মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

জনসাধারণের যুগ


পলিটিক্স সিরিজ (পলিটিক্সের ওপর কাজ চলছে): বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদদের মধ্যে ৮০ জন মানুষের রাজনৈতিক ধারণাগুলো আবিষ্কার করুন। একে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে:


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা

মধ্যযুগের রাজনীতি

যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ

বিপ্লবী চিন্তা

জনসাধারণের যুগ

মতাদর্শের সংঘর্ষ

বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি


জনসাধারণের যুগ (১৮৪৮ থেকে ১৯১০):

৪২। সমাজতন্ত্র হল দাসত্বের নতুন এক ব্যবস্থা। - অ্যালেক্সিস ডি টোকভিল

৪৩। “আমি” না বলে বলুন “আমরা”। - জিউসেপ ম্যাজিনি

৪৪। যখন অল্প কিছু লোকজন অদ্ভুত বা খাপছাড়া হয়ে ওঠার সাহস দেখায়, সেখান থেকেই সেই যুগের বিপদের উৎপত্তি ঘটে। - জন স্টুয়ার্ট মিল

৪৫। কোন মানুষই আরেকজনের সম্মতি ছাড়া আরেকজনকে শাসন করার জন্য পর্যাপ্ত বা যথেষ্ট ভালো নয়। - আব্রাহাম লিঙ্কন

৪৬। সম্পত্তি মানেই চুরিযোগ্য। - পিয়েরে জোসেফ প্রাউধেন

৪৭। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলো বুদ্ধি ও হৃদয়ে বিকৃত ব্যক্তি। - মিখাইল বাকুনিন

৪৮। সেই সরকারই সর্বোত্তম যা শাসন করার চেষ্টা করে না। - হেনরি ডেভিড থোরো

৪৯। কমিউনিজম হলো ইতিহাসের ধাঁধার সমাধান। - কার্ল মার্কস

৫০। যারা প্রজাতন্ত্রের (republic) ঘোষণা দিয়েছিল তারাই হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতার ঘাতক। - আলেকজান্ডার হার্জেন

৫১। আমাদের জাতির জন্য একটি কেন্দ্রীয় অক্ষের সন্ধান করতে হবে। - ইতো হিরোবুমি

৫২। ক্ষমতার ইচ্ছা। - ফ্রেডরিক নিটশে

৫৩। মিথ বা পৌরাণিক কাহিনী এমন এক জিনিস যা একাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। - জর্জেস সোরেল

৫৪। শ্রমিক বা কর্মজীবী মানুষ যেমন আছে আমাদেরকে তেমনভাবেই তাদের গ্রহণ করতে হবে। - এডুয়ার্ড বার্নস্টাইন

৫৫। লাতিন আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে আমাদের শক্তিশালী প্রতিবেশীর ঘৃণা বা অবজ্ঞা। - হোসে মার্টি

৫৬। সফল হওয়ার জন্য সাহস প্রয়োজন। - পিটার ক্রোপটকিন

৫৭। হয় নারীকে হত্যা করতে হবে, না হয় নারীদের ভোট দিতে হবে। - ইমেলিন পাংখার্স্ট

৫৮। ইহুদি জাতির অস্তিত্ব অস্বীকার করা একটা হাস্যকর ব্যাপার। - থিওডর হার্জল

৫৯। কোন জাতির কর্মীরা যখন পচে যায় বা সৃজনীশক্তিচ্যুত তখন আর কোনোকিছুই সেই জাতিকে বাঁচাতে পারে না। - বিট্রিস ওয়েব

৬০। আমেরিকায় প্রতিরক্ষামূলক আইন লজ্জাজনকভাবে অপর্যাপ্ত। - জেন অ্যাডামস

৬১। জমি হওয়া উচিত চাষীদের! - সান ইয়াৎ সেন

৬২। একজন ব্যক্তি একটি সদা চলমান যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি চাকার একটি দন্তের ন্যায়। - ম্যাক্স ওয়েবার

বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বিপ্লবী চিন্তা


পলিটিক্স সিরিজ (পলিটিক্সের ওপর কাজ চলছে): বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদদের মধ্যে ৮০ জন মানুষের রাজনৈতিক ধারণাগুলো আবিষ্কার করুন। একে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে:


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা

মধ্যযুগের রাজনীতি

যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ

বিপ্লবী চিন্তা

জনসাধারণের যুগ

মতাদর্শের সংঘর্ষ

বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি


বিপ্লবী চিন্তা (১৭৭০ থেকে ১৮৪৮):

২৭। স্বাধীনতা ত্যাগ করা মানে মানুষ হিসাবে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। - জাঁ জ্যাক রুশো

২৮। সুখের ওপর ভিত্তি করে আইন প্রণয়নের কোন সাধারণ বৈধ নীতি তৈরি করা যায় না। - ইমানুয়েল কান্ট

২৯। ব্যক্তির আবেগকে বাধ্যবাধকতার অধীন হওয়া উচিত। - এডমন্ড বার্ক

৩০। সম্পত্তির উপর নির্ভরশীল অধিকারগুলো সবচেয়ে অনিশ্চিত বা নিরাপত্তাহীন। - থমাস পেইন

৩১। সব মানুষকে সমান করে সৃষ্টি করা হয়েছে। - থমাস জেফারসন

৩২। প্রতিটি জাতীয়তাই তার নিজ কেন্দের মধ্যে নিজের আনন্দের উপাদান ধারণ করে। - জোহান গটফ্রাইড হার্ডার

৩৩। সরকার হচ্ছে দুষ্ট শক্তির মধ্য থেকে একটিকে বাছাই করা। - জেরেমি বেন্থাম

৩৪। জনগণের অস্ত্র রাখার এবং বহন করার অধিকার রয়েছে। - জেমস ম্যাডিসন

৩৫। সবচেয়ে সম্মানিত নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। - মেরি ওলস্টোনক্রাফ্ট

৩৬। একজন দাস নিজের আত্ম-অস্তিত্ব অনুভব করে বাহ্যিক কিছু হতে। - জর্জ হেগেল

৩৭। যুদ্ধ হলো অন্য উপায়ে রাজনীতির ধারাবাহিকতা। - কার্ল ভন ক্লজউইৎস

৩৮। বিলোপ বা উচ্ছেদ করা এবং ইউনিয়ন তথা একত্রে থাকার ব্যাপার-এই উভয় বিষয় একসাথে থাকতে পারে না। - জন সি. ক্যালহাউন

৩৯। একটি রাষ্ট্র যখন নিজের মধ্যে খুব বেশি বিস্তৃত হয়ে পড়ে তা শেষ পর্যন্ত ক্ষয় হতে থাকে। - সিমন বলিভার

৪০। একটি শিক্ষিত এবং জ্ঞানী সরকার তার সমাজের উন্নয়নমূলক চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। - হোসে মারিয়া লুইস মোরা

৪১। “পরিবারকে” আক্রমণ করার প্রবণতা সামাজিক বিশৃঙ্খলার লক্ষণ। - অগাস্ট কম্ট

মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে



বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কয়েকটি পত্রিকা থেকে নেওয়া চুম্বক অংশ।

১। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান বেনজীর আহমেদসহ সাত কর্মকর্তা এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ)।

২। সরকার এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করতে চায়। তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লবিস্ট নিয়োগ করে তেমন ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে না। বরং যেসব কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেগুলোর বিপরীতে সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করে বাংলাদেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনলে কাজ হতে পারে।

৩। নিষেধাজ্ঞার পর কথিত বন্দুকযুদ্ধে কেউ মারা যায়নি।

৪। সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, "নিশ্চয়ই আমেরিকা সরকারকে কনভিন্স করা হয়েছে। কাজেই যে তথ্যের ভিত্তিতে দিয়েছে সেই তথ্য যতটুকু আছে সেটা কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা বা সঠিক কি সঠিক না এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে একটা বক্তব্য যাবে।"

৫। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রতিবছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ থাকে। এটি আমাদের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় বলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু সরকারের মন্ত্রীদের একটা জবাবই মুখস্থ আছে, ‘আমরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি’। ‘ডিনায়াল কালচার’ বা অস্বীকার করার এই সংস্কৃতির মধ্যে জনসমাজের উদ্বেগকে উপেক্ষা করা হয়। জবাবদিহির বদলে সাফাই গাওয়ার প্রবণতা দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভালোভাবে নেয় না।

৬। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সদস্য জোগানদাতা দেশ হলো বাংলাদেশ। এক-এগারোর পটভূমিতে এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল মইন উ আহমেদ আমাকে (লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ) বলেছিলেন, একজন সৈনিক একটি মিশনে গিয়ে যদি দুই বছর থাকতে পারে, তাহলে সে যে পরিমাণ টাকা আয় ও সঞ্চয় করতে পারে, তা তার সারা জীবনের কামাইয়ের চেয়ে বেশি। দেশে ফিরে এসে এই টাকা দিয়ে সে বাড়ি বানায়, জমি কেনে, পরিবারের সদস্যদের জন্য আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে অনেকেই ক্ষতির মুখোমুখি হবেন। এ রকম কিছু যেন না ঘটে, সেটাই সবার প্রত্যাশা। সে জন্য যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সেগুলো ‘প্রত্যাখ্যান’ না করে খতিয়ে দেখা দরকার।

৭। যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞায় দেশের ভাবমর্যাদায় ক্ষুন্ন হয়েছে। মার্কিন অর্থ দফতরের ‘ফরেন অ্যাসেটস কনট্রোল অফিস’ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে র‌্যাবের বিরুদ্ধে ৬০০ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা ও ৬০০ জনকে গুম করার অভিযোগ রয়েছে।

৮। আল জাজিরায় জেনারেল আজিজের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের খবর প্রচারের পর যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।

৯। বাংলাদেশের এমন দুর্দিনে কি পাশে থাকবে ভারত? অনেকের মত, থাকবে বলে মনে হয় না। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী আচরণের ব্যাপারে ভারত পাশে দাঁড়ায়নি। কারণ, ভারতের মানসিকতা হচ্ছে শুধু নেবে, দেবে না কিছুই। যা’হোক, যুক্তরাষ্ট্র সৃষ্ট নবতর সংকট থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় জাতীয় ঐক্য। তাই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় জোর তৎপরতা চালাতে হবে।

তথ্যসূত্র:
১। https://bonikbarta.net/home/news_description/283343/%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE-%E2%80%94%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%8F
২। https://www.bbc.com/bengali/news-59985943
৩। https://www.prothomalo.com/opinion/column/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0
৪। https://www.bbc.com/bengali/news-57055485 
৫। https://m.dailyinqilab.com/article/445497/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8

যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ


পলিটিক্স সিরিজ (পলিটিক্সের ওপর কাজ চলছে): বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদদের মধ্যে ৮০ জন মানুষের রাজনৈতিক ধারণাগুলো আবিষ্কার করুন। একে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে:


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা

মধ্যযুগের রাজনীতি

যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ

বিপ্লবী চিন্তা

জনসাধারণের যুগ

মতাদর্শের সংঘর্ষ

বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি


যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ (১৫১৫ থেকে ১৭৭০):

১৮। ফ্রান্সিসকো ডি ভিটোরিয়া: মানব সভ্যতার শুরুর দিকে, (রাজনৈতিক অধিকারের দিক থেকে) সবকিছুই সবার কাছে সাধারণ ছিল।

১৯। জিন বোডিন: কমনওয়েলথের (commonwealth) একটি পরম এবং চিরস্থায়ী শক্তি হচ্ছে সার্বভৌমত্ব।

২০। ফ্রান্সিসকো সুয়ারেজ: মানব আইনের ভিত্তি হচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়ম।

২১। জোহানেস আলথুসিয়াস: রাজনীতি হলো মানুষের মেলামেশার এক অসাধারণ শিল্প।

২২। হুগো গ্রোটিয়াস: স্বাধীনতা হলো সেই শক্তি যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের ওপর ক্ষমতা প্রদান করে।

২৩। টমাস হবস: কোনো ধরনের শৃঙ্খলা বা আইনকানুন না থাকলে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মারামারিতে লিপ্ত থাকবে।

২৪। জন লক: আইনের শেষ চিন্তা থাকা উচিত মানুষের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং এটাকে প্রসারিত করা।

২৫। মন্টেস্কু: যখন আইন প্রণয়ন এবং নির্বাহী ক্ষমতা একই সংস্থায় একত্রিত হয়, তখন কোন স্বাধীনতা থাকতে পারে না।

২৬। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন: স্বাধীনভাবে উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নাগরিকদের উত্তম নাগরিক হতে সাহায্য করে।

মধ্যযুগের রাজনীতি


পলিটিক্স সিরিজ (পলিটিক্সের ওপর কাজ চলছে): বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদদের মধ্যে ৮০ জন মানুষের রাজনৈতিক ধারণাগুলো আবিষ্কার করুন। একে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে:


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা

মধ্যযুগের রাজনীতি

যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ

বিপ্লবী চিন্তা

জনসাধারণের যুগ

মতাদর্শের সংঘর্ষ

বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি

মধ্যযুগের রাজনীতি (৩০CE থেকে ১৫১৫CE): CE মানে common (or current) era বা বর্তমান যুুগ।

৯। অগাস্টিন অফ হিপ্পো: যদি ন্যায়বিচার না থাকে, তবে সরকার একটা বড় ডাকাত দল ছাড়া আর কী হতে পারে?

১০। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: যুদ্ধকে তোমাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য রূপে অবধারিত করা হয়েছে, অথচ এটা তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর।

১১। আল ফারাবি: জনগণ সৎ মানুষের শাসন প্রত্যাখ্যান করে।

১২। ব্যারনস অফ কিং জন (রাজা জনের জমিদারগণ): দেশের আইন ছাড়া কোনো মুক্ত ব্যক্তিকে বন্দী করা যাবে না।

১৩। থমাস একুইনাস: যুদ্ধ ন্যায়সঙ্গত হওয়ার জন্য, একটি ন্যায়সঙ্গত কারণ প্রয়োজন।

১৪। গিলস অফ রোম (রোমের দার্শনিক): রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকা মানে ভালো আইন মেনে জীবনযাপন করা।

১৫। মার্সেলিয়াস অফ পাদুয়া (ইতালির রাজনীতিবিদ): চার্চের উচিত নিজেকে খ্রীষ্টের অনুকরণে নিবেদিত করা এবং চার্চ যে সাংসারিক ক্ষমতার চর্চা করে সেটা ত্যাগ করা।

১৬। ইবনে খালদুন: সরকারের কাজ হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিরোধ করা। আর সরকার যদি তা না করে তবে সরকার নিজেই অন্যায় করে।

১৭। নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি: একজন বিচক্ষণ শাসক তার বক্তব্যকে সম্মান করতে পারে না এবং করা উচিতও নয়।

রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা


পলিটিক্স সিরিজ (পলিটিক্সের ওপর কাজ চলছে): বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদদের মধ্যে ৮০ জন মানুষের রাজনৈতিক ধারণাগুলো আবিষ্কার করুন। একে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে:


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা

মধ্যযুগের রাজনীতি

যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ

বিপ্লবী চিন্তা

জনসাধারণের যুগ

মতাদর্শের সংঘর্ষ

বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা (৮০০BCE থেকে ৩০CE): BCE মানে before the common (or current) era বা বর্তমান সময়ের আগের যুগ। CE মানে common (or current) era বা বর্তমান যুুগ।

১। কনফুসিয়াস: তোমার আকাঙ্ক্ষা যদি হয় ভালো কাজ করার, তবে মানুষও ভালো হয়ে থাকবে।

২। সান জু: রাষ্ট্রের জন্য দ্য আর্ট অফ ওয়ার তথা যুদ্ধকৌশল ও পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩। মোজি: রাষ্ট্র নিয়ে করা যত পরিকল্পনা আছে তা শুধু শিক্ষিতদের সাথেই শেয়ার করা যায়।

৪। প্লেটো: যতক্ষণ পর্যন্ত না দার্শনিকরা রাজা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন শহরই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে না।

৫। এরিস্টটল: মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই রাজনৈতিক প্রাণী।

৬। চাণক্য: চাকা যদি মাত্র একটা হয় তবে তা সচল হয় না।

৭। হান ফেই জু: যদি মন্দ মন্ত্রীরা নিরাপত্তা ও মুনাফা ভোগ করতে থাকে, তবে তাই হচ্ছে পতনের প্রারম্ভ রেখা।

৮। সিসেরো: সরকার হচ্ছে একটা বলের মতো চারদিক থেকে বাঁধা।

পলিটিক্স সিরিজ



পলিটিক্স সিরিজ (পলিটিক্সের ওপর কাজ চলছে): বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদদের মধ্যে ৮০ জন মানুষের রাজনৈতিক ধারণাগুলো আবিষ্কার করুন। একে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে:


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা

মধ্যযুগের রাজনীতি

যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ

বিপ্লবী চিন্তা

জনসাধারণের যুগ

মতাদর্শের সংঘর্ষ

বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি


প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক চিন্তা (৮০০BCE থেকে ৩০CE): BCE মানে before the common (or current) era বা বর্তমান সময়ের আগের যুগ। CE মানে common (or current) era বা বর্তমান যুুগ।

১। কনফুসিয়াস: তোমার আকাঙ্ক্ষা যদি হয় ভালো কাজ করার, তবে মানুষও ভালো হয়ে থাকবে।

২। সান জু: রাষ্ট্রের জন্য দ্য আর্ট অফ ওয়ার তথা যুদ্ধকৌশল ও পররাষ্ট্র নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩। মোজি: রাষ্ট্র নিয়ে করা যত পরিকল্পনা আছে তা শুধু শিক্ষিতদের সাথেই শেয়ার করা যায়।

