রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

আপনার বয়স কি ১৮? তাহলে, জেনে নিন ১০টি জিনিস।


১। ভুলগুলো থেকে শিখতে ভালোবাসুন।
সর্বদাই চেষ্টা করবেন ভুলগুলো থেকে শেখার। আপনি এখনও তরুণ এবং শিখছেন। তাই ভুল হতেই পারে। ভুলগুলো বিশ্লেষণ করুন এবং এগুলো থেকে শিক্ষা নিন যাতে পরবর্তী সময় আরও ভালোভাবে একটি দায়িত্ব সম্পাদন করতে পারেন।

২। প্রায়ই হ্যাঁ বলুন।
কিছু সময় আপনার আরামদায়ক জায়গাগুলো থেকে বের হয়ে দেখুন বাহিরে কি ঘটছে। কোন নতুন জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। এতে আপনার মাঝে নতুন উদ্যম তৈরি হবে এবং আপনার শেখার আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।


৩। স্বল্পই কাজে দক্ষ হোন।
কখনই সব ধরনের কাজ করতে যাবেন না। যে সবগুলো কাজ সম্পন্ন করতে যায় সে কোন কাজেই দক্ষ হয়ে ওঠে না। আপনার মূল্যবান সময় এবং শ্রম বিভিন্ন দিকে অপচয় না করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে কাজে লাগান। বুঝতেই পারছেন, বিভিন্ন পথে হাঁটলে কোন গন্তব্যেই আপনি পৌঁছাবেন না, পথে পথে ঘুরে মরবেন।

৪। আপনি কেমন অনুভব করেন তা বলুন।
যদি কেউ আপনার অনুভূতিকে আঘাত করে থাকে তবে তাকে ইহা বলুন এবং সরাসরি, স্পষ্টভাবে বলুন। মনের মধ্যে কষ্ট পোষণ করে রাখবেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে যে অপরজন হয়ত আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বক্তব্যটি দেয়নি, হয়ত সে অন্যকোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তা আপনার কাছে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি। এছাড়াও আপনার পিতা-মাতাকে বলুন - আমি তোমাকে ভালোবাসি। জীবন অতি ছোট এবং এই স্বল্প সময়ে মধ্যেই আমরা আমাদের আশেপাশের লোকজন থেকে বহু ভালোবাসা পেয়ে থাকি। আমাদের দরকার এই জিনিসগুলোর প্রতি তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানানো, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

৫। পরিবর্তনকে ভালোবাসতে শিখুন।
একটি ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সময় যেমন পরিবর্তন হচ্ছে তেমনি অন্যান্য সকল জিনিসগুলোই পরিবর্তন হবে। তাই ইহাকে সহজভাবে গ্রহণ করুন এবং পরিবর্তন থেকে শিক্ষা নিন। পরিবর্তন মেনে নিয়ে এগিয়ে যান।


৬। আপনি যতটা ক্ষতি হওয়ার চিন্তা করেন, প্রকৃতপক্ষে ততটা ঘটে না।
প্রায় সময়ই দেখা যায় যে আমাদের ভীতি আমাদেরকে এমন সব ক্ষতির সম্ভাবনা কল্পনায় তুলে ধরে যে আমরা কাজটি করতে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে যাই এবং কাজটি করতে দীর্ঘসূত্রিতা বা ঢিলামি করি। আপনি বিদ্যালয় শেষ করে যে ব্যবসার চিন্তা করে ছিলেন তা করছেন না কেন? বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে যারা একটু সাহস করে নিজের পছন্দানুযায়ী কাজ আরম্ভ করেছে তারাই সবচেয়ে সফল এবং সুখী জীবন যাপন করছে। তাই আরও একটু সাহস নিয়ে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে একটি পদক্ষেপ দিন।

৭। অন্যান্য লোকজন কি চিন্তা করবে এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়া বন্ধ করুন।
আপনার জীবন আপনার নিজের। আপনার সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য লোকজনের প্রভাবকে এড়িয়ে চলুন। ইহাকে বলা হয় সমালোচনা ভীতি। একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে যে আপনি নিজে কি চিন্তা করেন এবং নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি কি অনুভব করেন।

৮। নিজের সাথে এবং অন্যান্যদের সাথে সৎ থাকুন।
সর্বদাই নিজের সাথে এবং অন্যান্যদের সাথে সৎ থাকুন। সততা আপনাকে মানসিক শান্তি দিবে এবং মানসিক শান্তি একটি অমূল্য জিনিস। যেকোন সম্পর্কে সততা বজায় রাখুন কারণ সততাই হচ্ছে যেকোন সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

