শনিবার, ২৭ জুন, ২০১৫

সর্বোৎকৃষ্ট পরিচিত প্রতিকার হচ্ছে কাজ।


       আবেগগুলো কিছু সময় অদ্ভুত, পরিবর্তনশীল এবং অনুমানযোগ্যহীন। তারা সর্বদা যুক্তি এবং কারণের প্রতি সাড়া দেয় না। তারা সাড়া দেয়, যেভাবেই হোক, কাজের প্রতি। কনফুসিয়াস বলেছেন, “একটি চাকরি চয়ন করুন যা আপনি করতে ভালোবাসেন এবং আপনার জীবনে আপনাকে কখনও একদিন কাজ করতে হবে না।”

তবে আমাদের জীবনে কিছু সময় আসে যখন আমাদের নেতিবাচক আবেগগুলো আমাদের উপর কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করে। যদি আপনার সাথে নিঃসঙ্গতা, নিরুৎসাহ বা অসন্তুষ্ট অনুভূতিগুলো আকস্মিক ঘটে, এমন নেতিবাচক আবেগগুলোকে মারার উত্তম পথ হচ্ছে কাজ করে যাওয়া, এগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত। “সেখানে কোন প্রতিস্থাপনযোগ্য কিছু নেই কঠোর কাজের পরিবর্তে”, বলেছেন থমাস আলভা এডিসন। যেকোন কাজে কঠোর শ্রম আপনাকে আপনার নেতিবাচক আবেগগুলো থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম।

প্রায় কোন কিছুই এত খারাপ না যত ইহা প্রথমে দেখা যায় এবং সব কিছুকে যথার্থ পরিপ্রেক্ষিতে রাখার জন্য একটি দিনের কঠোর কাজ আর অন্য কোন কিছুর মতন নয়। যখন আপনি নেতিবাচক আবেগগুলো অনুভব করা শুরু করেন, আপনার দুর্ভাগ্যের সাথে বসবাস শুধুমাত্র আপনাকে আরও অধিকতর খারাপ অনুভব করাবে। এগুলোকে আপনার মন থেকে বাহির করার জন্য অধিকতর চেষ্টা করুন এবং চিন্তা করুন আরও ইতিবাচক সম্বন্ধে, গঠনমূলক জিনিসগুলো নিয়ে। দৈহিক শ্রম আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

যাই হোক নেতিবাচক আবেগগুলো নিয়ে বসে থাকবেন না, কিছু করুন। স্টিভ জবসের মতে, “মহান কাজ করার কেবলমাত্র পথ হচ্ছে আপনি যে কাজ করতে ভালোবাসেন তাই করা। যদি আপনি এখনও ইহা খুঁজে না পান, খুঁজতে থাকুন। বসে থাকবেন না।” কাজ করুন, এমন কাজ যে, কাজ করতে আপনি ভালোবাসেন এবং কখনই অলস বসে থাকবেন না।

নেতিবাচক আবেগগুলোকে শেষ করার জন্য একটি কর্ম চয়ন করুন যা করতে বেশি মনোযোগের দরকার হয় না এবং তারপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন নিজ হাতে কর্মটি সম্পাদন করার প্রতি। প্রথমে একটু বিরক্ত অনুভব হলেও ধীরে ধীরে কাজের চেতনায় আপনার সকল নেতিবাচক আবেগগুলো দূর হয়ে যাবে।

পরিশেষে ব্রুস লীর একটি বাক্য দিয়ে শেষ করতে চাই, “একটি সহজ জীবনের জন্য দোয়া করবেন না, দোয়া করুন একটি কঠিন অবস্থায় টিকে থাকার শক্তির জন্য।”

বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫

কেউই নির্দেশনা দিতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নিজে জানে যে কিভাবে নির্দেশনা নিতে হয় এবং এগুলোকে সম্পন্ন করতে হয়।



নেতৃত্বের জন্য একটি প্রয়োজনীয় গুণ হচ্ছে অন্যান্যদের প্ররোচিত করার সামর্থ্য, তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলোর সাথে তার নিজেরটিকে সারিবদ্ধ করা এবং সকলকে সংগঠিত করা। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি একটি সাধারণ বিষয়ে সকলের বলগুলোকে একত্রিত করতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাদেরকে আপনার কারণে একত্রিত করতে প্ররোচিত করতে পারবেন না।

ভিন্স লমবার্ডি বলেছেন, “কৃতিত্বপূর্ণ কাজগুলো হচ্ছে একটি সংগঠনের ফলাফল যা প্রত্যেক স্বতন্ত্রদের প্রচেষ্টাগুলোকে মিশ্রিত করে।” আমরা বলতে পারি একটি কাজে সাফল্য অর্জন করতে হলে সংগঠনের প্রত্যেক স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের চেষ্টাগুলোকে মিশ্রিত করতে হবে। এই মিশ্রণ হতে হবে একটি সাধারণ বিষয়ে, সকলের সামনে থাকতে হবে একটি নির্দিষ্ট সাধারণ লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে কাজ করতে সকলেই আগ্রহী।

কার্যকরী নেতাগণ চিনতে পারে একত্রে কাজ করার মূল্য সম্বন্ধে এবং তারা শিখে যে অন্যান্য লোকদের উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করার পূর্বে কিভাবে নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করতে হয়। ভালো নেতাগণ উদাহরণ দ্বারা দেখায় যে কিভাবে তারা অন্যান্যদের কাছ থেকে আচরণ আশা করে। যদিও হতে পারে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রশ্নাতীতভাবে আদেশ মান্য করার জন্য।

একত্রে কাজ করার জন্য হেনরী ফোর্ড একটি উপযুক্ত বাক্য বলেছেন, “দোষ খুঁজবেন না, একটি প্রতিকার খুঁজুন।” দোষ খুঁজলে একজন ব্যক্তির কাজ করার স্পৃহা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিকার খুঁজতে হবে যে কিভাবে তাকে ঠিকভাবে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করা যায়।

আপনি অন্যান্যদের চাপ দিতে পারেন না আপনার উদাহরণ অনুসরণ করার জন্যঃ আপনার উচিত তাদেরকে আপনার সাথে একত্রে কাজ করার সুযোগ দেওয়া। যখন আপনি দেখাবেন আপনার প্রত্যেক শব্দ এবং কাজ দ্বারা যে আপনি হচ্ছে একজন চরিত্রবান পুরুষ, একজন যিনি কাজ করে সম্পূর্ণ সংগঠনের সর্বাধিক ভালোর জন্য, আপনার লোকজন আপনাকে অনুসরণ করবে।

সংগঠনের সর্বাধিক ভালোর জন্য প্রথমে আপনাকেই এগিয়ে যেতে হবে, আপনার কথা এবং কাজ দ্বারা ইহার প্রতিফলন দেখাতে হবে, দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, অন্যান্যদের কাজ করার এবং অভিমত দেওয়া সুযোগ দিতে হবে।

দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বিখ্যাত লোহা ব্যবসায়ী এন্ড্রু কার্নেগী বলেছেন, “দলবদ্ধ কাজ হচ্ছে একটি সাধারণ স্বপ্নের দিকে একত্রে কাজ করা সামর্থ্য। স্বতন্ত্র কাজগুলোকে সংগঠনের উদ্দেশ্যের প্রতি নির্দেশিত করার সামর্থ্য। ইহা হচ্ছে জ্বালানী যা সাধারণ লোকদের অনুমোদন দেয় অসাধারণ ফলাফল লাভ করতে।”

হেলেন কিলারের বলে গেছেন, “একা আমরা অনেক কম করতে পারি, একত্রে আমরা অনেক বেশি করতে পারি।” ইহাই সেই অন্যতম পার্থক্য যা একজন সাধারণ পুরুষ এবং একজন নেতার মাঝে স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়। যিনি নেতা তিনি সর্বদাই একত্রে কাজ করেন এবং কৃতিত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেন।

       একটি উদাহরণ দেই, ধরুন একটি সংখ্যা ১, এই সংখ্যাটি হচ্ছে একজন পুরুষ, যিনি কাজ করেন একজন সাধারণ পুরুষ ০ এর সাথে। মোট হয় ১০। আবার আরেকটি সংখ্যা ১, যিনি কাজ করেন দশজন সাধারণ পুরুষ ০,০০,০০,০০,০০০ এর সাথে। মোট হয় ১০,০০,০০,০০,০০০। বুঝতেই পারছেন যে একত্রে কাজ করার সুবিধা।

শনিবার, ১৩ জুন, ২০১৫

আমাদের ভিতরগত উপহারগুলোই আমাদের সাফল্য অর্জনে যথেষ্ট।


কোন ব্যাপারই না আমরা যেই হই, যেখানেই আমরা বাস করি, আমরা যেমনই দেখতে হই, আমাদের জন্মের পরিস্থিতিগুলো বা অবস্থাগুলো যেগুলোর আমরা মুখোমুখি হই; আমাদের মধ্যে প্রত্যেকের ভিতরেই আমাদের উপহারগুলো রয়েছে। বল, সৌন্দর্য, সাহস, দয়া, আশা, আনন্দ, মেধা, কল্পনা, নিষ্ঠা, বিজ্ঞতা, ভালোবাসা এবং আস্থা রয়েছে এই উপহারগুলোর ভিতরে।

এগুলো বস্তুগত উপহারের মতন নয় যে আমরা ভাঁজ খুলবো এবং আমাদের হাতগুলোতে ধরবো। আমাদের চোখগুলো দিয়ে আমরা এই উপহারগুলো দেখতে পাই না। কিন্তু তারা বাস্তব এবং ক্ষমতাশালী। যখন আমরা নিজেদেরকে এগুলোর সামনে মেলে ধরি, তারা আমাদের জীবনের প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গিকে ধনী বা সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম।

তারা আমাদের সাহায্য করতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বীতাগুলোকে সুযোগে রূপান্তর করতে এবং বিয়োগান্তক ঘটনাগুলোকে বিজয়োৎসবে পরিণত করতে। তারা আমাদের সাহায্য করতে পারে বিশ্বে একটি পার্থক্য তৈরী করতে।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০১৫

আপনি কি খেয়াল করেছেন সর্বাধিক সার্থক কর্মীরা সাধারণত ব্যস্ততম হয়?



সাফল্যমণ্ডিত লোকজন হচ্ছে ব্যস্ত লোকজন। তারা অলসতাকে ঘৃণার চক্ষে দেখে এবং ধ্রুবভাবে খুঁজতে থাকে নতুন প্রতিযোগিতাগুলো এবং কাজ করার উত্তম পথগুলো। আপনিও হয়ে উঠতে পারেন আপনার জীবনে একজন সফল কর্মী রূপে এবং এর জন্য আপনাকে অবিরতভাবে নিজেকে দিয়ে কাজ করাতে হবে। যখন অন্যান্যরা আবিষ্কার করবে যে আপনি একজন চিন্তাপূর্ণ, সহায়তাকারী, আগ্রহী কর্মী, আপনি শীঘ্রই আরও ব্যবসা পাবেন তারথেকে যা আপনি তদারক করতে পারবেন এবং আপনি মহানভাবে বৃদ্ধি করবেন লোকজনের সংখ্যা যারা আপনার সাফল্যের খুঁটি হবে।

আপনার আশেপাশের লোকজনকে তাদের আগ্রহী একটি নির্দিষ্ট কাজে সর্বদা অনুপ্রাণিত করুন। এভাবে আপনার বন্ধুরা যখন দেখবেন তাদের নির্দিষ্ট কাজগুলোতে আপনার প্রেরণা পেয়ে সফল হয়ে উঠেছে তখন তারাও আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে সর্বাধিক সহযোগিতা করবে এবং আপনার সহযোগিতার জন্য কোন অভাব হবে না, এরূপভাবে নিজেকে এবং অন্যান্যদের সাফল্যের প্রতি অনুপ্রাণিত করুন। এতে সর্বাধিক জাগতিক কাজগুলো আরো বেশি সহনীয় হয়ে উঠবে যখন আপনি স্বয়ং নিজের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন এগুলোকে উন্নতভাবে করার জন্য। যখন আপনি দ্রুততম এবং উত্তম পথগুলো খুঁজে পাবেন আপনার কাজগুলো করার জন্য, আপনি আরও অবসর সময় পাবেন যা অধিক সৃষ্টিশীল সাধনাগুলোতে ব্যয় করতে পারেন।

শুক্রবার, ৫ জুন, ২০১৫

আত্ম-অবগত




আত্ম-অবগত হচ্ছে অন্তদর্শন করার ক্ষমতা এবং নিজেকে পুনরায় চিনতে পারার সামর্থ্য দেয় যাতে একজন স্বতন্ত্র পৃথক হইতে পারে পরিবেশ এবং অন্যান্য স্বতন্ত্রদের থেকে। ইহাকে গুলাইয়া ফেলা যাবে না সচেতনতার সাথে। যখন সচেতনতা হচ্ছে একটি শব্দ যা দেওয়া হয়েছে যাতে একজন তার পরিবেশ, দেহ এবং জীবন ধরন সম্বন্ধে অবগত হয়, আত্ম-অবগত হচ্ছে সেই অবগতকে পুনরায় চিনতে পারা।

আত্ম-অবগত বিষয়ের সাথে কোয়ালিয়া শব্দটি ব্যবহৃত হতে পারে। ইহা একটি ল্যাটিন শব্দ এবং ইহাকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে আত্ম-অবগত বিষয়টির সাথে।
        
       কোয়ালিয়া (একবচন হচ্ছে কোয়ালি) এর মানে হচ্ছে বস্তুগত, সচেতন অভিজ্ঞতা। কোয়ালিয়া শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্লীব লিঙ্গ  বহুবচন হতে যার ল্যাটিন বিশেষণ হচ্ছে কোয়ালিস (ল্যাটিন উচ্চারণ – কোয়া লিস) মানে “কি ধরন” বা “কি প্রকার”। কোয়ালিয়া এর উদাহরণগুলো অন্তর্ভুক্ত করে মাথা ব্যাথ্যার বেদনা, গুঁড় শরবতের স্বাদ, সন্ধ্যা আকাশের লাল আভার অনুভূতি।



বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই লেখাটি আমি বাংলা উইকিপিডিয়াতেও দিয়েছি। বাংলা উইকিপিডিয়াতে রচনাটি দেখতে এখানে দেখুন আত্ম-অবগত

তথ্য সহযোগিতায় – বাংলা উইকিপিডিয়া।