শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২

অফুরন্ত আশা নিয়ে হাজির হলো নতুন বছর, ২০২৩

#উক্তি

 
আসছে নতুন বছর, ২০২৩। এ বছর অতীতের অন্য কোন বছরের মতো হবে। অনাগত ভবিষ্যতেও এমন বছর আসবে না। এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ২০২৩ নিয়ে শত সমস্যা, দুঃখ এবং আপত্তি থাকা সত্ত্বেও আপনি যদি আশাবাদী হোন, পরিকল্পনা করেন এবং তদানুযায়ী কাজ করেন, তবে এই বছরই হবে আপনার শ্রেষ্ঠ সময়। তাহলে কেন ২০২৩ নিয়ে আশাবাদী হবো না!

আসুন নতুন বছর আরম্ভ করি কিছু আশাবাদী উক্তি দিয়ে:

- ❝মানবজাতিকে নিয়ে কখনোই আশাহত হয়ো না। মানবজাতি একটি সমুদ্রের মতো। কয়েক ফোঁটা পানি দূষিত হলে পুরো সমুদ্র দূষিত হয় না।❞ – মহাত্মা গান্ধী, ভারতের বৃটিশবিরোধী অহিংস আন্দোলনের নেতা

- ❝পৃথিবীতে এমন কোনও হতাশা আসেনি যা আশাকে পরাজিত করতে পারে।❞ – স্যার বার্নার্ড উইলিয়ামস, বৃটিশ দার্শনিক

- ❝আমরা হয়তো অসংখ্য বার হতাশ হবো, কিন্তু তারপরও অসংখ্যবার আমাদের আশা করতে হবে।❞ – মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, আমেরিকান শান্তিবাদী নেতা

- ❝আশা হলো অসীম অন্ধকারের মাঝেও আলো চেনার ক্ষমতা।❞ – ডেসমন্ড টুটু, সাউথ আফ্রিকান ধর্মগুরু

- ❝আশা হলো এমন একটি বিশ্বাস, যা মানুষকে অর্জনের দিকে নিয়ে যায়। আশা আর আত্মবিশ্বাস ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।❞ – হেলেন কেলার, বিখ্যাত লেখিকা এবং পৃথিবীর প্রথম ভার্সিটি পাশ করা অন্ধ ও বোবা মানুষ

- ❝যতক্ষণ জীবন আছে, ততক্ষণ আশা আছে।❞ – মার্কাস টালিয়াস, প্রাচীন রোমান দার্শনিক ও শাসক
ধন্যবাদ: লড়াকু ওয়েবসাইট
©ফজলে রাব্বি

20 lessons from Secrets of the Millionaire Mind by T. Harv Eker + বুক রিভিউ

#বই
৩৪। 20 lesons from Secrets of the Millionaire Mind by T. Harv Eker + বুক রিভিউ 

১। আপনি যদি আপনার কাজটা ভালোভাবে না করতে পারেন, তবে এর অর্থ হলো এমন কিছু আছে যা আপনি জানেন না।

২। আমরা যা কিছু জানি না, তা আমাদের সাফল্যের পথে বড় বাধা নয়। বরং আমরা যা জানি তা ততটা সঠিক নয় বলেই আমরা বিপদে পড়ি। আর এই ভুল জানাই (যা আমরা মনে করি ঠিক) আমাদের সাফল্যের পথে সবচেয়ে বড় বাধা।

৩। আপনি যদি জীবনের উচ্চ স্তরে যেতে চান তবে আপনাকে আপনার পুরানো চিন্তাভাবনা এবং ধ্যানধারণার কিছু জিনিস ত্যাগ করতে হবে এবং নতুন নিয়মনীতি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হতে হবে।

৪। আমার বলি, আপনাকে কেবল সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে থাকলেই হবে না। আপনাকে যোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠতে হবে। যাতে সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি হয়ে সফলকাম হতে পারেন। - টি. হার্ভ একার (Secrets of the Millionaire Mind: Mastering the Inner Game of Wealth বইয়ের লেখক)

৫। সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে আপনার শক্তি ও বল বৃদ্ধি করা। আপনার শক্তি, বল এবং ব্যক্তিত্বের চার্ম যখন বৃদ্ধি পাবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই লোকজন আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। আর মৌমাছির ঝাঁক যেখানে যায় সেখানেই তো মৌচাক তৈরি হয়।

৬। জগতের ৪টি ভাগ। দৈহিক জগৎ, মানসিক জগৎ, আবেগীয় জগৎ এবং আত্মিক জগৎ।

৭। টাকাপয়সা কম থাকা বা না থাকা কখনো কোন সমস্যা না। মূলত টাকাপয়সা না থাকা হচ্ছে ব্যক্তির মানসিক জগতে কী ঘটছে তার একটা প্রতিচ্ছবি মাত্র।

৮। আপনার আর্থিক ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয় মূলত টাকাপয়সা সম্পর্কে আপনার অতীত ধ্যানধারণা বা প্রোগ্রামিং থেকে। বিশেষ করে, আপনি যখন কিশোর ছিলেন, সেই সময়ের চিন্তাভাবনা এবং আশেপাশের বক্তব্য থেকে।

৯। পরিবর্তনের প্রথম উপাদান হচ্ছে সচেতনতা। আপনার মধ্যে কী আছে সেটা না জেনে তো আপনি পরিবর্তন করতে পারবে না। কী পরিবর্তন করতে হবে তা যদি নাই জানেন, তবে পরিবর্তন করবেন কীভাবে।

১০। পরিবর্তনের দ্বিতীয় উপাদান হচ্ছে বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে উপলব্ধি করা। আপনার নিজের 'চিন্তা করার ধরন' বুঝে, আপনি সেই ধরন পরিবর্তনে নিজের বিচারবুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করতে পারবে।

১১। পরিবর্তনের তৃতীয় উপাদান হচ্ছে বিচ্ছিন্নতা। যখন আপনি উপলব্ধি করবেন যে এ ধরনের চিন্তাভাবনা আপনার নিজের নয়, বাইরে থেকে, অন্যদের কাছ থেকে এসেছে, তখন আপনি নিজেকে এটা থেকে আলাদা করতে পারবেন। তখন আপনি ভবিষ্যতে কী হতে চান তার ভিত্তিতে আপনার আজকের কাজকর্ম নির্ধারণ করবেন অথবা বাদ দিবেন।

১২। অর্থ বা সাফল্য অর্জনের জন্য আপনার অনুপ্রেরণা যদি ভয়, রাগ বা নিজেকে 'প্রমাণ' করার মতো অসহযোগিতা মূলক প্রেরণা বা আবেগ থেকে আসে, তবে আপনার টাকাপয়সা বা সাফল্য আপনাকে কখনোই সুখ দিবে না।

১৩। আপনি এখন যে অবস্থায় আছেন; চারিত্রিক, মানসিক বা অবস্থাগত দিক থেকে যেমন আছেন, টাকাপয়সা আপনাকে সেই অবস্থা থেকে খুব বেশি উদ্ধার করতে পারবে না। আপনার মানসিক বা চারিত্রিক অবস্থার উন্নতি ঘটান, দেখবেন টাকাপয়সারও সমৃদ্ধি ঘটবে।

-- নিজের চিন্তাভাবনা নিয়ে সতর্ক হোন। কারণ চিন্তাভাবনাতেও আপনার শক্তি, সময় ও বুদ্ধি খরচ হয়।

১৪। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনার সাফল্য তৈরি করার পিছনে দায়ী এবং যোগ্য ব্যক্তি আপনি নিজেই। আবার আপনার মধ্যম অবস্থার জন্য আপনিই দায়ী। টাকাপয়সা এবং সাফল্য পেতে আপনি হয়তো গলদঘর্ম হচ্ছেন। সেটার জন্যও আপনি নিজেই দায়ী।

১৫। আপনি কোন কোন ক্ষেত্রে ফোকাস তথা মনোযোগী হন, তাই নির্ধারণ করে দেয় আপনি জীবনে কী কী পাবেন।

১৬। আপনি যদি ধনী হতে চান, তাহলে আপনাকে টাকাপয়সা আয় করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে এবং বিনিয়োগ করতে হবে। আর আপনি যদি গরীব হতে চান, তবে টাকাপয়সা খরচ করার দিকে মনোনিবেশ করুন।
১৭। আবারও বলছি, এনার্জি কিন্তু সংক্রামক; হয় আপনি মানুষকে প্রভাবিত করবেন, না হয় অন্যের দ্বারা আক্রান্ত হবেন।

১৮। উন্নতি করার সুযোগগুলো নষ্ট করা অথবা যাদের দ্বারা উন্নতি করা যেতে পারে তাদের বিরক্ত বা ক্ষুব্ধ হচ্ছে সাফল্য অর্জনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা।

১৯। সমস্যার আকার-আকৃতি কখনোই বড় ঘটনা নয়। আপনার মানসিক আকার-আকৃতিই হচ্ছে বড় কথা!

২০। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জীবনযাপন করার মানে হচ্ছে ভয়ের মধ্যে বসবাস করা। পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ©ফজলে রাব্বি

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২

The Almanack Of Naval Ravikant: A Guide to Wealth and HappinessBook by Eric Jorgenson. বুক রিভিউ

#বই 
৩৩। The Almanack Of Naval Ravikant: A Guide to Wealth and Happiness
Book by Eric Jorgenson. বুক রিভিউ:

নাভাল রবিকান্তের দিনলিপি (The Almanack Of Naval Ravikant by Eric Jorgenson) থেকে ১০টি শিক্ষা:

১। Easy choices, hard life. Hard choices, easy life. জীবনে যদি সহজ কাজ আগে করেন, বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সহজ জিনিসগুলো বেছে নেন, তবে পরবর্তী সময় কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। আর যদি কঠিন কাজ বেছে নেন, তবে জীবন সহজ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।
২। একটি কাজ যত বেশি একটি নির্দিষ্ট উপায় করতে যাবে, তত দেখবে৷ তুমি প্রকৃত সত্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কারণ নির্দিষ্ট উপায়ে কাজ করার চিন্তায় বাস্তবতা দেখবে না। 

৩। যদি তোমার জীবনে অন্তত একজন থাকে যে তোমাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসে তবে তোমার আর কিছু না থাকলেও তোমার আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। 

-- একজন সুখী মানুষ মানে এই নয় যে সে সবসময় খুশি থাকবে ব্যাপারটা তা না; বরং সুখী মানুষ হচ্ছে যে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করে যে তার মানসিক শান্তি বিনষ্ট হয় না। 
৪। দুশ্চিন্তা হচ্ছে তোমার যা হওয়া উচিত বলে তুমি মনে করো এবং এ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা। আর রিলাক্স করা মানে তুমি যা তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা। 

৫। অকৃত্রিমতা এবং নির্ভেজালত্ব দিয়ে প্রতিযোগিতার ঊর্ধ্বে উঠে যাও।

৬। তুমি আমার যত ঘনিষ্ঠ হতে চাইবে তত বেশি আমি তোমার মূল্যবোধগুলো দেখতে চাইব।
৭। তোমার সময় না দিয়ে মনমস্তিষ্ক দিয়ে আয় করার চেষ্টা করো। 

৮। তুমি যা চাও তা করা খুব কঠিন কিছু নয়। তারচেয়ে বেশি কঠিন তুমি কী চাও তা জানা। 

৯। বিক্রি করা শেখো। নতুন কিছু তৈরি করা শেখো। আর তুমি যদি দুটোই করতে পারো তবে তো কেল্লাফতে।

১০। স্মৃতি এবং আইডেন্টিটি (আত্মপরিচয়) হচ্ছে বর্তমানে মুক্তভাবে বাঁচার পথে অন্যতম বাধা। এগুলো অতীতের জিনিস। কিন্তু অতীতের স্মৃতি এবং আত্মপরিচয়ই আমাদেরকে আমাদের বর্তমান সময়কে উপভোগ করতে বাধা দেয়। 
©ফজলে রাব্বি

আরও বুক রিভিউ পড়তে ক্লিক করুন: https://thikdarona.blogspot.com/

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

The Psychology of Money by Morgan Housel বুক রিভিউ

The Psychology of Money by Morgan Housel বুক রিভিউ:


টাকাপয়সার মনোবিজ্ঞান (the psychology of money by morgan housel) থেকে ১০টি শিক্ষা:


১। সম্পদ তৈরি করতে সময় লাগে। আমরা যতটা চিন্তা করি তারচেয়ে বেশি সময় লাগে। ওয়ারেন বাফেটের কথা চিন্তা করুন, যিনি তার জীবনের শেষ বছরগুলোতে অবিশ্বাস্যভাবে ধনী হয়েছেন। বিশেষ করে ৭০-৮০ বছর বয়সের পর থেকে।


