আমরা প্রত্যেকেই এমন পরিস্থিতির
সম্মুখীন হয়েছি যেখানে ইচ্ছে সত্ত্বেও আমরা কাজ করতে এগিয়ে যাইনি, কেন? কারণ ভয়,
আশঙ্কা, এজন্য নয় যে কাজটা সম্পূর্ণ করতে পারব না, আশঙ্কার কারণটা হল আমাদের সঙ্গী
সাথীরা কি মনে করবে, লোকে হাসবে, অত্যুৎসাহী মনে করবে, বেতন বাড়ানো বা উন্নতির
জন্য বেশি তৎপর মনে হবে – এসব নানা আশংকায় অনেকেই নিস্ক্রিয় হয়ে যায়।
কোন জিনিসের অন্তর্ভুক্ত হওয়া,
স্বীকৃতি পাওয়া, দলের স্বীকৃতির ইচ্ছাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে নিজেকে প্রশ্ন করুন,
“আমি কোন দলে যেতে চাই, যারা মনে মনে পরশ্রীকাতর, বাইরে অন্যদের দেখে হাসে? অথবা
সেই দলে যারা তৎপর, যারা জীবনে উন্নতি করছে?” ঠিক পথটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না।
যে স্বেচ্ছায় কাজে আগ্রহ দেখায় সে
সম্পূর্ণ আলাদা, তবে কাজের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ব্যাপারটা হল, সে স্বেচ্ছায় কাজ করতে চেয়ে নিজেকে নিজের বিশেষ ক্ষমতা এবং আশা
অভিলাষ প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। তাই বিশেষ কাজগুলোর জন্য তৎপর হয়ে এগিয়ে আসুন,
স্বেচ্ছাকর্মী হয়ে উঠুন।
ব্যবসায়-বাণিজ্য, সামরিক সেবা
অথবা আপনার সম্প্রদায়ের যারা পথপ্রদর্শন করছে তারা কি তৎপর সক্রিয় বা নিস্ক্রিয়?
এদের দশজনের মধ্যে নয়জন সক্রিয়,
তৎপর মানুষ, কাজে উৎসাহী। যে পাশের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকে, এগিয়ে আসে না, অলস,
নিস্ক্রিয়, সে পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে পারে না। অথচ যে সক্রিয়, কাজ ভালোবাসে, তাকে
সবাই অনুসরণ করে।
যে কাজে সক্রিয় তার উপর সবার
আস্থা থাকে। বাকিরা স্বাভাবিকভাবে তাকে স্বীকার করে নেয়। তারা মেনে নেয় যে ঐ পথপ্রদর্শক
নিজের কাজের বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।
যে ‘কাউকে বিরক্ত করে না’, ‘কাজ
করে না’ বা ‘আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে’ এমন মানুষকে কেউ কখনও প্রশংসা করে
বলে আমার জানা নেই। আপনি জানেন কি?
তথ্য সূত্রঃ ডেভিড জে. শ্বার্টজের
‘উচ্চাকাঙ্ক্ষার ম্যাজিক’। অনুবাদঃ প্রফেসর আলতাফ হোসেন। দি স্কাই পাবলিশার্স।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন