রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

মেনটরিং ১০১ বইয়ের পর্যালোচনা তথা বুক রিভিউ ০২



জন সি. ম্যাক্সওয়েল রচিত মেনটরিং ১০১ (বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা প্রশিক্ষণ ১০১) বইয়ের অধ্যায় আছে মোট ৮টি। আমি দ্বিতীয় অধ্যায়ের কিছু বক্তব্য তুলে ধরছি। এভাবে পরবর্তী অধ্যায়গুলোর বক্তব্য তুলে ধরব এবং শেষে আলোচনা করব।

অধ্যায় ২ – আমি কীভাবে একজন মেনটর বা বিজ্ঞ পরামর্শকের মনোভাব ও চিন্তাধারা অর্জন করব?

১। মেনটরিং মানে আপনি নিজে যেমন আছেন সেখান থেকে আরও উন্নত হওয়া।

২। বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা প্রশিক্ষণ বা মেনটরিং করার অন্যতম উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষকে আরও এগিয়ে যেতে, উন্নত হতে সাহায্য করা।

৩। আপনি মানুষকে মেনটরিং বা বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা তখনই প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন যখন আপনি নিজেকে উন্নত হচ্ছেন এবং একজন নেতা হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছেন।

৪। আপনার কাজগুলোর প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষকে উন্নত করা। একে অন্যতম কাজ হিসাবে বিবেচনা করুন। মানুষকে উন্নত করার প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিন।

৫। আপনি যাদেরকে সাথে নিয়ে চলবেন এমন মানুষদের সংখ্যা সীমিত করুন। আপনি যখন মানুষকে উন্নত করতে যাবেন, তখন মনে করুন একটি ছোট্ট বিমানে করে উড়ে যাচ্ছেন।

৬। আরম্ভ করার আগে আপনার সম্পর্কগুলোকে উন্নত করুন। সফল নেতারা সফল হওয়ার আগে সম্পর্কগুলোর দিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়।

৭। যদি দলের সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি না হয় তবে সদস্যরা বেশিদূর একসাথে চলতে পারে না। আপনি যখন মানুষকে উন্নত করার প্রস্তুতি নিবেন, তখন একটু সময় নিবেন একে অপরকে জানার ক্ষেত্রে। তাদেরকে তাদের জীবনের নানা ঘটনাবলি বলার জন্য প্রশ্ন করুন।

৮। দ্বিধাহীন চিত্তে ও শর্তহীনভাবে সহায়তা করুন। আপনি যখন মানুষকে উন্নত করতে আরম্ভ করবেন তখন কখনো এমন চিন্তা করবেন না যে আপনি এখান থেকে কোনো ফয়দা লুটবেন।

৯। আপনাকে এমন এক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যেন ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি ব্যতীত আপনি আর কিছুই চান না। কেবল দেওয়ার জন্য দেওয়া, সহযোগিতা করার মনোভাব থেকে সহযোগিতা করা। অন্য কিছু নয়। আরেকজন মানুষকে উন্নত দেখে আপনার ভালো লাগে।

১০। আপনার লক্ষ্য হচ্ছে আপনি যাদেরকে উন্নত করতে চান তাদের সাথে সময় কাটান। আর সবসময়ই এমন এমন লোক নির্বাচন করুন যাদের সম্ভাবনা আছে। তাদের শক্তিশালী দিকগুলো খুঁজে বের করে এবং সেই কাজগুলোই দিন যেসব কাজে তারা দক্ষ।

১১। গাড়ি যেমন এর টাংকিতে জ্বালানি না থাকলে বেশিদূর যেতে পারে না, তেমন মানুষও জ্বালানি ছাড়া বেশিদূর যেতে পারে না। মানুষকে তাদের ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান দিন।

