সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪

আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নিন এবং অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ভুলে যান।

চিন্তা করুন গত দিনটির কথা। অনেকগুলো আনন্দপ্রদ বিষয় রয়েছে যা আপনাকে তুলে নিতে হবে। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।

১। আপনি কি বেঁচে আছেন?
২। আপনার পিতা মাতা কি আপনাকে ভালবাসে?
৩। আপনি কি সুস্থ আছেন?
৪। আপনার বন্ধুদের দেখে কি আপনার মুখে হাসি ফোটে?

এই সবগুলো বিষয়ই আনন্দপ্রদ এবং একজন ব্যক্তিকে খুব সহজেই আনন্দ প্রদান করে। আনন্দপ্রদ এবং ইতিবাচক চিন্তা করার মানে একজন ব্যক্তি তার মনকে খুশির উত্তেজনা দ্বারা ভরিয়ে রাখে। একজন ব্যক্তি যখন তার মন এবং মস্তিষ্ককে খুশির উত্তেজনা দ্বারা ভরিয়ে রাখে তখন তাকে দেখে তার আশেপাশের মানুষরাও খুশি হয়ে ওঠে।

ইহা আপনি নিজেও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনার কোন বন্ধুকে পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করুন। ধরুন বন্ধুটির নাম সোয়াদ। সোয়াদের সাথে দেখা হলে তাকে হাসিমুখে জিজ্ঞেস করুন, সোয়াদ, ভালো আছো কি? স্বাভাবিক ভাবে সেও আপনাকে হাসিমুখে উত্তর দেবে, হ্যাঁ, ভালো আছি।

এভাবে আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নিন দেখবেন আপনার সাথে ভালো এবং ইতিবাচক ঘটনাগুলোই বেশী ঘটছে। ইহার অবশ্য যৌক্তিক কারণ রয়েছে। যেহেতু একজন ব্যক্তির মন কেবল আনন্দপ্রদ বিষয় খোঁজে এবং তুলে নেয় এবং অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ভুলে যায় স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আনন্দে থাকেন। এতে করে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ঘটে। যারা আনন্দে থাকতে চায় এবং আনন্দে থাকে তাদের কাছে অন্যরাও তাদের আনন্দ প্রকাশ করতে সাহস পায়। হ্যাঁ, সাহস পায়। সাহস শব্দটি ব্যবহার করার মানে হল যেকোন ঘটনা থেকে আনন্দপ্রদ বিষয়টি বের করে নিজের মনকে আনন্দিত করা একটি সাহসী কাজ।

কয়লার খনিতে হাজার টন কালো কয়লার মধ্যে একটি উজ্জ্বল হীরা তুলে নেওয়া যেমন একটি সাহসী কাজ তেমনি জীবনের অপ্রীতিকর বিষয় ভুলে আনন্দপ্রদ বিষয় তুলে নিতে পারা তেমনি একটি সাহসী কাজ। এই কাজটি ব্যক্তিরা খুব সহজেই করে থাকেন কারণ তাদের আছে প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি। ব্যক্তিরা এই ইচ্ছা ব্যবহার করে তাদের মনকে আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নিতে বাধ্য করেন, মনকে শান্ত এবং আনন্দিত রাখেন।

এভাবে দেখাটা আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে আত্ম তুষ্টি। কিন্তু বিষয়টি অন্য রকম। যে ব্যক্তি তার ঘটনাগুলো থেকে আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নেন তিনি পরবর্তী কাজ করার জন্য আরোও বেশী শক্তি পান অপর ব্যক্তির তুলনায় যিনি অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ভুলতে পারে না।

তাই আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নিন এবং অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ভুলে যান। যাতে আপনি আরও বেশী করে নিজের কাজে মনোযোগ দিতে পারেন, যা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে।


-একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন-

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪

মানুষ ক্লান্ত হয় না কেন?

ক্লান্ত না হওয়ার কারণ দুইটি। প্রথমত, একজন ব্যক্তি যিনি তার আগ্রহের কাজ করে সে উক্ত কাজে ক্লান্তি অনুভব করে না। কাজ শেষ করলেও সে শান্তি অনুভব করে। দ্বিতীয়ত, ব্যক্তি যখন তার আগ্রহী কাজটিকে তার থেকেও বড় করে দেখে অর্থাৎ মানবতার জন্য কাজ করে তখনও সে ক্লান্তি অনুভব করে না। এই উভয় পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে আরও দক্ষ ভাবে আপনার কাজ করুন।

পদ্ধতিগুলো হচ্ছেঃ

১। পছন্দ অনুযায়ী কাজ করা।

২। মানবতার জন্য কাজ করা।

এভাবে কাজ করলে একজন ব্যক্তি তার আপন মনে মানসিক শান্তি পায়। মানসিক শান্তি তার দৈহিক শক্তিকে বৃদ্ধি করে। ইহা নদীতে প্রবাহিত পানির মত, যা শুধুমাত্র সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। কিন্তু যে কাজ একজন ব্যক্তির অপছন্দ তা নদীতে বাঁধের মত, প্রবাহিত পানিকে আটকে দেয়। ব্যক্তি চাইলেও শক্তির প্রবাহ দেহে উৎপন্ন হয় না কারণ তার মন বাঁধের মত অবিরত ভাবে বাধা দিয়ে যায়। এভাবে একজন ব্যক্তি কাজ করলে তার ক্ষমতার অর্ধেক শক্তিই সে ব্যবহার করতে পারে আর বাকি অর্ধেক শক্তি অপব্যয় হয় মানসিক বাধা বা অপছন্দের জন্য। নদীর বাঁধে পানি সজোরে ধাক্কা খায় এবং পানি শক্তি প্রবাহে (স্বাভাবিক পানি প্রবাহে) বিঘ্ন সৃষ্টি করে তদরূপ শক্তি প্রবাহ মানসিক বাধায় বিঘ্নিত হয় এবং অল্প পরিমাণ শক্তি যা দৈহিক শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে এবং কাজে লাগে।

অতএব, পূর্ণ শক্তি ব্যবহারের জন্য একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই পছন্দানুযায়ী কাজ করতে হবে এবং মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই উক্ত ব্যক্তি ক্লান্তি বা দূর্বলতা অনুভব করবে না। ইহা একটি সহজ পদ্ধতি আপনার কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য। পছন্দ অনুযায়ী কাজ করুন, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন এবং আপনার কাজটি পূর্ণ রূপে সম্পন্ন করে সুখ এবং সফলতার অনুভূতি উপভোগ করুন।


-একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন-

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

আভ্যন্তরিক গুণগুলো পূর্ণ রূপে উন্নত করুন।

To fully develop the inner qualities: to find a woman who can hate you sincerely.

অনুবাদ- আভ্যন্তরিক গুণগুলো পূর্ণ রূপে উন্নত করার জন্যঃ একজন নারী খুঁজুন যিনি আপনাকে অকপট ভাবে ঘৃণা করে

-ব্যাখ্যা-

      আভ্যন্তরিক গুণগুলোঃ কয়েকটি আভ্যন্তরিক গুণ দায়িত্ব বোধ, অঙ্গীকার বোধ, নৈতিক সততা, দেশপ্রেম প্রভৃতি গুণগুলো জানা এবং নিজের কাজে করে দেখানো হচ্ছে এই আভ্যন্তরিক গুণগুলোর পূর্ণ রূপ গঠন।

      পূর্ণ রূপঃ অঙ্গীকার বোধ হচ্ছে কথা দিয়ে তদানুযায়ী (সেই অনুযায়ী) কাজ করা, অঙ্গীকার রক্ষা করা, অঙ্গীকার করার পূর্বে চিন্তা করা, পরিকল্পনা করা যে আমি সেই কাজটি সময় মত করতে পারবো কিনা। ধরি, একজন ব্যক্তির একটি গুণ, অঙ্গীকার বোধ, কথা বলার আগে চিন্তা করে, পরিকল্পনা করে, কথা বলে এবং তদানুযায়ী কাজ করে, এই চারটি ব্যাপার পূর্ণ রূপে সম্পন্ন করে তবেই অঙ্গীকার বোধ গুণটি পূর্ণ রূপে গঠিত হয়। এরূপ প্রতিটি গুণের আংশিক, অর্ধেক এবং পূর্ণ রূপ রয়েছে।

        উন্নত করার জন্যঃ উন্নত শব্দের মানে হচ্ছে ধাপে ধাপে পদায়ন, একটি করে ধাপ সম্পন্ন করার পরে পরবর্তী ধাপে পদ বা কদম ফেলা। ইহা হচ্ছে সিঁড়ির মত। সিঁড়ির একটি ধাপে চিন্তা করুন, নিচ থেকে উপরের দিকে, পর্যায়ক্রমে একটি ধাপ পা দিয়ে উঠে পরবর্তী ধাপে কদম ফেলছেন উপরে উঠার জন্য। একটি ধাপ থেকে অপর ধাপে উঠার এই প্রক্রিয়া হচ্ছে উন্নয়ন, ইহা বিশেষ্য এবং উন্নয়ন নামক এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ইহাকে উন্নত বলে এবং ইহা বিশেষণ।

      জন্মের শুরু থেকে মানুষের মাঝে আভ্যন্তরিক গুণগুলো (দায়িত্ব বোধ, অঙ্গীকার বোধ, নৈতিক সততা, দেশপ্রেম প্রভৃতি) সিঁড়ির প্রথম ধাপের অবস্থানে থাকে (নিচ থেকে উপরে)। পরবর্তী বছরগুলোতে চারপাশের পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয় এবং আভ্যন্তরিক গুণগুলোর উন্নয়ন ঘটে। এই প্রক্রিয়া সারা জীবন ধরে চলমান। ইহা সিঁড়িতে (নিচ থেকে উপরে) উঠার মত ব্যাপার। একজন ব্যক্তি নিজেই ইহা নির্দিষ্ট করেন যে তিনি তার চিন্তা দ্বারা সিঁড়ির ১০ নং ধাপে উঠবেন না ১০০ নং ধাপে উঠবেন। হতশাজনক হলেও, ইহা সত্য যে, বেশীরভাগ লোকেরা চায় ১০০ নং ধাপে উঠতে কিন্তু ইহার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরী করতে ইচ্ছুক নয়। খুব কম লোকই তাদের প্রচন্ড ইচ্ছা প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরী করেন এবং জীবনে উন্নত এবং সফল হন।

      একজন নারী খুঁজুনঃ নারীদের চিন্তাশক্তি প্রবল কারণ তারা নির্দিষ্ট ভাবে চিন্তা করে। তারা নির্দিষ্ট ভাবে চিন্তা করে তাই তারা স্পষ্ট দেখতে পায় অপর ব্যক্তির মাঝে গুণগুলো যা হতে পারে ইতিবাচক বা নেতিবাচক।

      যিনি আপনাকে অকপট ভাবে ঘৃণা করেঃ একজন নারী যিনি বুদ্ধিমান এবং নির্দিষ্ট চিন্তার অধিকারী তিনি অকপট ভাবে এবং সততার সহিত (প্রকৃতপক্ষে) স্পষ্ট কথা বলতে পারেন। এমন একজন নারী যদি কোন মানুষকে ঘৃণা করে এবং তা সত্যিকার ভাবে, তবে তিনি স্পষ্ট ভাবে মানুষটির নেতিবাচক গুণগুলোকে বর্ণনা করতে পারেন।

      এইজন্য লেখক বলেছেনঃ-

      আভ্যন্তরিক গুণগুলো পূর্ণ রূপে উন্নত করার জন্যঃ একজন নারী খুঁজুন যিনি আপনাকে অকপট ভাবে ঘৃণা করে


-একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন-

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

"একটি নির্দিষ্ট ইচ্ছা"

একটি নির্দিষ্ট ইচ্ছা মানবজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইহা আমাদের বহুমূল্য সম্পদে ভর্তি কক্ষে লাগানো তালার ছোট্ট চাবির মত যা দেখতে ক্ষুদ্র মনে হলেও কার্যকরী ও অত্যন্ত শক্তিশালী। আপনার জীবনে ইচ্ছার নির্দিষ্টতা বদলে দিতে পারে আপনার সমগ্র দৃষ্টিভঙ্গি। ইহা আপনাকে দিবে স্বস্তি এবং প্রতিনিয়ত কাজ করে যাওয়ার শক্তি।

আপনার নির্দিষ্ট ইচ্ছাকে করে তুলুন বাতিকে। বাতিক হচ্ছে নির্দিষ্ট ইচ্ছার প্রচন্ড আবেশ যা সবকিছুর মধ্যে আপনার প্রয়োজনীয় অংশটুকু চুম্বকের ন্যায় টেনে আপনার সামনে উপস্থিত করে। ইহা জ্বলন্ত আগুনের মত যা তার আশেপাশের সবকিছুকেই গ্রাস করে ফেলে। যে কোন বস্তু যা এর সংস্পর্শে আসে তাকে পরিণত করে ছাই রূপে এবং যেকোন বস্তু থেকে গ্রহণ করে নেয় নিজের বাঁচার উপাদান অর্থাৎ আগুন জ্বলার উপাদানটুকু শক্তি হিসেবে।

নিজের ইচ্ছাকেও করে তুলুন এমন জ্বলন্ত রূপে। একটি নির্দিষ্ট জ্বলন্ত ইচ্ছা যার সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে সকল সাময়িক বাঁধা, এমনকি ব্যর্থতাও। ইহা ততক্ষণ পর্যন্ত উজ্জীবিত হয়ে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না ইচ্ছাটি পূরণ হচ্ছে। যদি আপনি জীবনে সফল হতে অঙ্গীকার করে থাকেন তবে আপনাকে এই ইচ্ছার পাশে অধ্যবসায়ের সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ততক্ষণ যতক্ষণ না ইহা বাস্তবে রূপ নেয়।

এভাবেই পূরণ হয় ইচ্ছা। এভাবেই সফল হয় মানুষ। আপনিও হতে পারবেন কারণ আপনার পূর্বেও মানুষ এভাবে সফল হয়েছেন। পৃথিবীর সকল সফল ব্যক্তিদের সফলতার পিছনে এই সূত্রটি রয়েছে। মহান ব্যক্তিরা মহানতর সাফল্য অর্জন করেছেন তাদের ইচ্ছাকে নির্দিষ্ট করে এবং জ্বলন্ত রেখে। আপনিও পারবেন যদি আপনার ইচ্ছাকে আপনি গুরুত্ব দেন, নির্দিষ্ট ভাবে জ্বলন্ত করে তোলেন।