বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২

রণদারপ্রসাদ সাহার জীবন কথা। হেনা সুলতানা। ঢাকা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ২০১৯।


২১। রণদারপ্রসাদ সাহার জীবন কথা। হেনা সুলতানা। ঢাকা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, ২০১৯।

‘দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার জন্ম ইংরেজি ১৮৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর সাভারের অদূরে শিমুলিয়ার কাছৈড় গ্রামের মাতুলালয়ে।

পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ পোদ্দার, মাতা কুমুদিনী দেবী। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রণদা প্রসাদ দ্বিতীয়। রণদা প্রসাদ সাহার পৈতৃক নিবাস বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে। পিতা দেবেন্দ্রনাথের স্থির কোনো পেশা ছিল না। রুটি-রুজির সন্ধানে বারবার তাকে পেশা বদল করতে হয়েছে। বেশির ভাগ সময় দলিল লেখকের কাজ করেছেন তিনি।

জীবনের গতি ফেরাবার জন্য কিছুদিন লগ্নি ব্যবসাও করেছেন। নিয়ত জীবনসংগ্রামে দেবেন্দ্রনাথ জীবনের প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হননি। কিছুটা লেখাপড়া জানতেন। চলতি আইন ও আইনের ব্যাপার স্যাপার ভালোই জানা ছিল। তার আগের কয়েক পুরুষ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও যতদূর জানা যায় দেবেন্দ্রনাথের ব্যবসায়ী মন-মানসিকতা ছিল না।’ তথ্যসূত্র : ‘রণদাপ্রসাদ সাহার জীবনকথা’, লেখক : হেনা সুলতানা। পৃষ্ঠা-১১।

শৈশব থেকে মানবকল্যাণের যে স্বপ্ন নিজের মনে লালন করেছিলেন তার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৩৮ সালে মাতামহীর নামে শোভাসুন্দরী ডিস্পেন্সারি ও মায়ের নামে কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে আড়াই শতাধিক লঙ্গরখানা পরিচালনা করেন তিনি। রণদা প্রসাদের আহ্বানে ১৯৪৪ সালে অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড আর জি কেসি কলকাতা থেকে নদীপথে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এক অজোপাড়া গাঁয়ে এসে কুমুদিনী হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সংকটময় সময় রণদা রেডক্রসকে আড়াই লাখ রূপি দান করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন