শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ১১টি থেকে ২০টি।


আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।


১১। আমাদের আচরণগুলো গঠন করে আমাদের ভবিষ্যৎ। – নেপোলিয়ন হিল



১২। নিজেকে খোঁজার জন্য, নিজের জন্য চিন্তা করুন। সক্রেটিস



১৩। স্বপ্ন তা নয় যা আপনি ঘুমের মধ্যে দেখেন, স্বপ্ন হচ্ছে যা আপনাকে ঘুমাতে দেয় না।



১৪। ভিড়ের সাথে ভুল পথে চলার চেয়ে ঠিক পথে একা চলা ভালো।



১৫। লোকজন যারা সাফল্য অর্জন করে তাদের লক্ষ্যগুলো সর্বদা নির্দিষ্ট থাকে কারণ তারা জানে যে তারা কোথায় যাচ্ছে। ইহা এতটাই সহজ।



১৬। মন হচ্ছে সবকিছু; যা আপনি চিন্তা করেন আপনি তাই হয়ে ওঠেন। – সক্রেটিস




১৭। হাজারো মাইলের যাত্রা আরম্ভ হয় একটি পদক্ষেপের সাথে। – লেও টজু
[ সাফল্যের জন্য প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন কি ? ]



১৮। যেখানেই আপনি যান, যান আপনার সম্পূর্ণ হৃদয় নিয়ে। – কনফুসিয়াস



১৯। সবকিছুরই সৌন্দর্য আছে, কিন্তু সবাই ইহা দেখে না। – কনফুসিয়াস



২০। একটি নির্দিষ্ট আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সাফল্যের প্রথম সূত্র।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে আরও পৃষ্ঠা - ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

রচনা - ০৪। কনফুসিয়াসের বাণীগুলো নিয়ে ছোট্ট আলাপ সহকারে নিম্নে রচনা লেখা হল।

একটি চাকরি চয়ন করুন যা আপনি করতে ভালোবাসেন এবং আপনার জীবনে আপনাকে কখনও একদিন কাজ করতে হবে না। – কনফুসিয়াস

       কাজ করা একটি আনন্দের ব্যাপার যদি আপনি কাজটিকে ভালোবাসেন। চিন্তা করে দেখুন, যে কাজটি আপনি করতে ভালোবাসেন সেই কাজটি করতে আপনার কোন ক্লান্তি বোধ ঘটে না। আনন্দকর কাজটি হয়ত তাকে অর্থনৈতিক ভাবে মুনাফা দিচ্ছে না কিন্তু ইহা অন্যান্য কাজগুলো করার মানসিক এবং বাড়তি দৈহিক শক্তি দেয়। প্রায়ই দেখা যায়, যে সকল পুরুষদের একটি শখ রয়েছে যেমন গান গাওয়া, বেড়াতে যাওয়া, বাগান করা প্রভৃতি তারা সকলেই তাদের অন্যান্য কাজগুলো অনেক আনন্দের সাথে এবং দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করে থাকেন।

       আরও কিছুটা এগিয়ে চিন্তা করুন। ধরুন আপনার ভালোবাসার কাজটি আপনাকে অর্থনৈতিক ভাবে মুনাফা দিচ্ছে। তাহলে ইহা করতে আপনার কখনও বিরক্তিকর কাজ করছেন বলে প্রতীয়মান হবে না। অর্থ মানব জীবনে অবশ্যই একটি প্রয়োজনীয় উপাদান, কিন্তু আমরা প্রায় সময়ই ভুলে যাই যে অর্থ হচ্ছে জীবনে আনন্দ লাভ করার জন্য অনেক উপাদানগুলোর একটি। মূলত জীবনে আনন্দ অর্জনের জন্য অর্থ আয় করা যায়, অর্থের জন্য আনন্দ নয়। তাই অর্থ আপনি অবশ্যই আয় করবেন কিন্তু ইহা আপনার ভালোবাসার কাজ করেও অর্জন করতে পারেন।



যেখানেই আপনি যান, যান আপনার সম্পূর্ণ হৃদয় নিয়ে। – কনফুসিয়াস

হৃদয় আমাদের জীবনের উপভোগ এবং উপলব্ধির অন্যতম প্রতীক। আমরা যাই কাজ করি, আমরা যেখানেই যাই তা আমাদের জীবনের প্রয়োজনে অথবা ভালোবেসে। আপনি যেখানে যান, যে কাজই করুন আপনার পূর্ণ হৃদয় নিয়ে তা করুন। এতে আপনি মানসিক এবং দৈহিক শক্তির সংযোগ ঘটাতে পারবেন। যখন আপনার মন এবং দেহ একই সারিতে চিন্তা করবে এবং কাজ করে যাবে তখনই আপনি সর্বাধিক শক্তির সাথে সর্বোৎকৃষ্ট কাজটি করতে পারবেন। কোন বাধাই আপনার নিকট বাধা বলে প্রতীয়মান হবে না।

       যেকোন সমস্যারই সমাধান আছে। আমাদের নিত্য দিনের কাজগুলো করতে গিয়ে আমরা বহু সমস্যার সম্মুখীন হব। সমস্যা তৈরী হতেই পারে। ইহার সমাধানও আছে। আমাদেরকে কেবলমাত্র সমাধানটি খুঁজে বের করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে সমাধান বহু রয়েছে কিন্তু আমাদেরকে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন সমাধানটি আমাদের সমস্যার জন্য সর্বাধিক উপযোগী। আর ইহার জন্য দরকার যেকোন জায়গায় সম্পূর্ণ হৃদয় নিয়ে যাওয়া। এতে সমস্যার সম্মুখীন হলেও আমাদের মন এবং মস্তিষ্ক এক সাথে সমাধানের জন্য কাজ করবে এবং আমরা সমাধানটি খুঁজে পাব।

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

রচনা - ০৩। কনফুসিয়াসের বাণীগুলো নিয়ে ছোট্ট আলাপ সহকারে নিম্নে রচনা লেখা হল।

জয়ের ইচ্ছা হচ্ছে, সফল হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, আপনার পূর্ণ সম্ভাবনাসূচক শক্তিতে পৌঁছানোর তাড়না... এইগুলোই হচ্ছে চাবিগুলো যা খুলে দিবে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের দরজা। – কনফুসিয়াস


সকল কৃতিত্বপূর্ণ কাজের আরম্ভ হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। একজন পুরুষ যিনি আকাঙ্ক্ষা করে সাফল্য অর্জন করার তিনি সাফল্য অর্জনের জন্য পরিকল্পনা করেন, বাস্তব কাজ করেন এবং অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যান। ইহাই হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আপনার আকাঙ্ক্ষা আপনাকে বল দিবে, এমনকি আপনি ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পরও। তবে সর্বদা স্মরণ রাখবেন জয়ের জন্য ইচ্ছা বা সাফল্য অর্জনের জন্য আকাঙ্ক্ষাকে অবশ্যই হতে হবে নির্দিষ্ট। কারণ আপনি একটি নির্দিষ্ট প্রধান আকাঙ্ক্ষার প্রতি আপনার পূর্ণ মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত করতে পারবেন।

আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট আকাঙ্ক্ষার প্রতি মনোযোগী হবেন তখন উদ্দেশ্যটি আপনি সফল করার প্রতি চেষ্টা চালাবেন, কাজটিতে আপনি আগ্রহী হয়ে উঠবেন এবং ইহা দক্ষভাবে করার প্রতি আপনি ইচ্ছুক হবেন। আপনি বর্তমানে যতটুকু বল দ্বারা কাজ করেন, আপনি একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের প্রতি আগ্রহী হলে আরও অধিক বল পাবেন ঐ কাজটি করার জন্য, ইহাই আপনার সম্ভাবনাসূচক শক্তিতে পৌঁছানোর তাড়না বা প্রবল চিন্তার বেগ তৈরী করবে। স্মরণ রাখবেন যারা সফল হয়েছেন তারা বিছানা থেকে আরম্ভ করে বহু হৃদয় বিদারক বাধাগুলো অতিক্রম করেই সফল হয়েছেন।



সবকিছুরই সৌন্দর্য আছে, কিন্তু সবাই ইহা দেখে না। – কনফুসিয়াস


জীবন একটি উপলব্ধি এবং উপভোগের স্থান। আপনি দেখলেন কিন্তু বুঝলেন না অথবা বুঝলেন কিন্তু দেখলেন না উভয়ই অসন্তুষ্টির কারণ তৈরী করতে পারে। আমাদের চারপাশের প্রতিটি ছোট্ট পানির বিন্দু হতে বিশালাকার আকাশ পর্যন্ত সবকিছুরই সৌন্দর্য আছে, কিন্তু আমরা সবাই কিন্তু ইহা উপলব্ধি করতে পারি না। আমরা যা দেখি তা মূলত আমরা যা দেখতে চাই তাই আমরা দেখি। আমাদের চোখগুলোকে প্রকৃতপক্ষে আমরা খুব কমই কাজে লাগাই জিনিসগুলো দেখতে। আমাদের পূর্বস্থিত অভিজ্ঞতাগুলো বা আমাদের চিন্তাগুলো আমাদেরকে বোতল বন্দী করে রেখেছে।

পানির রঙ নাই কিন্তু যদি আমরা আলোর মাঝে একটি ছোট্ট পানির বিন্দুকে দেখি তবে ইহাতে আমরা সবগুলো রঙই দেখতে পাব। আবার আকাশকে আমরা নীল রঙের বলে নির্দিষ্ট করেছি, কিন্তু আকাশ যখন মেঘলা হয় বা সূর্যাস্তের সময় রক্তিম আকাশ তার সৌন্দর্যকে সম্পূর্ণ বদলে দেয়। জীবন একটাই, তাই সৌন্দর্যকে অন্যদের অভিজ্ঞতাগুলো দ্বারা চিন্তা না করে আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারেন। ইহার জন্য আপনাকে কেবল কিছুটা সময় নিশ্চুপে দেখতে হবে একটি বস্তু যেমন আছে তেমনি, ইহাকে গ্রহণ করে নিন এবং ইহার সৌন্দর্য উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫

রচনা - ০২। কনফুসিয়াসের বাণীগুলো নিয়ে ছোট্ট আলাপ সহকারে নিম্নে রচনা লেখা হল।



জীবন সত্যিকারভাবে খুব সহজ, কিন্তু আমরা জোর করি ইহাকে জটিল বানানোর জন্য। – কনফুসিয়াস

আমাদের জীবন সত্যিই খুব সহজ। আমরা যদি ঠিকভাবে দেখতে চাই তবে দেখবো যে আমাদের যা নূন্যতম দরকার তা আমাদের চারপাশেই রয়েছে। কিন্তু আমরা এত বেশি চাই এবং এই চাওয়ার প্রতি এতটাই ব্যাকুল যে আমাদের কি আছে সেগুলোর প্রতি আমরা মনোযোগ কম দিতে পারি। মাঝে মাঝে আমাদের স্মরণ হয় যে আমাদের বহু সুবিধা রয়েছে, কিন্তু যখনই আমরা চিন্তা করি অপরের তো এর চেয়েও বেশি আছে, তখনই আমাদের অভাব বোধ এবং দুঃখ বোধ অনুভূত হয়।

       অভাব প্রকৃতপক্ষে যা আমাদের আছে তা না দেখা এবং যা আমাদের নেই তাই চাওয়া কে বলা যায়। কিন্তু অনির্দিষ্টভাবে কিছু চাওয়া হলে তা কখনও পূরণ হয় না। চাওয়া যখন নির্দিষ্ট হয় তখনই তা পূরণের জন্য আমরা আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারি। তবে একটি নির্দিষ্ট চাওয়াকে পূরণ করতে হলে অন্যান্য অনেক চাওয়া, ইচ্ছাকে ত্যাগ করতে হয়, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যাস গঠন করতে হয়। ইহাই তা যা আপনার দরকার। নির্দিষ্ট চাওয়ার প্রতি আত্ম নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যাসই আপনাকে তা পূরণের প্রতি এগিয়ে নিয়ে যাবে।



ইহা কোন ব্যাপারই না আপনি কত ধীরভাবে যাচ্ছেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি থামছেন। – কনফুসিয়াস

একটি কচ্ছপের কথা চিন্তা করুন। কত ধীরে চলে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্রুত চলা খরগোশকেও হার মানিয়ে দিয়েছে। আমরা বহুবার শুনেছি এই কচ্ছপ এবং খরগোশের কাহিনী। আমাদের জীবনেও ইহা প্রয়োগ যোগ্য। যদি একজন পুরুষের একটি নির্দিষ্ট আকাঙ্ক্ষা থাকে তিনি যত ধীরেই চলুক না কেন ইহা কোন ব্যাপার নয়, তিনি শেষ পর্যন্ত তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবেই, অবশ্য যদি তিনি পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত না থামেন।

       জীবনে সাফল্য অর্জন করার ইহাই সেই রূপালী সূত্র, যা হচ্ছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে না থেমে পৌঁছানো। যারা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি এগিয়ে যায় তারা কখনও থামে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সেই নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পৌঁছায়। জীবনে একমাত্র প্রশ্ন হচ্ছে, ‘আপনি কি সফল হয়েছেন?’ তাই যতক্ষণ পর্যন্ত না সফল হওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে যেতে হবে। যদি পুরাতন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় ইহাকে চিন্তা করুন সাময়িক বাধা রূপে। নতুন পরিকল্পনা তৈরী করুন এবং আবার চেষ্টা করুন যতক্ষণ না সফল হচ্ছেন।