শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯

হতাশার পাঁচটি ধাপ


হতাশার পাঁচটি ধাপ রয়েছে। ধাপগুলো আগে বর্ণনা করছি,  এরপর একটি গল্প বলছি।

১। প্রথম ধাপ - আকাঙ্ক্ষা।

২। দ্বিতীয় ধাপ - সরঞ্জাম। সরঞ্জাম মানে আকাঙ্ক্ষা ও নিজের কার্যসম্পাদনের জন্য আশেপাশে যা কিছু যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।

৩। তৃতীয় ধাপ - ধ্বংস বা বিনাশ।

৪। চতুর্থ ধাপ - পালিয়ে যাওয়া এবং আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করা।

৫। পঞ্চম ধাপ - নিশ্চিত হওয়া।

ধরুন, আপনি একটি ঘরে দুই দিন ধরে আটকে রাখা হল। আপনার খুব তেষ্টা পেয়েছে। সেখানে মাত্র একটি জানালা। আপনি দেখলেন জানালার বাইরে দূরে একটি ঠান্ডা পানির বোতল রাখা আছে। তা দেখে আপনার মাথায় প্রথমে কী চিন্তা আসবে?

প্রথমে আপনার মধ্যে সেই পানির বোতল থেকে পানি পান করার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে।

তারপর এই আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করার জন্য আপনি আপনার আশেপাশের যা কিছু সরঞ্জাম পাওয়া যায় তা ব্যবহার করবেন।

তারপরও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারলে জানালা ভাঙ্গার চেষ্টা করবেন। এই হচ্ছে তৃতীয় ধাপ - ধ্বংস বা বিনাশ।

পালিয়ে যাবেন এবং আকাঙ্ক্ষাকে ত্যাগ করবেন। একে বলা হয় চতুর্থ ধাপ। এই ধাপে আপনি চিন্তা করবেন পানির ঐ বোতল আপনার দরকার নেই।

পঞ্চম ধাপ হচ্ছে নিশ্চিত হওয়া। এই ধাপে আপনি নিশ্চিত হয়েছেন যে ঐ পানির বোতল আপনার দরকার নেই। এমনকি কোন প্রকার পানি পান করার দরকার নেই। এই জগতে কোন মানুষেরই পানি পান করার দরকার নেই।

প্রথম দুই ধাপ, এমনকি তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপ ভালো নয়। আপনার সামনে যদি কোন মানুষ আসে তাহলে তার সাথে আলাপ করে দেখুন সে কোন ভাবে আছে। আপনি একজন মানুষকে কেবল একটি ধাপ পিছিয়ে আনতে পারেন অথবা এগিয়ে দিতে পারেন। ধরুন, কেউ গান গাইতে পারে। তার মধ্যে আরও গান গাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আছে। তাকে আপনি সরঞ্জাম দিবেন। একটি হারমোনিয়াম কিনে দিলেন। দ্বিতীয় ধাপে উন্নীত করলেন।

আবার কেউ যদি পড়ালেখা করতে না চায় তবে সে কোন ধাপে আছে। চতুর্থ ধাপে - পালিয়ে যাওয়া এবং আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করা। আপনি তাকে একধাপ পিছিয়ে আনতে পারেন। তৃতীয় ধাপে - ধ্বংস বা বিনাশ। আপনি তাকে বলতে পারেন ঠিক আছে পড়ালেখা করো না - টিভি দেখো, সিনেমা দেখো, মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করো। এরপর কিছুদিন অপেক্ষা করুন। তারপর তাকে দ্বিতীয় ধাপে আনুন।

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৯

ষোল ও সতেরো শতকের চার বিজ্ঞানী যাদের কারণে আজকের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

ষোল ও সতেরো শতকের চার বিজ্ঞানী যাদের কারণে আজকের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

১। কোপার্নিকাস
২। কেপলার
৩। গ্যালিলিও
৪। নিউটন

১। কোপার্নিকাস

নিকোলাস কোপারনিকাস
জন্ম ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ১৪৭৩
মৃত্যু ২৪ মে ১৫৪৩ (বয়স ৭০)
পেশা গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান
যে জন্য পরিচিত সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ

নিকোলাস কোপারনিকাস (১৯ ফেব্রুয়ারি ১৪৭৩ - ২৪ মে ১৫৪৩) একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী।  তিনিই প্রথম আধুনিক সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের মতবাদ প্রদান করেন।  যেখানে তিনি পৃথিবী নয় বরং সূর্যকে সৌরজগতের কেন্দ্র হিসাবে উল্লেখ করেন।  তিনি আঠারো শতকের আগে এমন একটি মডেল প্রনয়ন করেন যখন চারিদিকে সক্রেটিস এবং এরিস্টটলের মতবাদ চলছিল।

তার মৃত্যুর কিছুদিন কোপারনিকাস তার বই (দি রেভলিউসনিবাস অরবিয়াম কোয়েলেস্তিয়াম) বইটি প্রকাশ করা হয়।  এই বইটি বিজ্ঞানের ইতিহাসের বড় একটি ভুমিকা পালন করে।  এছাড়াও কোপারনিকান বিপ্লবের সৃষ্টি এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

কোপারনিকাস জন্ম এবং মৃত্যু একই জায়গা রয়েল প্রুশিয়াতে যেটি ১৪৬৬ সাল পর্যন্ত পোল্যান্ড সম্রাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল।  তিনি একাধারে গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিদ, আধুনিক পণ্ডিতবিদ, অনুবাদক, গভর্নর কূটনীতিক এবং অর্থনীতিবিদ ছিলান।  ১৫১৭ সালে তিনি অর্থের একটি পরিমাণ তত্ত্ব বের করেন যাকে অর্থনীতির প্রধান ধারণা বলা যায়।  এছাড়াও ১৫১৯ সালে তিনি অর্থনীতির একটি সূত্র প্রদান করেন যা পরবর্তীতে গ্রিসমের সূত্র নামে পরিচিত।

২। কেপলার

জন্ম ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ১৪৭৩
মৃত্যু ২৪ মে ১৫৪৩ (বয়স ৭০)
পেশা গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান
যে জন্য পরিচিত - সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ

একজন জার্মান গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতিষী।  তিনি ১৭শ শতকের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত হয়ে আছেন কেপলারের গ্রহীয় গতিসূত্রের কারণে।  পরবর্তীকালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাঁর লেখা আস্ত্রোনমিয়া নোভা, হারমোনিকেস মুন্দি এবং এপিতোমে আস্ত্রোনমিয়াই কোপেরনিকানাই বইগুলির মধ্যে লেখা নীতিগুলিকেই তাঁর সূত্র হিসাবে নামকরণ করেছেন।  কেপলারের আগে গ্রহের গতিপথ জ্যোতিষ্কসমূহের খ-গোলক অণুসরণ করে নির্ণয় করা হত।  কেপলারের পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন গ্রহগুলো উপবৃত্তাকার কক্ষপথ অণুসরণ করে।  কেপলারের গ্রহীয় সূত্রগুলো আইজাক নিউটনের বিশ্বজনীন মহাকর্ষ তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছিল।

কর্মজীবনে কেপলার ছিলেন অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস শহরে অবস্থিত একটি সেমিনারি স্কুলে গণিতের শিক্ষক যেখানে তিনি প্রিন্স হান্স উলরিখ ফন এগেনবের্গের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীতে পরিণত হন।  এরপরে তিনি বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ট্যুকো ব্রাহের সহকারী হন এবং একসময় সম্রাট দ্বিতীয় রুডলফ এবং তার দুই উত্তরসূরী মাটিয়াস ও দ্বিতীয় ফের্ডিনান্ডের রাজগণিতবিদ হিসেবে কাজ করেন।  এছাড়া অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে গণিত পড়িয়েছেন এবং জেনারেল ভালেনস্টাইনের উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন।  পাশাপাশি তিনি আলোকবিদ্যার মৌলিক নীতি নিয়ে কাজ করেছেন, প্রতিসরণ দুরবিনের একটি উন্নততর সংস্করণ নির্মাণ করেন যার নাম বর্তমানে কেপলারীয় দূরবিন এবং তার সমসাময়িক গ্যালিলিও গ্যালিলেইয়ের দূরবিন বিষয়ক কাজ সম্পর্কে মন্তব্য করেন।

কেপলার যখন জীবিত ছিলেন তখন জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না, কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে সুস্পষ্ট পার্থক্য ছিল পদার্থবিজ্ঞানের।  সেসময় পদার্থবিজ্ঞান ছিল প্রাকৃতিক দর্শনের একটি শাখা আর জ্যোতির্বিদ্যা ছিল লিবারেল আর্টসের অন্তর্ভুক্ত গণিতের একটি উপশাখা।  কেপলারও তার আবিষ্কারগুলোকে ধর্মীয় যুক্তির মাধ্যমে সিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি মনে করতেন ঈশ্বর একটি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন এবং প্রাকৃতিক কার্যকারণ অণুসন্ধানের মাধ্যমেই কেবল সেই পরিকল্পনার কিছুটা বোঝা সম্ভব।  এজন্য বোধহয় কেপলারের গবেষণাকর্মকে জ্যোতির্বিজ্ঞান না বলে জ্যোতির্বিদ্যা বলাই বেশি যুক্তিসঙ্গত হবে। তিনি তার নতুন জ্যোতির্বিদ্যার নাম দিয়েছিলেন "খ-পদার্থবিদ্যা" যাকে বিবেচনা করা যেতে পারে এরিস্টটলের অধিবিদ্যার জগতে একটি বিশেষ অভিযাত্রা এবং এরিস্টটলের "অন দ্য হ্যাভেনস" গ্রন্থের উত্তরখণ্ড হিসেবে।  মোটকথা, জ্যোতির্বিদ্যাকে সর্বজনীন গাণিতিক পদার্থবিদ্যার একটি শাখা হিসেবে বিবেচনা করে তিনি ভৌত বিশ্বতত্ত্বের সুপ্রাচীন প্রথাকে একটি নতুন আঙ্গিক দিয়েছিলেন।

