একজন মানুষ যার পেশা হচ্ছে অরণ্য নির্মাতা

আপনি যদি একটু ভালো কিছু করেন, আপনি যদি কাউকে সামান্য একটু সাহায্য করেন, যদি কাজটি প্রতিদিন করে যান এবং অনেকদিন ধরে করতে থাকেন, তবে আপনি এমন কিছু তৈরি করবেন যা আপনার নিজের থেকেও অনেক অনেক বড়। এমন কিছু যা সারা দুনিয়াকে বদলে দিবে, আরও সুন্দর করে গড়ে তুলবে।

আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব এমন একজন মানুষকে যার পেশা হচ্ছে অরণ্য নির্মাতা।

যাদব পায়েং-এর তৈরি ‘মোলাই ফরেস্ট’

যাদব পায়েং (অসমীয়া: যাদৱ পায়েং) অসমের একজন প্রকৃতিপ্রেমী। তার অপর নাম মুলাই। তিনি অসমের যোরহাট জেলার কলিকামুখের নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্রের ঔনামুখ চাপরি নামক স্থানের এক বৃহৎ এলাকায় গাছ রোপণ করে এলাকাটিকে অরণ্যে রুপান্তরিত করেন।

যাদব পায়েং

এই ৫৫০ হেক্টর বিস্তৃত অঞ্চলটি তার সন্মানার্থে মুলাই কাঠনি নামে নামকরণ করা হয়েছে। ঔনামুখ চাপরি প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি বৃহৎ দ্বীপ। এর আয়তন হচ্ছে দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭কিঃমিঃ ও প্রস্থ প্রায় ১৫কিঃমিঃ। ১৯৮০ সনে তিনি অরণ্য সৃষ্টির অভিযান আরম্ভ করেন। বর্ত্তমান অরণ্যটিতে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রানী দেখতে পাওয়া যায়। এখানকার বন্য প্রাণীর মধ্যে গণ্ডার, চিতাবাঘ, হরিন ও বিভিন্ন ধরনের পরিভ্রমী পাখি ইত্যাদি প্রধান। নতুন দিল্লিতে অবস্থিত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ফরেষ্ট মেন অফ ইন্ডিয়া (ভারতের বন মানব) উপাধিতে বিভূষিত করেছে।

তথ্যসূত্র :
১। ন্যাস ডেইলি ভিডিও
ফজলে রাব্বি (Fazle Rabbi)

আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশ করা। saphollo.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন