিন – ৬৯
অধ্যায় দশ – প্রতিবার একটি একটি করে তেলের ড্রাম পার হন – ৭৩
অধ্যায় এগারো – আপনার প্রধান দক্ষতাগুলো শাণিত করুন – ৭৭
অধ্যায় বারো – আপনার প্রধান সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করুন – ৮২
অধ্যায় তেরো – নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন – ৮৭
অধ্যায় চৌদ্দ – নিজেকে কর্মতৎপর হতে প্ররোচিত করুন – ৯১
অধ্যায় পনেরো – প্রযুক্তি হচ্ছে ভয়ঙ্কর এক প্রভু – ৯৫
অধ্যায় ষোলো – ভৃত্য হিসাবে প্রযুক্তি অতি উত্তম – ১০০
অধ্যায় সতেরো – আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন – ১০৫
অধ্যায় আঠারো – কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন – ১০৯
অধ্যায় উনিশ – সময়ের বড় বড় খ- সৃষ্টি করুন – ১১২
অধ্যায় বিশ – তাগিদবোধ গড়ে তুলুন – ১১৫
অধ্যায় একুশ – সব কাজ পৃথক পৃথকভাবে মোকাবিলা করুন – ১১৯
উপসংহার – বইয়ের এসব উপায় বা কলাকৌশল আপনার কাজের উপযোগী করে সাজান – ১২৩
ব্যক্তিগত উন্নয়নে অন্যান্য বইয়ের তালিকা – ১২৭

বই অর্ডার করতে ক্লিক করুন: https://saphollo.com/

রবিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২২

আহমদ ছফার উক্তির


শিল্প-সাধনা আসলে একধরনের তান্ত্রিক সাধনারই ফলিত প্রকাশ রূপ । কথাটা শুনলে কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন , কিন্তু আধুনিক মনোবিজ্ঞানীর দৃষ্টি প্রয়োগ করে বিষয়টি বিচার করলে সে ভুলটা অতি সহজে ঘুচে যাবে । তান্ত্রিক বাউল এমনকি সুফি সাধকেরাও বিভিন্নভাবে শরীরের গতি নিয়ন্ত্রণ করে ঊর্ধ্বায়িত করার সাধনা করেন । শিল্পীর কাজও অনেকটা সেরকম । তবে তিনি সজ্ঞানে বোধ করতে চান যে সে সাধনাটিই তিনি করছেন । শিল্পী একটা বিশেষ ছবি আঁকতে চান , কবিতা লিখতে চান , তাতে মনের বিশেষ ভাব-অনুভাবগুলো জ্বালিয়ে তুলতে চান। এই বিশেষ ছবি আঁকতে গিয়ে , বিশেষ কবিতা লিখতে গিয়ে তাঁকে সর্বপ্রথম নিজের অস্তিত্বের বিপক্ষে যেতে হয়।
>>আহমদ ছফা