২. কখনো কখনো সম্পদ অর্জন করার ব্যাপারটা আপনার প্রতিভা, দক্ষতা, যোগ্যতা এবং মানুষের সাথে লিংক-আপের ওপর নির্ভর করে। আবার কখনো কখনো শুধু ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। এজন্যই দক্ষতা এবং ভাগ্য উভয়কেই আপনার সম্মান করা উচিত। টনি এলুমেলু যেমন বলেছেন, “ভদ্র হও।”


৩. কিছু কিছু বই ছোট হওয়া উচিত। ছোট অধ্যায় থাকবে। সহজেই পড়া যাবে। বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল কথা বলবে। ঠিক যেমন জ্ঞানীদের জন্য একটি কথাই যথেষ্ট, তেমন জ্ঞানীদের জন্য একটি ছোট বই বা অধ্যায়ই যথেষ্ট।


৪. কাগজের তৈরি টাকার দিকে ততটা মনোযোগ দিবেন না, যতটা মনোযোগ দিবেন আপনার টাকাপয়সা সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। টাকাপয়সা সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনেক টাকাপয়সা পাওয়া বা ধনী হওয়ার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতাই আসল জিনিস। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতাই নির্ধারণ করে দেয় যে আপনি কতটা ধনী হতে পারবেন, কতটা আয় করতে পারবেন, কতটা সঞ্চয় এবং একে কত গুণ বৃদ্ধি করতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিই ঠিক করে দিবে আপনি কতটা খুশি হতে পারবেন।


৫। আপনার ভালোমন্দের ব্যাপারে যারা ন্যূনতম চিন্তা করেন না তাদের খুশি করার জন্য অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা বন্ধ করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমাজের লোকজন আপনার ব্যাপারে উদাসীন। তারা মূলত চায়, এর পরে কী হবে তা জানতে এবং দেখতে। তা দেখা হলে, তারপর কী হবে, তারপর .. .. ..। এভাবেই চলতে থাকে। তাই সমাজকে খুশি করার চিন্তা বাদ দিন, যদি না আপনি রাজনীতি করেন। আপনার সিদ্ধান্ত নিবেন আপনার অভ্যন্তরীণ চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে। প্রতিবেশী বা অন্যরা কী চিন্তা করবে বা অন্যদের প্রভাবিত করতে চান বলে কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না।


৬। টাকাপয়সার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বা মনোভাব কেমন সেই সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকুন। এটাই নির্ধারণ করবে আপনি জীবনে কতটা টাকাপয়সা আয় করবেন, নিয়ন্ত্রণ বা সঞ্চয় করবেন অথবা বৃদ্ধি বা ব্যবহার করবেন।


৭। সবসময় আশাবাদী হন। হতাশা কখনো কিছু অর্জন করতে পারে না। দীর্ঘমেয়াদে, খেলা শেষ হয়ে গেলে শুধু একজন আশাবাদীই টিকে থাকে। হয়তো আপনার বর্তমান পরিস্থিতি খুব কঠিন, তা সত্ত্বেও, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে। এটাই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিবে।


৮। সুখের দিন আসতে ততটা দেরি হবে না যতটা আমরা মনে করি। জানেন তো, রাত যত গভীর হয়, সূর্য উঠার, আলো আসার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এটা আপনার জন্য কার্যকর হবে না, যদি না আপনি নিজেই নিজেকে পরিচালনা না করেন। নিজের গাড়ি নিজেকেই চালাতে হবে। আপনি যে তথ্যগুলি ব্যবহার করেন সেগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, সব তথ্য যে আপনার জন্য কাজে লাগে তা নয়।


৯। ভালো কিছু তৈরি হতে সময় লাগে। আপনার বিনিয়োগ, জ্ঞান, দক্ষতা, টাকাপয়সা এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনতে সময় লাগবে। ধৈর্য ধরুন। গাছ রোপণের একটি সময় আছে। আবার ফসল কাটারও একটা সময় আছে। ধৈর্য ধরুন।


১০। সবকিছুরই একটা দাম আছে। আর্থিক সম্পদের একটা মূল্য আছে। সঞ্চয় করুন। ভালো জায়গায় বিনিয়োগ করুন। জ্ঞান. দক্ষতা এসবেরও দাম আছে। আপনি যদি টাকাপয়সা চান, তবে দাম দিতে ইচ্ছুক থাকুন। আর্থিকভাবে সুরক্ষিত জীবনের জন্য মূল্য পরিশোধ করুন।

©ফজলে রাব্বি


মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২

স্বপ্ন পূরণের শক্তি যোগাতে অনন্য সব উক্তি


❝শুরু করার উত্তম উপায় হচ্ছে কথা বলা বন্ধ করা এবং কাজ আরম্ভ করা।❞ - ওয়াল্ট ডিজনি।

❝তোমার সময় সীমিত। তাই অন্যের জন্য তোমার জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করো না। গোঁড়ামির কারণে কোন জায়গায় আটকে থাকবে না। কারণ গোঁড়ামির মানে হচ্ছে তুমি অন্যের চিন্তাধারা নিয়ে জীবনযাপন করছ।❞ - স্টিভ জবস

❝যদি জীবন সম্পর্কে সঠিকভাবে ভবিষ্যদবাণী করা যেত, তবে এই জীবন স্বাদহীন হয়ে পড়ত এবং জীবনের কোন মানেই থাকত না। ❞ - এলেনর রুজভেল্ট


❝তুমি যদি তোমার জীবনে কী কী আছে তার দিকে তাকাও তবে তুমি আরও অনেক কিছু পাবে। একইভাবে, তুমি যদি তোমার জীবনে কী কী নেই তার দিকে তাকাও তবে তোমার মনে কখনো সন্তুষ্টি আসবে না।❞ - অপরাহ উইনফ্রে

❝তুমি যদি তোমার লক্ষ্যগুলো হাস্যকরভাবে এত উঁচুতে সেট করো যে তা অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যায়, তবে এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলেও অন্য সবার সাফল্যের উপরে তোমার স্থান থাকবে।❞ - জেমস ক্যামেরুন

❝আমরা সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারব না। আমরা সবকিছু আগে থেকে অনুমান বা পরিকল্পনা করে কাজও করতে পারব না। কারণ তুমি যখন পরিকল্পনা করবে তখন জীবনে এমন বহু কিছু ঘটে যাবে যা তোমার পরিকল্পনার বাইরে।❞ - জন লেনন

তথ্যসূত্র: 250+ Famous Quotes by Hubspot.

রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২

Go It Alone! by Bruce Judson (গো ইট এলোন) বই থেকে শেখা ৩১টি শিক্ষা

Go It Alone! The Secret to Building a Successful Business on Your Own by Bruce Judson


  1. Go It Alone! by Bruce Judson বই থেকে শেখা ৩১টি শিক্ষা


একা একাও যে ব্যবসা করা যায়, সেই ব্যাপারটি পদ্ধতিগতভাবে তুলে ধরেছেন ব্রুস জাডসন।


১। রাস্তা পারাপার হওয়ার মধ্যেও ঝুঁকি আছে। কখন গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে যায়, নাকি ট্রাকের নিচে চাপাই পড়ি। এক্ষেত্রে আমাদের বাবা-মা আমাদের শেখান যে ডান-বাম উভয় দিয়ে তাকিয়ে আগে নিশ্চিত হতে যে এখন গাড়ি আসছে না। এখন পার হওয়া যায়। এভাবে কাজ করলে ঝুঁকি কম। ব্যবসার ক্ষেত্রেও তাই করা উচিত।


২। বই Thinking for a change: 11 ways highly successful people approach life and work by John C. Maxwell বলেন, “ব্যবসার সব কাজ যদি আপনি নিজেই করতে পারেন, সে তো বেশ ভালো কথা। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, ব্যবসায় অনেক কাজ। সব ধরনের কাজ শেষ করলেও আরও কাজ এসে পড়ে। এভাবে এক কাজ থেকে অন্য কাজে দৌড়াতে দৌড়াতে আপনার কার্যক্ষমতার ৪০% হ্রাস পায়।” এজন্য কাজ করার একটা সিস্টেম তৈরি করতে হবে যাতে আপনি মুক্তভাবে চিন্তা করার জন্য ফ্রি টাইম পান।


৩। Mr. Trademark or www.MrTrademark.com এর উদ্যোক্তা  Joe Strahl. তাকে তার কোম্পানি একদিন একটি সমস্যা সামলাতে দেয়। সমস্যাটি ছিল ট্রেডমার্ক সংক্রান্ত। তিনি এই কাজ করতে গিয়ে দেখেন, এই সংক্রান্ত মামলা সামলাতে গেলে একজন আইনজীবীকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। তাই তিনি এই ট্রেডমার্ক বিষয়ে একটু পড়াশুনার জন্য নিউ ইয়র্ক গণগ্রন্থাগারে যান। সেখানে গিয়ে ট্রেডমার্ক সংক্রান্ত নানা বইপুস্তক পড়ে দেখলেন, ব্যাপারটা ততটা জটিল নয় যে একজন আইনজীবীই শুধু সমাধান করতে পারে। তিনি সমস্যার একটি সমাধান পেলেন। এভাবে তিনি নিজের জীবনের সমস্যার সমাধান করেই, অন্যদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে একটি আইডিয়া পেয়ে গেলেন। পরবর্তীতে তিনি এই আইডিয়াকেই ব্যবসায়িক সিস্টেমে রূপ দান করেন।


৪। বই Go It Alone! এ ৩টি বিষয় খুব গুরুত্বের সাথে আলোচনা করা হবে। এ বইয়ের মূল উপাদান বলতে পারেন। এই ৩টি বিষয় হচ্ছে ব্যক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগানো, বেশির ভাগ কাজ বাইরে থেকে করিয়ে নেওয়া এবং অবিরত পুনরোৎপাদন যোগ্য পণ্য বা সেবা (personal leverage, extreme outsourcing and relentless repeatability)। - পৃষ্ঠা ১৭, ২য় অধ্যায়।


৫। বর্তমানের সফল উদ্যোক্তারা বিজ্ঞতা এবং সাহসের এক অপূর্ব সংমিশ্রণে গড়া মানুষ।


৬। Go It Alone! উদ্যোক্তারা আশাবাদী, তবে তার পাশাপাশি তারা বাস্তববাদীও বটে। তারা নিজেদের জিজ্ঞেস করে, এই আইডিয়াটা যদি ঠিকমতো কাজে না লাগে, তবে আমি কীভাবে ক্ষতি কমিয়ে আনব? তারা ঝুঁকি কমানোর চিন্তা করে। ব্যবসা করতে গিয়ে, কোন নতুন উদ্যোগ বা আইডিয়া যদি কাজ না করে, তবুও যেন ব্যবসা বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকে তাদের বিশেষ নজর থাকে।


৭। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, সফল উদ্যোক্তারা ঝুঁকি হ্রাস করতে সবকিছু করে থাকে।


৮। এই অধ্যায়কে (২য় অধ্যায়) ১০টি প্রধান সূত্রের উপর দাঁড় করানো হয়েছে:

১। একটি সম্ভাব্য ব্যর্থতা যেন না ঘটে তা দেখার পাশাপাশি ঝুঁকি হ্রাস করার দিকে মনোযোগী হওয়া।

২। আপনার কাস্টমারদের থেকে খুব বেশি সরে যাবেন না।

৩। প্রতিদিন নতুন নতুন আবিষ্কার হচ্ছে। এসব আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের প্রতি নমনীয় এবং শেখার মনোভাব রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।

৪। যেকোন পরিমাণে উৎপাদনের জন্য সিস্টেম তৈরি রাখতে হবে।

৫। পরীক্ষামূলক বা গবেষণামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলতে হবে।

৬। ঘড়ি দেখে কাজ করা যাবে না।

৭। নতুন নতুন টেকনোলজিতে দক্ষতা অর্জন করুন।

৮। সব কাজ নিজে করার প্রবণতা এড়িয়ে যান। ছোট ছোট পদক্ষেপ দিয়ে আরম্ভ করুন।

৯। নিজের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন। একটা না একটা পথ বের করার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ হোন।

১০। কেবল নতুন এবং ভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা নিয়ে কাজ করুন।

  • পৃষ্ঠা ১৭। ২য় অধ্যায়।


৯। Rosabeth Moss Kanter, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের একজন প্রফেসর বিজনেস ২.০ ম্যাগাজিনের এক আর্টিকেলে বলেন, “সফল হওয়ার রাস্তা হচ্ছে প্রতিযোগীদের থেকে সামান্য একটু এগিয়ে থাকা, তবে এত বেশি এগিয়ে যাওয়া যাবে না যে কাস্টমাররা আপনার পণ্য বা সেবার ব্যাপারটাই ধরতে পারছে না।”


১০। বই The essential drucker, এ ড্রুকার বলেন, যখন কোন উদ্যোক্তা সফল হয়, তখন পণ্য বা সেবার এমন এমন কারণের জন্য সফল হয়, যে উদ্যোক্তারা প্রথমে তা চিন্তাই করতে পারেনি। তাই ড্রুকার বলেন, সবসময় নমনীয় থাকতে হবে, পরিবর্তনের প্রতি নজর দিতে হবে এবং কাস্টমারের প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগী হতে হবে।


১১। ড্রুকার বলেন, এমন একটা বিজনেস সিস্টেম তৈরি করতে হবে যাতে করে:

ক। প্রচেষ্টার অবিরত এক চক্র বানাতে হবে

খ। ফলাফল মূল্যায়ন করে দেখতে হবে

গ। যা শিখেছেন সেই অনুযায়ী পরবর্তী পরিকল্পনা সাজাতে হবে


১২। আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন আগামী ১৮ মাস পরে ব্যবসার গতি কেমন দাঁড়াবে, সফল বা ব্যর্থ হবে। তবে একটা কথা আপনাকে নিশ্চিত করে বলা যায় যে, যারা আজকে যেভাবে ব্যবসা করছে তারা যদি ১৮ মাস পরেও একইভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে, তবে ব্যর্থতা নিশ্চিত। - পৃষ্ঠা ২৯।


১৩। আপনাকে পরীক্ষামূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলতে হবে। অনেক পরীক্ষায় হয়তো আপনি আশানুরূপ ফলাফল পাবেন না। কিন্তু এসব পরীক্ষা যে একেবারে ব্যর্থ তা নয়। এসব পরীক্ষা থেকে আপনি যে অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা পাবেন, তা ভবিষ্যতে কোম্পানির কঠিন সময়ে কাজে লাগবে।


১৪। Start Small, Finish Big: Fifteen Key Lessons to Start - and Run - Your own successful business by Fred Deluca, the cofounder of Subway writes with John Hayes.  এ বইয়ে লেখকরা বলেন,  Ready, Fire, Aim.  এভাবে আপনার কোন আইডিয়াকে প্রস্তুত করুন, তারপর কাজে নেমে যান। এরপর লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। লেখক বলেন, এতে করে আপনি হয়তো আপনার লক্ষ্য সঠিকভাবে ভেদ করতে পারবেন না। কিন্তু পুরো ব্যবসায়িক যাত্রার আপনি একটা সূচনা করলেন।


১৫। হ্যানিবল (Hannibal) বলেন, “হয় আমরা একটা রাস্তা বের করব, না হয় একটা তৈরি করব।” তাই সফল উদ্যোক্তাদের বর্ণনা যদি করতে হয়, তবে একটি শব্দেই বর্ণনা করা সম্ভব। তা হচ্ছে দৃঢ়সংকল্প। সমস্যায় পড়লে একটা রাস্তা বের করুন অথবা একটা তৈরি করুন।


১৬। উইন্সটন চার্চিল বলেন, “আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি বলাই যথেষ্ট নয়। যা করা দরকার বা প্রয়োজন তা করার ক্ষেত্রে আপনাকে সফল হতে হবে।” এজন্যই নিজের ব্যবসা আরম্ভ করাই যথেষ্ট নয়। আপনাকে অবশ্যই এমন একটা রাস্তা খুঁজে বের করতে দৃঢ়সংকল্প হতে হবে যা সাফল্য নিয়ে আসে।


১৭। দুইটি জিনিস দরকার। আপনার দক্ষতা এবং একটি দৃঢ়সংকল্প যে আপনি যে কাজ সবচেয়ে ভালোভাবে করেন তাই সমান উত্তেজনা ও আগ্রহ নিয়ে করে যাবেন। 


১৮। কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা তৈরি করুন। এভাবে কাজটা সিস্টেমে পরিণত হবে। - পৃষ্ঠা ৪৬।


১৯। Al Ries’s book Focus: The Future of Your Company Depends on It. বইয়ে একটি গল্প বলেন। সূর্য খুব বড় একটি শক্তির উৎস। সূর্য প্রতি ঘণ্টায় পৃথিবীর উপর কোটি কোটি কিলোওয়াটের শক্তি দ্বারা বর্ষণ করছে। কিন্তু তবুও আমরা সূর্যের আলোর মধ্যেই কাজ করছি। একটা টুপি, কিছু সানস্ক্রিন ক্রিম সাথে থাকলে কয়েক ঘণ্টা ধরে আমরা সূর্যের আলোতে স্নান করতে পারি। কোন ধরনের অসুস্থ না হয়েই।

অন্যদিকে লেজারের কথা চিন্তা করি। লেজারে খুব অল্প পরিমাণ শক্তি থাকে। মাত্র কয়েক কিলোওয়াট শক্তি। অথচ এই কয়েক কিলোওয়াট শক্তি দিয়েই লেজারের মাধ্যমে হীরার মধ্যে ফুটো করা সম্ভব অথবা ক্যান্সার দূর করা যায়।

ঠিক একই ভাবে যদি আপনার কোম্পানিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা যায়, তবে আপনি অসাধারণ এক লেজারসম ক্ষমতার অধিকারী হবেন। মার্কেটে আপনি সেই লেজারের মতোই কেন্দ্রীভূত শক্তি নিয়ে রাজত্ব করবেন। ফোকাস মানেই কেন্দ্রীভূত মনোযোগ এবং অল্প শক্তি দিয়ে যেকোন বৃহৎকেও পরাজিত করতে পারার ক্ষমতা।


২০। দুইটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। অবিরত পুনরোৎপাদন যোগ্য পণ্য বা সেবা দিতে হবে। এভাবে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসাকে দারুণভাবে সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হবে। বেশির ভাগ কাজ বাইরে থেকে করিয়ে নিতে হবে। এতে করে উদ্যোক্তা তার ব্যবসার মূল দিকগুলোতে বেশি করে সময় ও শক্তি দিকে পারবে।


২১। কাস্টমার থেকে শেখার চেষ্টা করুন। সেই শিক্ষা থেকে কাজ করুন। - পৃষ্ঠা ৫৭।


২২। গো ইট এলোন উদ্যোক্তারা তাদের পরীক্ষামূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকৃতভাবেই পরীক্ষা করে। বাস্তবে কোন আইডিয়া কীভাবে কাজ করে এবং সেই কাজের ফলাফল কী তা দেখে। এজন্যই বেশির ভাগ কাজ বাইরে থেকে করিয়ে নিতে হবে। তারা বিশ্বাস করে তারা কাজ করতে করতে শিখবে এবং পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমেই তাদের উদ্যোগ বেঁচে থাকবে। - পৃষ্ঠা ৫৭।


  • অধ্যায় ১৩ - ভুল হবেই, সেখান থেকে শিক্ষা নিন।


২৩। মুরের নীতি বলে (Moore’s Law), প্রতি ১৮ মাসে কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা দ্বিগুণ হবে এবং দাম অর্ধেকে নেমে আসবে।


২৪। application service provider - asp. বিভিন্ন ধরনের asp ব্যবহার করতে পারেন।


২৫। ৮০/২০ সূত্র মেনে চলুন। আপনি আপনার ব্যবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২০ শতাংশ জিনিসের দিকে মনোযোগ দিন। বাকি ৮০% জিনিস অন্যদের দিয়ে করিয়ে নিন।


২৬। David Drucker, দেশের একজন বড় মাপের বিনিয়োগ পরামর্শক। তিনি বলেন, তার যদি কর্মচারী থাকে, তবে সে কেবল কর্মচারীদের আর্থিক দিকে সুরক্ষাদাতাই নন; বরং তাদেরকে মেনটরিং করাও ড্রুকারের দায়িত্ব। - পৃষ্ঠা ৭৩।


২৭। আপনি যখন দারুণ একটা আইডিয়া পাবেন, তখন দ্বিতীয় বিষয় হবে নিজের দক্ষতার ব্যাপারে চিন্তা করা। এই ব্যবসায়িক আইডিয়া কি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগাতে সক্ষম?


২৮। প্রকৃত ট্র্যাজেডি এটা নয় যে আমাদের প্রত্যেকের যথেষ্ট শক্তি নেই; বরং আমরা আমাদের শক্তিকে চিনতে পারি না। এখানে নিজের শক্তি সম্পর্কে জানতে Now, Discover Your Strengths বইয়ের কথা বলা হয়েছে। - পৃষ্ঠা ৯৯


২৯। সুযোগ কেবল তারাই পায় যারা তাদের মন-মস্তিষ্ককে আগে থেকে প্রস্তুত করে রেখেছে। - Louis Pasteur. নতুন কোন ব্যবসার জন্য, সৌভাগ্য তখনই আসে যখন সুযোগের সাথে উত্তম প্রস্তুতি মিলিত হয়। - পৃষ্ঠা ১২৩, ১২৬।


৩০। মনের ভয় দূর করতে হলে সেই জায়গায় আত্মবিশ্বাস এবং সাহস দিয়ে ভরিয়ে তুলতে হবে। এজন্য এই ৫টি ধাপ মেনে চলুন:

ক। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি পারবেন যদি আপনি চিন্তা করেন আপনি পারবেন।

খ। আত্মবিশ্বাসী লোকজনের সাথে চলুন। নেতিবাচক, ভীতু লোকদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। জানেন তো, একের আত্মবিশ্বাস অন্যকে স্পর্শ করে।

গ। নিজের আত্মবিশ্বাসকে উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করুন।

ঘ। নিজের জাহাজের ক্যাপ্টেন নিজেই হোন। হেনরি ফোর্ড বলেণ, সকল আত্মবিশ্বাসী মানুষ তাদের ভয় থেকে না পালিয়ে, ভয়ের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের মধ্যে সাহস সৃষ্টি করেন।

ঙ। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। একজন ব্যস্ত মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি এবং আত্ম-সন্দেহ বাস করার সুযোগ খুব কম পায়।


কাজে নেমে পড়ুন। ভয় দূর হয়ে যাবে। ভয়কে অনুভব করুন এবং ভয়ের মুখোমুখি হোন। ভয়ের কাজটা যে করেই হোক করুন। নিজেকে বলুন, আমি এটা হ্যান্ডেল করতে পারব। - পৃষ্ঠা ২০২।


৩১। The Creative Habit: Learn It and Use It for Life (Learn In and Use It for Life) Paperback – Illustrated, January 6, 2006 by Twyla Tharp বলেন, দেবতারা যাকে ধ্বংস করতে চায়, তাকে অপরিসীম সম্পদের মালিক বানিয়ে দেয়।


  • তাই সহজেই কোন সম্পদ পেয়ে গেলে, সেই ব্যাপারে সাবধান থাকবেন। ছোট কোন ব্যাপার হলেও। এ ধরনের অভ্যাসকে প্রশ্রয় দিবেন না। এতে করে আপনার মধ্যে সৃজনশীলতা হ্রাস পাবে, উদ্ভাবনী ক্ষমতা নষ্ট হবে।

  • আপনি যদি একটি ব্যবসাকে দাঁড় করাতে পারেন, পণ্য উৎপাদনে কম খরচ করতে পারেন এবং কাস্টমারদের চাহিদা পূরণ করে মুনাফা করতে পারেন, তবে আপনি দীর্ঘমেয়াদে খুব ভালোভাবে ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করবেন। - পৃষ্ঠা ২০৩।


তথ্যসূত্র: Go It Alone! The Secret to Building a Successful Business on Your Own by Bruce Judson. 2005.

২২৬ জন মনীষীর জীবনী / Biography

1. বঙ্গবন্ধুর কিশোর জীবন

Author: মিলন নাথ

Publisher: ঢাকা: অনুপম প্রকাশনী

2. এ যুগের বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং

Author: ফাতিমা তামান্না

Publisher: ঢাকা: বিশ্বসাহিত্য ভবন

3. ছোটদের বিদ্যাসাগর

Author: আনিসুল হক

Publisher: ঢাকা: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

4. ছোটদের বঙ্গবন্ধু

Author: ড. আবদুল ওয়াহাব

Publisher: ঢাকা: বুকস ফেয়ার

5. ১০০ বিজ্ঞানীর জীবনী

Author: সাদিকুর রহমান সোহাগ

Publisher: ঢাকা: সালাউদ্দিন বই ঘর

6. ছেলেবেলা

Author: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/ Rabindranath Togore

Publisher: ঢাকা: বিশ্বসাহিত্য ভবন

7. নজরুল ইসলাম কিশোর জীবনী

Author: হায়াৎ মাহমুদ/Hayat Mahmud

Publisher: ঢাকা: প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা

8. মাইকেল মধুসূদন

Author: সুনির্মল বসু

Publisher: ঢাকা: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

9. রবীন্দ্রনাথ

Author: অনিলচন্দ্র ঘোষ/Anil Chandra Gosh

Publisher: ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি লি

10. আমার ছেলেবেলা

Author: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/ Rabindranath Togore

Publisher: ঢাকা: দি স্কাই পাবলিশার্স লি:

11. ছেলেদের রবীন্দ্রনাথ

Author: যামিনীকান্ত সোম

Publisher: কলকাতা: আনন্দ পাবলিশার্স প্রা. লি

12. টমাস আলভা এডিসন

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: ঢাকা: অবসর প্রকাশনা সংস্থা

13. রবীন্দ্রনাথঃ কিশোর জীবনী

Author: হায়াৎ মাহমুদ/Hayat Mahmud

Publisher: ঢাকা: প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা

14. জীবন যে রকম

Author: আয়েশা ফয়েজ

Publisher: ঢাকা: সময় প্রকাশন

15. ছোটদের নজরুল জীবনী

Author: মুহম্মদ নূরুল হুদা

Publisher: ঢাকা: মিজান পাবলিশার্স

16. মুকুন্দদাস

Author: সেলিনা হোসেন

Publisher: ঢাকা: বাংলাদেশ শিশু একাডেমী

17. কাজী মোতাহের হোসেন

Author: সনজীদা খাতুন

Publisher: ঢাকা: বাংলাদেশ শিশু একাডেমী

18. রবীন্দ্রনাথ

Author: হায়াৎ মাহমুদ/Hayat Mahmud

Publisher: ঢাকা: বাংলাদেশ শিশু একাডেমী

19. নজরুল

Author: হায়াৎ মাহমুদ/Hayat Mahmud

Publisher: ঢাকা: বাংলাদেশ শিশু একাডেমী

20. নবাব সিরাজদ্দৌলা

Author: মতিন রায়হান

Publisher: ঢাকা: হাতেখড়ি

21. হাসান রাজা (নাটিকা)

Author: দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

Publisher: ঢাকা: গাউসিয়া প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স

22. লালন শাহ

Author: মতিন রায়হান

Publisher: অসম্পূর্ণ

23. মেরি কুরি

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

24. বিশ্বসেরা পর্যটক মার্কো পোলো

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

25. কলম্বাসের অভিযান

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

26. কণ্ঠশিল্পী আব্বাসউদ্দিন

Author: সৈয়দা আয়রিন জামান

Publisher: অসম্পূর্ণ

27. যাদুর রাজা হুডিনি

Author: ফখরুজ্জামান চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

28. গ্যালিলিও

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

29. বিজয় সরকার

Author: মহসিন হোসাইন

Publisher: অসম্পূর্ণ

30. ছোটদের এস এম সুলতান

Author: ড. সৈয়দ মাহমুদুল হাসান

Publisher: অসম্পূর্ণ

31. এক ছিল এক রাজকুমার

Author: খালেদা এদিব চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

32. মাওলানা ভাসানী

Author: ফেরদৌস খান

Publisher: অসম্পূর্ণ

33. বীরাঙ্গনা সখিনা

Author: মাহফুজ সিদ্দিকী

Publisher: অসম্পূর্ণ

34. শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক

Author: মতিন রায়হান

Publisher: অসম্পূর্ণ

35. রাজা রামমোহন রায়

Author: মিজানুর রহমান

Publisher: অসম্পূর্ণ

36. ছোটদের বেগম রোকেয়া

Author: জহুরুল আলম সিদ্দিকী

Publisher: অসম্পূর্ণ

37. বিজ্ঞানে নারী

Author: ডক্টর রুবিনা জামান

Publisher: অসম্পূর্ণ

38. শহীদ তিতুমীর

Author: আলমগীর হোসেন খান

Publisher: অসম্পূর্ণ

39. ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান

Author: ফয়জুল আলম পাপ্পু

Publisher: অসম্পূর্ণ

40. মহাকবি কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)

Author: হুমায়ূণ রহমান/Humayan Rahman

Publisher: অসম্পূর্ণ

41. নলীনীকান্ত ভট্টশাল

Author: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

Publisher: অসম্পূর্ণ

42. সত্যজিৎ রায়

Author: মাহফুজ সিদ্দিকী

Publisher: অসম্পূর্ণ

43. জ্ঞান তাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

Author: শান্তা মারিয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

44. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০-১৯৭৫)

Author: মনি হায়দার

Publisher: অসম্পূর্ণ

45. গিলগামেশ

Author: হায়াৎ মাহমুদ/Hayat Mahmud

Publisher: অসম্পূর্ণ

46. হেমিংওয়ের গল্প

Author: কাওসার হুসাইন

Publisher: অসম্পূর্ণ

47. পাবলো পিকাসো

Author: ফকরুল চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

48. লালন সাঁই

Author: চন্দন চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

49. সর্বাধিনায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন

Author: চিন্ময় চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

50. কণ্ঠশিল্পী আব্বাসউদ্দীন

Author: শাহজাহান সাজু

Publisher: অসম্পূর্ণ

51. কম্বন

Author: এস মহারাজন

Publisher: অসম্পূর্ণ

52. বিশ্বসেরা ৫০ মণীষীর শৈশব

Author: আর সি কর্মকার

Publisher: অসম্পূর্ণ

53. শেলি

Author: শ্রীনৃপেন্দ্র কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

54. ছোটদের হেলেন কেলার

Author: জহুরুল আলম সিদ্দিকী

Publisher: অসম্পূর্ণ

55. ছোটদের বঙ্গবন্ধু

Author: আমিনুর রহমান সুলতান

Publisher: অসম্পূর্ণ

56. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

Author: আহমেদ ফিরোজ

Publisher: অসম্পূর্ণ

57. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

Author: ডা: লুৎফর রহমান

Publisher: অসম্পূর্ণ

58. মাইকেল মধুসূদন দত্ত

Author: খসরু চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

59. মাস্টারদা সূর্য সেন

Author: লিখিলেশ ঘোষ

Publisher: অসম্পূর্ণ

60. নবাব সিরাজদ্দৌলা

Author: মতিন সরকার

Publisher: অসম্পূর্ণ

61. দস্তয়েভস্কি

Author: সুব্রত বড়ুয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

62. কুদরাত-এ-খুদা বিজ্ঞান চর্চার আয়োজন

Author: ড. আলী আসগর

Publisher: অসম্পূর্ণ

63. সুভাষচন্দ্র

Author: সুপর্ণা ভট্টাচার্য

Publisher: অসম্পূর্ণ

64. নজরুল

Author: মানরেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

65. বিরসা মুন্ডা

Author: মহাশ্বেতা দেবী

Publisher: অসম্পূর্ণ

66. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

Author: মিজানুর রহমান শিপন

Publisher: অসম্পূর্ণ

67. বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Author: কাজী হাসান

Publisher: অসম্পূর্ণ

68. ছোটদের নবাব সিরাজউ-দ্দৌলা

Author: জহুরুল আলম সিদ্দিকী

Publisher: অসম্পূর্ণ

69. আলাউদ্দিন

Author: আলপনা রায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

70. ডারউইন

Author: অশোক ঘোষ/Ashok Gosh

Publisher: অসম্পূর্ণ

71. বেঠোফোন

Author: অরীন্দ্রজিৎ সাহা/Arindrajit Saha

Publisher: অসম্পূর্ণ

72. ব্লে খট

Author: অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

73. নানক

Author: উদয়কুমার চক্রবর্তী

Publisher: অসম্পূর্ণ

74. তলস্তয়

Author: কৌশিক গুহ

Publisher: অসম্পূর্ণ

75. লেলিন

Author: জয়দেব বসু

Publisher: অসম্পূর্ণ

76. মজনু শাহ

Author: ঈস্পিতা হালদার

Publisher: অসম্পূর্ণ

77. সূর্য সেন

Author: অশোককুমার মুখোপাধ্যায়/Ashok Kumar Mukhopaddhay

Publisher: অসম্পূর্ণ

78. লিঙ্কন

Author: অশ্রুকুমার সিকদার/Ashrukumar Sikder

Publisher: অসম্পূর্ণ

79. শহীদ জননী জাহানারা ইমামের কথা

Author: আশরাফ আলী

Publisher: অসম্পূর্ণ

80. বেগম রোকেয়ার কথা

Author: আশরাফ আলী

Publisher: অসম্পূর্ণ

81. অন্তরঙ্গ আলোকে সৈয়দ মুজতবা আলী

Author: সৈয়দ মাহবুব আলী

Publisher: অসম্পূর্ণ

82. ভাষা শহীদ বরকত

Author: বি এম গুলশান আরা

Publisher: অসম্পূর্ণ

83. অতীশ দীপঙ্কর

Author: নুরুল আসলাম মানিক

Publisher: অসম্পূর্ণ

84. বনফুল (বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়)

Author: বিপ্লব চক্রবর্তী

Publisher: অসম্পূর্ণ

85. স্বামী বিবেকানন্দ

Author: ফেরদৌস খান

Publisher: অসম্পূর্ণ

86. স্টিফেন হকিং

Author: হেলাল উদ্দিন/Helal Uddin

Publisher: অসম্পূর্ণ

87. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

Author: শাহজাহান সাজু

Publisher: অসম্পূর্ণ

88. আলফ্রেড নোবেল

Author: সাজ্জাদ কবীর

Publisher: অসম্পূর্ণ

89. প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ

Author: বশীর আল হেলাল

Publisher: অসম্পূর্ণ

90. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

Author: গোলাম সামদানী কোরায়েশী

Publisher: অসম্পূর্ণ

91. নানা রঙের জীবন

Author: আতোয়ার রহমান

Publisher: অসম্পূর্ণ

92. বীরঙ্গনা সখিনা

Author: মাহফুজ সিদ্দিকী

Publisher: অসম্পূর্ণ

93. নিউটন

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

94. মণীষীদের মজার গল্প

Author: তাপস রায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

95. গল্পগুলো বঙ্গবন্ধুর

Author: শরীফ খান

Publisher: অসম্পূর্ণ

96. ছোটদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

Author: শাহীন হৃদয়

Publisher: অসম্পূর্ণ

97. মহাকবি গ্যাটে

Author: আবু কায়সার

Publisher: অসম্পূর্ণ

98. বেগম রোকেয়া

Author: মনি হায়দার

Publisher: অসম্পূর্ণ

99. মহানায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

Author: কালাম ফয়েজী

Publisher: অসম্পূর্ণ

100. শহীদ স্মৃতি

Author: পার্থ প্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

101. নিরালা

Author: পরমানন্দ শ্রীবাস্তব, অনুঃ স্নেহলতা চট্টোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

102. বিদ্যাসাগর

Author: ড. কানাই লাল রায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

103. ইবনে সিনা

Author: স্বকৃত নোমান

Publisher: অসম্পূর্ণ

104. বিশ্বসেরা ৫০ মণীষীর শৈশব

Author: আর সি কর্মকার

Publisher: অসম্পূর্ণ

105. ফণীশ্বরনাথ রেণু

Author: সুরেন্দ্র চৌধুরী, অনুঃ সুশান্ত বসু

Publisher: অসম্পূর্ণ

106. মহাদেবী বর্মা

Author: জগদীশ গুপ্ত, অনঃ কানাই কুন্ডু

Publisher: অসম্পূর্ণ

107. ছোটদের বিদ্যাসাগর

Author: সুনির্মল বসু

Publisher: অসম্পূর্ণ

108. ছোটদের মাও সেতুং

Author: সরলানন্দ সেন

Publisher: অসম্পূর্ণ

109. বঙ্গবন্ধুকে যেমন দেখেছি

Author: শেখ মোস্তফা, নূরুল আমীন

Publisher: অসম্পূর্ণ

110. মহানায়ক শের-ই-মহীশূর টিপু সুলতান

Author: কালাম ফয়েজী

Publisher: অসম্পূর্ণ

111. মহানায়ক নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা

Author: কালাম ফয়েজী

Publisher: অসম্পূর্ণ

112. কাজী নজরুল ইসলাম

Author: তাহা ইয়াসিন

Publisher: অসম্পূর্ণ

113. মরমী কবি হাছান রাজা

Author: মোহাম্মদ আলী খান

Publisher: অসম্পূর্ণ

114. জগদীশচন্দ্র বসু

Author: লিখিলেশ ঘোষ

Publisher: অসম্পূর্ণ

115. লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

Author: ফকরুল চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

116. বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

Author: ড. নীলিমা ইব্রাহিম

Publisher: অসম্পূর্ণ

117. তাজউদ্দীন আহমেদ

Author: প্রত্যয় জসীম

Publisher: অসম্পূর্ণ

118. সৈয়দ মুজতবা আলী

Author: মুহিত হাসান

Publisher: অসম্পূর্ণ

119. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

Author: জাকির তালুকদার

Publisher: অসম্পূর্ণ

120. ছোটদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Author: রুহুল আমীন বাবুল

Publisher: অসম্পূর্ণ

121. মহাত্মা গান্ধী

Author: কাজী মহম্মদ আশরাফ

Publisher: অসম্পূর্ণ

122. বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ, প্রথম মিছিল, প্রথম সাহিত্য প্রতিক্রিয়া

Author: ড. মোহাম্মদ হাননান

Publisher: অসম্পূর্ণ

123. শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন

Author: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

Publisher: অসম্পূর্ণ

124. পথিকৃৎ দশ মণীষী

Author: মুকুল চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

125. কীর্তিময়ী নারী

Author: শাহনাজ নাসরীন

Publisher: অসম্পূর্ণ

126. হাসন রাজা (নাটিকা)

Author: দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ

Publisher: অসম্পূর্ণ

127. লেনিন

Author: মনির জামান

Publisher: অসম্পূর্ণ

128. চেগুয়েভারা

Author: মনির জামান

Publisher: অসম্পূর্ণ

129. কার্ল মার্কস

Author: মনির জামান

Publisher: অসম্পূর্ণ

130. সত্যজিৎ রায়

Author: ফেরদৌস মাহমুদ

Publisher: অসম্পূর্ণ

131. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Author: বদিউর রহমান

Publisher: অসম্পূর্ণ

132. কবি জসীমউদ্দীন

Author: আহমেদ ফিরোজ

Publisher: অসম্পূর্ণ

133. মাদার তেরেসা

Author: চন্দন চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

134. সুকান্ত ভট্টাচার্য

Author: ঈশান সামী

Publisher: অসম্পূর্ণ

135. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার

Author: ঈশান সামী

Publisher: অসম্পূর্ণ

136. বঙ্কিমচন্দ্র

Author: শিপ্রা ঘোষ

Publisher: অসম্পূর্ণ

137. জগদীশচন্দ্র

Author: সুভাষ মুখোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

138. গান্ধী

Author: সুভাষ ঘোষাল

Publisher: অসম্পূর্ণ

139. মিকেলাঞ্জলো

Author: সমীর সেনগুপ্ত

Publisher: অসম্পূর্ণ

140. মার্কস

Author: সৌরীন ভট্টাচার্য

Publisher: অসম্পূর্ণ

141. পল রোবসন

Author: বিশ্বজিৎ পান্ডা

Publisher: অসম্পূর্ণ

142. চে

Author: সুনন্দন চক্রবর্তী

Publisher: অসম্পূর্ণ

143. শেক্সপিয়র

Author: স্বপন চক্রবর্তী/Sawpan Chakrobarty

Publisher: অসম্পূর্ণ

144. হো চি মিন

Author: সব্যসাচী দেব

Publisher: অসম্পূর্ণ

145. রোকেয়া

Author: সুপতা ভট্টাচার্য

Publisher: অসম্পূর্ণ

146. লালন

Author: সুধীর চক্রবর্তী

Publisher: অসম্পূর্ণ

147. ভোলতেয়ার

Author: দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

148. বিবেকানন্দ

Author: ভাস্কর চক্রবর্তী

Publisher: অসম্পূর্ণ

149. ম্যাক্সিম গর্কি

Author: অমল দাশ গুপ্ত/Amal Das Gupta

Publisher: অসম্পূর্ণ

150. মাইকেল

Author: শিশির কুমার দাশ

Publisher: অসম্পূর্ণ

151. চৈতন্যদেব

Author: দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

152. বিদ্যাসাগর

Author: শঙ্খ ঘোষ

Publisher: অসম্পূর্ণ

153. ডিরোজিও

Author: অভীক মজুমদার/Avik Mojumder

Publisher: অসম্পূর্ণ

154. মাইকেল মধুসূদন দত্ত

Author: বিপ্লব বালা

Publisher: অসম্পূর্ণ

155. আমাদের জ্যোতিবসু

Author: আভাস রায়চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

156. ফিদেল কাস্ত্রো

Author: জাহেদ নরওয়ার

Publisher: অসম্পূর্ণ

157. বিদ্রোহী তিতুমীর

Author: মনির জামান

Publisher:

158. জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

Author: শান্তা মারিয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

159. ছোটদের মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং

Author: মো: আব্দুল আজিজ

Publisher: অসম্পূর্ণ

160. দশ বিজ্ঞানীর উপাখ্যান

Author: শ্যামল চক্রবর্তী

Publisher: অসম্পূর্ণ

161. বিশ্বসেরা পাঁচজন বাঙালির শৈশব

Author: আর সি কর্মকার

Publisher: অসম্পূর্ণ

162. কিশোর জীবনী সমগ্র

Author: হায়াৎ মাহমুদ/Hayat Mahmud

Publisher: অসম্পূর্ণ

163. দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা

Author: রীতা ভৌমিক

Publisher: অসম্পূর্ণ

164. ছোটদের বেগম রোকেয়া

Author: রীতা ভৌমিক

Publisher: অসম্পূর্ণ

165. আমার বাবা সুকুমার রায়

Author: সত্যজিৎ রায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

166. ছোটদের বঙ্গবন্ধু

Author: অধ্যাপক আবু সাইয়িদ/Professor Abu Sayed

Publisher: অসম্পূর্ণ

167. বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু

Author: জাহীদ রেজা নূর

Publisher: অসম্পূর্ণ

168. বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ)

Author: আবদুল মান্নান সৈয়দ

Publisher: অসম্পূর্ণ

169. আমরা বাঙালি

Author: রমেন ভট্টাচার্য

Publisher: অসম্পূর্ণ

170. ছেলেবেলায় শেখ মুজিব

Author: বেবী মওদুদ

Publisher: অসম্পূর্ণ

171. ছোটদের আব্রাহাম লিংকন

Author: আবুল হাসনাত

Publisher: অসম্পূর্ণ

172. গৌতম বুদ্ধ

Author: সুকুমারী ভট্টাচার্য

Publisher: অসম্পূর্ণ

173. মাদাম কুরির শৈশব

Author: আসাদ চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

174. আমাদের জগৎ

Author: বিশ্বনাথ গঙ্গোপাধ্যায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

175. সোমেন চন্দ

Author: বিশ্বজিৎ ঘোষ

Publisher: অসম্পূর্ণ

176. ছোটদের টিপু সুলতান

Author: এম আবদুল কাদের

Publisher: অসম্পূর্ণ

177. অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

Author: রবিন পাল

Publisher: অসম্পূর্ণ

178. অশ্বিনকুমার দত্ত

Author: তপংকর চক্রবর্তী

Publisher: অসম্পূর্ণ

179. মহানবী হযরত মুহাম্মদ

Author: আল মাহমুদ

Publisher: অসম্পূর্ণ

180. ছোটদের নজরুল

Author: বন্দে আলী মিয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

181. ছোটদের আইজাক নিউটন

Author: জহুরুল আলম সিদ্দিকী

Publisher: অসম্পূর্ণ

182. বুলবুল চৌধুরী

Author: মাহবুব আলম

Publisher: অসম্পূর্ণ

183. আরজ আলী-মাতুব্বর

Author: শান্তানু কায়সার

Publisher: অসম্পূর্ণ

184. মাও সেতুং

Author: মনির জামান

Publisher: অসম্পূর্ণ

185. বিজ্ঞানাচার্য জগদীশচন্দ্র বসু

Author: সুমন্ত রায়

Publisher: অসম্পূর্ণ

186. সৈয়দ মুজতবা আলী

Author: মাহফুজুর রহমান

Publisher: অসম্পূর্ণ

187. মুহম্মদ এনামুল হক

Author: মনসুর মুসা

Publisher: অসম্পূর্ণ

188. মরমী কবি রাধারমণ দত্ত

Author: মোহাম্মদ আলী খান

Publisher: অসম্পূর্ণ

189. সূর্যের সন্তানঃ সূর্য সেন

Author: স্বপন চক্রবর্তী/Sawpan Chakrobarty

Publisher: অসম্পূর্ণ

190. মাদার টেরেসার কথা

Author: বাবু ফরিদী

Publisher: অসম্পূর্ণ

191. সুফিয়া কামালের কথা

Author: বাবু ফরিদী

Publisher: অসম্পূর্ণ

192. ডারউইন

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

193. আইনস্টাইন

Author: শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া

Publisher: অসম্পূর্ণ

194. শিল্পী এস এম সুলতানঃ জীবন ও কর্ম

Author: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

Publisher: অসম্পূর্ণ

195. বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের কথা

Author: ইফতেখার রসুল জর্জ

Publisher: অসম্পূর্ণ

196. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগার

Author: কাজী হাসান

Publisher: অসম্পূর্ণ

197. ওরা আকাশে জাগাতো ঝড়

Author: শৈলেশ দে

Publisher: অসম্পূর্ণ

198. এস এম সুলতান

Author: খসরু পারভেজ

Publisher: অসম্পূর্ণ

199. চার্লি চ্যাপলিন

Author: পলাশ আহসান

Publisher: অসম্পূর্ণ

200. জীবনানন্দ দাশ

Author: সিরাজ সালেকীন

Publisher: অসম্পূর্ণ

201. শিল্পী জয়নুল আবেদিন

Author: ফকরুল চৌধুরী

Publisher: অসম্পূর্ণ

202. শিল্পী জয়নুল আবেদিন

Author: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

Publisher: অসম্পূর্ণ

203. অতীশদীপংকর শ্রীজ্ঞান

Author: ফেরদৌস খান

Publisher: অসম্পূর্ণ

204. বিশ্বের বিস্ময় হেলেন কিলার

Author: স্বপন মুখোপাধ্যায়/Sowpan Mukhopaddhay

Publisher: অসম্পূর্ণ

205. ঈশা খাঁ

Author: সৈয়দা আয়রিন জামান

Publisher: অসম্পূর্ণ

206. চারণকবি মুকুন্দদাস

Author: মিজান রহমান

Publisher: অসম্পূর্ণ

207. মুনীর চৌধুরী

Author: ফয়জুল আলম পাপ্পু

Publisher: অসম্পূর্ণ

208. ছোটদের রামমোহন

Author: নন্দলাল শর্মা

Publisher: অসম্পূর্ণ

209. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

Author: ড. ছন্দশ্রী পাল

Publisher: অসম্পূর্ণ

210. ডিরোজিও

Author: মামুন রশীদ

Publisher: অসম্পূর্ণ

211. আরজ আলী মাতুব্বর

Author: শান্তানু কায়সার

Publisher: অসম্পূর্ণ

212. মোহিতলাল মজুমদার

Author: দ্বিজেন্দ্রলাল নাথ

Publisher: অসম্পূর্ণ

213. পল্লী কবি জসীম উদ্দীন

Author: মতিন রায়হান

Publisher: অসম্পূর্ণ

214. এস. এম. সুলতান

Author: মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম

Publisher: অসম্পূর্ণ

215. নেলসন ম্যান্ডেলা

Author: জাহেদ সরওয়ার

Publisher: অসম্পূর্ণ

216. মহামানব মুহসীন

Author: মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী

Publisher: অসম্পূর্ণ

217. শেক্সপীয়র

Author: কাজী মহম্মদ আশরাফ

Publisher: অসম্পূর্ণ

218. সুফিয়া কামাল

Author: কাজী মহম্মদ আশরাফ

Publisher: অসম্পূর্ণ

219. মওলানা ভাসানী

Author: প্রত্যয় জসীম

Publisher: অসম্পূর্ণ

220. সুন্দরবন

Author: আনিসুল হক

Publisher: অসম্পূর্ণ

221. নেতাজী সুভাষ বসু

Author: সৈয়দ নজমুল আবদাল

Publisher: অসম্পূর্ণ

222. রক্ত গোলাপ

Author: সৈয়দ আমীরুল ইসলাম

Publisher: অসম্পূর্ণ

223. বলতো কি দেখছ?

Author: লরেইন লী

Publisher: অসম্পূর্ণ

224. এনথনি স্যাম্পসন ম্যান্ডেলা

Author: অনুঃ এস আর এ তাহা/ Tr. S R A Taha

Publisher: অসম্পূর্ণ

225. আমাদের সুভাষচন্দ্র

Author: পবিত্র সরকার

Publisher: অসম্পূর্ণ

226. নজরুল ইসলাম

Author: আবদুল হক

Publisher: অসম্পূর্ণ


তথ্যসূত্র: https://www.narayanganjhighschoolandcollege.edu.bd/home/offlineLibrary/19

বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২

রণদারপ্রসাদ সাহার জীবন কথা। হেনা সুলতানা। ঢাকা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ২০১৯।


২১। রণদারপ্রসাদ সাহার জীবন কথা। হেনা সুলতানা। ঢাকা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ২০১৯।

‘দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার জন্ম ইংরেজি ১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর সাভারের অদূরে শিমুলিয়ার কাছৈড় গ্রামের মাতুলালয়ে।

পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ পোদ্দার, মাতা কুমুদিনী দেবী। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ দ্বিতীয়। রণদা প্রসাদ সাহার পৈতৃক নিবাস বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে। পিতা দেবেন্দ্রনাথের স্থির কোনো পেশা ছিল না। রুটি-রুজির সন্ধানে বারবার তাকে পেশা বদল করতে হয়েছে। বেশির ভাগ সময় দলিল লেখকের কাজ করেছেন তিনি।

জীবনের গতি ফেরাবার জন্য কিছুদিন লগ্নি ব্যবসাও করেছেন। নিয়ত জীবনসংগ্রামে দেবেন্দ্রনাথ জীবনের প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হননি। কিছুটা লেখাপড়া জানতেন। চলতি আইন ও আইনের ব্যাপার স্যাপার ভালোই জানা ছিল। তার আগের কয়েক পুরুষ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও যতদূর জানা যায় দেবেন্দ্রনাথের ব্যবসায়ী মন-মানসিকতা ছিল না।’ তথ্যসূত্র : ‘রণদাপ্রসাদ সাহার জীবনকথা’, লেখক : হেনা সুলতানা। পৃষ্ঠা-১১।

শৈশব থেকে মানবকল্যাণের যে স্বপ্ন নিজের মনে লালন করেছিলেন তার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৩৮ সালে মাতামহীর নামে শোভাসুন্দরী ডিস্পেন্সারি ও মায়ের নামে কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে আড়াই শতাধিক লঙ্গরখানা পরিচালনা করেন তিনি। রণদা প্রসাদের আহ্বানে ১৯৪৪ সালে অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড আর জি কেসি কলকাতা থেকে নদীপথে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এক অজোপাড়া গাঁয়ে এসে কুমুদিনী হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সংকটময় সময় রণদা রেডক্রসকে আড়াই লাখ রূপি দান করেন।

লিংকন। অশ্রুকুমার সিকদার। ঢাকা, নালন্দা, ২০০৮।


২২। লিংকন। অশ্রুকুমার সিকদার।  সাহার জীবন কথা। হেনা সুলতানা। ঢাকা, নালন্দা, ২০০৮।

চারিত্রিক দৃঢ়তা, বাকশক্তি এবং অসীম সাহস নিয়ে যিনি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্য এবং গণতন্ত্র বজায় রেখেছেন। লিংকন এক মহান ব্যক্তি, মানুষ এবং রাষ্ট্রনায়কের নাম। লিংকনের জীবনী নিয়ে ৬০ পৃষ্ঠার এক ছোট্ট বই থেকে অসাধারণ কিছু উক্তি।

১। মানুষের স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করে, যারা মনে করে গায়ের রং যা-ই হোক-না কেন সব মানুষই সমান, আব্রাহাম লিংকনকে তারা কোনদিন ভুলতে পারবে না।

২। লিংকন বাঁচার জন্য গায়ে-গতরে খাটছিলেন, আর শুধু বই থেকে নয়, জীবনযাপন থেকে নিচ্ছিলেন মূল্যবান শিক্ষা। - পৃষ্ঠা ৯।
সামান্য খাবার তাদের জুটত, শীতের দীর্ঘ রাত্রে ঘুমই ছিল খিদে ভুলে থাকবার উপায়।

৩। জনৈক রেড ইনডিয়ান নায়ক চুক্তি ভেঙে ইলিনয় রাজ্যের উত্তরাংশ আক্রমণ করলে গর্ভনরের ডাকে লিংকনও স্বেচ্ছা সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেন। যুদ্ধে কিছু করতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু তাঁর দলের হাতে  পড়ে এক বুড়ো রেড ইন্ডিয়ান অকারণে নির্যাতিত হতে গেলে লিংকন তাকে রক্ষা করেন।

৪। নিউ সালেমে অবসর সময়ে যেমন তিনি নিজে নিজেই আইন পড়তে শুরু করলেন, তেমনি পড়তে লাগলেন হাতের কাছে যে-বই পান তা-ই।

৫। রাজনীতিতে ব্যর্থ, ব্যবসায় অসফল, গায়ে-গতরে খাটাই হলো তার বাঁচবার উপায়।
তাঁর পড়া হয়ে গেলে গিবনের লেখা রোমান সাম্রাজ্যের অবক্ষয় ও পতনের ইতিহাস।

৬। তিনি খানিকটা আলসে ছিলেন, ছিলেন অতি-সাবধানী, মনের জোরের খানিকটা অভাব ছিল তাঁর, কিন্তু তাই বলে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব ছিল না। তবে তিনি মানুষের ক্ষতি না করে, নিঃস্বার্থভাবে নিজে, উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চেয়েছেন। আমরা উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছাড়া কোনো বড় লক্ষ্য অর্জন করতে পারি না। কিন্তু উচ্চাশার লক্ষ্য ভালো হতে হবে, পথ খাঁটি হতে হবে। স্প্রিংফিল্ডে যখন এলেন তখন তিনি আইনসভার সদস্য হিসাবে সুপরিচিত, কিন্তু তাঁর পকেট তো ফাঁকা।

৭। বিয়ের পরে-পরে তিনি হার্নডন বলে এক তরুণ বন্ধুকে নিজের আইনব্যবসার অংশীদার করে নিয়েছিলেন। আব্রাহামের নির্বাচনের ব্যাপারে খুব সাহায্য করেছিল এই বন্ধু। লিংকন ছিলেন ধীরস্থির, সাবধানী, আর হার্নডন ছিলেন যেমন আদর্শবাদী, তেমনি লড়াকু। হার্নডন দাসপ্রথার বিরোধী ছিলেন।

৮। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে আমেরিকায় ইংরেজ বসতি ভালোভাবে শুরু হয়। ইংল্যান্ডের গরিবেরা ও ভাগ্যান্বেষীরা এই নতুন দুনিয়ায় দলে দলে আসতে থাকে। পরে শুধু ইংল্যান্ড থেকে কেন, ইউরোপের অন্যসব দেশ থেকেও। তবে বসতি স্থাপনে ইংরেজদের সাফল্যই সবচেয়ে বেশি। ইউরোপ থেকে আসা মোট জনসংখ্যার শতকরা আশি জনই ছিল ইংরেজ।

৯। এই যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাংশে বসতি স্থাপন করেছিল যারা, তাদের মধ্যে ছিল অনেক কারিগর। এই অঞ্চল হয়ে উঠেছিল ব্যবসা ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের কেন্দ্র। সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বস্টন, নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া গড়ে উঠল অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে। অন্যদিকে ভার্জিনিয়া থেকে টেকসাস রাজ্য পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চল হলো প্রধানত কৃষিপ্রধান।
উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক স্বার্থ নিয়ে বিরোধ তো ছিলই, তার সঙ্গে মিলে গেল ক্রীতদাসপ্রথা নিয়ে বিরোধ।
লংফেলোর কবিতা “হানটেড নিগ্রো” পড়লে সেই মর্মন্তদ অবস্থা বুঝতে পারবে তোমরা।

১০। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা - ওয়াশিংটন, জন অ্যাডামস, জেফারসন, ম্যাডিসন - সবাই ছিলেন এই প্রথার বিরোধী। যদিও উত্তরাংশের রাজ্যগুলো ছিল ক্রীতদাস-প্রথামুক্ত, কিন্তু দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে এই প্রথা ব্যাপকভাবে চালু ছিল।

১১। তবে দেশরক্ষা, অন্যদের সাঙ্গে সম্পর্ক আর শুল্ক আদায় ছাড়া অন্য ব্যাপারে মার্কিন রাজ্যগুলো ছিল আমাদের রাজ্যগুলোর চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীন।
১৮১২ খ্রিস্টাব্দে লুসিয়ানা রাজ্য কেন হয়। ফরাসি সম্রাটের কাছ থেকে।
স্পেনের কাছ থেকে ফ্লোরিডা রাজ্য কেনা হয়।
১৮৪৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক যোগ দেয় মিসিসিপি, আলাবামা ও আরকানসাস রাজ্য। ১৮৪৫ সালের মেক্সিকো থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টেকসাস রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্গত হলো। ২ বছর পরে ক্যালিফোর্নিয়া।
 ইউরোপ থেকে ভাগ্যন্বেষী মানুষ দলে দলে আসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা লাফিয়ে - লাফিয়ে বেড়ে চলল এবং উপনিবেশ বিস্তার হতে লাগল।

১২। মিশুরি সমঝোতা। নতুন নতুন রাজ্যকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করবার সময়, যেগুলোতে দাসপ্রথা চালু ছিল সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে উত্তরের রাজ্যগুলো আপত্তি জানিয়েছে, আর দলবৃদ্ধির জন্য দক্ষিণের রাজ্যগুলো চেয়েছে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত হোক। এইভাবে ক্রীতদাসপ্রথা নিয়ে উত্তরদক্ষিণের রাজ্যগুলোর মধ্যে একটা বিবাদ ঘনিয়ে উঠছিল। এই বিবাদ তীব্র হলো মিশুরি রাজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে। উত্তরের রাজ্যগুলো দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম রাজ্য হওয়ার আগে মিশুরিকে ধীরে ধীরে ক্রীতদাস প্রথা বর্জনের কথা দিতে হবে। কিন্তু দক্ষিণের চাপে মিশুরিকে শেষ পর্যন্ত বিনা শর্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সময়ে মেইন রাজ্যকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্গত করে নেওয়া হয় ক্রীতদাস-মুক্ত রাজ্য হিসাবে। তখন উত্তর-দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মধ্যে একটা বোঝাপড়া হয়, পরবর্তীকালে যে ভূখণ্ড ফ্রান্সের কাছ থেকে খরিদ করা হয় তার ৩৬০ দ্রাঘিমাংশের ঈষৎ উত্তরের ক্রীতদাস-প্রথা নিষিদ্ধ হবে, কিন্তু তার দক্ষিণে ঐ প্রথা চালু থাকতে পারবে। একে বলা হতো মিশুরি সমঝোতা। - পৃষ্ঠা ১৮।

১৩। লিংকন রীতিমতো লম্বা, ডগলাস বেঁটেখাটো। ডগলাস সবসময় লড়াকু, লিংকন ধীরস্থির। ক্রীতদাস প্রথা নিয়ে ডগলাস ক্রীতদাস রাখার পক্ষে, আর লিংকন বিপক্ষে। উত্তরাঞ্চলের লোকজন ডগলাসকে জুডাসের সঙ্গে তুলনা করা হলো, যে-জুডাস ত্রিশটি রৌপ্যমুদ্রার লোভে যিশুকে ধরিয়ে দিয়েছিল। - পৃষ্ঠা ২৬।

১৪। গৃহযুদ্ধের ভূমিকা রচিত হলো কনসাসে। এক মার্কিন নাগরিক অন্য মার্কিন নাগরিককে এই প্রশ্নে খুন করতে উদ্যত হলো যে কৃষ্ণকায় নিগ্রো কি একজন মানুষ, নাকি সে নিতান্ত একটি পশু। এই সময়ে লিংকন একটি চিঠিতে লিখেছেন, জাতি হিসাবে যাত্রার মুহুর্তে আমরা বলেছিলাম সব মানুষ সমান। এখন আমরা কার্যক্ষেত্রে বলছি, নিগ্রো ব্যতিরেকে সব মানুষ সমান। - পৃষ্ঠা ২৭।

১৫। দাসপ্রথা বিষয়ে জনগণের রায়ই শেষ কথা হবে বলেছিলেন ডগলাস, কিন্তু বুকানন জনগণের সিদ্ধান্তকে উলটে দেবার চেষ্টা করায়, নিজে বুকাননের বিরোধিতা করেন। - পৃষ্ঠা ২৯।

১৬। নিচুজাতের যুক্তিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন লিংকন। তিনি জানালেন, যুগযুগ ধরে রাজারা-প্রজারা নিচুজাত, অযোগ্য - এই যুক্তিতে তাদের অধিকারহীন দাস করে রেখেছিল। সম্রাজ্যবাদীরাও অন্যদেশের মানুষকে শাসন করবার সময় একই যুক্তি দিয়ে থাকে; বলে, অধীনদেশের মানুষ অযোগ্য, নিচুজাত। গণতন্ত্রপ্রেমীরা এই যুক্তি মানেনি।

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

গান্ধী বইয়ের নির্বাচিত উক্তি


বই: ১৮। গান্ধী। লেখক: সুভাষ ঘোষাল। কলকাতা, প্যাপিরাস, ২০১৬।

- ১৭। লেনিন। লেখক: জয়দেব বসু। কলকাতা, প্যাপিরাস, ২০০০।

- ১৯। রামের সুমতি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ঢাকা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ২০২১।
- ২০। শ্রেষ্ঠ ছোটগল্প। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ঢাকা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ২০২০।

১। গান্ধী জানেন গ্রাম শেষ হয়ে গেলে ভারতও শেষ হয়ে যাবে। যেমন, রূপকথার রাজপুত্রের প্রাণভোমরা একটা কৌটার মধ্যে লুকিয়ে থাকে, তেমনি এই ভারতবর্ষের প্রাণভোমরাও লুকিয়ে আছে গ্রামের মধ্যে।


২। সেবাগ্রামে ঢুকলেই চোখে পড়বে ওই মানুষটি যে জায়গায় বসে কাজ করছেন তা কোন আরাম কেদারা নয়। একটা কাঠের তক্তা। পাশেই ছোটো ছোটো তিনটি মূর্তি। তিনটে মূর্তিই বাঁদরের। তিন মূর্তির তিন রকমের ভঙ্গির মধ্যে তিনটে শিক্ষা আছে। কেউ জানতে চাইলে তিনি নিজেই বুঝিয়ে দেবেন। চোখ হাত দিয়ে ঢেকেছে। তার মানে, খারাপ কিছু দেখবে না। মুখ হাত দিযে বন্ধ করেছে। তার মানে, খারাপ কিছু বলবে না। দু-কানে আঙুল দিয়ে বসে আছে। তার মানে? মানেটা তো এখন খুব সোজা হয়ে গেল। খারাপ কিছু শুনবে না।

  • যিনি পরের জন্য কাজ করবেন তাঁকে এই তিনটে বাঁদরের ছবি মনের মধ্যে জাগিয়ে রাখতে হবে আজীবন।


৩। শ্রবণ আর হরিশ্চন্দ্র, দুটো নাটকের এই দুটো চরিত্র গান্ধীজির জীবনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা জুগিয়েছে।


৪। নিজের সুবিধা মতো ব্রত করলাম আর অসুবিধে হলেই সেই ব্রত ভাঙলাম, গান্ধীজির মা, পুতলী বাঈ, কিন্তু তেমন মানুষ নন। মায়ের এই মনের জোর, এই বিশ্বাস আঁকড়ে থাকার শক্তি, গান্ধীজির জীবনেও দেখা গেছে বার বার।


৫। গান্ধীজির বাবা যখন কর্মসূত্রে রাজকোটে ছিলেন, তখন তাঁর বাবার কাছে নানা মত ও পথের সাধকেরা আসতেন। বাবাকে সেবা করতে করতে গান্ধীজি তাঁদের নানা রকম আলোচনা শুনতেন। সব কতা যে বুঝতে পারতেন তা নয়। তবে এটুকু বুঝতে পারতেন যে, সব ধর্মের মধ্যেই সত্য আছে। তাই কোন ধর্মের কোন মানুষকেই তুচ্ছ করা চলবে না।


৬। যাঁদের আমরা মনীষী বলি, যাঁরা কোন না কোনভাবে দেশ ও সমাজকে এমন কিছু দিয়ে যান যা ভোলা যায় না, যাঁদের প্রতিভার আলোয় দশ দিক ভরে ওঠে, তাঁরা কিন্তু মনীষী হয়ে জন্মান না। জীবনের অনেক সংগ্রাম, অনেক দুঃখকষ্ট, অনেক পরীক্ষা পার হয়ে তবেই তাঁরা প্রমাণ করেন যে তাঁরা আর পাঁচজনের থেকে অনেক বড়ো, অনেক আলাদা। অনেক সময় সাধারণ মানুষের মতো তাঁদেরও দোষ ও দুর্বলতা থাকে। কিন্তু তাঁরা তাঁদের দোষগুলোর সম্পর্কে, দুর্বলতাগুলোর সম্পর্কে সচেতন হয়ে সেগুলোকে আস্তে আস্তে জীবন থেকে দূর করে দেন। - পৃষ্ঠা ১৮।


৭। ১৮৮৮ সালের চৌঠা সেপ্টেম্বর গান্ধীজি বোম্বাই থেকে জাহাজে চাপলেন। এই জাহাজই তাঁকে একদিন পৌঁছে দেবে বিলেতে।


৮। জানো তো, পুরুষমাছিরা চুপ করে বসে থাকে। কোন কাজ করে না।


৯। গান্ধীজি বুঝতে পেরেছিলেন অল্প কথার শক্তি। যারা বক্তৃতা দিতে উঠে আর থামতে চান না, বড়ো বেশি কথা বলেন, তিনি কোনদিনও তাদের দলে নাম লেখাননি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, বেশি কথা বলা মানে রঙ চড়িয়ে কথা বলা, ঘটনা অতিরঞ্জিত করা। তাতে যেমন শ্রোতার সময় নষ্ট হয়, তেমন দেশেরও কোন উপকার হয় না।


১০। এমনভাবে লিখতে হবে যাতে কোন অসংযমের ভাব ফুটে না ওঠে। গান্ধীজি বলেন, আমি এখন অনেক ভেবেচিন্তে বলি, অনেক ভেবেচিন্তে লিখি।


১১। তোমরা তাঁর গুজরাতিতে লেখা আত্মজীবনী যদি পড়ো কখনো, যদি তাঁর ইংরেজি রচনার দিকে তাকাও, তবে দেখতে পাবে কত অল্প কথায়, কত বলিষ্ঠভাবে তিনি তাঁর অভিমত জানতে পেরেছেন।


১২। এই যে চুপ করে থাকা, এই যে মৌনব্রত পালন, এর যে বিশেষ শক্তি আছে, তা গান্ধীজি বুঝতে পেরে নিয়ম করে তিনি এই ব্রত পালন করতেন। যিনি সত্যের পূজারী তাঁকে যে এই ব্রত পালন করতে হবে, এই বোধটা তাঁর এক সময়কার লাজুক স্বভাব থেকেই জন্ম নিয়েছিল। তাই বলা যেতে পারে, বিলেতে থেকে তিনি কেবল ব্যারিস্টারই হননি, সেইসঙ্গে ভিতরে ভিতরে হয়ে উঠছিলেন একজন বোদ্ধা। কীসের বোদ্ধা? শব্দের বোদ্ধা। যেখানে যে শব্দ মানায় সেখানে সেই শব্দ বসাতে হবে। আর যেখানে কোন শব্দই মানায় না, সেখানে হতে হবে নিঃশব্দ।


১৩। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় কোন গরিব ভারতবাসী পাঁচ বছরের চুক্তিতে কাজ করতে এলে তাকে 'কুলি' বলা হত।


১৪। ডারবান থেকে ট্রেনে উঠেছেন। নাতালের রাজধানীতে এসে পৌঁছাল। সেই ট্রেন থেকে গান্ধীজিকে শাদা চামড়ার একজন ট্রেন থেকে নামিয়ে দিলেন। আর সেই অসম্ভব শীতের রাতে কাঁপতে কাঁপতে তিনি সংকল্প করেন, এই যে বর্ণবিদ্বেষ, এই যে মহারোগ, এই রোগের প্রতিকার করতেই হবে। - পৃষ্ঠা ২৯।


১৫। পরদিন আবার ট্রেনে চড়লেন। এই রোগের প্রতিকার করতে গিয়ে যত দুঃখ-দুর্দশাই আসুক তা সহ্য করতে হবে বিচলিত না হয়ে। ট্রেন চার্লসটাউন এসে থামল। সেখানে না নেমে উপায় ছিল না। তখনকার দিকে চার্লসটাউন নেমে কিছুদূর ঘোড়ার গাড়িতে যেতে হত। এই ঘোড়ার গাড়িতে যাত্রীরা গাড়ির মধ্যে বসবে এটাই তো নিয়ম। এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সমস্ত নিয়ম, সমস্ত স্বাভাবিকতা তো যাদের গায়ের রঙ শাদা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কুলি ব্যারিস্টারের ক্ষেত্রে নয়। তাই গান্ধীজিকে বসতে হলো কোচবাক্সে, কোচোয়ানের পাশে। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। সাহেব কন্ডাক্টর। তার হঠাৎ খোলা জায়গায় চুরুট খাবার ইচ্ছে হলো। সে গাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে পাদানিতে একটা চট পেতে দিয়ে গান্ধীজিকে বলল নেমে গিয়ে সেখানে বসতে। গান্ধীজি জানিয়ে দিলেন তাঁর সিদ্ধান্ত - তিনি আর একচুলও সরবেন না। এই ‘বেয়াদপি’ দেখে লোকটা ঘুষির পর ঘুষি চালায়, টেনে নামাতে চায় গান্ধীজিকে। তিনি যেখানে বসেছিলেন তার পেতলের ডান্ডাটা ধরে, দৃঢ়ভাবে ধরে তিনি অটল থাকার চেষ্টা করে যান। তাঁর তখনকার মনোভাব হলো - আমার হাত ভেঙে গেলেও আমি পেতলের ডান্ডা ছাড়ব না। - পৃষ্ঠা ২৯।


১৬। প্রিটোরিয়া যাবার পথে পরপর এই যে দুটো দৃশ্য দেখা গেল, এ-দুটোর গুরুত্ব খুব বেশি। প্রথম দৃশ্যে তিনি শীতে কাঁপতে কাঁপতে সংকল্প করলেন, অত্যাচারী অন্যায় অত্যাচার যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। আর দ্বিতীয় দৃশ্যে অত্যাচারিত হতে হতে তিনি এই মনোবল দেখালেন, যেটা সত্য সেটাকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যেতে হবে। মারের বদলে মার নয়, হিংসার বদলে হিংসা নয়, অহিংস সত্যাগ্রহই হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার একমাত্র অস্ত্র।


১৭। ‘সত্যাগ্রহ’ শব্দটা গান্ধীজি হঠাৎ-ই পেয়ে যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতে থাকতে একটা পত্রিকার সঙ্গে তিনি জড়িয়ে পড়েন। পত্রিকাটা ‘ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন’ নামে বের হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয়রা বিভিন্ন ব্যাপারে যাতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, জানাতে পারে নির্ভীক মতামত, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে জন্ম হয় এই পত্রিকার। - পৃষ্ঠা ৩০।


১৮। গান্ধীজি ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন পত্রিকায় একটি নাম পাঠানোর জন্য পাঠকদের আমন্ত্রণ জানান। পাঠকদের তরফ থেকে যেসব নাম আসে সেগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত হয় মগনলাল গান্ধীর ‘সদাগ্রহ’। সৎ + আগ্রহ = সদাগ্রহ। এই নামটাকে আর একটু উজ্জ্বল করার জন্য গান্ধীজি ‘সৎ’-এর জায়গায় ‘সত্য’ বসিয়ে নিলেন। তখন নামটা হয়ে দাঁড়াল সত্য + আগ্রহ = সত্যাগ্রহ।


১৯। সত্যাগ্রহ আন্দোলন কী? সত্যের পথে থেকে আন্দোলন করা। এই আন্দোলনে এমন কিছু করা চলবে না যার সঙ্গে মিথ্যার যোগ আছে, হিংসার যোগ আছে। শত্রুকে হিংসা করা চলবে না, অত্যাচারীকে হিংসা করা চলবে না। ….

  • আমি যদি সত্যপথে থাকি, আমি যদি হিংসা না করি, আমি যদি অত্যন্ত সংযমের সঙ্গে মার খেতে খেতে আমার প্রতিবাদ জানিয়ে যাই, তবে একটা সময় আসবে যখন শত্রুর বা অত্যাচারীর মনের পরিবর্তন হবে। সে বুঝতে পারবে তার ভুল। ….

  • অহিংসা পরম ধর্ম এবং সত্যেরই জয় হয়।


২০। মনে রাখতে হবে, অহিংসা আর সত্যাগ্রহ হলো একই মুদ্রার দুটো পিঠ। একটার থেকে আর একটাকে আলাদা করা যাবে না।


২১। জাতীয় কংগ্রেসের আদলে তিনি নাতালে ‘নাতাল-ইন্ডিয়ান-কংগ্রেস’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয়দের ওপর যেসব অবিচার এত বছর ধরে চলে আসছিল সেগুলো দূর করার ব্যাপারে এগিয়ে আসে।


২২। তিনটি সম্পদের কথা আমরা খুব সহজেই বলে ফেলতে পারি। অহিংসা, তথা সত্যাগ্রহের প্রয়োগের অভিজ্ঞতা, উদারতা এবং সেবা।


২৩। গান্ধীজির ভাষায় সুভাষচন্দ্র বসু হলেন ‘এ প্রিন্স অব দি প্যাট্রিয়টস’। অর্থাৎ যাঁরা স্বদেশপ্রেমিক তাঁদের মধ্যে তিনি রাজপুত্র। আর সুভাষচন্দ্র তাঁর আজাদ হিন্দ অভিযান পরিচালনা করার সময় গান্ধীজিকে প্রণাম জানাতে ভুলে যান না। গান্ধীজিকে তিনিই বলে ওঠেন ‘জাতির জনক’। ‘জাতির জনক, ভারতের এই মুক্তিযুদ্ধে আপনার আশীর্বাদ চাই।’


২৪। ভাইসরয় হার্ডিঞ্জ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসেছিলেন। সেই উপলক্ষে যে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে তাতে অনে দেশীয় রাজা আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। সেখানে গান্ধীজি বললেন, যিনি এই দেশের শাসক, সেই হার্ডিঞ্জ আসবেন বলে বেনারসের অলি-গলি পুলিশে পুলিশে ঢেকে দেওয়া হযেছে। এত নিরাপত্তা কেন? তার মানে যিনি শাসক তিনি নিজেই কি সারাক্ষণ ভয়ে অস্থির নন? ….

  • আজও যাঁরা গরিবের কল্যাণের কথা বলেন তাঁদের অনেকেই চূড়ান্ত ভোগী। শাসক কি নিজেই ভয়ে অস্থির নন?


২৫। যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তর ‘বাংলার ডাকাত’-এ কুঠিয়াল কেরী সাহেবের কথা যে আলোচিত হয়েছে তার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে।

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

স্বকীয়তার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা


নিজস্ব স্বকীয়তা ধরতে হবে। আমেরিকান সাহিত্যিক রালফ ওয়াল্ডো এমারসন বলেন, ❝স্বকীয়তা ধর। অনুকরণ ছাড়। অনুকরণ আত্মহত্যার শামিল। স্বকীয়তাতেই মুক্তি।❞

এটা এমারসন বলেন আমেরিকা ইংল্যান্ড থেকে স্বাধীন হওয়ার ৫০-৬০ বছর পর। তখন আমেরিকার সাহিত্যিকরা দেদারসে ইংরেজ সাহিত্যকে অন্ধ অনুকরণ করে যাচ্ছে।

এমারসন অনুভব করেন যে আমেরিকাকে তার কৃষ্টিক স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এমারসনের ভাষায়, মাথায় না দাঁড়াইয়া পায়ে দাঁড়াইতে হইবে।

পরবর্তীতে জারট্রুড স্টেইন, এযরা পাউন্ড, টি. এস. ইলিয়ট মার্কিনীদেরকে এই কৃষ্টিক স্বকীয়তায় উদ্ধুদ্ধ করেন।

এযরা পাউন্ড বলেন, যে ভাষা ও সাহিত্য জনগণ হইতে বিযুক্ত হইল, সত্য হইতেই সে বিচ্যুত হইল।

এযরা পাউন্ড এ ব্যাপারে চিনের ধর্মীয় নেতা কনফুসিয়াসের নযির দেন। কনফুসিয়াসের মতে আদর্শ দেশ শাসক সেই ব্যক্তি যিনি দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নামে চিনেন। পাউন্ড বলেন, নাম ধরিয়া ডাকা ঘনিষ্ঠতার লক্ষণ। এযরা পাউন্ড দেশের সাহিত্যিককে দেশের জনগণের সহিত এমনি ঘনিষ্ঠ হইতে বলেন।

আবুল মনসুর আহমেদ বাংলাদেশের কালচার বইতে বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের করণীয় এবং দেশের কৃষ্টিক স্বকীয়তার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেন।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের কালচার। আবুল মনসুর আহমদ। ঢাকা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, ২০১৭। পৃ. ৪৭, ৪৮, ৫০।

লেনিন বই থেকে অসাধারণ ১৯টি উক্তি


লেনিন বই থেকে অসাধারণ ১৯টি উক্তি:

১। ১৮৮৭ সাল থেকে অত্যাচারী জারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য গোপন দল তৈরি হয়। তাদের দলের নাম ‘নারোদনায়া ভোলিয়া’। এ কথাটার মানে হলো ‘জনগণের ইচ্ছা’।

২। কিন্তু ‘নারোদনায়া ভোলিয়া’ দলটা ভুলে গেছে যে একজন জারকে মারলেই অত্যাচারী শাসনটা শেষ হয়ে যায় না। এক জারের জায়গায় আর এক জার আসে। অত্যাচারটা তো জার একা করে না। মন্ত্রী, সেনাপতি, বিচারপতি, জমিদার, পাদ্রি থেকে শুরু করে গ্রামের দারোগাটা পর্যন্ত। উচ্ছেদই যদি করতে হয়, তবে এই গোটা ব্যবস্থাটারই উচ্ছেদ দরকার।

৩। লেনিন ভাবতেন, অন্ন বস্ত্র শিক্ষঅ বাসস্থান - এই চারটি বিষয়ে সবার সমান অধিকার। একই সঙ্গে আরও দুটো বিষয়েও সমান অধিকার সবারই। সেই দুটি হলো - চিন্তা করার স্বাধীনতা আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।

৪। জারকে টিকিয়ে রাখার প্রধান দুই স্তম্ভ: সৈন্যবাহিনী আর বিচার-ব্যবস্থা।

৫। বেঁচে থাকতে গেলে খুব কম করে হলেও যা কিছু লাগে: পানি, বাতাস, আলো, খাবার, কাপড় আর থাকার জায়গা। এর মধ্যে প্রথম ৩টি প্রাকৃতিকভাবে পাই। আর বাকি ৩টি উৎপাদন করতে হয়।

৬। সম্পত্তি ব্যাপারটাকে দু-ভাগে ভাগ করা যাক। যা আমি ব্যবহার করি তা আমার ‘নিজস্ব সম্পত্তি’। আর যে সম্পত্তি আমার, কিন্তু আমি ব্যবহার করি না তা হলো ‘ব্যক্তিগত সম্পত্তি’। যে বাড়িটায় আমি থাকি, সেটা নিজস্ব সম্পত্তি। যে বাড়িটায় থাকি না, ফেলে রাখি বা ভাড়া দিই, সেটা ব্যক্তিগত সম্পত্তি।

৭। লেনিনের কয়েকটি বই: রুশ ধনতন্ত্রের বিকাশ, রুশ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের প্রতিবাদ, কী করতে হবে?, বস্তবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদী সমালোচনা, সাম্রাজ্যবাদ, ধনতন্ত্রের সর্বোচ্চ স্তর, রাষ্ট্র ও বিপ্লব প্রভৃতি।

৮। লেনিন স্পষ্টভাবে বলেন, বিপ্লবী মতবাদ ছাড়া বিপ্লবী পার্টি হয় না। আর, বিপ্লবী পার্টি করতে গেলে চাই কঠোর সৈনিকসুলভ শৃঙ্খলা।

৯। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের দ্বিতীয় সম্মেলন বা কংগ্রেসে সারা রাশিয়ার ২৬টি ছোটো-ছোটো দলের পক্ষ থেকে মোট ৪৩ জন প্রতিনিধি যোগ দেয়। সেখানে আলোচনা হয় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের বলে বলশেভিক। রুশ ভাষায় বোলশিনস্তভো শব্দটার মানে হলো - সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর মেনশিনস্তভো কথাটার অর্থ হলো সংখ্যালঘিষ্ঠ। তাদের নাম হয়ে গেল মেনশেভিক।

১০। রাশিয়া জুড়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন লেনিন। সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং লোককে বোঝাচ্ছেন, একটা পরাজয়েই ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এত বড়ো দেশ, এতদিনকার শেকল, এক-আধটা পরাজয় তো হতেই পারে। বরং এই পরাজয় থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। দেখতে হবে, কোন কোন ভুলের জন্য হার হলো। পরের বার আর সেই ভুলগুলো করা চলবে না। - পৃষ্ঠা ৫৩

১১। ১৯০৭ থেকে ১৯১৭ এই ১০ বছরের মধ্যে অসংখ্য রাজনৈতিক দল গজিয়ে উঠেছিল রাশিয়ায়। তার মধ্যে বড়ো দল ছিল কমপক্ষে উনিশটা। মফস্বলের কোনো কোনো জায়গায় তো ছিল ৪০টা পর্যন্ত। প্রতিটি দলের সঙ্গে প্রতিটি দলের বিরোধ।

১২। বলশেভিকদের অন্যতম এক নেতা ত্রৎস্কি মনে করতেন, রাশিয়াতে বিপ্লব করা গেলেও সে বিপ্লব টিকতে পারবে না আশপাশের দেশগুলোতেও বিপ্লব না হলে।

১৩। ১৯১২ সালে রুশ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক শ্রমিক পার্টির ষষ্ঠ কংগ্রেস শুরু হলো প্রাহা শহরে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন লেনিন। মেনশেভিকদের তাড়িয়ে দিয়ে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিকে ঢেলে সাজানো হলো। এই প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটিতে এলেন সেই কোবা ইভানোভিচ, অর্থাৎ স্তালিন। - ‍পৃষ্ঠা ৬০

১৪। ১৯১২ সালের মে মাসের ৫ তারিখে প্রকাশিত হলো আজও পর্যন্ত বিখ্যাত সেই কাগজ - ‘প্রাভদা’ (প্রাভদা মানে সত্য)। লেনিন ও স্তালিন যুগ্মভাবে প্রাভদার সম্পাদনার দায়িত্ব নিলেন।

১৫। লাগামছাড়া ধনতন্ত্র যখন বিকশিত হয়, তখন এত এলোপাতাড়ি উৎপাদন হয় যে তা বিক্রির মতো বাজার দেশে পাওয়া যায় না। তখনই শুরু হয় অন্যের সাম্রাজ্য - অন্যের বাজার গ্রাস করার যুদ্ধ। এই মর্মে একটা বইও লিখলেন লেনিন, যার নাম - ‘সাম্রাজ্যবাদ, ধনতন্ত্রের সর্বোচ্চ স্তর’।

১৬। জার সরকারের পতনের পর কাদেতরা সরকার গঠন করে। কাদেত: জন স্বাধীনতার পার্টি। এরাও রাজতন্ত্রী, তবে রাজতন্ত্রকে সংস্কার করে ভদ্রস্থ চেহারা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিল এর। ফেব্রুয়ারি-মার্চের বিপ্লবের পরে এরাই প্রথম ক্ষমতা দখল করে। অবশ্য তাদের হটিয়ে দেওয়া হয় কয়েকদিনের মধ্যেই।

- তারপর এলো অস্থায়ী সরকার। তাদের মধ্যে সোশ্যালিস্ট রেভলিউশনারি, ক্রদোভিক এবং মেনশেভিকদের প্রভাবই বেশি। প্রধানমন্ত্রী হলেন কেরনস্কি।

- এরপর এলো পেত্রোগ্রাদ সোভিয়েতের সরকার। যে সোভিয়েতে বলশেভিকরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।

১৭। ১৯১৭ সালের ৮ নভেম্বর, সোভিয়েত সম্মেলন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভকে রাশিয়ার জন-কমিশার পরিষদের সভাপতি, অর্থাৎ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করল।

১৮। সোভিয়েত বাহিনীর সৈন্য - সৈন্যবাহিনীর সমস্ত পদ - জেনালের থেকে আর্দালি পর্যন্ত - উঠিয়ে দেওয়া হলো। এখন থেকে প্রত্যেক সৈন্যের একটাই পরিচয় - সোভিয়েত বাহিনীর সৈন্য। একই রকম ভাবে উঠিয়ে দেওয়া হলো সমস্ত সরকারি ও অভিজাত খেতাব বা উপাধি। এখন থেকে প্রত্যেকের একটাই পরিচয় - তারা সোভিয়েত রাষ্ট্রের নাগরিক।

১৯। যাবতীয় সরকারি কেরানি ও অফিসাররা লেনিন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধর্মঘট করে। লেনিন, তাদের বদলে শ্রমিকদের সরকারি অফিসে কাজের দায়িত্ব দেন। এ কাজটা তাদের ভালো লাগত না। কিন্তু লেনিন বলতেন, দেশ আপনাকেও একটা দায়িত্ব দিয়েছে। যতই বিরক্তিকর হোক না কেন, সেটা তো আপনাকে করে যেতেই হবে?

তথ্যসূত্র: লেনিন। লেখক: জয়দেব বসু। কলকাতা, প্যাপিরাস, ২০০০।

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২

Pleasure principle তথা আনন্দ নীতি

Pleasure principle তথা আনন্দ নীতি হচ্ছে মানুষ আনন্দ খোঁজে এবং কষ্ট থেকে দূরে থাকতে চায়। একে মনোবিজ্ঞানী সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেছেন প্লেজার প্রিন্সিপাল তথা আনন্দ নীতি। ফ্রয়েড ১৮৯৫ সালে Project for a Scientific Psychology শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেন। উক্ত বইয়ে এই নীতি নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর ১৯০০ সালের দিকে The Interpretation of Dreams বইয়েও "Pleasure principle" শিরোনামে আনন্দ নীতির বর্ণনা রয়েছে। এরপর ১৯১১ সালে  Two Principles of Mental Functioning বইয়ে প্লেজার প্রিন্সিপালের বিপরীতে আরেকটি নীতি দাঁড় করান "the reality principle" তথা বাস্তবতা নীতি। এই প্রথম ফ্রয়েড pleasure unpleasure principle নিয়ে কথা বলেন। আনন্দ নীতিকে লিবিডোর সাথে যুক্ত করে বলেন, এটা আমাদের জীবনের মূল প্রেরণাদায়ী শক্তি। এমনকি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে Civilization and Its Discontents বইয়েও আনন্দ নীতিকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়ে যান।

ফ্রয়েডের আনন্দ নীতির পূর্বোক্ত বক্তা ছিলেন এপিকিউরাস এবং জেরেমি বেন্থাম।

মানুষ মূলত স্বার্থপর প্রাণী। সে আনন্দ খোঁজে এবং কষ্ট থেকে দূরে থাকতে চায়। এই বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এত তথ্যসূত্র দেওয়া।

তথ্যসূত্র: https://en.m.wikipedia.org/wiki/Pleasure_principle_(psychology)