৯। যত পারেন নতুন নতুন লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করুন।
ব্যাপারটি হয়ত প্রথম দিকে অস্পষ্ট হতে পারে, কিন্তু আপনি যত বেশি নতুন লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তত বেশি আপনার সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। কখন কোন লোক আপনার কাজে লাগবে হয়ত আপনি নিজেও বলতে পারেন না। তবে লোকজনের সাথে আচরণ করার ক্ষেত্রে ভদ্রতা বজায় রাখুন।

১০। একাকী হওয়ার জন্য আলাদা সময় রাখুন।
নিজের সাথে সময় কাটানো বেশ চমৎকার। নিশ্চুপ, নিশব্দভাবে নিজের সাথে সময় কাটান, চিন্তা করুন এবং নিজের চেতনাকে অনুভব করুন। একটি চলচ্চিত্র বা নাটক দেখুন, কোথাও একা বেড়াতে যান। অবশ্য একা যাওয়ার চিন্তাটি একটু ভীতি উৎপাদন করতে পারে, তবে আপনি ব্যাপারটি কাজে লাগিয়ে দেখুন চমৎকার অভিজ্ঞতা পাবেন। আপনি নতুন জিনিস শিখতে পারবেন এবং নিজের প্রতি আরও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।

রচনাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে এবং মন্তব্য দিতে ভুলবেন না আমরা আপনার মন্তব্য শুনতে আগ্রহী ধন্যবাদ

তথ্য সহযোগিতায় - Success Magazine.

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৬

আপনি কি অধ্যবসায় তৈরি করতে চান? অধ্যবসায়ী হতে চাইলে, এখুনি পাঠ করুন



অধ্যবসায়[1] হচ্ছে মনের একটি অবস্থাসেইজন্য ইহা চাষ করা যায়মনের সকল অবস্থার মতন, অধ্যবসায় নির্ভর করে নির্দিষ্ট কারণগুলোর পর, এগুলো হচ্ছেঃ-

ক.      উদ্দেশ্যের নির্দিষ্টতা[2] একজন কি চায় ইহা প্রথমে জানতে হবে এবং হয়ত ইহা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অধ্যবসায় গঠনের প্রতিএকজনকে একটি শক্তিশালী চাওয়া অনেক বাধা পেরিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার শক্তি দেয়

খ.      আকাঙ্ক্ষা[3] ইহা তুলনামূলক ভাবে অর্জন করা সহজ এবং একটি প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা অধ্যবসায় বজায় রাখে

গ.      আত্ম-নির্ভরশীলতা নিজ দক্ষতার পর বিশ্বাস করা যে একটি পরিকল্পনা পালন করবো, পরিকল্পনাটি উৎসাহের সাথে অনুসরণ করবো অধ্যবসায়ের মাধ্যমে। (আত্ম-নির্ভরশীলতা কিভাবে গঠন করতে পারেন তা সম্বন্ধে স্ব-পরামর্শ[4] অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে)

ঘ.      পরিকল্পনাগুলোর নির্দিষ্টতা সংগঠিত পরিকল্পনাগুলো[5], যদিও এগুলো দুর্বল এবং অবাস্তব হতে পারে, এগুলো (সংগঠিত পরিকল্পনাগুলো) অধ্যবসায় পালনে উৎসাহিত করে

ঙ.      প্রকৃত জ্ঞান আপন পরিকল্পনাগুলো জানা, অভিজ্ঞতা বা পর্যবেক্ষণের পর ভিত্তি করা, অধ্যবসায়ে উৎসাহিত করেজানা এর পরিবর্তে অনুমান অধ্যবসায়কে ধ্বংস করে

চ.      সহযোগিতা সহানুভূতি, বুঝজ্ঞান এবং সমসুরে অন্যান্যদের সাথে সহযোগিতা এবং তাদের যত্ন লওয়া অধ্যবসায় গঠন করে


ছ.      ইচ্ছা-শক্তি আপন চিন্তাগুলোর প্রতি মনোযোগের অভ্যাস, একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পরিকল্পনা গঠন, অধ্যবসায়ের দিকে নিয়ে যায়

জ.      অভ্যাস অধ্যবসায় হচ্ছে অভ্যাসের সরাসরি ফলাফলমন শোষণ করে এবং প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতার একটি অংশ হয়ে ওঠে যা ইহা গ্রহণ করেভীতি সকল শত্রুদের মধ্যে সর্বাধিক খারাপ, ইহাকে কার্যকরভাবে প্রতিকার করা যায় বল প্রয়োগ দ্বারা স্ব-পরামর্শের পুনরাবৃত্তি করে

অধ্যবসায় বিষয়টি ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে নিজেকে পরীক্ষা করুন যদি আপনি কোন প্রয়োজনীয় গুণাবলী হতে পিছিয়ে থাকেননিজেকে সাহসীভাবে পরিমাপ করুন, প্রতিটি বিন্দু হতে বিন্দুতে এবং দেখুন কিভাবে আপনি অধ্যবসায়ের আটটি ব্যাপার হতে পিছিয়ে আছেনপর্যবেক্ষণে হয়ত এমন কিছু আবিষ্কার করবেন যাতে আপনি নতুনভাবে নিজেকে দৃঢ় মুষ্টিতে ধরতে পারেন