৩। গ্যালিলিও

জন্ম ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৫৬৪
মৃত্যু জানুয়ারি ৮, ১৬৪২
কর্মক্ষেত্র জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত
প্রতিষ্ঠান পাদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাক্তন ছাত্র পিসা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণ - গতিবিজ্ঞান, দূরবীন, সৌর জগৎ

একজন ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক যিনি বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সাথে বেশ নিগূঢ়ভাবে সম্পৃক্ত।  তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নতি সাধন যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে, বিভিন্ন ধরণের অনেক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, নিউটনের গতির প্রথম এবং দ্বিতীয় সূত্র, এবং কোপারনিকাসের মতবাদের পক্ষে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ।  বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মতে আধুনিক যুগে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের এতো বিশাল অগ্রগতির পেছনে গ্যালিলিওর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেনি। তাকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক এবং এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।  এরিস্টটলীয় ধারণার অবসানে গ্যালিলিওর আবিষ্কারগুলোই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

৪। নিউটন

জন্ম জানুয়ারি ৪ ১৬৪৩
মৃত্যু মার্চ ৩১ ১৭২৭
কর্মক্ষেত্র ধর্মতত্ত্ব, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক দর্শন, এবং আলকেমি
প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, রয়েল সোসাইটি
প্রাক্তন ছাত্র ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণ - নিউটনীয় বলবিজ্ঞান, সর্বজনীন মহাকর্ষ, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্যালকুলাস, আলোকবিজ্ঞান, দ্বিপদী উপপাদ্য, ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা

স্যার আইজ্যাক নিউটন (জন্ম : জানুয়ারি ৪, ১৬৪৩ – মৃত্যু : মার্চ ৩১, ১৭২৭) প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট।  অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী।  ১৬৮৭ সনে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগৎে একক আধিপত্য করেছে।  তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।  কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সাথে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন।  তাঁর গবেষণার ফলেই সৌরকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়।

বলবিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি রচনা করেছেন নিউটন।  রৈখিক এবং কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রের মাধ্যমে তিনি এই ভিত্তি রচনা করেন।  আলোকবিজ্ঞানের কথায় আসলে তার হাতে তৈরি প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা এসে যায়।  একই সাথে তিনি আলোর বর্ণের উপরএকটি তত্ত্ব দাড় করান যা একটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন।  পর্যবেক্ষণটি ছিল ত্রিভুজাকার প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাওয়া আলোর বিক্ষেপণের উপর যার মাধ্যমে দৃশ্যমান বর্ণালির সৃষ্টি হয়েছিল।  শব্দের দ্রুতি এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া বিষয়েও তিনি গবেষণা পরিচালনা করেন যা থেকে নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র এসেছে।

গণিতের জগৎেও নিউটনের জুড়ি মেলা ভার।  নিউটন এবং লাইবনিজ যৌথভাবে ক্যালকুলাস নামে গণিতের একটি নতুন শাখার পত্তন ঘটান।  এই নতুন শাখাটিই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগৎে বিপ্লব সাধনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।  এছাড়া নিউটন সাধারণীকৃত দ্বিপদী উপপাদ্য প্রদর্শন করেন, একটি ফাংশনের শূন্যগুলোর আপাতকরণের জন্য তথাকথিত নিউটনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন এবং পাওয়ার সিরিজের অধ্যয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

২০০৫ সনে রয়েল সোসাইটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে কার প্রভাব সবচেয়ে বেশি এ প্রশ্ন নিয়ে একটি ভোটাভুটির আয়োজন করে।  ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, এক্ষেত্রে নিউটন আইনস্টাইনের চেয়েও অধিক প্রভাবশালী।

তথ্যসূত্র :

১। https://bn.wikipedia.org/wiki/নিকোলাউস_কোপের্নিকুস
২। https://bn.wikipedia.org/wiki/ইয়োহানেস_কেপলার
৩। https://bn.wikipedia.org/wiki/গ্যালিলিও_গ্যালিলেই
৪। https://bn.wikipedia.org/wiki/আইজাক_নিউটন