১২। আমি নিয়মিতভাবে আমার শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্ন বই, সিডি, ডিভিডি, অডিও ও ভিডিও শেয়ার করি। আমি তাদেরকে উন্নত হতে বিভিন্ন পরামর্শ দিই এবং নানান সরঞ্জামও সংগ্রহ করে দিই যাতে করে তাদের অগ্রগতি ঘটে।

১৩। প্রশিক্ষণ শেষ হলে ধরে রাখবেন না।

১৪। আপনি যাদেরকে উন্নত করেছেন তারা যেন অন্যদেরকেও উন্নত করতে পারে সেই ব্যাপারে সহযোগিতা করুন। আপনি যে পদ্ধতিতে অন্যদেরকে উন্নত করেছেন, ঠিক সেই পদ্ধতি অন্যদেরকে শিখিয়ে দিন। যাতে করে তারাও অন্যদের উন্নত করতে পারে।

১৫। আপনার সাথে মানুষকে কাজ করার সুযোগ দিন এবং তাদের জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করুন। জীবনে এরচেয়ে আনন্দের আর কিছু হয় না। আপনি এর বিপরীতে যা পাবেন তা অমূল্য। 

এ ধরনের আরও পোস্ট পেতে কমেন্ট করুন। কারও (বাংলা বা ইংরেজি) কাগজের বই অথবা পিডিএফ দরকার হলে কমেন্ট করতে পারেন।


টাইম ম্যানেজমেন্ট বইয়ের পর্যালোচনা তথা বুক রিভিউ ০২



ব্রায়ান ট্রেসি রচিত টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা) বইয়ের অধ্যায় আছে মোট ২১টি। আমি দ্বিতীয় অধ্যায়ের কিছু বক্তব্য তুলে ধরছি। এভাবে পরবর্তী অধ্যায়গুলোর বক্তব্য তুলে ধরব এবং শেষে আলোচনা করব।

অধ্যায় ২ – আপনার মূল্যবোধ নিশ্চিত করুন।

১। এডওয়ার্ড এ মারফি জুনিয়রের সূত্রাবলির মধ্যে একটি হল, ‘কোনোকিছু করার আগে আপনাকে প্রথমে অন্য কিছু করতে হবে।’

২। আপনি আপনার সময়কে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারবেন না, যদি-না আপনি জানেন আপনার মূল্যবোধ কী।

৩। মূল্যবোধ নিয়ে সভ্যতা বইয়ের একটি উক্তি দিচ্ছি। ‘একটি ভাজা ডিমের চেয়ে একটি সনেট উৎকৃষ্ট, এই মনোভাবই মূল্যবোধ, আর প্রায় প্রতিটি ব্যাপার বুদ্ধির কষ্টিপাথরে যাচাই করে নেওয়ার ব্যাপক প্রবৃত্তিই যুক্তি-বিচারের প্রতিষ্ঠা। এই দুই গুণ যেখানে আছে, সেখানেই সুসভ্যতা বিদ্যমান, আর যেখানে নেই সেখানে সুসভ্যতার অভাব।’ সভ্যতা। মূল : ক্লাইভ বেল। অনুবাদ : মোতাহের হোসেন চৌধুরী। ঢাকা, বিশ্বসাহিত্য প্রকাশনী, ২০১৮। পৃ. ২৫।

৪। আপনি কেবল তখনই সত্যিকার অর্থে সুখী হবেন, মূল্যবান ও পূর্ণতা অনুভব করবেন যখন আপনার আজকের কাজ, মানে প্রতিদিনকার কাজ আপনার নীতি ও আদর্শের সাথে সঙ্গতি রেখে চলবে।

৫। যারা ইতিবাচক, স্বাস্থ্যবান ও সুখী লোকজন তারা জীবনকে একটি অপূর্ব ও স্নিগ্ধ অভিজ্ঞতা হিসাবে দেখে। জীবনে সমস্যা-সম্ভাবনা থাকবেই কিন্তু পুরো ব্যাপারই যেন এক মহান অভিযাত্রা।

৬। আমার একটি প্রিয় গল্প আছে। সেখানে এক তরণ এক বৃদ্ধ দার্শনিকের কাছে গিয়ে বলল, ‘জীবন খুব কঠিন।’

দার্শনিক শান্তচিত্তে বললেন, ‘কীসের তুলনায়?’ 

৭। হেলেন কিলারও এমন কিছু বলেছেন, ‘জীবন হয় এক দুঃসাহসিক অভিযান, না-হয় কিছুই না।’ আপনার কাছে জীবনের মানে কী?

৮। নেপোলিয়ন হিল তার বিশ বছরের গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন যে যখন একজন ব্যক্তির সামনে তার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে, লিখিত ও স্পষ্টভাবে তার সামনে থাকে সে তার জীবনকে সাধারণ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যায়। 

আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য কী কী?

[লক্ষ্য কী করে নির্ধারণ করতে হয় তা জানতে আরও পাঠ করতে পারেন বই― থিংক এন্ড গ্রো রিচ। মূল : নেপোলিয়ন হিল। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৫।]

এ ধরনের আরও পোস্ট পেতে কমেন্ট করুন। কারও (বাংলা বা ইংরেজি) কাগজের বই অথবা পিডিএফ দরকার হলে কমেন্ট করতে পারেন।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

মেনটরিং ১০১ বইয়ের পর্যালোচনা তথা বুক রিভিউ ০১



জন সি. ম্যাক্সওয়েল রচিত মেনটরিং ১০১ (বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা প্রশিক্ষণ ১০১) বইয়ের অধ্যায় আছে মোট ৮টি। আমি প্রথম অধ্যায়ের কিছু বক্তব্য তুলে ধরছি। এভাবে পরবর্তী অধ্যায়গুলোর বক্তব্য তুলে ধরব এবং শেষে আলোচনা করব।

অধ্যায় ১ - মেনটরিং আরম্ভ করার আগে কী কী জিনিস জানা দরকার?

১। আপনি যদি মেনটর হিসাবে সাফল্য অর্জন করতে চান তবে প্রথমেই আপনাকে নিজের ও অন্যের সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিতে হবে।

২। মেনটরিং মানে মানুষকে বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া। পরামর্শ কেবল দিলেই হবে না। পরামর্শের সাথে বিজ্ঞতার সংযোগ থাকলেই কেবল সেখানে মেনটর বা মেনটরিং শব্দ ব্যবহার করা যাবে।

৩। ডগলাস এম. লাসন বলেছেন, ‘আমাদের আয়ুষ্কাল ক্ষণস্থায়ী হবে যদি আমরা কেবল গ্রহণ করে যাই। কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারব যদি আমরা মানুষকে কিছু দিয়ে যেতে পারি।’

৪। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো মুসলিম গাছ লাগায়, অথবা কোনো ফসল বোনে; আর মানুষ বা পশুপাখি তা থেকে খায়, এ গাছ রোপণকারীর জন্য সদাকা হিসাবে গণ্য হয়। (সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩২০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫৩)। আমাদের মহানবী (সা.) বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষকে কিছু দিয়ে যাওয়ার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। একটি গাছ মানুষকে কতভাবে সহায়তা করে। ছায়া দেয়, আশ্রয় দেয়, ফল-ফুল দেয়, জীবন বাঁচানোর জন্য অক্সিজেন দেয় প্রভৃতি। ডগলাস এম. লসনও তাই বলেছেন। আমরা মানুষকে যত বেশি দিয়ে যেতে পারব আমরা তত বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারব।’

৫। বেশির ভাগ মানুষ কেন অন্যদের (বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা) প্রশিক্ষণ দেয় না তথা মেনটরিং করে না? একটি কারণ হচ্ছে (বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা) প্রশিক্ষণ দিতে হলে তথা মেনটরিং করতে হলে অনেক কাজ করতে হয়।

৬। প্রকৃত সাফল্য হচ্ছে আপনার জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা, আপনার সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা এবং অন্যদের মাঝে সাফল্যের বীজ বপন করা। সাধারণত গড়পড়তা মানুষ এ কথা জানে না। তারা (পুরুষ বা নারী) চেষ্টা করে একটি গন্তব্যে পৌঁছানোর বা প্রতিবেশীর চেয়ে বেশি জিনিসপত্র বা সম্পদের অধিকারী হতে।

৭। আমরা যখন চিন্তা করব যে আমরা যা কিছু পেয়েছি তার কতটুকু ব্যবহার করতে পারছি তখন আমাদের মধ্য থেকে সব ধরনের হতাশা দূর হয়ে যাবে।

৮। একজন লোকের নেতৃত্ব মানার আগে মানুষ ঐ লোককে দেখে। মানুষ একমাত্র তখনই আপনাকে অনুসরণ করবে, আপনার কথা শুনবে যখন তারা আপনাকে বিশ্বাস করবে।

৯। আপনি মানুষকে যত ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, তত বেশি মানুষকে (বিজ্ঞ পরামর্শ দ্বারা) প্রশিক্ষণ দিতে তথা মেনটরিং করতে পারবেন।

কারও (বাংলা বা ইংরেজি) কাগজের বই অথবা পিডিএফ দরকার হলে কমেন্ট করতে পারেন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট বইয়ের পর্যালোচনা তথা বুক রিভিউ ০১



ব্রায়ান ট্রেসি রচিত টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা) বইয়ের অধ্যায় আছে মোট ২১টি। আমি প্রথম অধ্যায়ের কিছু বক্তব্য তুলে ধরছি। এভাবে পরবর্তী অধ্যায়গুলোর বক্তব্য তুলে ধরব এবং শেষে আলোচনা করব।

অধ্যায় ১ - সময় ব্যবস্থাপনার মনোবিজ্ঞান।

১। আপনি কীভাবে চিন্তা করেন এবং নিজের সম্পর্কে কেমন অনুভব করেন― এই দুই জিনিস আপনার জীবনের গুণগত মান ধরে রাখতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।

২। আপনার আত্মসম্মান তখনই বেড়ে যায় যখন আপনি কোনো কাজ দক্ষভাবে করতে পারেন। আর যখন তা ঠিকভাবে করতে পারেন না তখন আপনার আত্মসম্মান হ্রাস পায়।

৩। যেসব লোক তাদের সময়কে দক্ষভাবে পরিচালিত করে তারা আত্মবিশ্বাসী, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে থাকে এবং নিজের জীবন নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়।

৪। আপনার বিশ্বাসই বাস্তবে পরিণত হয়। আপনি যা বিশ্বাস করবেন আপনি তাই হবেন।

৫। একটি সিদ্ধান্ত নিন। আপনি কীভাবে নতুন ও ইতিবাচক অভ্যাস গঠন করবেন? কার্যকারিতার চারটি ভাগ আছে: আকাক্সক্ষা, সিদ্ধান্ত, সংকল্প ও শৃঙ্খলা। একে একে রপ্ত করেন, তাহলে আপনার পক্ষেও সময়কে ঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব।

৬। একজনের জীবনে পরিবর্তন তখনই আসে যখন সে ভিন্ন কিছু করার জন্য দ্ব্যর্থহীন ও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়। একজন দক্ষ সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি হওয়ার প্রতি প্রথম ও প্রধান ধাপ হচ্ছে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া।

৭। আপনি যখনই অতিরিক্ত কাজের চাপে আচ্ছন্ন থাকবেন তখনই একটু বিরতি নিয়ে নিজেকে বলবেন, ‘আমি সাজানো-গোছানো, পরিপাটি ও দক্ষ এক পুরুষ।’

৮। নিজেকে বলুন, ‘আমি একজন সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি। আমি আমার সময়কে ঠিকভাবে কাজে লাগাই।’

৯। আপনি যেমন হতে চান, নিজেকে তেমন করে কল্পচোখে দেখুন।

১০। আজকে যদি আপনি নিজেকে একজন দক্ষ সময় ব্যবস্থাপক রূপে চিন্তা নাও করেন, কেবল ভান করেন তবুও দেখবেন আপনি আপনার কাজের মধ্যে এক ধরনের শৃঙ্খলা ও দক্ষতা অনুভব করছেন। প্রকৃতপক্ষে আপনি আপনার কাজ, অভ্যাস ও আচরণকে পরিবর্তন করতে পারেন যদি আপনি ‘অন্ততপক্ষে তা করার প্রতি ভানও করেন।’

কারও (বাংলা বা ইংরেজি) কাগজের বই অথবা পিডিএফ দরকার হলে কমেন্ট করতে পারেন।

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

লোকজন আপনার পণ্য ক্রয় করে না এ পাঁচ কারণে

আপনার কি কখনো মনে হয়েছে কেন লোকজন আপনার পণ্য ক্রয় করে না? লোকজন এলো, আপনার পণ্য দেখলো, কিন্তু ক্রয় করল না। এর পাঁচটি কারণ রয়েছে: ইংরেজিতে বলা হয়: M.T.N.U.T.
M= no money.
T= not time.
N= not need.
U= not urgency.
T= no trust.
পণ্য ক্রয় না করার কারণ হচ্ছে হয়তো কাস্টমারের কাছে টাকা নেই, সময় নেই অথবা পণ্যটি দরকার নেই। এখনই পণ্যটি ক্রয় করতে হবে এমন কোনো তাড়া নেই অথবা আপনার উপর তার বিশ্বাস নেই। এ পাঁচটি কারণ চিন্তা করে পণ্যের মার্কেটিং করুন।

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০২০

আপনার সময়কে কাজে লাগিয়ে পরিবারকে সাপোর্ট করুন এবং টাকা আয় করুন


আপনি কি আপনার পরিবারকে সাপোর্ট করতে চান? আপনি কি টাকা আয় করতে চান? তাহলে আপনাকে আপনার সময় কাজে লাগাতে হবে। আপনার সময়কে কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করতে এ তিনটি কৌশল কাজে লাগান:

১। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন: সাধারণত একটি লক্ষ্যকে নির্দিষ্ট করার আগে মানুষ আটবার পেশা পরিবর্তন করে। আমি প্রথমে ওয়েব ডিজাইনিং কোর্স করেছি। তারপর গ্রাফিক্সের কোর্স করেছি। তারপর ব্লগিং করেছি। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছি। তারপর কাভার্ড ভ্যান বা গাড়ি ব্যবসায় কাজ করেছি। বইয়ের দোকানে কাজ করেছি। পিভিসি ভ্যানার ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে চাকরি করেছি। এমনকি গার্মেন্টসের মার্চেন্ডাইজিং কোর্স করে গার্মেন্টসেও চাকরি করেছি। এখন আমি বইয়ের ব্যবসা করি: সাফল্য প্রকাশনী। আমি বই অনুবাদ এবং প্রকাশ করি। আমার জীবনের একটিই চাওয়া, বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা যাতে তাদের জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে।। সেই উদ্দেশ্যে আমি আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েছি: ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণার বই প্রকাশ করব। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে, ৬৪টি বই কেন? ৫০ বা ১০০টি বই কেন নয়? আমি বলি, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা। তাই ৬৪টি অনুপ্রেরণার বই প্রকাশ করে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় অনুপ্রেরণার আলো ছড়িয়ে দিতে চাই।

২। বছর এবং মাস ভিত্তিক পরিকল্পনা নিন: আমি ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণার বই প্রকাশ করব। ২০১৪ সালে এ পরিকল্পনা নিই। এখন পর্যন্ত আর্থিক সংকট সহ অনেক ধরনের বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ১১টি অনুপ্রেরণার বই প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিবছর পাঁচটি করে বই প্রকাশ করব। প্রতি আড়াই মাসে কমপক্ষে একটি বই প্রকাশ করব। এভাবে বছর এবং মাস ভিত্তিক পরিকল্পনা করুন।

