বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০২০

শিক্ষা হচ্ছে আমের মতো

শিক্ষা হচ্ছে আমের মতো। আমরা যেমন আম খেয়ে আমের বীজটি ফেলে দিতে পারি, আবার আম খেয়ে আমের বীজটিকে যত্ন করে রোপণ করতে পারি। একে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মিলিয়ে দেখা সম্ভব। বাজার থেকে আমরা আম কিনে এনে খেতে পারি। ঠিক তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা শিক্ষা সনদ গ্রহণ করতে পারি। তারপর তা দিয়ে একটি কাজ করে বা চাকরি করে বাকি জীবন কাটাতে পারি।


এ হচ্ছে আম খেয়ে আমের বীজটি ফেলে দেওয়ার মতো। কিন্তু যারা কাজ করে বা চাকরি করার পরেও শিক্ষা অর্জন করতে সচেষ্ট থাকে তারা হচ্ছে আমের বীজকে যত্ন করে রোপণ করা ব্যক্তির মতো। তারা চারা রোপণ করে এবং সেই চারার যত্ন নেয়। প্রতিনিয়ত পানি দেয়, ঝড়বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে এবং সার দেয়। বড় হওয়ার জন্য লাঠি দিয়ে বেঁধে দেয়। আবার বড় হয়ে গেলে লাঠি ও বেড়া সরিয়ে নেয়। তারা নিজেরা শিক্ষা অর্জন করে, প্রতিনিয়ত উন্নতির চেষ্টা করে, অন্যের সাহায্য নেয়, নিজের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে। তারপর নিজেরা মজবুত হয়ে দাঁড়ালে অন্যদের সাহায্য করে।

এর সাথে প্রাসঙ্গিক একটি উক্তি দিলাম। আমি কিছুদিন আগে “অনুপ্রেরণা ও সফলতার গল্প” নামক ফেসবুক গ্রুপে মানুষের পছন্দের অনুপ্রেরণার উক্তি লিখতে বলেছিলাম। সেখানে ডেল কার্নেগির একটি উক্তি অনেকেই পছন্দ করেন। ডেল কার্নেগি বলেন,

‘অন্যকে অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন।’

আসুন নিজেকে খুঁজি, নিজেকে জানি এবং নিজের পথ নিজেই তৈরি করি।

চলবে...

সোমবার, ২৫ মে, ২০২০

একজন মানুষ যার পেশা হচ্ছে অরণ্য নির্মাতা

আপনি যদি একটু ভালো কিছু করেন, আপনি যদি কাউকে সামান্য একটু সাহায্য করেন, যদি কাজটি প্রতিদিন করে যান এবং অনেকদিন ধরে করতে থাকেন, তবে আপনি এমন কিছু তৈরি করবেন যা আপনার নিজের থেকেও অনেক অনেক বড়। এমন কিছু যা সারা দুনিয়াকে বদলে দিবে, আরও সুন্দর করে গড়ে তুলবে।

আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব এমন একজন মানুষকে যার পেশা হচ্ছে অরণ্য নির্মাতা।

যাদব পায়েং-এর তৈরি ‘মোলাই ফরেস্ট’

যাদব পায়েং (অসমীয়া: যাদৱ পায়েং) অসমের একজন প্রকৃতিপ্রেমী। তার অপর নাম মুলাই। তিনি অসমের যোরহাট জেলার কলিকামুখের নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্রের ঔনামুখ চাপরি নামক স্থানের এক বৃহৎ এলাকায় গাছ রোপণ করে এলাকাটিকে অরণ্যে রুপান্তরিত করেন।