৪। প্লেটো: যতক্ষণ পর্যন্ত না দার্শনিকরা রাজা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন শহরই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে না।

৫। এরিস্টটল: মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই রাজনৈতিক প্রাণী।

৬। চাণক্য: চাকা যদি মাত্র একটা হয় তবে তা সচল হয় না।

৭। হান ফেই জু: যদি মন্দ মন্ত্রীরা নিরাপত্তা ও মুনাফা ভোগ করতে থাকে, তবে তাই হচ্ছে পতনের প্রারম্ভ রেখা।

৮। সিসেরো: সরকার হচ্ছে একটা বলের মতো চারদিক থেকে বাঁধা।


মধ্যযুগের রাজনীতি (৩০CE থেকে ১৫১৫CE): CE মানে common (or current) era বা বর্তমান যুুগ।

৯। অগাস্টিন অফ হিপ্পো: যদি ন্যায়বিচার না থাকে, তবে সরকার একটা বড় ডাকাত দল ছাড়া আর কী হতে পারে?

১০। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: যুদ্ধকে তোমাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য রূপে অবধারিত করা হয়েছে, অথচ এটা তোমাদের কাছে অপ্রীতিকর।

১১। আল ফারাবি: জনগণ সৎ মানুষের শাসন প্রত্যাখ্যান করে।

১২। ব্যারনস অফ কিং জন (রাজা জনের জমিদারগণ): দেশের আইন ছাড়া কোনো মুক্ত ব্যক্তিকে বন্দী করা যাবে না।

১৩। থমাস একুইনাস: যুদ্ধ ন্যায়সঙ্গত হওয়ার জন্য, একটি ন্যায়সঙ্গত কারণ প্রয়োজন।

১৪। গিলস অফ রোম (রোমের দার্শনিক): রাজনৈতিকভাবে বেঁচে থাকা মানে ভালো আইন মেনে জীবনযাপন করা।

১৫। মার্সেলিয়াস অফ পাদুয়া (ইতালির রাজনীতিবিদ): চার্চের উচিত নিজেকে খ্রীষ্টের অনুকরণে নিবেদিত করা এবং চার্চ যে সাংসারিক ক্ষমতার চর্চা করে সেটা ত্যাগ করা।

১৬। ইবনে খালদুন: সরকারের কাজ হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিরোধ করা। আর সরকার যদি তা না করে তবে সরকার নিজেই অন্যায় করে।

১৭। নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি: একজন বিচক্ষণ শাসক তার বক্তব্যকে সম্মান করতে পারে না এবং করা উচিতও নয়।


যুক্তি এবং আলোকপ্রাপ্তির যুগ (১৫১৫ থেকে ১৭৭০):

১৮। ফ্রান্সিসকো ডি ভিটোরিয়া: মানব সভ্যতার শুরুর দিকে, (রাজনৈতিক অধিকারের দিক থেকে) সবকিছুই সবার কাছে সাধারণ ছিল।

১৯। জিন বোডিন: কমনওয়েলথের (commonwealth) একটি পরম এবং চিরস্থায়ী শক্তি হচ্ছে সার্বভৌমত্ব।

২০। ফ্রান্সিসকো সুয়ারেজ: মানব আইনের ভিত্তি হচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়ম।

২১। জোহানেস আলথুসিয়াস: রাজনীতি হলো মানুষের মেলামেশার এক অসাধারণ শিল্প।

২২। হুগো গ্রোটিয়াস: স্বাধীনতা হলো সেই শক্তি যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের ওপর ক্ষমতা প্রদান করে।

২৩। টমাস হবস: কোনো ধরনের শৃঙ্খলা বা আইনকানুন না থাকলে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মারামারিতে লিপ্ত থাকবে।

২৪। জন লক: আইনের শেষ চিন্তা থাকা উচিত মানুষের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং এটাকে প্রসারিত করা।

২৫। মন্টেস্কু: যখন আইন প্রণয়ন এবং নির্বাহী ক্ষমতা একই সংস্থায় একত্রিত হয়, তখন কোন স্বাধীনতা থাকতে পারে না।

২৬। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন: স্বাধীনভাবে উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নাগরিকদের উত্তম নাগরিক হতে সাহায্য করে।


বিপ্লবী চিন্তা (১৭৭০ থেকে ১৮৪৮):

২৭। স্বাধীনতা ত্যাগ করা মানে মানুষ হিসাবে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। - জাঁ জ্যাক রুশো

২৮। সুখের ওপর ভিত্তি করে আইন প্রণয়নের কোন সাধারণ বৈধ নীতি তৈরি করা যায় না। - ইমানুয়েল কান্ট

২৯। ব্যক্তির আবেগকে বাধ্যবাধকতার অধীন হওয়া উচিত। - এডমন্ড বার্ক

৩০। সম্পত্তির উপর নির্ভরশীল অধিকারগুলো সবচেয়ে অনিশ্চিত বা নিরাপত্তাহীন। - থমাস পেইন

৩১। সব মানুষকে সমান করে সৃষ্টি করা হয়েছে। - থমাস জেফারসন

৩২। প্রতিটি জাতীয়তাই তার নিজ কেন্দের মধ্যে নিজের আনন্দের উপাদান ধারণ করে। - জোহান গটফ্রাইড হার্ডার

৩৩। সরকার হচ্ছে দুষ্ট শক্তির মধ্য থেকে একটিকে বাছাই করা। - জেরেমি বেন্থাম

৩৪। জনগণের অস্ত্র রাখার এবং বহন করার অধিকার রয়েছে। - জেমস ম্যাডিসন

৩৫। সবচেয়ে সম্মানিত নারীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত। - মেরি ওলস্টোনক্রাফ্ট

৩৬। একজন দাস নিজের আত্ম-অস্তিত্ব অনুভব করে বাহ্যিক কিছু হতে। - জর্জ হেগেল

৩৭। যুদ্ধ হলো অন্য উপায়ে রাজনীতির ধারাবাহিকতা। - কার্ল ভন ক্লজউইৎস

৩৮। বিলোপ বা উচ্ছেদ করা এবং ইউনিয়ন তথা একত্রে থাকার ব্যাপার-এই উভয় বিষয় একসাথে থাকতে পারে না। - জন সি. ক্যালহাউন

৩৯। একটি রাষ্ট্র যখন নিজের মধ্যে খুব বেশি বিস্তৃত হয়ে পড়ে তা শেষ পর্যন্ত ক্ষয় হতে থাকে। - সিমন বলিভার

৪০। একটি শিক্ষিত এবং জ্ঞানী সরকার তার সমাজের উন্নয়নমূলক চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। - হোসে মারিয়া লুইস মোরা

৪১। “পরিবারকে” আক্রমণ করার প্রবণতা সামাজিক বিশৃঙ্খলার লক্ষণ। - অগাস্ট কম্ট


জনসাধারণের যুগ (১৮৪৮ থেকে ১৯১০):

৪২। সমাজতন্ত্র হল দাসত্বের নতুন এক ব্যবস্থা। - অ্যালেক্সিস ডি টোকভিল

৪৩। “আমি” না বলে বলুন “আমরা”। - জিউসেপ ম্যাজিনি

৪৪। যখন অল্প কিছু লোকজন অদ্ভুত বা খাপছাড়া হয়ে ওঠার সাহস দেখায়, সেখান থেকেই সেই যুগের বিপদের উৎপত্তি ঘটে। - জন স্টুয়ার্ট মিল

৪৫। কোন মানুষই আরেকজনের সম্মতি ছাড়া আরেকজনকে শাসন করার জন্য পর্যাপ্ত বা যথেষ্ট ভালো নয়। - আব্রাহাম লিঙ্কন

৪৬। সম্পত্তি মানেই চুরিযোগ্য। - পিয়েরে জোসেফ প্রাউধেন

৪৭। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলো বুদ্ধি ও হৃদয়ে বিকৃত ব্যক্তি। - মিখাইল বাকুনিন

৪৮। সেই সরকারই সর্বোত্তম যা শাসন করার চেষ্টা করে না। - হেনরি ডেভিড থোরো

৪৯। কমিউনিজম হলো ইতিহাসের ধাঁধার সমাধান। - কার্ল মার্কস

৫০। যারা প্রজাতন্ত্রের (republic) ঘোষণা দিয়েছিল তারাই হয়ে উঠেছিল স্বাধীনতার ঘাতক। - আলেকজান্ডার হার্জেন

৫১। আমাদের জাতির জন্য একটি কেন্দ্রীয় অক্ষের সন্ধান করতে হবে। - ইতো হিরোবুমি

৫২। ক্ষমতার ইচ্ছা। - ফ্রেডরিক নিটশে

৫৩। মিথ বা পৌরাণিক কাহিনী এমন এক জিনিস যা একাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। - জর্জেস সোরেল

৫৪। শ্রমিক বা কর্মজীবী মানুষ যেমন আছে আমাদেরকে তেমনভাবেই তাদের গ্রহণ করতে হবে। - এডুয়ার্ড বার্নস্টাইন

৫৫। লাতিন আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে আমাদের শক্তিশালী প্রতিবেশীর ঘৃণা বা অবজ্ঞা। - হোসে মার্টি

৫৬। সফল হওয়ার জন্য সাহস প্রয়োজন। - পিটার ক্রোপটকিন

৫৭। হয় নারীকে হত্যা করতে হবে, না হয় নারীদের ভোট দিতে হবে। - ইমেলিন পাংখার্স্ট

৫৮। ইহুদি জাতির অস্তিত্ব অস্বীকার করা একটা হাস্যকর ব্যাপার। - থিওডর হার্জল

৫৯। কোন জাতির কর্মীরা যখন পচে যায় বা সৃজনীশক্তিচ্যুত তখন আর কোনোকিছুই সেই জাতিকে বাঁচাতে পারে না। - বিট্রিস ওয়েব

৬০। আমেরিকায় প্রতিরক্ষামূলক আইন লজ্জাজনকভাবে অপর্যাপ্ত। - জেন অ্যাডামস

৬১। জমি হওয়া উচিত চাষীদের! - সান ইয়াৎ সেন

৬২। একজন ব্যক্তি একটি সদা চলমান যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি চাকার একটি দন্তের ন্যায়। - ম্যাক্স ওয়েবার


মতাদর্শের সংঘর্ষ (১৯১০ থেকে ১৯৪৫):



৬৩। অহিংসা আমার বিশ্বাসের প্রথম ধাপ। - মহাত্মা গান্ধী

৬৪। জনগণ যেখানে থাকে সেখানে থেকেই রাজনীতি আরম্ভ হয়। - ভ্লাদিমির লেনিন

৬৫। ঐতিহাসিক বাস্তবতা থেকেই গণ আন্দোলনের সামাজিক অবস্থান গড়ে ওঠে। - রোজা লুক্সেমবার্গ

৬৬। সবসময় যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় এমন একজন শান্তিকামী হলেন এমন একজন যিনি একটি কুমিরকে খাওয়ান, এই আশায় যে এটা তাকে শেষ পর্যন্ত খেয়ে ফেলবে। - উইনস্টন চার্চিল

৬৭। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের ধারণা সব জায়গায় বিরাজমান। - জিওভানি জেন্টিল

৬৮। ভূমির মালিক, জমিদার বা সামন্ত শ্রেণীর লোকজনকে তাদের মূল বা গোড়া থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। - জোসেফ স্ট্যালিন

৬৯। যদি সবকিছুর শেষ পরিণতিই সবকিছুকে ন্যায্য করে তোলে, তবে পরিণতি ন্যায্য হয়েছে কিনা তা কীভাবে বলবে? - লিওন ট্রটস্কি

৭০। আমরা কৃষক ও ব্যবসায়ীকে গ্যারান্টি দিয়ে মেক্সিকানদের ঐক্যবদ্ধ করব। - এমিলিয়ানো জাপাতা

৭১। যুদ্ধ একটা কোলাহলপূর্ণ ব্যাপার। - স্মেডলি ডি. বাটলার

৭২। সার্বভৌমত্ব কেউ কাউকে দেয় না, এটা নিতে হয়। - মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক

৭৩। নীতিনৈতিকতার কোনো বালাই ছাড়াই ইউরোপ টিকে আছে। - হোসে ওর্তেগা ও গ্যাসেট

৭৪। আমরা ১০ কোটি মানুষ নিজেদের স্বাধীনতা চাই। - মার্কাস গার্ভে

৭৫। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন না হলে ভারত কখনোই সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হতে পারে না। - মানবেন্দ্র নাথ রায়

৭৬। সার্বভৌম তিনি যিনি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেন। - কার্ল স্মিট

৭৭। কমিউনিজম সাম্রাজ্যবাদের মতোই খারাপ। - জোমো কেনিয়াত্তা

৭৮। রাষ্ট্রকে একজন “শিক্ষক” হিসাবে কল্পনা করতে হবে। - আন্তোনিও গ্রামসি

৭৯। বন্দুকের নল থেকে বেড়ে ওঠে রাজনৈতিক ক্ষমতা। - মাও সে তুং


বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি (১৯৪৫ থেকে বর্তমান):




৮০। রাষ্ট্রের জন্য সীমাহীন সরকার হচ্ছে প্রধান সমস্যা। - ফ্রেডরিখ হায়েক

৮১। সংসদীয় সরকার এবং যুক্তিবাদী রাজনীতি একই ব্যবস্থার অধীনে বসবাস করতে পারে না। - মাইকেল ওকেশট

৮২। ইসলামী জিহাদের উদ্দেশ্য হল একটি অনৈসলামিক ব্যবস্থার শাসন দূর করা। - আবুল আলা মওদুদী

৮৩। অন্যদের বাঁচানোর নাম করে একজন মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া যাবে না। - আয়ন রান্ড

৮৪। প্রতিটি পরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত সত্য অস্বীকার করা যেতে পারে। - হান্না আরেন্ডট

৮৫। নারী কী? - সিমোন ডি বিউভোয়ার

৮৬। যেকোনো প্রাকৃতিক বস্তু মাত্রই সম্পদ নয়, তার আরও পরিচয় আছে। - আর্নে নাইস

৮৭। আমরা শ্বেতাঙ্গ বিরোধী নই, আমরা সাদা আধিপত্যের বিরুদ্ধে। - নেলসন ম্যান্ডেলা

৮৮। শুধু দুর্বল মনের লোকেরাই বিশ্বাস করে যে রাজনীতি হলো সহযোগিতার জায়গা। - জিয়ানফ্রাঙ্কো মিগলিও

৮৯। সংগ্রামের প্রাথমিক পর্যায়ে নিপীড়িতরা নিপীড়ক হয়ে যায়। - পাওলো ফ্রেইরে

৯০। ন্যায়বিচার সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রথম গুণ। - জন রলস

৯১। উপনিবেশবাদ তার স্বাভাবিক অবস্থাতেই সহিংস অবস্থায় বিরাজ করে। - ফ্রান্টজ ফ্যানন

৯২। ভোট, নাহলে বুলেট। - ম্যালকম এক্স

৯৩। ক্ষমতার নানাবিধ রূপ বুঝতে হলে রাজনৈতিক দর্শনের মধ্যে যে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ক্ষমতার ধারণা রয়েছে তা কেটে ফেলতে হবে মানে “রাজার মাথা কেটে ফেলতে হবে”। - মিশেল ফুকো

৯৪। মুক্তিদাতা বলতে কেউ নেই, তাদের অস্তিত্বও নেই। মানুষ নিজেই নিজেদের মুক্ত করে। - চে গুয়েভারা

৯৫। ধনী লোকেরা যাতে খুশি থাকে সবাই এটা নিশ্চিত করতে বাধ্য। - নোয়াম চমস্কি

৯৬। খাঁটি অজ্ঞতার চেয়ে বিপজ্জনক জিনিস পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। - মার্টিন লুথার কিং

৯৭। পেরেস্ত্রোইকা (প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নে গৃহীত একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠন নীতি) সমাজতন্ত্রকে গণতন্ত্রের সাথে এক করে। - মিখাইল গর্বাচেভ

৯৮। বুদ্ধিজীবীরা ভুল করে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। - আলী শরীয়তী

৯৯। যুদ্ধের নারকীয়তা আমাদের প্রতিটি সংযম ভঙ্গ করতে চালিত করে। - মাইকেল ওয়ালজার

১০০। ন্যূনতম রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি বিস্তৃত কোনো রাষ্ট্রই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। - রবার্ট নজিক

১০১। কোনো ইসলামি আইনই নারীর অধিকার লঙ্ঘন করতে বলে না। - শিরিন এবাদি

১০২। আত্মঘাতী সন্ত্রাসবাদ মূলত বিদেশি দখলদারিত্বের প্রতিক্রিয়া। - রবার্ট পেপ

শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

একাগ্র মনোযোগের শক্তি


কোন একটি বিষয় বা লক্ষ্যে একাগ্র মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারটা শেখা যায়। আর কোন কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে বা দক্ষতা গড়ে তুলতেও একাগ্র মনোযোগ আবশ্যক। এটা চর্চা বা অনুশীলনের মাধ্যমে তৈরি করা সম্ভব। জার্মান কবি, ঔপন্যাসিক ও দার্শনিক উলফগ্যাং ভন গোথে বলেন, “সহজ হওয়ার আগ পর্যন্ত সবই কঠিন।” এজন্যই সবসময় একটি কাজকে আগে নির্দিষ্ট করুন, যা অভ্যাসে পরিণত করতে চান, তারপর তা প্রতিদিন করতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন চর্চা করার জন্য একটি সিস্টেম তৈরি করে ফেলুন। দেখবেন, অনেক বড় কাজ, কঠিন কাজও অনায়াসে সম্পন্ন হয়ে গেছে।