৩। প্রতি সপ্তাহে একবার পুনঃনিরীক্ষণ করুন: বেস্ট সেলিং বই টাইম ম্যানেজমেন্ট এর লেখক ব্রায়ান ট্রেসি বলেন, 'বিশ্বে ৩ শতাংশ লোকের লিখিত লক্ষ্য আছে এবং ১ শতাংশেরও কম মানুষ এগুলোকে পুনঃনিরীক্ষণ করে।' আমি প্রতি সপ্তাহে একবার এবং মাসে চারবার পুনঃনিরীক্ষণ করি। সাপ্তাহিক পরিকল্পনা করি এবং প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পুনঃনিরীক্ষণ করি যে আমার কতটুকু কাজ সম্পন্ন হল। আর প্রতি শনিবার সেই লক্ষ্য দেখে এগিয়ে যাই যে এ সপ্তাহে কী কী কাজ করতে হবে। এতে করে ঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি কিনা তা বোঝা যায়।

আপনারা যদি আগ্রহী হন, তবে আমি এরকম আরও কিছু টাইম ম্যানেজমেন্ট তথা সময় ব্যবস্থাপনার কলাকৌশল নিয়ে পোস্ট দিব। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০

কাজ গুছিয়ে নিতে সময় ব্যবস্থাপনার ছয়টি সহজ কৌশল


আপনি কি আপনার কাজ গুছিয়ে করতে চান? আপনার সময়কে কাজে লাগাতে চান? তাহলে আজই টাইম ম্যানেজমেন্ট তথা সময় ব্যবস্থাপনার এ ছয়টি কৌশল কাজে লাগান:

১। টিভি দেখা: টিভি দেখা কমিয়ে দিন অথবা বাদ দিন। একটি বই পড়ুন বা ভিডিও দেখুন। নতুন কিছু শেখার জন্য নিজের সময়কে বিনিয়োগ করুন।
২। গড়িমসি করা: জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে তা কাজে লাগান। নিজেকে বলুন: এখনই করব। আমি পারব, আমি করছি, আমি সফল। নিজেকে নিজে উৎসাহ দিন এবং কাজে নেমে যান।
৩। সবসময় 'হ্যাঁ' বলা: আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আপনি ব্যস্ত। সেই লক্ষ্য বা স্বপ্ন পূরণের জন্য সময় দিন। হঠাৎ বন্ধুরা কেউ অপ্রয়োজনে ডাকলে 'না' বলুন।
৪। সব কাজ একদম ঠিকঠাক মতো করতে যাওয়া: কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতেই পারে। ভুল থেকে আপনি শিক্ষা অর্জন করবেন এবং সামনে এগিয়ে যাবেন। কিন্তু সব কাজ একদম ঠিকঠাক মতো করার জন্য অপেক্ষা করবেন না, বসে থাকবেন না। এখনই কাজে নেমে যান।
৫। একই সাথে একাধিক কাজে হাত দেওয়া: এক সময় কেবল একটি কাজ করুন। একসাথে একাধিক কাজে হাত দিয়ে সময় অপচয় করবেন না।
৬। কাজ করার আগেই খারাপ ফলাফল হবে বলে দুশ্চিন্তা করা: কাজ করার আগে ভালো ফলাফল সম্পর্কে চিন্তা করুন। নিজেকে বলুন: এখনই করব। আমি পারব, আমি করছি, আমি সফল। নিজেকে নিজে উৎসাহ দিন। ইতিবাচক চিন্তা করুন। ভালো ফলাফলের জন্য চেষ্টা করে যান।
আপনারা যদি আগ্রহী হন, তবে আমি এরকম আরও কিছু টাইম ম্যানেজমেন্ট তথা সময় ব্যবস্থাপনার কলাকৌশল নিয়ে পোস্ট দিব। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।