আবেগগুলো
কিছু সময় অদ্ভুত, পরিবর্তনশীল এবং অনুমানযোগ্যহীন। তারা সর্বদা যুক্তি এবং কারণের
প্রতি সাড়া দেয় না। তারা সাড়া দেয়, যেভাবেই হোক, কাজের প্রতি। কনফুসিয়াস বলেছেন,
“একটি চাকরি চয়ন করুন যা আপনি করতে ভালোবাসেন এবং আপনার জীবনে আপনাকে কখনও একদিন
কাজ করতে হবে না।”
তবে আমাদের জীবনে কিছু সময় আসে
যখন আমাদের নেতিবাচক আবেগগুলো আমাদের উপর কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করে। যদি আপনার
সাথে নিঃসঙ্গতা, নিরুৎসাহ বা অসন্তুষ্ট অনুভূতিগুলো আকস্মিক ঘটে, এমন নেতিবাচক
আবেগগুলোকে মারার উত্তম পথ হচ্ছে কাজ করে যাওয়া, এগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
“সেখানে কোন প্রতিস্থাপনযোগ্য কিছু নেই কঠোর কাজের পরিবর্তে”, বলেছেন থমাস আলভা
এডিসন। যেকোন কাজে কঠোর শ্রম আপনাকে আপনার নেতিবাচক আবেগগুলো থেকে মুক্তি দিতে
সক্ষম।
প্রায় কোন কিছুই এত খারাপ না যত
ইহা প্রথমে দেখা যায় এবং সব কিছুকে যথার্থ পরিপ্রেক্ষিতে রাখার জন্য একটি দিনের
কঠোর কাজ আর অন্য কোন কিছুর মতন নয়। যখন আপনি নেতিবাচক আবেগগুলো অনুভব করা শুরু
করেন, আপনার দুর্ভাগ্যের সাথে বসবাস শুধুমাত্র আপনাকে আরও অধিকতর খারাপ অনুভব
করাবে। এগুলোকে আপনার মন থেকে বাহির করার জন্য অধিকতর চেষ্টা করুন এবং চিন্তা করুন
আরও ইতিবাচক সম্বন্ধে, গঠনমূলক জিনিসগুলো নিয়ে। দৈহিক শ্রম আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
যাই হোক নেতিবাচক আবেগগুলো নিয়ে
বসে থাকবেন না, কিছু করুন। স্টিভ জবসের মতে, “মহান কাজ করার কেবলমাত্র পথ হচ্ছে
আপনি যে কাজ করতে ভালোবাসেন তাই করা। যদি আপনি এখনও ইহা খুঁজে না পান, খুঁজতে
থাকুন। বসে থাকবেন না।” কাজ করুন, এমন কাজ যে, কাজ করতে আপনি ভালোবাসেন এবং কখনই
অলস বসে থাকবেন না।
নেতিবাচক আবেগগুলোকে শেষ করার
জন্য একটি কর্ম চয়ন করুন যা করতে বেশি মনোযোগের দরকার হয় না এবং তারপর মনোযোগ
কেন্দ্রীভূত করুন নিজ হাতে কর্মটি সম্পাদন করার প্রতি। প্রথমে একটু বিরক্ত অনুভব
হলেও ধীরে ধীরে কাজের চেতনায় আপনার সকল নেতিবাচক আবেগগুলো দূর হয়ে যাবে।
পরিশেষে ব্রুস লীর একটি বাক্য
দিয়ে শেষ করতে চাই, “একটি সহজ জীবনের জন্য দোয়া করবেন না, দোয়া করুন একটি কঠিন
অবস্থায় টিকে থাকার শক্তির জন্য।”