শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১

উক্তি অভিধান

১। মানুষ তাদের অবস্থা পরিবর্তনে আগ্রহী কিন্তু তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে অনিচ্ছুক। আর তাই তারা একটি গণ্ডিতেই আবদ্ধ রয়ে যায়। যে ব্যক্তি আত্মবিসর্জনে ভয় পায় না, সে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। স্বর্গীয় ও পার্থিব, উভয় ক্ষেত্রে কথাটি সত্য। এমনকি যে ব্যক্তির একমাত্র উদ্দেশ্য সম্পদ অর্জন, তাকেও নিজের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য অনেক ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই সে একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল জীবন লাভ করতে পারবে। - জেমস অ্যালেন


২। টনি গ্যাসকিন্স বলেন: আপনি যদি আপনার স্বপ্ন তৈরির জন্য কাজ না করেন, তবে অন্য কেউ আপনাকে তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য ভাড়ায় খাটাবে।


৩। আশা নিয়ে বাঁচতে হলে আপনার আশেপাশে দরকার আশাবাদী মানুষ। আর তারা যদি আপনার বন্ধু হয় তবে তো সোনায় সোহাগা। প্রাণের বন্ধু খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন খ্যাতিমান লেখক মার্ক টোয়েন (১৮৩৫-১৯১০)। তিনি বলেন, বন্ধুর জন্য মারা যাওয়াটা সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে এমন একজন বন্ধু খুঁজে পাওয়া যার জন্য মরাও উত্তম।


৪। যত ধরনের মহান অর্জন আছে সবকিছুই সংগ্রাম করে অর্জন করতে হয়েছে। অনেক চেষ্টা, অধ্যবসায় ও সংগ্রাম থেকেই মহান সব কৃতিত্বসম্পন্ন কাজের জন্ম ঘটেছে। - নেপোলিয়ন হিল


৫। ‘তুমি দুনিয়াতে কেবল কোনোরকম জীবনযাপনের জন্য আসনি। তুমি দুনিয়াতে এসেছ তোমার বড় বড় স্বপ্ন নিয়ে, মানুষের জন্য ভালো কিছু করার আশা নিয়ে এবং বড় বড় কৃতিত্বসম্পন্ন কাজ করে একে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে দিতে। তুমি এসেছ দুনিয়াকে সমৃদ্ধ করতে। তুমি যদি এ বার্তা ভুলে যাও তবে তুমি নিঃস্ব হয়ে পড়বে।’—আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উইড্র উইলসন (বই: টিমওয়ার্ক ১০১)


৬। ❝সাহস মানে ভয় বা হতাশার অনুপস্থিতি নয়; সাহস মানে হচ্ছে ভয় বা হতাশা যত বড় বা অপ্রতিরোধ্যই হোক না কেন তা সত্ত্বেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা।❞ - রবার্ট ফ্যানি


৭। বুদ্ধ বলেন: ❝জীবনে যতই ভালো বই পড়ো কিংবা ভালো উপদেশ শোনো না কেন, কিন্তু যতক্ষণ তুমি সেসবের থেকে পাওয়া তথ্যগুলোকে নিজের জীবনে ব্যবহার না করছো; ততক্ষণ অবধি সেসবের কোন মূল্যই নেই।❞


৮। আমাদেরকে কাজ করার মধ্য দিয়ে শিখতে হবে। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেন, ❝যে কখনও ভুল করেনি, সে কখনও নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেনি ।❞ তিনি আরও বলেন, ❝কোনকিছু না করলে এ জগতে কিছুই নড়বে না।❞


৯। সাফল্য তাদের কাছে আসে যারা আরম্ভ করার দুঃসাহস করে।


১০। জ্যাক ক্যানফিল্ড বলেন, মন্দ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হলে আমাদের অবশ্যই সাফল্যমণ্ডিত আদর্শ চরিত্রগুলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

নতুন বছরের স্বপ্ন পূরণে যে ১০টি উক্তি আমাকে উজ্জীবিত করেছে

১। মানুষ তাদের অবস্থা পরিবর্তনে আগ্রহী কিন্তু তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে অনিচ্ছুক। আর তাই তারা একটি গণ্ডিতেই আবদ্ধ রয়ে যায়। যে ব্যক্তি আত্মবিসর্জনে ভয় পায় না, সে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। স্বর্গীয় ও পার্থিব, উভয় ক্ষেত্রে কথাটি সত্য। এমনকি যে ব্যক্তির একমাত্র উদ্দেশ্য সম্পদ অর্জন, তাকেও নিজের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য অনেক ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই সে একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল জীবন লাভ করতে পারবে। - জেমস অ্যালেন


২। টনি গ্যাসকিন্স বলেন: আপনি যদি আপনার স্বপ্ন তৈরির জন্য কাজ না করেন, তবে অন্য কেউ আপনাকে তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য ভাড়ায় খাটাবে।


৩। আশা নিয়ে বাঁচতে হলে আপনার আশেপাশে দরকার আশাবাদী মানুষ। আর তারা যদি আপনার বন্ধু হয় তবে তো সোনায় সোহাগা। প্রাণের বন্ধু খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন খ্যাতিমান লেখক মার্ক টোয়েন (১৮৩৫-১৯১০)। তিনি বলেন, বন্ধুর জন্য মারা যাওয়াটা সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে এমন একজন বন্ধু খুঁজে পাওয়া যার জন্য মরাও উত্তম।


৪। যত ধরনের মহান অর্জন আছে সবকিছুই সংগ্রাম করে অর্জন করতে হয়েছে। অনেক চেষ্টা, অধ্যবসায় ও সংগ্রাম থেকেই মহান সব কৃতিত্বসম্পন্ন কাজের জন্ম ঘটেছে। - নেপোলিয়ন হিল


৫। ‘তুমি দুনিয়াতে কেবল কোনোরকম জীবনযাপনের জন্য আসনি। তুমি দুনিয়াতে এসেছ তোমার বড় বড় স্বপ্ন নিয়ে, মানুষের জন্য ভালো কিছু করার আশা নিয়ে এবং বড় বড় কৃতিত্বসম্পন্ন কাজ করে একে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে দিতে। তুমি এসেছ দুনিয়াকে সমৃদ্ধ করতে। তুমি যদি এ বার্তা ভুলে যাও তবে তুমি নিঃস্ব হয়ে পড়বে।’—আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উইড্র উইলসন (বই: টিমওয়ার্ক ১০১)


৬। ❝সাহস মানে ভয় বা হতাশার অনুপস্থিতি নয়; সাহস মানে হচ্ছে ভয় বা হতাশা যত বড় বা অপ্রতিরোধ্যই হোক না কেন তা সত্ত্বেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা।❞ - রবার্ট ফ্যানি


৭। বুদ্ধ বলেন: ❝জীবনে যতই ভালো বই পড়ো কিংবা ভালো উপদেশ শোনো না কেন, কিন্তু যতক্ষণ তুমি সেসবের থেকে পাওয়া তথ্যগুলোকে নিজের জীবনে ব্যবহার না করছো; ততক্ষণ অবধি সেসবের কোন মূল্যই নেই।❞


৮। আমাদেরকে কাজ করার মধ্য দিয়ে শিখতে হবে। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেন, ❝যে কখনও ভুল করেনি, সে কখনও নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেনি ।❞ তিনি আরও বলেন, ❝কোনকিছু না করলে এ জগতে কিছুই নড়বে না।❞


৯। সাফল্য তাদের কাছে আসে যারা আরম্ভ করার দুঃসাহস করে।


১০। জ্যাক ক্যানফিল্ড বলেন, মন্দ অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হলে আমাদের অবশ্যই সাফল্যমণ্ডিত আদর্শ চরিত্রগুলোকে বিশ্লেষণ করতে হবে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১

জেনে নিন আপনার ব্যক্তিত্বের ধরন

৪ ধরনের ব্যক্তিত্ব রয়েছে। এ ধরনগুলোকে ইংরেজিতে এ, বি, সি এবং ডি বলে অভিহিত করা হয়। আমরা বাংলায় অ, আ, ই এবং ঈ বলে ডাকতে পারি। এগুলোর সমন্বয়েও এক ধরনের ব্যক্তিত্ব রয়েছে। একে ইংরেজিতে এক্স অথবা বাংলায় “ক” বলে।


৪ ধরনের ব্যক্তিত্ব

প্রতিটি মানুষ এই ৪ ধরনের ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে গঠিত। শত বছর ধরে এই ধরনগুলো বিভিন্ন নামে চলে আসছে। কিন্তু আমরা এগুলো নিদিষ্ট নাম দিয়েছি: নির্দেশাত্মক, সামাজিক, চিন্তাবিদ এবং সহায়তাকারী। সংংক্ষেপে এগুলোকে আমরা উল্লেখ করেছি অ, আ, ই এবং ঈ নামে। এসব ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানা যেকোনো মানুষের জন্য খুব জরুরি। এতে করে যেকেউ মানুষ চিনতে সক্ষম হবে, দলবদ্ধ কাজ করতে পারঙ্গম হবে এবং ব্যবসায়ীরা কর্মী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে। বিশেষ করে, যারা সঠিক কর্মী নির্বাচন করে কর্মী চলে যাওয়ার ক্ষতি পোষাতে চান, তাদের জন্য এসব ব্যক্তিত্বের ধরন নির্বাচন অত্যন্ত কার্যকর উপায় হিসাবে দেখা দিবে।


ধরন “অ” ব্যক্তিত্ব কী?

“অ” ধরনের ব্যক্তিত্বের মানুষ দায়িত্বের প্রধান থাকতে চায়। তারা তাদের জীবন ও পরিবেশের নিয়ন্ত্রক হতে চায়। তারা সাধারণত ততটা তথ্য-কেন্দ্রিক নয়। তথ্যউপাত্তের ব্যাপারটা অন্যদের হাতে ছেড়ে দেয়। তারা সাধারণত লক্ষ্য-কেন্দ্রিক েএবং সমাধানের ক্ষেত্রে বেশ বাস্তবিক। লক্ষ্যে পৌঁছাতে তারা কোন আবেগীয় পদক্ষেপ নেয় না। সরাসরি সমাধানের পথে হাঁটে।


“অ” ধরন ব্যক্তিত্বের অন্যান্য নাম?

ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা এবং পদ্ধতি: ব্যক্তিত্বের ধরন “অ”

দ্য হায়ার সাকসেস সিস্টেম: নির্দেশাত্মক

হিপোক্রিটাস: বদরাগী বা রাগী

প্লেটো: অভিভাবক

জং (Jung): অধিক দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করে (Sensor)

DISC: নির্দেশাত্মক বা নিয়ন্ত্রণকারী (D; Direct/Controlling)

অন্তর্দৃষ্টি (Insight): নীল

মায়ার্স-ব্রিগস: ENFJ, ENFP, INFJ, INFP

এনিয়াগ্রাম (Enneagram): দুঃসাহসী বা বিজয়ী (Adventurer/Achiever)

PSI: নিয়ন্ত্রণকারী (Controller)

বাইবেলের চরিত্র: পল (Paul)

কার্টুন বা কমিক চরিত্র: লুসি, পিনাটস থেকে অথবা খরগোশ, উইনি দ্য পুহ থেকে (Lucy (from Peanuts) / Rabbit (from Winnie the Pooh))


“অ” ধরন ব্যক্তিত্বের শক্তি কী?

পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করে

দায়িত্ব নেওয়া

দ্রুতগতিসম্পন্ন

উদ্যোক্তা

সরাসরি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ

উচ্চাকাঙ্ক্ষী

স্বাধীনভাবে দক্ষ কাজ করে

আবেগপ্রবণ

সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দাবি করে

প্রভাবশালী

ভালো প্রশাসনিক দক্ষতা

অনেক প্রতিযোগিতামূলক

অন্যদের হাতে কাজ দিতে এবং কাজ আদায় করতে দক্ষ

মাল্টিটাস্কিং তথা অনেক কাজ একসাথে করতে সক্ষম


“অ” ধরন ব্যক্তিত্বের দুর্বলতা কী?

একগুঁয়ে

কাজ পাগল

অস্থির

অপ্রত্যাশিত কাজ করে

শক্ত

সহজেই রেগে যায়

অনুভূতিহীন

বদমেজাজী

অসহিষ্ণু

আধিপত্য বিস্তারকারী


“অ” ধরন ব্যক্তিত্বের মানুষকে কী অনুপ্রাণিত করে?

টাকা

সুযোগ

স্বাধীনতা বা মুক্ত পরিবেশ

ঝুঁকি থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার অনুকূলে থাকতে হবে (Favorable risk-reward ratio)

চ্যালেঞ্জ

জরুরি

সাফল্য

নেতৃত্ব


এমন কিছু সাধারণ শব্দ বা বাক্যাংশ যা “অ” ধরন ব্যক্তিত্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে অথবা মনোযোগ আকর্ষণ করে?

“এটা করা যাক।”

দ্রুত কাজ করা

ফলাফল

অবিলম্বে / আজ / এখন

আসল কথা হচ্ছে (The bottom line)

“তুমি কি মনে কর ___?”

“সেরা (নতুন, অত্যাধুনিক, ইত্যাদি)”

চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা

বিনিয়োগে দুর্দান্ত রিটার্ন


“অ” ধরন ব্যক্তিত্বের মানুষ কি অপছন্দ করে, বিরক্ত হয় এবং ভয় পায়?

স্পর্শকাতর জিনিস (Touchy-feely things)

দীর্ঘ ব্যাখ্যা বা বর্ণনা

একই ব্যক্তির কাছে আবেগগতভাবে বা একাধিকবার জিনিস ব্যাখ্যা করা (Explaining things in emotional or more than once to the same person )

নরম বা দুর্বল দেখানো

রুটিনের মধ্যে পড়া

কেউ সুবিধা নিলে (Being taken advantage of)

হারানো (Losing)


কোন কাজগুলো “অ” ধরন ব্যক্তিত্বের মানুষকে আকর্ষণ করে?

প্রেসিডেন্ট / প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

সাধারণ ঠিকাদার

বিক্রয়কর্মী বা বিক্রয় ব্যবস্থাপক

ব্যবসার মালিক

রাজনীতিবিদ

উদ্যোক্তা

পুলিশ / সামরিক কর্মকর্তা

ম্যানেজার

কার্যনির্বাহী / এক্সিকিউটিভ


কর্মক্ষেত্রে “অ” ধরন ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো কেমন দেখায়?

“অ” ধরন ব্যক্তিত্বের মানুষ সাধারণত নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে:


লক্ষ্য-কেন্দ্রিক

ঝুঁকি নিতে পারে

চাপের মধ্যে ভালোভাবে কাজ করতে পারে



তথ্যসূত্র:

১। মিটিংস দ্যাট গেট রেজাল্টস। রুপান্তর: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২২। নবম অধ্যায়।

২। https://www.hiresuccess.com/help/understanding-the-4-personality-types


বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

আপনার মধ্যে রয়েছে চৌম্বকীয় আকর্ষণ শক্তি



আপনি কি জানেন মানুষের মধ্যে এক ধরনের চৌম্বকীয় আকর্ষণ শক্তি বিদ্যমান? একে চৌম্বকীয় লোহার এক টুকরার সাথে তুলনা করতে পারেন। একটি চৌম্বকীয় লোহার টুকরা তার নিজের ওজনের তুলনায় ১২ গুণ ওজন তুলতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সেই চৌম্বকীয় লোহার টুকরা থেকে এর চুম্বকত্ব সরিয়ে নেন, তবে লোহার টুকরা একটা পাতাও তুলতে পারবে না।

ঠিক একইভাবে এই পৃথিবীতে ২ ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ যাদের মধ্যে চৌম্বকীয় আকর্ষণ শক্তি আছে। তারা আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ। তারা জানে যে তারা জেতার জন্য এবং সফলতা লাভের জন্য জন্মগ্রহণ করেছে। আর অপর এক ধরনের মানুষ আছে, যারা চৌম্বক শক্তিহীন। তাদের মন ভয় এবং সন্দেহে পরিপূর্ণ। তাদের সামনে সুযোগ আসে আর তারা বলে, ❝মনে হয় আমি হেরে যাব, মনে হয় আমার টাকাপয়সা লোকসান হবে, লোকজন আমায় দেখে হাসাহাসি করবে।❞ এ ধরনের মানুষ জীবনে বেশিদূর এগোতে পারে না। কারণ তারা এগিয়ে যেতে ভয় পায়। তারা যেখানে থাকে সেখানেই রয়ে যায়।

নিজেকে চৌম্বকীয় আকর্ষণ শক্তিধর ব্যক্তিতে পরিণত করুন এবং অবচেতন মনের শক্তিকে কাজে লাগান।

রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১

উক্তি - বাংলায় বুদ্ধের উক্তি

বুদ্ধের উক্তি:

ছবিসূত্র: https://bn.wikipedia.org/wiki/গৌতম_বুদ্ধ


১।

অতীতে ডুবিয়া থাকিও না

ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনিও না

বর্তমান মুহূর্তে মন দাও। - বুদ্ধ


২।

আর কেহ যদি

ভালো কাজ নাও করে

একলা আমি করিব।


যদি আর সকলে

মন্দ কাজও করে

একলা আমি করিব না। - বুদ্ধ


৩।

যখন সব ঠিকঠাক চলিতেছে,

সচেতন থাক

দুর্বিপাক সম্পর্কে


যখন সম্পদশালী,

সচেতন থাক

গরিবানা সম্পর্কে


যখন সোহাগ পাইতেছ,

সচেতন থাক

সুবিবেচনা সম্পর্কে


যখন ভক্তি কুড়াইতেছ,

সচেতন থাক

অপমান সম্পর্কে। - ‍বুদ্ধ


৪।

শান্তি আসে

অন্তর্দেশ হইতে।


বহির্দেশে

ইহার তালাশ করিও না। - বুদ্ধ


৫।

জয় কর


উদারতা দিয়া লোভ-লালসাকে

দয়ামায়া দিয়া রাগকে

বোধশক্তি দিয়া অবিদ্যাকে। - বুদ্ধ


তথ্যসূত্র: বুদ্ধের হৃদয়। আবুল খায়ের মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান অনূদিত। ঢাকা, আগামী প্রকাশনী, মধুপোক, ২০১৮।

রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

উক্তি - বাংলায় লাতিন উক্তি

লাতিন উক্তি:


- A diis quidem immortalibus quse potest homini msjor esse poens, furore atque dementia? - Cicero. De Haruspicum Responsis, XVIII., 39.

বাংলা: একজন মানুষের প্রতি অমর দেবতাদের কাছ থেকে বাতিকগ্রস্ত বা পাগল হওয়ার চেয়ে বড় শাস্তি আর কী হতে পারে!


- A prima descendit origine mundi causarum series. - Lucan. Pharsalia, VI., 608.

বাংলা: এমনকি পৃথিবী সৃষ্টির একদম শুরুও হয়েছে কারণের (causes) ধারাবাহিক পর্যায়ক্রম ধরে।


- A proximis quisque minime anteiri vult. - Livy. Histories, VI., 34.

ইংরেজি: Every one has a special objection to being excelled by his own relations.

বাংলা: প্রত্যেকেই তার নিজের সম্পর্কগুলো দ্বারা উন্নত এবং দক্ষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোন না কোন বিশেষ অভিযোগ থাকে।


- A se suisque orsus primum domum suam coercuit; quod plerisque haud minus arduum est quam provinciam regere. - Tacitus. Agricola, XIX.

বাংলা: প্রথমে নিজের ওপর নিজে কর্তৃত্ব করা, তারপর নিজের ঘরে নিজের পরিবারের ওপর কর্তৃত্ব করা এমন এক ব্যাপার যা পুরো একটি প্রদেশের ওপর কর্তৃত্ব করার মতো কঠিন।


- Ab alio exspectes, alteri quod feceris. - Publilius Syrus, 1.

বাংলা: অন্যদের কাছ থেকে তেমন ব্যবহার আশা করুন যেমন আপনি অন্যদের সাথে আচরণ করেন।


-






বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

মার্কেটিং মানে কী?

মার্কেটিং এবং বিক্রয় দুইটি আলাদা জিনিস। মার্কেটিং মানে আপনার পণ্য বা সেবার ব্যাপারে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করানো। ব্যবসায় মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। এ ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ব্যবসা বা উদ্যোগের অন্যতম দিক হচ্ছে আপনার পণ্য বা সেবা উল্লেখযোগ্যভাবে অসাধারণ হতে হবে। যেমন পায়ের পাঁচ আঙুলের ডিজাইন সহ জুতা দেখতে কিছুটা অদ্ভুত হলেও তা সকলের নজর কাড়ে। এ জুতা জোড়া দেখতে ব্যাঙের মতো, মোজা ও গ্লাভসের মাঝামাঝি। অনেকেই খালি পায়ে দৌড়াতে চায়, কিন্তু এই রাবারে জুতা থাকার কারণে পাথর বা গ্লাস পায়ে ঢুকতে পারবে না এবং খালি পায়ে দৌড়ানোর স্বাদ পাবেন।


একটি সফল ব্যবসা (১) কাস্টমারদের জন্য মূল্যবান কিছু তৈরি করে (২) যা তারা চায়, (৩) যা তারা কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী, (৪) এভাবে কাস্টমারদের চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণ হয় যাতে করে (৫) ব্যবসার মালিকদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ মুনাফা আসে ব্যবসার কর্মকাণ্ডকে প্রতিনিয়ত চালিয়ে নেওয়ার জন্য। [দ্য পারসোনাল এমবিএ বই অনুসারে, পৃষ্ঠা ৫৭]। সফল ব্যবসার অন্যতম এক সূত্র হচ্ছে কাস্টমারের প্রত্যাশাকে অতিক্রম করে যাওয়া। উপরোক্ত পাঁচ আঙুলের ডিজাইন সহ জুতা কাস্টমারের সেই প্রত্যাশাকেই অতিক্রম করেছে।

সেথ গোডিন তার বই পার্পেল কাউ (Purple Cow by Seth Godin) তে এ ব্যাপারটি চমৎকারভাবে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। এখন রাস্তার পাশের এক মাঠে দেখলেন অনেক গরু চরছে। গরু সাধারণত খয়েরি রঙের হয়। আপনি যদি মাঠে দেখেন সব গরুর রঙই খয়েরি, তবে তা আপনার মধ্যে ততটা আগ্রহের সৃষ্টি করবে না। কিন্তু হঠাৎ আপনি যদি দেখেন একটা বেগুনি রঙের গরু, তবে আপনি অবশ্যই থমকে দাঁড়াবেন। কারণ বেগুনি রঙের গরু আপনার প্রত্যাশাকে অতিক্রম করবে। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই এটা আপনার মনোযোগ এবং আগ্রহ টানবে।

সম্ভাব্য কাস্টমার: এ পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষ আছে। আর এর মধ্যে ৯৯.৯৯৯% মানুষই হয়তো আপনার পণ্য বা সেবাটা টাকা দিয়ে কিনতে চায় না। এমন এক বক্তব্য দেন হিউজ ম্যাকলিওড। তিনি একজন কার্টুনিস্ট এবং Ignore everybody বইয়ের লেখক।

সম্ভাব্য গ্রাহক বা কাস্টমারের দিকে বেশি মনোযোগ দিন। আপনার পণ্য বা সেবা কার কাজে লাগতে পারে, কেমন ধরনের মানুষ তা ব্যবহার করতে পারে, তা বিবেচনা করে ঠিক সেই ধরনের গ্রাহকদের দিকেই মনোযোগ নিবন্ধ রাখুন। বলা হয়,

সূর্যের আলো কেবল ম্যাগনিফাইং গ্লাসে কেন্দ্রীভূত হয় বলেই তার মাধ্যমে আগুন জ্বলে ওঠে। নতুবা আগুন জ্বালানোর ক্ষেত্রে বিক্ষিপ্ত আলোর ততটা শক্তি নেই।

মানুষের মনোযোগও তেমন এক ব্যাপার। যখন আপনি আপনার মনোযোগ কেবল সম্ভাব্য গ্রাহকদের দিকেই নিবিষ্ট করবেন, তখনই তা সর্বোত্তম ফলাফল দিবে।

সর্বশেষ ফলাফল: সব শেষে কী ফলাফল আসতে পারে সেইদিকে মনোযোগ দিন। মানুষ কাঠ, স্টিল বা লোহার জন্য আলমারি কিনে না, কিনে আলমারিতে মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদে রাখার জন্য। তাই সব শেষে মানুষ কী চায়, কেন চায় তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

গুণগত মান ধরে রাখুন: যেসব পণ্য বিজ্ঞাপন ছাড়া চলে না, সেগুলো বিজ্ঞাপন দিয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারে না।

বাজার বা মার্কেটে প্রবেশের সময়: যারা আপনার পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ দেখায় না, তাদেরকে পণ্যের ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলাটা একটা সময়ের অপচয়। এরচেয়ে ভালো হয়, যারা আগ্রহী তাদের কাছ থেকে শোনা যে তারা কী ধরনের পণ্য বা সেবা চায়।

কম চলাচল করে এমন রাস্তাই যে সবসময় ভালো তা বলা যায় না: ব্যঙ্গরসাত্মক অভিনেতা ও বক্তা জেফ্রি সেইফিল্ড (Jerry Seinfeld) বলেন, যে রাস্তায় কম চলাচল করা হয় তার নিশ্চয় কোন একটা কারণ আছে।

এ ব্যাপারে রাজনৈতিক একটা কৌতুকও আছে। বলা হয়, ‘একজন ভালো বিক্রয়কর্মী সেই যে এস্কিমো বা বরফের দেশের মানুষের কাছেও ফ্রিজ বিক্রি করতে পারে।’

ব্যাপারটা শুনতে হয়তো হাস্যকর মনে হতে পারে, কিন্তু বরফের দেশের মানুষের জন্যও তাদের খাবার যাতে বরফে জমে না তার দরকার আছে। তাই মানুষকে কেবল তাদের চাহিদা ও প্রয়োজন সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার দরকারি পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে সক্ষম হবেন।

আকাঙ্ক্ষা: প্রায় সময় দেখবেন দুই-তিন বছরের বাচ্চারা তাদের পছন্দের কোন জিনিস দেখলেই বলে ওঠে, আমি এটা চাই, আমি এটা চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত সে তা না পাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কথাটা বলতেই থাকে। বিভিন্ন কোম্পানি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে কেবল এরকম এক আকাঙ্ক্ষা কাস্টমারদের মধ্যে তৈরি করার জন্য। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে কেউ যদি একটা জিনিস না চায় তবে সেটা যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, সে তা কিনবে না।

ধরুন, আপনি বিয়ে করেছেন, কিন্তু এখনই বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করেননি। হয়তো দুই-চার বছর পরে নিবেন। তো, এখন যদি কেউ আপনাকে বাচ্চাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করতে বলে, তবে আপনি কি তা নিতে আগ্রহী হবেন? আবার যখন আপনার প্রয়োজন হবে, তখন আপনি নিজেই এগুলো খুঁজে বের করবেন।

মানুষের মধ্যে কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে:

লেখক পল আর লরেন্স এবং নিতিন নোহরিয়া তাদের বই ড্রিভেন (Driven: How Human Nature Shapes Our Choices by Paul R. Lawrence  (Author), Nitin Nohria (Author)) এ মানুষের ৪টি মৌলিক চাহিদা সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন:

১। অর্জন করার চাহিদা: আমরা বস্তুগত কোন জিনিস, যেমন গাড়ি, বাড়ি, মোবাইল ইত্যাদি অর্জন করতে চাই। আবার অবস্তুগত, যেমন ক্ষমতা, পদ-পদবি প্রভৃতি অর্জন করতে চাই।

২। বন্ধন বা সম্পর্ক তৈরির চাহিদা: মানুষের সাথে আমরা আত্মীয়তা বা ভালোবাসার বন্ধন ও সম্পর্ক তৈরি করতে চাই।

৩। শেখার চাহিদা: আমরা আমাদের কৌতূহল পূরণ করতে নানা জিনিস শিখি। এজন্য তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিভাগ, প্রোগ্রাম, ট্রেনিং, বই প্রভৃতি।

৪। নিরাপত্তার চাহিদা: আমরা নিজেদের, ভালোবাসার মানুষদের এবং আমাদের সম্পদকে রক্ষা করতে চাই। এজন্য তৈরি হয়েছে নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক যন্ত্রপাতি, বীমা ব্যবস্থা, আইনকানুন ইত্যাদি।

বিজনেস ট্রেনিং এর ওপর বেস্টসেলিং বই জশ কফম্যান রচিত দ্য পারসোনাল এমবিএ বইয়ে লেখক আরও একটি চাহিদার উল্লেখে করেন।

৫। অনুভব করার চাহিদা: আমরা নানা ধরনের আবেগীয় জিনিস অনুভব করতে চাই। রেস্টুরেন্ট, মুভি, গেমস, কনসার্ট ইত্যাদি এ চাহিদার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে।

যখন এসব চাহিদার কোন একটার ঘাটতি দেখা যাবে, তখনই দেখবেন বাজারে তথা মার্কেটে সেই চাহিদা পূরণের জন্য কোন না কোন পণ্য বা সেবা চলে এসেছে।


তথ্যসূত্র:

দ্য পারসোনাল এমবিএ বই অনুসারে