অনুপ্রেরণার ৩৬৫ দিন :
মানুষের জীবনে আনন্দের জায়গা অনেক। আবার দুঃখের জায়গাও আছে। আমরা কোনদিকে তাকাব তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ কথা সত্য যে, আমাদের জীবনে সংগ্রামের কোনো শেষ নেই। তাই বলে কী সংগ্রাম করতে গিয়ে আমরা সর্বদা মনমরা হয়ে থাকব?
মানুষের জীবনে সংগ্রাম সত্য। ঠিক একই ভাবে এ কথাও সত্য যে আমরা আমাদের মনোভাব বা দৃষ্টিভঙ্গি নির্বাচন করতে পারি। আমরা যদি দিন ও রাতকে বিবেচনায় ধরি। তবে দেখতে পাব মনোভাবের কত গুরুত্ব। রাতের অন্ধকারে আমরা ব্লাকবোর্ডের মতো কালো অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি। অথবা আলো ঝলমল তারার দিকে বা রূপোর থালার মতো চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখতে পারি। আবার দিনের কথা যদি ধরি। তবে সূর্যের দিকে তাকিয়ে নিজের চোখ পোড়াতে পারি। অথবা সূর্যের আলো যাদেরকে আলোকিত করেছে সেই সব সবুজ শ্যামল বিশ্বের দিকে তাকিয়ে আমাদের চোখ জুড়াতে পারি। এজন্য আমাদের দরকার অবিরত সংগ্রাম করে যাওয়ার মনোভাব।
আমরা যখন, স্কুলে থাকি তখন আমাদের বলা হয়, এই তো, এই তো তোমার সব সংগ্রামের শেষ। আর কোনো কষ্ট নেই। কিন্তু আমরা কলেজে উঠে ভিন্ন এক সংগ্রামের মুখোমুখি হই। সেখানেও আমাদের চেষ্টা থাকে, ‘আর একটু!’ এরপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হলে, আমরা বলি, ‘যাক, শেষ হল!’ আর কোনোদিন কোনো বইপুস্তক ধরতে হবে না। যেন, বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা মানে, আর কোনোদিন কোনো বইপুস্তক না পড়ার সার্টিফিকেট। কিন্তু এরপর দেখা যায়, জীবনের আসল চড়াই-উতরাই। তখন বোঝা যায়, আমরা এতদিন মূলত জীবনের এসব চড়াই-উতরাই পার করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম।
যারা এসব কথা যত দ্রুত বুঝতে পারে, তারা তাদের মেনটর বা বিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে যত বেশি সম্ভব শিক্ষা অর্জন করে নেয়। কারণ জীবনের চড়াই-উতরাই অতিক্রম করতে শিক্ষাই সবচেয়ে বেশি কাজে দেয়।
চলবে...