এড ফোরম্যান বলেন, “ভালো অভ্যাস তৈরি করা কঠিন, কিন্তু সহজেই এসব অভ্যাস নিয়ে বসবাস করা যায়। আর খারাপ অভ্যাস তৈরি করা সহজ, কিন্তু এসব অভ্যাস নিয়ে জীবনযাপন করা অত্যন্ত কঠিন।”

এরিস্টটলও এমন কথা বলেছেন, “আমরা তাই হয়ে উঠি যা আমরা বারবার করতে থাকি।” আপনি প্রতিদিন এমন কী কাজ করছেন? এমন কী অভ্যাস তৈরি করছেন? এসব অভ্যাস কি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে? না কি দূরে সরিয়ে দিচ্ছে? আমরা প্রতিদিন যত কাজ করি, তার ৯৫ শতাংশ কাজ অভ্যাসবশত করি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং চিন্তা না করেই করি। এজন্যই বলা হয় ভালো অভ্যাস গঠন করুন। কারণ একবার অভ্যাস গঠন করে ফেললে তা পালন করা বেশ সহজ হয়ে আসে। তাই ভালো অভ্যাস গঠন করুন এবং এসব অভ্যাসকে আপনার গুরুতে পরিণত করুন।

সৌভাগ্যবশত, যেকোনো অভ্যাস গঠন করা যায়, শেখা যায়। নিয়মিত চর্চা এবং অনুশীলনের মাধ্যমে ভালো অভ্যাস তৈরি করা যায়। প্রতিদিন উক্ত কাজটি চর্চা করে যান। একেবারে শ্বাস নেওয়ার মতো স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ করে যায়। কথায় বলে, চর্চা ও অনুশীলন করলে যেকোনো কাজে পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা গড়ে তোলা যায়। আমি বলব, “চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে যেকোনো ভালো অভ্যাসকে চিরস্থায়ী করা যায়।”

শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

উদ্দেশ্যের শক্তি

মানব প্রকৃতির মধ্যেই জীবন সম্পর্কে এক ধরনের অর্থ এবং উদ্দেশ্য খুঁজে বেড়ানোর প্রবণতা বিদ্যমান। মার্ক টোয়েন এ সম্পর্কে বলেন, “জীবনের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। একদিন যখন তুমি জন্মগ্রহণ করো এবং আরেকদিন যখন তুমি জানতে পারো কেন এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছ।”


আপনি এই পৃথিবীতে এসেছেন অসাধারণ কিছু করার জন্য। আপনার জীবনকে সার্থক করার জন্য। তাই নয় কি? ওয়েন ডায়ার বলেন, “প্রতিটি শিশুই এ দুনিয়ায় একটা গোপন নির্দেশ নিয়ে আসে।” আপনার সেই গোপন নির্দেশ বা জীবনের উদ্দেশ্য কী?

বিখ্যাত মনোবিদ আব্রাহাম মাসলো বলেন, মানুষের প্রধানত দুই ধরনের প্রয়োজন রয়েছে। এক হচ্ছে অসম্পূর্ণ বা ঘাটতিমূলক চাহিদা (deficiency needs) এবং মানবসত্তা হিসাবে চাহিদা (being needs)। ঘাটতিমূলক চাহিদা বলতে জৈবিক চাহিদা, নিরাপত্তা, সামাজিক ও সম্মানের চাহিদাকে বোঝায়। এগুলো মূলত তৈরি হয় না পাওয়া থেকে। এসব নিম্নস্তরের চাহিদা পূরণ হওয়ার দরকার আছে। যাতে করে অপছন্দনীয় অনুভূতি এবং পরিণত ভোগ করতে না হয়। আর গ্রোথ বা মানবসত্তা হিসাবে চাহিদা (growth or being needs) বলতে মাসলোর চাহিদার সোপান তত্ত্বের উচ্চতর চাহিদাকে বুঝিয়েছেন।


ঘাটতিমূলক চাহিদা বলতে মাসলো বুঝিয়েছেন আমাদের মধ্যকার ভয়-ভীতি, সন্দেহ, দুশ্চিন্তা এবং সমাধান না হওয়া যত দ্বন্দ্ব আছে সেগুলোকে। এগুলো মানুষের সম্ভাবনাকে বিকশিত হতে দেয় না। তাদের জীবনে অগ্রগতি করতে বাধা দেয়। পিছন থেকে ধরে রাখে। মাসলোর মতে, মোট জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ মানুষ এসব ভয়ভীতির এক বা একাধিক কারণে নিজেদের সম্ভাবনাকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে না। এগুলো এক ধরনের মানসিক বাধা যার কারণে মানুষ তার নিজ জীবনে অগ্রগতি করতে বাধা পায়।

অন্যদিকে গ্রোথ তথা মানবসত্তা হিসাবে চাহিদা বলতে মাসলো আত্মোপলব্ধি বা আত্মপ্রতিষ্ঠ মানুষের গুণাবলিকে বুঝিয়েছেন। যারা এসব ভয়ভীতি সহ ঘাটতিমূলক চাহিদাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তারা তাদের জীবনে যা কিছু করা সম্ভব তাই করেছেন। তারা তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়েছেন।

মাসলোর গবেষণার শেষ কথা হচ্ছে আপনি আপনার সম্ভাবনাকে তখনই কাজে লাগাতে পারবেন, যখন আপনি আপনার ভয়ভীতি দূর করে জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যের দিকে নজর দিবেন। যেমন ওয়াল্ট হোয়াইম্যান বলেন, “সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড়াও। এতে করে সব অন্ধকার, ছায়া পিছনে পড়ে রবে।”

বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

লক্ষ্যভেদের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

কিছুদিন আগে “লক্ষ্য নির্ধারণে মহাভারতের শিক্ষা” নামক একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম। সেখানে নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ে রাখা গাছের ওপর একটি কৃত্রিম পাখির চোখ ছেদ করতে বলা হয়। একমাত্র রাজকুমার অর্জুনই তীর দিয়ে ঐ পাখির চোখ ছেদ করতে সক্ষম হয়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ফোকাস বা একাগ্র মনোযোগ। লক্ষ্য সম্পর্কে আগে থেকে নিশ্চিত হওয়া এবং সেই লক্ষ্য ভিন্ন আর কিছু না দেখাই হচ্ছে লক্ষ্যভেদ করার অন্যতম মন্ত্র।


আজ আমরা জানব লক্ষ্যভেদ করার আরও কিছু উপায় সম্পর্কে। প্রথমে মনে রাখবেন, অন্যরা যা কিছু অর্জন করেছে, আপনিও তাই অর্জন করতে পারবেন, যদি আপনি জানেন তা কীভাবে অর্জন করতে হয়। তাই জানার আগ্রহ বজায় রাখুন এবং শিখতে থাকুন।

৩টি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা হচ্ছে স্বচ্ছতা, ফোকাস বা একাগ্র মনোযোগ এবং লক্ষ্য ভিন্ন আর কিছু না দেখা। আপনি ব্যায়াম করার মাধ্যমে যেমন দেহের পেশী মজবুত ও শক্তিশালী করতে পারেন, তেমন নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে মানসিক পেশীকেও দৃঢ় ও ক্ষমতাশালী করতে পারেন। এজন্য কাজটা আপনাকে বারবার করতে হবে।

হাওয়ার্ড হিল নামক এক অসাধারণ ব্যক্তি ১৮৯৯ সালের ১৩ নভেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাস্কেটবল এবং ফুটবল সহ নানা ধরনের খেলায় পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু তিনি পরে অনুভব করলেন, তিনি যদি সব খেলায় অংশ নেন, তবে তিনি কোন খেলাতেই পাকা খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারবেন না। তাই তিনি তীর নিক্ষেপ খেলাকে নির্দিষ্ট করলেন। আর সেই খেলাই বহু বছর ধরে চর্চা করে গেলেন। তিনি একাধারে নানা তীর নিক্ষেপ খেলায় ১৯৬টি পুরস্কার জিতে নেন। যা ইতিহাসে বিরল। তার সাথে প্রতিযোগিতায় নামলে অন্যরা মনে করত, প্রথম তো হাওয়ার্ড হিলই হবে। বাকিরা ২য়, ৩য় বা ৪র্থ পদ নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারে।

কিন্তু এত প্রতিভা, অভিজ্ঞতা এবং চর্চা থাকা সত্ত্বেও, হাওয়ার্ডকে যদি বলা হত, তীর যে টার্গেটে নিক্ষেপ করবে সেই টার্গেটের সামনে একটি কম্বল ঝুলিয়ে দিয়ে তীর নিক্ষেপ করতে তবে কী সে টার্গেটে ঠিকমতো লাগাতে পারত? এ সম্পর্কে জিগ জিগলার বলেন, আপনি যদি কোন টার্গেট না দেখেন, তবে আপনি কোন টার্গেটে হিট করতে পারবেন না। জীবনের ক্ষেত্রেও এ কথা সত্য। আপনি যদি কোন লক্ষ্য না নেন, তবে আপনি কোন লক্ষ্যই পূরণ করতে পারবেন না।

লুইস ক্যারোল এ সম্পর্কে বলেন, আপনি যদি না জানেন আপনি কোথায় যাবেন, তবে যেকোনো রাস্তা আপনাকে সেখানে পৌঁছে দিতে পারে।

আবার থমাস কার্লাইল বলেন, যে ব্যক্তির কাছে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ উদ্দেশ্য আছে, সে সবচেয়ে কঠিন রাস্তার মধ্য দিয়েও অগ্রগতি আনতে পারে। আর যে ব্যক্তির কাছে একটি পরিষ্কার উদ্দেশ্য নেই, সে সবচেয়ে মসৃণ রাস্তা দিয়েও উন্নতি করতে পারে না।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সফল ব্যক্তি তারাই হয় যারা তাদের বেশির ভাগ সময় তাদের উচ্চ সম্ভাবনাময় কাজে ব্যয় করে। আপনার উচ্চ সম্ভাবনাময় কাজ কোনগুলো? আপনি কি সেগুলোতে বেশি সময় দিচ্ছেন?

আপনার চিন্তাভাবনার গুণগত মানই আপনার পছন্দ নির্বাচন করবে। আপনার পছন্দ এবং সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করবে আপনি কোন ধরনের কাজ করবেন। আর আপনার কাজই আপনার ফলাফলের গুণগত মান এবং পরিমাণ নির্ধারণ করবে। লোকজন কেবল ফলাফল দেখতে চায়। তাই উত্তম ফলাফল পেতে হলে চিন্তাভাবনা থেকে আরম্ভ করুন।

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হচ্ছে, আপনি যে ক্ষেত্র বা মার্কেটে সফল হতে চান, সেই ক্ষেত্রে আগে যারা সফল হয়েছে তাদেরকে জানুন, তাদের পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ নিন এবং তাই তাই করুন। দেখবেন আপনিও সফল।

আপনি যত স্বচ্ছভাবে আপনার লক্ষ্য দেখতে পাবেন আপনি তত দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পারবেন। কারণ আপনি লক্ষ্য সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করছেন। চিন্তাভাবনা থেকে পছন্দ এবং সিদ্ধান্ত আসবে। আর সিদ্ধান্ত থেকে কাজ এবং কাজ থেকে আশানুরূপ ফলাফল আসবে। আবারও জিগ জিগলারের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, “আপনি যদি কোন টার্গেট না দেখেন, তবে আপনি কোন টার্গেটে হিট করতে পারবেন না।” আপনি কি জানেন, পরিকল্পনা বা লক্ষ্য কীভাবে তৈরি করতে হয়? আজই আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।