রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫

আপনার চাকরি সম্বন্ধে আপনি কি পছন্দ করেন না ইহা সম্বন্ধে অভিযোগ করার পরিবর্তে প্রশংসা করতে আরম্ভ করুন যে আপনি কি পছন্দ করেন এবং দেখবেন কত দ্রুতভাবে ইহার অগ্রগতি হয়।


যেকোন চাকরি হতে ভুল খুঁজে বের করা বেশ সহজ। যাহাই হোক, আপনার পেশা বা ব্যবসা, সেখানে সর্বদাই কিছু অপ্রীতিকর এবং জাগতিক (সংসারিক) কাজগুলো থাকবে যেগুলো আপনার উচিত উপেক্ষা করা। আপনি যে জিনিসগুলো অপছন্দ করেন সেগুলোকে আপনার চিন্তার উপর কর্তৃত্ব করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া আরও সহজ এবং আপনার জন্য এই ব্যাপারটা দেখিয়াও না দেখা যে আপনার কাজ সম্বন্ধীয় অপছন্দের জিনিসগুলো প্রকৃতপক্ষে একটি খুবই ছোট শতাংশ সম্পূর্ণ কাজের।

ইহাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয় করে তুলুন যে আপনার প্রত্যেক দিনের কাজের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে বের করবেন। ইহা কোন বড়, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হওয়ার দরকার নেই; সহজভাবে শুধু আনন্দ খুঁজে নিন একটি বিশেষ কিছুতে যা ভালোভাবেই চলবে। তারপর, দিনের শেষে কাজটিকে বিরক্ত হয়ে দেখার পরিবর্তে, আপনি প্রকৃতপক্ষে নিজেকে কাজের প্রতি সামনে যেতে দেখবেন।

একটি চাকরিতে সাফল্য অর্জনের জন্য কাজের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে বের করতে হবে এবং এই ব্যাপারগুলো নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে হবে। একইভাবে আমাদের জীবনে ব্যক্তিগত উন্নয়ন করতে হলে আমাদের প্রতিদিনকার জীবনের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে বের করতে হবে। একজন যখন তার নিজের জীবনের ভালো এবং ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে চিন্তা করে তখন তিনি নিজের জীবনকে আরও সুন্দরভাবে গঠন করার প্রথম পদক্ষেপ নেয়।

আমাদের জীবন প্রকৃতপক্ষে অনেক সুন্দর এবং আমাদের জীবনে অনেক ইতিবাচক এবং সুবিধাজনক দিকগুলো রয়েছে যেগুলোর প্রতি আমরা দৃষ্টি দিলে এগুলো আরও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও আমাদের জীবনে অনেক সমস্যা রয়েছে এবং প্রতিদিনকার অনেক ঘটনার কারণে আমরা বিরক্ত তবুও যদি আমরা চেষ্টা করি এবং ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দেই তবে আমাদের জীবন আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।

জীবনকে আরও সুন্দর এবং সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রতিনিয়ত গবেষণা করতে হবে। ব্যক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে এই গবেষণা, ইতিবাচক দিকগুলোর দিকে নজর দেওয়ার প্রতি আহ্বান। এইভাবেই কাজে এগিয়ে যেতে হয়, সাফল্যমণ্ডিত হতে হলে সাফল্যমণ্ডিত চরিত্রগুলোর বিশ্লেষণ করতে হয় এবং ইতিবাচক গুণগুলো অর্জন করতে হয়। তাই ব্যক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে গুণগুলো জানতে এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে সদা চেষ্টা করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সাফল্য অর্জিত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত অধ্যবসায় পালন করতে হবে। শেষ করছি চে গুয়েবারের একটি অমোচনীয় বাক্য দিয়ে। “বিজয় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করো।” – চে গুয়েবার

তথ্য সহযোগিতায়ঃ নেপোলিয়ন হিল ফাউন্ডেশন

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

স্বেচ্ছায় কাজ করার জন্য এগিয়ে আসুন।



আমরা প্রত্যেকেই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি যেখানে ইচ্ছে সত্ত্বেও আমরা কাজ করতে এগিয়ে যাইনি, কেন? কারণ ভয়, আশঙ্কা, এজন্য নয় যে কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারব না, আশঙ্কার কারণটা হল আমাদের সঙ্গী সাথীরা কি মনে করবে, লোকে হাসবে, অত্যুৎসাহী মনে করবে, বেতন বাড়ানো বা উন্নতির জন্য বেশি তৎপর মনে হবে – এসব নানা আশংকায় অনেকেই নিস্ক্রিয় হয়ে যায়।

কোন জিনিসের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, স্বীকৃতি পাওয়া, দলের স্বীকৃতির ইচ্ছাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে নিজেকে প্রশ্ন করুন, “আমি কোন দলে যেতে চাই, যারা মনে মনে পরশ্রীকাতর, বাইরে অন্যদের দেখে হাসে? অথবা সেই দলে যারা তৎপর, যারা জীবনে উন্নতি করছে?” ঠিক পথটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।

যে স্বেচ্ছায় কাজে আগ্রহ দেখায় সে সম্পূর্ণ আলাদা, তবে কাজের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা হল, সে স্বেচ্ছায় কাজ করতে চেয়ে নিজেকে নিজের বিশেষ ক্ষমতা এবং আশা অভিলাষ প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। তাই বিশেষ কাজগুলোর জন্য তৎপর হয়ে এগিয়ে আসুন, স্বেচ্ছাকর্মী হয়ে উঠুন।

ব্যবসায়-বাণিজ্য, সামরিক সেবা অথবা আপনার সম্প্রদায়ের যারা পথপ্রদর্শন করছে তারা কি তৎপর সক্রিয় বা নিস্ক্রিয়?

এদের দশজনের মধ্যে নয়জন সক্রিয়, তৎপর মানুষ, কাজে উৎসাহী। যে পাশের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকে, এগিয়ে আসে না, অলস, নিস্ক্রিয়, সে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে না। অথচ যে সক্রিয়, কাজ ভালোবাসে, তাকে সবাই অনুসরণ করে।

যে কাজে সক্রিয় তার উপর সবার আস্থা থাকে। বাকিরা স্বাভাবিকভাবে তাকে স্বীকার করে নেয়। তারা মেনে নেয় যে ঐ পথপ্রদর্শক নিজের কাজের বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।

যে ‘কাউকে বিরক্ত করে না’, ‘কাজ করে না’ বা ‘আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে’ এমন মানুষকে কেউ কখনও প্রশংসা করে বলে আমার জানা নেই। আপনি জানেন কি?


তথ্য সূত্রঃ ডেভিড জে. শ্বার্টজের ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষার ম্যাজিক’। অনুবাদঃ প্রফেসর আলতাফ হোসেন। দি স্কাই পাবলিশার্স।