যাদব পায়েং

এই ৫৫০ হেক্টর বিস্তৃত অঞ্চলটি তার সন্মানার্থে মুলাই কাঠনি নামে নামকরণ করা হয়েছে। ঔনামুখ চাপরি প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি বৃহৎ দ্বীপ। এর আয়তন হচ্ছে দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭কিঃমিঃ ও প্রস্থ প্রায় ১৫কিঃমিঃ। ১৯৮০ সনে তিনি অরণ্য সৃষ্টির অভিযান আরম্ভ করেন। বর্ত্তমান অরণ্যটিতে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রানী দেখতে পাওয়া যায়। এখানকার বন্য প্রাণীর মধ্যে গণ্ডার, চিতাবাঘ, হরিন ও বিভিন্ন ধরনের পরিভ্রমী পাখি ইত্যাদি প্রধান। নতুন দিল্লিতে অবস্থিত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ফরেষ্ট মেন অফ ইন্ডিয়া (ভারতের বন মানব) উপাধিতে বিভূষিত করেছে।

তথ্যসূত্র :
১। ন্যাস ডেইলি ভিডিও

রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

শেখার আনন্দের কোনো শেষ নেই!

অনুপ্রেরণার ৩৬৫ দিন :

মানুষের জীবনে আনন্দের জায়গা অনেক। আবার দুঃখের জায়গাও আছে। আমরা কোনদিকে তাকাব তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা সত্য যে, আমাদের জীবনে সংগ্রামের কোনো শেষ নেই। তাই বলে কী সংগ্রাম করতে গিয়ে আমরা সর্বদা মনমরা হয়ে থাকব?

মানুষের জীবনে সংগ্রাম সত্য। ঠিক একই ভাবে এ কথাও সত্য যে আমরা আমাদের মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গি নির্বাচন করতে পারি। আমরা যদি দিন ও রাতকে বিবেচনায় ধরি। তবে দেখতে পাব মনোভাবের কত গুরুত্ব। রাতের অন্ধকারে আমরা ব্লাকবোর্ডের মতো কালো অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি। অথবা আলো ঝলমল তারার দিকে বা রূপোর থালার মতো চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখতে পারি। আবার দিনের কথা যদি ধরি। তবে সূর্যের দিকে তাকিয়ে নিজের চোখ পোড়াতে পারি। অথবা সূর্যের আলো যাদেরকে আলোকিত করেছে সেই সব সবুজ শ্যামল বিশ্বের দিকে তাকিয়ে আমাদের চোখ জুড়াতে পারি। এজন্য আমাদের দরকার অবিরত সংগ্রাম করে যাওয়ার মনোভাব।


আমরা যখন, স্কুলে থাকি তখন আমাদের বলা হয়, এই তো, এই তো তোমার সব সংগ্রামের শেষ। আর কোনো কষ্ট নেই। কিন্তু আমরা কলেজে উঠে ভিন্ন এক সংগ্রামের মুখোমুখি হই। সেখানেও আমাদের চেষ্টা থাকে, ‘আর একটু!’ এরপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হলে, আমরা বলি, ‘যাক, শেষ হল!’ আর কোনোদিন কোনো বইপুস্তক ধরতে হবে না। যেন, বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা মানে, আর কোনোদিন কোনো বইপুস্তক না পড়ার সার্টিফিকেট। কিন্তু এরপর দেখা যায়, জীবনের আসল চড়াই-উতরাই। তখন বোঝা যায়, আমরা এতদিন মূলত জীবনের এসব চড়াই-উতরাই পার করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম।

যারা এসব কথা যত দ্রুত বুঝতে পারে, তারা তাদের মেনটর বা বিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে যত বেশি সম্ভব শিক্ষা অর্জন করে নেয়। কারণ জীবনের চড়াই-উতরাই অতিক্রম করতে শিক্ষাই সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়।

চলবে...

শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

যেকোনো মূল্যে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন

সাফল্যের জন্য একটি ভালো মনোভাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো মনোভাবই নির্ধারণ করে দেয় যে আপনি কতদূর যেতে সক্ষম। আপনার আশেপাশের মানুষের ইতিবাচক মনোভাবের গুরুত্বকেও ভুলবেন না। আপনি যখন অন্যদের সাথে ভ্রমণে যাবেন, তখন দলের মধ্যে সবচেয়ে কম গতিসম্পন্ন ব্যক্তি যেভাবে যেতে পারে আপনি সেভাবেই যেতে পারবেন। আবার দলের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি যতদূর যেতে পারে আপনি ততদূরই যেতে পারবেন। একটি দলকে সাথে নিয়ে যাওয়ার এই হচ্ছে অন্যতম শর্ত। নেতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন লোকজনকে নিয়ে চলা মানে আপনার পায়ে শিকল বাঁধা বল নিয়ে চলা।


আপনি হয়তো কিছু সময়ের জন্য দৌড়াতে পারবেন, কিন্তু খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাবেন। আর এ কথা তো নিশ্চিত যে আপনি যত দ্রুত দৌড়াতে চান, তত দ্রুত কোনোদিনই দৌড়াতে পারবেন না।

রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

অনুবাদ বিষয়ে সর্বাধিক সফল মানুষগুলো কে?


আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সেই বিষয়ে সর্বাধিক সফল মানুষগুলোর সঙ্গ অবলম্বন করুন।

আমি কোন বিষয়ে কাজ করছি?

উত্তর : বই অনুবাদ করি।

অনুবাদ বিষয়ে সর্বাধিক সফল মানুষগুলো কে?

১। খায়রুল আলম সবুজ (অনুবাদ) ২০১৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

২। আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া (অনুবাদ) ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

৩। অধ্যাপক নিয়াজ জামান (অনুবাদ) ২০১৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

৪। আব্দুস সেলিম (অনুবাদ) ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

৫। কায়সার হক (অনুবাদ) ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সেই বিষয়ে সর্বাধিক সফল মানুষগুলোর সঙ্গ অবলম্বন করছেন কি?

১।

২।

৩।

৪।

৫।

তথসূত্র : এটিটিউড ইজ এভরিথিং তথা মনোভাবের ওপর সবকিছু নির্ভর করে। মূল লেখক : জেফ কেলার। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২০।

শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

বক্তা হওয়ার সহজ কিছু উপায়

শ্রেষ্ঠ বিক্রয় ও জনসংযোগ প্রতিনিধি এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা হওয়ার সহজ উপায়
১। ভয় কাটানোর একমাত্র পথ হল, কেবল অভ্যাস চালিয়ে যাও। দেখবেন বক্তৃতা ব্যাপারটা আপনার কাছে আনন্দের খনি হয়ে উঠতে পারে।

২। নিজেকে সঠিকভাবে তৈরি করুন। একমাত্র তৈরি হয়ে আসা বক্তারাই আত্মবিশ্বাসী হন। দুর্বল অস্ত্র নিয়ে কেউ কীভাবে কোন ভয়ের দুর্গ জয় করা ভাবতে পারে? আব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, আমার বিশ্বাস কোনোকিছু বলার না থাকলে বলতে গেলে অস্বস্তি বোধ না করে পারব না।
ডেনিয়েল ওয়েবন্টার বলেছিলেন, অর্ধেক তৈরি হয়ে শ্রোতাদের সামনে যাওয়ার কথা ভাবলে মনে হয় অর্ধেক পোশাক পরে হাজির হয়েছি।

৩। বক্তৃতার প্রতিটি শব্দ মুখস্ত করবেন না।

৪। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, যুদ্ধ হল একটি শিল্পকলা ও বিজ্ঞান। আগে থেকে পরিকল্পনা না করলে তা ব্যর্থ হয়। বক্তৃতার ব্যাপারেও তাই। আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হয়। এটা অনেকটা ভ্রমণের মতো। শুরু না করলে শেষ হয় না।

৫। রাসেল এইচ কনওয়েল তার 'একরস অফ ডায়মন্ড' বইয়ে কয়েকটি নিয়মের কথা বলেন যা অনেকেরই কাজে লাগতে পারে।
ক। আপনার জানা তথ্যগুলো গুছিয়ে বলুন।
খ। এর ওপর আলোচনা করুন।
গ। এগুলো কাজে লাগাতে অনুরোধ করুন।

৬। বন্ধুদের সঙ্গে রিহার্সাল দিন।

৭। সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদী হোন। নিজের ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রেখে আপনার বক্তব্য শেষ করবেন।

৮। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজভেল্ট ছোটবেলায় এক বইয়ে পড়েছিলেন, 'প্রত্যেক মানুষ কাজ করতে গিয়ে ভীত হয়। তাকে যা করতে হবে তা হল ভয়ের কথা না ভেবে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এভাবেই একদিন ভয়কে জয় করা সম্ভব হবে।' আমার নিশ্চিত বিশ্বাস আপনিও তা পারবেন।

শনিবার, ৯ মে, ২০২০

বই– এটিটিউড ইজ এভরিথিং (মনোভাবের ওপর সবকিছু নির্ভর করে)– কুয়োর বাইরে চিন্তা কর

১৮৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বামী বিবেকানন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আয়োজিত বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে বক্তৃতা দেন।

১৫ সেপ্টেম্বরের সভায় প্রত্যেক সদস্য নিজ নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পরস্পরের সঙ্গে প্রায় কলহের পরিবহ সৃষ্টি করেছিলেন। তাদের মুখ বন্ধ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। একটি ছোট্ট গল্প দিয়ে। (ছবির মাধ্যমে 'কুয়োর বাইরে চিন্তা কর' গল্পকে প্রকাশ করা হল।)


এক কুয়োর মধ্যে থাকত এক ব্যাঙ। একদিন একটা সমুদ্রের ব্যাঙ কী করে কে জানে সেই কুয়োটার সামনে এল।
কুয়োর ব্যাঙ : কোথা থেকে আসা হচ্ছে?
সমুদ্রের ব্যাঙ : সমুদ্র থেকে।
কুয়োর ব্যাঙ : সমুদ্র? সে কত বড়? আমার এ কুয়োর মতো বড়?
বলে কুয়োর ব্যাঙ কুয়োর এক ধার থেকে অন্য ধারে এক লাফ দিল।
সমুদ্রের ব্যাঙ : আরে ভাই, তুমি এ ছোট্ট কুয়োর সঙ্গে সমুদ্রের তুলনা করছ কী করে?
শুনে কুয়োর ব্যাঙ আরও বড় এক লাফ দিয়ে জিজ্ঞেস করল : সমুদ্র কি এত বড়?
সমুদ্রের ব্যাঙ : সমুদ্রের সঙ্গে কুয়োর তুলনা করে তুমি কী মূর্খের মতো প্রলাপ বকছ!
কুয়োর ব্যাঙ : আমার কুয়োর মতো এত বড় আর কিছুই হতে পারে না। এ পৃথিবীতে এরচেয়ে বড় আর কিচ্ছু নেই। এ নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী, একে তাড়িয়ে দাও।

স্বামী বিবেকানন্দ আরও বলেন, হে ভ্রাতৃগণ, এইরূপ সংকীর্ণ ভাবই আমাদের মতভেদের কারণ। আমি একজন হিন্দু -আমি আমার নিজের ক্ষুদ্র কূপে বসিয়া আছি এবং সেটিকেই সমগ্র জগৎ বলিয়া মনে করিতেছি! খ্রীষ্টধর্মাবলম্বী তাঁহার নিজের ক্ষুদ্র কূপে বসিয়া আছেন এবং সেটিকেই সমত্র জগৎ মনে করিতেছেন! মুসলমানও নিজের ক্ষুদ্র কূপে বসিয়া আছেন এবং সেটিকেই সমগ্র জগৎ মনে করিতেছেন! হে আমেরিকাবাসিগণ, আপনারা যে আমাদের ক্ষুদ্র জগৎগুলির বেড়া ভাঙিবার জন্য বিশেষ যত্নশীল হইয়াছেন, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ দিতে হইবে। আশা করি, ভবিষ্যতে ঈশ্বর আপনাদের এই মহৎ উদ্দেশ্য-সম্পাদনে সহায়তা করিবেন।

বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০

বই– এটিটিউড ইজ এভরিথিং (মনোভাবের ওপর সবকিছু নির্ভর করে)– ভূমিকা

আমার প্রজন্মের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হচ্ছে মানুষ তার চিন্তার পরিবর্তনের মাধ্যমে তার জীবন বদলাতে পারে।
- উইলিয়াম জেমস

জেফ কেলার একজন প্রাক্তন আইনজীবী ছিলেন। তিনি তার আইন পেশায় অসন্তুষ্ট ছিলেন। এরপর তিনি তার পেশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্তেরই ফলাফল এটিটিউড ইজ এভরিথিং শিরোনামের বই। ১৯৮৫ সালের পর দীর্ঘ ১৪ বছর পর ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয় এ বইটি। এখানে তিনি তার উপলদ্ধির কথা তুলে ধরেন। তিনি তার ভয় ও হতাশার কথা তুলে ধরেন।

এরপর সাহায্য আসে অজানা জায়গা থেকে।


আপনি যা নন বলে আপনি চিন্তা করেন তা সত্য নয়। আপনি নিজেকে নিয়ে যা চিন্তা করেন আপনি তাই।
- নরম্যান ভিনসেন্ট পিল

ধর্মগ্রন্থে যেমন বলা হয়েছে, আপনি যা খুঁজবেন তাই পাবেন। তেমনই জেফ কেলার তার জীবনে অনুপ্রেরণা খুঁজচ্ছিলেন এবং তাই পেলেন এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। উক্ত বিজ্ঞাপন দেখে তিনি মানসিক ভাণ্ডার তথা দ্য মেন্টাল ব্যাংক নামক এক হোমস্টাডি কোর্স কিনলেন। হোমস্টাডি কোর্স মানে বাসায় বসে পড়া যায় এমন শিক্ষা কোর্স। এখান থেকেই তার বদলে যাওয়া জীবনের শুরু। এখান থেকেই তিনি জানতে পারেন যে মনোভাবের ওপর সবকিছু নির্ভর করে।

এরপর এলো, জেফ কেলার কী করে উকিল থেকে মোটিভেশনাল স্পিকারে পরিণত হলেন।

আপনি নিজেকে বদলাতে সক্ষম। নিজের এ ক্ষমতাকে কখনো ছোট করে দেখবেন না।
- এইচ জ্যাকসন ব্রাউন জুনিয়র

পরিবর্তনের জন্য আশা থাকলেই হবে না। নিজের ভিত মজবুত করতে হবে। আপনার আগ্রহের বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।

একটি ইতিবাচক মনোভাব হচ্ছে একজন ব্যক্তির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।
- অজানা বক্তা

জেফ কেলার এরপর এ বই থেকে একজন পাঠক কীভাবে উপকৃত হবেন তা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি তার চৌদ্দ বছরের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন। ব্যক্তিগত ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক লোকজনের উদাহরণের মাধ্যমে পাঠককে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম এক উপায় হচ্ছে এ বই।

আপনি কি ইতিবাচক ফলাফল চান? তবে আগ্রহ নিয়ে চিন্তা করুন, কাজ করুন এবং কথা বলুন।
- মাইকেল লিবোউফ

জেফ কেলার তার বই এটিটিউড ইজ এভরিথিং (মনোভাবের ওপর সবকিছু নির্ভর করে) ভূমিকার শেষ করেন একটি বক্তব্য দিয়ে। আপনি যা কিছু ভালোবাসেন, আপনার অনুরাগের বিষয়ে চিন্তা করুন ... কাজ করুন ... কথা বলুন।

যখন আপনি নিজের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে চিন্তা করবেন, কাজ করবেন এবং কথা বলবেন তখন আপনার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না। বুঝবেন আপনি অভাবনীয় সাফল্যের পথে অগ্রসর হয়েছেন।