তথ্য সহযোগিতায় - নেপোলিয়ন হিলের চিন্তা করুন এবং ধনী হোন[6]। সাফল্য প্রকাশনী[7]


[1] http://thikdarona.blogspot.com/2014/09/blog-post_24.html
[2] http://thikdarona.blogspot.com/2014/12/blog-post.html
[3] http://thikdarona.blogspot.com/2014/09/blog-post_98.html
[4] http://thikdarona.blogspot.com/2014/09/blog-post_55.html
[5] http://thikdarona.blogspot.com/2014/09/blog-post_78.html
[6] http://thikdarona.blogspot.com/2015/10/blog-post_6.html
[7] https://www.facebook.com/safolloprakashani/

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ৭১টি থেকে ৮০টি।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।


৭১। যদি আপনি ব্যর্থ হন, উদ্বিগ্ন হবেন না। আপনি কেবল সফল হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন। তবে ব্যর্থতা বিশ্লেষণ করে অবশ্যই ব্যর্থতার কারণ বের করবেন এবং ব্যর্থতা থেকে শিখবেন।

৭২। সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে প্রস্তুত থাকা যখন সুযোগ আসে। - বেঞ্জামিন ডিসরেলি
সুযোগ আসার আগেই প্রস্তুত থাকতে হবে। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে প্রতিদিন কাজ করে যেতে হবে।
আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তো?

৭৩। অসাধারণ জিনিসগুলো করুন; এগুলোকে কেবল স্বপ্ন রূপে দেখলে হবে না।


৭৪। অনুশীলন হচ্ছে ততটাই মূল্যবান যতটা বিক্রয়। বিক্রয় আপনাকে একটি জীবিকার্জন করার সুযোগ দিবে; কিন্তু দক্ষতা আপনাকে একটি সৌভাগ্য তৈরি করে দিবে। - জিম রন


৭৫। এক সময় যখন দারিদ্র‍্যতা চলে যাবে, আমরা জাদুঘর তৈরি করবো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইহার ভয়াবহতা দেখানোর জন্য।
তারা বিস্ময় বোধ করবে যে কেন দারিদ্র‍্যতা মানব সমাজে এত দীর্ঘ সময় ধরে অবিরত ছিল - কিভাবে কিছু লোকজন বিলাসিতায় জীবন যাপন করত যখন অন্যান্য কোটি নিবাসীগণ দুর্দশায়, বঞ্চনায় এবং হতাশায় যাপন করছিল। - মুহাম্মদ ইউনূস (শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী)

৭৬। সাফল্য হচ্ছে মানসিক শান্তি, যা; আত্ম-সন্তুষ্টির একটি সরাসরি ফলাফল। ইহা জানা যে আপনি আপনার সর্বোৎকৃষ্ট করেছেন যতটা উৎকৃষ্ট আপনার পক্ষে করা সম্ভব। ইহাও জানা যে সর্বোৎকৃষ্ট হওয়ার জন্য আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব আপনি করেছেন। - জন উডেনক এআর


৭৭। পরিকল্পনা করুন আপনার আজকের এবং প্রতিদিনের কাজের জন্য, তারপর আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করুন আজকে এবং প্রতিদিন। - নরম্যান ভিন্সেন্ট পেইলী

৭৮। একজন দুঃখবাদী (হতাশাপীড়িত পুরুষ) প্রত্যেক সম্ভাবনার মধ্যে সমস্যা দেখে; একজন আশাবাদী প্রত্যেক সমস্যার মধ্যে সম্ভাবনা দেখে।

৭৯। বিজয় পাওয়ার জন্য আপনাকে ক্ষতির জন্য ঝুঁকি নিতে হবে। সবকিছু ঠিক রেখে আপনি কোনদিন কাজে নামতে পারবেন না। তাই আপনার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যান।


৮০। সাধারণত উদ্যোক্তারা হচ্ছে তারা যারা বোঝেন যে সমস্যা এবং সম্ভাবনার মধ্যে খুব সামান্য পার্থক্য বিদ্যমান এবং তারা এই উভয় ব্যাপারকেই তাদের সুবিধায় রূপান্তর করতে সক্ষম। - ভিক্টর কিএম

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord
খ। Global Citizen
গ। নেপোলিয়ন হিলের চিন্তা করুন এবং ধনী হোন। সাফল্য প্রকাশনী।
ঘ। Success Magazine

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে আরও পৃষ্ঠা - ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০

শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬

ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি


ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি একটি ধারণা যা সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় নেপোলিয়ন হিলের চিন্তা করুন এবং ধনী হোন[1] বইয়ের মাধ্যমে যার বাংলাদেশে প্রকাশকাল ছিল ২০১৫ সনে। (Think and Grow Rich by Napoleon Hill এর ইংরেজি প্রকাশকাল ১৯৩৭ সনে)। যদিও বইটিতে সরাসরি শব্দাবলী প্রয়োগ করা হয়নি তবুও সাফল্য অর্জনের জন্য ইতিবাচক চিন্তা যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এবং ইহা গঠন করা অত্যাবশ্যক তা সম্বন্ধে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময় নেপোলিয়ন হিল এবং ডব্লিও ক্লেমেন্ট স্টোন, আরও একটি বই রচনা করেন যাতে সরাসরি ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গিকে সাফল্য অর্জনের জন্য মুখ্য উপাদান রূপে উল্লেখ করেন, ইহা চারিত্রিক গুণাবলীর একটি অতিরিক্ত অংশ যা একজনের চরিত্রকে দৃঢ় করে তোলে। ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি দ্বারা এমন কিছু শব্দ বোঝা হয় যেমন আস্থা, সততা, আশা, সাহস, প্রাথমিক আরম্ভ, প্রত্যাশা, সৌজন্যতা, ধৈর্য, কৌশল, দয়া এবং ভালো সাধারণ অনুভূতিগুলো।

সাফল্য সাময়িকীতে জনাব জস ইলিছ[2] বলেছেন, সাধারণ লোকজনের অসাধারণ জীবন যাপন। ইহাকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে সাধারণ লোকজনেরও সমস্যা থাকে, বাধা, দুঃখ, হতাশা, সম্পদের অভাব থাকে কিন্তু তারপরও তারা ইতিবাচক চিন্তা এবং সেই অনুযায়ী ইতিবাচক কাজ করে জীবনে সামনে এগিয়ে যায়। ইহাই জীবন। জীবনে সমস্যা থাকবেই কিন্তু সমস্যার কারণে, নেতিবাচক চিন্তা করে, ভয়ে ভীত হয়ে বসে থাকা যাবে না এগিয়ে যেতে হবে ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি সাথে নিয়ে।

পরবর্তী সময় ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে জনাব নরম্যান ভিন্সেন্ট পেইলী একটি বই রচনা করেন - ইতিবাচক চিন্তার ক্ষমতা। বইয়ে তিনি উল্লেখ করেন, সুখ অর্জনের পথ হচ্ছেঃ আপনার হৃদয়কে ঘৃণা থেকে দূরে রাখুন, আপনার মনকে উদ্বিগ্নতা থেকে দূরে রাখুন। সহজভাবে বাঁচুন, অল্প প্রত্যাশা করুন, বেশি প্রদান করুন। সূর্যরশ্মির আলোকিত কিরণ দেখুন, নিজেকে ভুলে যান, অন্যান্যদের কথা চিন্তা করুন। একটি সপ্তাহের জন্য ইহা চেষ্টা করে দেখুন এবং আপনি বিস্মিত হবেন।[3]

ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি[4] হচ্ছে একটি দর্শন যা প্রতিটি অবস্থা, পরিস্থিতি বা ঘটনা থেকে আশাবাদী দিক চিন্তা করতে পরামর্শ দেয় এবং এই দিক নিয়ে সাফল্য অর্জনের পথে পরিচালিত হতে তাড়া দেয়। প্রতিটি বাধা, বিপত্তি বা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, নিজের আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়ার জন্য অবিরত অধ্যবসায় চালিয়ে নেওয়ার প্রতি ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি অনুপ্রেরণা দিয়ে যায়। ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি গঠনের জন্য আশাবাদ এবং প্রত্যাশা অত্যন্ত জরুরী।

বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই লেখাটি আমি বাংলা উইকিপিডিয়াতেও দিয়েছি। বাংলা উইকিপিডিয়াতে রচনাটি দেখতে এখানে দেখুন ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি
 


[1] http://thikdarona.blogspot.com/2015/10/blog-post_6.html
[2] http://www.success.com/blog/the-extraordinary-lives-of-ordinary-people
[3] https://www.goodreads.com/work/quotes/1121350-the-power-of-positive-thinking
[4] https://en.wikipedia.org/wiki/Positive_mental_attitude

৪টি ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে করবে সুখী ও সফল


জীবনের হতাশা আর দুঃখ এই সব কিছুর পেছনে রয়েছে কিছু নেতিবাচক চিন্তা। নেতিবাচক চিন্তা এমন এক বিষাক্ত জিনিষ যা মানুষের মনের সকল শান্তি নিমিষেই দূর করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। নেতিবাচক চিন্তার মানুষ কখনো জীবনকে সহজ ভাবে নিতে পারে না।

প্রতিদিন যে ৪টি ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে করবে সুখী ও সফল

আপনি জানেন কি, জীবনকে যত কঠিন ভাবে নেয়া হয় সুখ তত দূরে চলে যায়। প্রতিটি মানুষ নিজের জীবনে কিছু নেতিবাচক ধারনা পোষণ করে যা তার সফলতার পথে সবচাইতে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। অথচ এই ব্যাপারটি আমরা নিজেই বুঝতে পারি না, বরং ভাগ্যকে দোষ দিয়ে থাকি সব সময়। এই নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে ইতিবাচক চিন্তা শুরু করা উচিৎ সকলেরই। তাই আজই নিজেকে উপহার দিন এই ইতিবাচক চিন্তাগুলো। দেখবেন জীবনটা কত সহজ হয়ে গেছে। সফলতাও ধরা দেবে আপনার হাতে। সুখী হবেন জীবনে।

‘আমি নিজেকে অনেক ভালোবাসি’
সব থেকে সুন্দর ও শান্তিময় একটি কথা ‘আমি নিজেকে অনেক ভালোবাসি’! এই কথাটি নিজেকে উপহার দিন প্রতিদিন। এতে নিজেকে আত্মবিশ্বাস পাবেন প্রতিদিনই। নতুন ভাবে বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাবেন জীবনে। নিজেকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা প্রত্যেক মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য অত্যন্ত জরুরী। তবে শুধু মনে মনে হয়, ভালোবাসুন নিজেকে বাস্তব জীবনেও। প্রতিদিনই নিজের প্রশংসা করুন, নিজের জন্য করুন কিছু কাজ।

‘আমি যেমন আছি বেশ ভালো আছি’
নিজের অবস্থানকে স্বীকার করে নেয়ার চেয়ে বড় উপহার আপনি নিজেকে দিতে পারবেন না। আপনি যখন নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন তখন আপনার মনে আসবে অনাবিল শান্তি। যদি আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকেন ‘আমি আর একটু সুন্দর হলাম না কেন?’, কিংবা নিজের পকেটে হাত দিয়ে মনে মনে ভাবেন ‘আমি একটু বড়লোক হলাম না কেন?’- তাহলে আপনি জীবনে কখনই সুখী হতে পারবেন না। নিজের অবস্থানে সন্তুষ্ট থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। সুখী হবেন।


‘আমি অনেক কিছুই করতে পারি’
‘আমাকে দিয়ে কিছু হবে না!’- এই ধরণের নেতিবাচক কথা সব চাইতে ক্ষতিকর। কারণ এই কথায় কোনো কাজ করার ইচ্ছা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তখন ক্ষমতা থাকলেও কাজটি করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেকে প্রতিদিন বলুন ‘আমি অনেক কিছুই করতে পারি’ বা ‘আমাকে দিয়ে অনেক কাজ করা সম্ভব’! ফিরে পাবেন কাজ করার ইচ্ছা। জীবনে আসবে সফলতা।

‘আজকের দিনটি সব থেকে ভালো দিন’
দিনের শুরুতে কোনো কারনে আশাহত কিংবা রাগ উঠলে যে কথাটি সবার আগে মুখ থেকে বের হয় তা হলো ‘আজকের দিনটাই খারাপ’! কিন্তু দিনের শুরুতেই আপনি এই ধরণের কথা নিজেকে বললে আপনার মন ভেঙে যায় নিজের অজান্তেই। তখন দিনটিতে ভালো কিছু ঘটার থাকলেও আপনার চোখ এড়িয়ে যায় কিংবা ভালো কিছু ঘটলেও আপনি তা ভালো চোখে দেখেন না। তাই সকালে উঠে প্রথমেই নিজ মনে বলুন ‘আজকের দিনটি সব থেকে ভালো দিন’! বাকিটা আপনাআপনিই ভালো যাবে।

তথ্য সহযোগিতায় - BD24Live

মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬

উদ্যোক্তাদের সাফল্যের জন্য ৭টি করণীয় এবং সতর্কতা।


১। যা আপনি চান না তা চাইবেন না। অন্যদের সাফল্যের গল্প শুনেই তাই করতে হবে বলে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আপনি যা চান তাই করুন। অন্যান্যরা করছে বলে আপনিও করছেন এমন কাজ করবেন না। আপনার নিজস্ব পথ এবং পরিকল্পনা অনুসরণ করুন - নাকি সাকিবের। ভয় পাবেন না, সমাজ সমালোচনা করবেই। সমাজের চাপে আপনার স্বপ্নকে দূরে ঠেলে দিবেন না।

২। সুযোগ হারাবেন না। উত্তম সেই হয় বা সাফল্য অর্জন করে সেই পুরুষ যে সুযোগ কাজে লাগায়। আজকের দিনটিকে এমন ভাবে যাপন করুন যাতে যেদিন সাফল্য অর্জন করবেন সেদিন সকলকে বলতে পারেন যে আমি আমার প্রতিটি দিন সাফল্য অর্জন করার প্রতি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

৩। ঠিক কাজটি করুন। যখন আমরা চয়ন করার সুযোগ পাই যে কোন পথে যাব তখন ইহা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি কোন পথটি চয়ন করছেন। কারণ আপনার ঠিক সিদ্ধান্তটিই আপনাকে সাফল্যের প্রতি আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই যেকোন পথ চয়ন করার ক্ষেত্রে আপনার নীতি এবং আদর্শকে কাজে লাগান।

৪। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। ৮০ বছরের বুড়ো হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আজই কাজ করুন! এমন পুরুষ হোন যে কাজ করে তারপর কথা বলে নাকি ফাঁকা বুলি দিয়ে বেড়ায়।

৫। নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হোন। অনেক উদ্যোক্তা তাদের ধারণা, তাদের দক্ষতা বা বাজার পরিস্থিতির জন্য ব্যর্থ হয় না, বরং তাদের ত্যাগ করার জন্য, নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগহীন হওয়ার কারণে ব্যর্থ হয়। অনেকেই সময় বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য ব্যাপারে এত বেশি মনোযোগ দেয় যে নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগই থাকে না। কিন্তু সাফল্য অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন মনোযোগী হতে হবে।

৬। উদ্দেশ্য ভুলে যাবেন না। ব্যবসা আপনাকে পরিবর্তন করবে। ভুলে যাবেন না নিজের এবং আজকের এই পরিস্থিতির কথা। ভুলে যাবেন না কেন আপনি একজন উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা করতে চেয়েছেন। আপনার উদ্দেশ্য - জনগণের প্রতি উপকারী সেবা সম্পন্ন করা ব্যাপারটি স্মরণ রাখবেন।

৭। আপনার মহান হওয়ার সম্ভাবনা খুঁজুন। আপনি অসাধারণ উপহার পেয়েছেন। আপনি অনুপ্রেরণাদায়ক সাফল্য অর্জন করেছেন এবং আপনার আশেপাশের এবং বিশ্বের সকলের প্রতি মহান সেবা সম্পন্ন করেছেন। আপনার একটি দায়িত্ব আছে এই ক্ষমতাকে প্রয়োগ করার, সমাজের জন্য উপকারী সেবা সম্পন্ন করার এবং নিজেকে মহান করে তোলার।

তথ্য সহযোগিতায় - Success Magazine.

শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬

মহান সাফল্যমণ্ডিত লোকজনের ৫টি প্রতিদিনকার অভ্যাসগুলো।


আমরা সকলেই জানি যে অভ্যাস আমাদের জীবনে সাফল্য অর্জনে আমাদেরকে হয় সাহায্য করবে নাহয় ধ্বংস করবে। খারাপ অভ্যাসগুলো যেমন আপনাকে দ্রুত ধ্বংসের প্রতি ধাবিত করে তেমনি ভালো অভ্যাসগুলো আপনাকে একটি সাফল্যমণ্ডিত জীবন অর্জনের প্রতি এগিয়ে নিয়ে যাবে। একটি কাজে পূর্ণ এবং কৃতিত্বসম্পন্ন কাজে ভরপুর একটি জীবন গঠনে কেবলমাত্র ভালো অভ্যাসগুলোই আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

যদি আপনি কোন একজন সফল পুরুষকে সম্মানের চোখে দেখেন তবে তাকে বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে দেখুন, কিভাবে তিনি তার প্রতিদিনকার জীবন যাপন করে যা তার জীবনের একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন পূরণের প্রতি এগিয়ে নিচ্ছে। ইহার মানে এই নয় যে তারা প্রতিটি কাজ পূর্ণাঙ্গভাবে করে বা তারা ত্রুটিহীন – কারণ কেউই ত্রুটিহীন নয় – কিন্তু জিনিসগুলো বা তাদের কাজগুলো মাঝে মাঝে ত্রুটি যুক্ত হলে তারা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যায়। এই ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয় প্রতিদিনকার অভ্যাসগুলো দ্বারা, নিয়মিত ইতিবাচক চিন্তা দ্বারা।

এখন আমরা যখন সাফল্যমণ্ডিত লোকজনকে অধ্যয়ন করবো, একটি বিষয়ে নিশ্চিত জানবেন যে যদি এই সূত্রগুলো আপনি নিজ জীবনে কাজে না লাগান তবে এগুলো বৃথা এবং কোন ফলই বয়ে আনবে না। তাই আসুন আমরা সাফল্যমণ্ডিত লোকজনের ৫টি প্রতিদিনকার অভ্যাসগুলো সম্বন্ধে জানি এবং এগুলো নিজ জীবনে প্রয়োগ করে নিজেরাও সাফল্যমণ্ডিত লোকজনের খাতায় নিজেদের নাম লিখাই।

১। সাফল্যমণ্ডিত লোকজন তাদের দিনের পরিকল্পনা পূর্বের রাতেই তৈরি করে রাখে

ইহা খুবই সহজ পথ থেকে সরে যাওয়া যদি আপনি একটি পথ পরিকল্পনা না করে থাকেন। পরিকল্পনা ব্যতীত আপনার দিনটি এমন যে আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন কিন্তু আপনি জানেন না আপনি আজ কি কাজ সম্পন্ন করবেন। সাফল্যমণ্ডিত লোকজন অল্প সময় ব্যয় করে রাতের বেলায় তাদের পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা করেন, আগামীকাল কি কাজগুলো করবেন তার একটি তালিকা তৈরি করেন এবং পরবর্তী দিন সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন।

জীবন হয়ত সবসময় পরিকল্পনা মতন চলবে না কিন্তু একটি পরিকল্পনা থাকলে, আপনি সময় নষ্ট না করেই আপনার মূল্যবান সময়কে কাজে লাগাতে পারবেন।



২। সাফল্যমণ্ডিত লোকজন নিজেদেরকে অনুপ্রাণিত রাখার জন্য বই পাঠ করে।

বই সাফল্য অর্জনের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। একটি বই প্রচুর পরিমাণ উপাদান ধারণ করে যাতে একজন ইহা থেকে নিজের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অনুপ্রেরণা নিতে পারে। আপনি প্রতিদিন ১ ঘণ্টা থেকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় বই পাঠ করে কাজে লাগাতে পারেন। যদিও এমন কোন নির্দিষ্ট সময় নেই তবে আপনার পছন্দ মতন সময় বেছে নিয়ে নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে বই পাঠ করতে পারেন।

৩। সাফল্যমণ্ডিত লোকজন নিজেদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেন।

আপনি কি খান এবং কতটা সময় ব্যায়াম করেন ইহা আপনার জীবনের প্রতিটি দিকেই প্রভাব ফেলে। সাফল্যমণ্ডিত লোকজন তাদের ব্যায়ামকে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এবং নিজেদের জীবন আনন্দে কাটানোর একটি পূর্বশর্ত বলে মনে করেন। পরিমিত, পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম আপনার ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে এবং বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

৪। সাফল্যমণ্ডিত লোকজন অন্যান্য লোকজনের কাজ দেখে বিভ্রান্ত হয় না।

যখন আপনি সাফল্যমণ্ডিত লোকজনকে অধ্যয়ন করবেন তখন একটি ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। আপনি একজন সফল পুরুষকে বিশ্লেষণ করছেন তার কাছ থেকে শিখার জন্য, ভালো অভ্যাসগুলো জানার জন্য, এমন কোন সূত্র যা তিনি কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন সেই সূত্র আপনার নিজের কাজে লাগানোর জন্য কিন্তু কখনই নিজের সাথে তুলনা করবেন না। আপনার কাজ আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইহা সর্বদা স্মরণ রাখবেন। কিন্তু আপনি যদি তাদের গল্পগুলো থেকে অনুপ্রেরণা না নেন তবে আপনি হিংসা, হতাশা, নিজের কাজকে মূল্যহীন বিবেচনা করবেন।

সাফল্যমণ্ডিত লোকজন ইহা অনুধাবন করে যে তাদের যাত্রা অসাধারণ এবং ইহা তুলনার যোগ্য নয়। তাই তারা তুলনার ফাঁদে আটকে যায় না এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী থাকেন।



৫। সাফল্যমণ্ডিত লোকজন তাদের প্রতিদিন যাপন করেন যেন ইহা তাদের শেষদিন।

জীবন ব্যস্ত এবং জটিল। তাই আপনাকে আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। আপনার আজকের কাজগুলো আজই শেষ করুন এবং ইহার জন্য নিজেকে ধন্যবাদ দিন। এইভাবে প্রতিদিন পরিকল্পনা মতন কাজ সম্পন্ন করে নিজেকে ধন্যবাদ দিলে আপনার মাঝে কৃতজ্ঞতা বোধ তৈরি হবে এবং আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।

আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য হয়ত অনেক বড় হতে পারে এবং ইহা নিয়ে চিন্তা করতে হতাশা অনুভব হতে পারে। তাই এই নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে ছোট ছোট আকারে ভাগ করুন এবং প্রতিদিন এই ছোট কাজগুলো সম্পাদন করে এগিয়ে যান। আপনার জীবনে সাফল্য অর্জন করুন এই কামনায় ঠিক ধারণা।


তথ্য সহযোগিতায় – Success Magazine.

বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১৬

আত্ম-সহায়তা


আত্ম-সহায়তা বা আত্ম-উন্নতিসাধন হচ্ছে একটি আত্ম-নির্দেশিত উন্নতিসাধন – অর্থনৈতিকভাবে, বুদ্ধিমানভাবে বা অনুভূতিমূলক – প্রায়ই একটি মনস্তত্ত্বের বাস্তব ভিত্তিতে। বহু ভিন্ন ধরনের আত্ম-সহায়তা সঙ্ঘের অনুষ্ঠান বিদ্যমান। প্রত্যেকেরই রয়েছে এদের স্বীয় কেন্দ্রীভূত বিষয়গুলো, কৌশল, সংশ্লিষ্ট বিশ্বাসগুলো, প্রবক্তারা এবং কিছু ক্ষেত্রে নেতাগণ। আত্ম-সহায়তা সংস্কৃতি, বিশেষ করে বারো-ধাপ সংস্কৃতি, যা আমাদের ভাষায় বলবান কিছু শব্দ প্রদান করেছেঃ আরোগ্যলাভ, অক্রিয় পরিবারগুলো এবং অনির্ভরতা। [সক্রিয়ের বিপরীত অক্রিয়।]

আত্ম-সহায়তা প্রায়ই জনগণকে সুবিধা দিয়ে থাকে সহজলভ্য তথ্য বা সঙ্ঘবদ্ধ সমর্থন দ্বারা, যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তেমন ব্যক্তিগতভাবেও। সেখানে একইরূপ অবস্থাগুলোর লোকজন একত্রে যুক্ত হন। আত্ম-চালনার বৈধ অনুশীলন এবং ঘরে-দেওয়া পরামর্শের আদি দৃষ্টান্তগুলো হইতে, শব্দটির অন্তর্নিহিত মানে ছড়িয়েছে এবং প্রায় বিশেষভাবে প্রয়োগ করা হয় শিক্ষা, ব্যবসা, মনস্তত্ত্ব এবং মনস্তত্ত্ব রোগের চিকিৎসায়, সাধারণভাবে বিতরণ করা হয় আত্ম-সহায়তা বইগুলোর জনপ্রিয় রীতির মাধ্যমে। মনস্তত্ত্বের অভিধান অনুসারে, আত্ম-সহায়তা সঙ্ঘগুলোর সম্ভাবনাসূচক বা প্রচ্ছন্ন মুনাফাগুলো পাওয়া যেতে পারে যে পেশাদারীগণ হয়ত প্রদান করতে পারবেন না যেমন বন্ধুত্ব, অনুভূতিমূলক সমর্থন, অভিজ্ঞতামূলক জ্ঞান, অনন্যতা, দরকারি ভূমিকাগুলো এবং অধিকারভুক্ত হওয়ার একটি অনুভূতি।


সঙ্ঘগুলো যারা সংগঠিত হয় স্বাস্থ্যের শর্তগুলো বজায় রাখতে, হয়ত গঠিত হতে পারে রোগীদের এবং যত্ন দানকারীদের নিয়ে। অধিকন্তু, দীর্ঘ-সময়ের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো বিনিময় করেন [কোন কিছুর বিশিষ্ট অংশ যা মনোযোগ আকর্ষণ করে], এসকল স্বাস্থ্য সঙ্ঘগুলো হয়ে ওঠতে পারে শিক্ষামূলক সামগ্রীর জন্য সমর্থিত সঙ্ঘগুলো এবং প্রধান দফতর রূপে। তারা যারা নিজেদের সহায়তা করে স্বাস্থ্য সমস্যা সম্বন্ধে শিখতে এবং সনাক্ত করতে, ইহাকে দৃষ্টান্ত রূপে বলা যায় আত্ম-সহায়তা, যখন আত্ম-সহায়তা সঙ্ঘগুলোকে আরও অধিক সঙ্গীর প্রতি সঙ্গীর সমর্থন দিতে দেখা যেতে পারে।

বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই লেখাটি আমি বাংলা উইকিপিডিয়াতেও দিয়েছি। বাংলা উইকিপিডিয়াতে রচনাটি দেখতে এখানে চাপ দিন আত্ম-সহায়তা

তথ্য সহযোগিতায় – বাংলা উইকিপিডিয়া।

রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ৬১টি থেকে ৭০টি।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।

৬১। এই বিশ্বে সাফল্যমণ্ডিত লোকজন তারাই যারা উঠে দাঁড়ায় এবং তারা যেমন চায় তেমন পরিস্থিতিগুলো খোঁজে। যদি আপনি এগুলো খুঁজে না পান, তবে এগুলো তৈরি করুন। - জর্জ বানার্ড স


৬২। দক্ষতার দাম হচ্ছে শৃঙ্খলা। মধ্যম অবস্থার দাম হচ্ছে হতাশা। - উইলিয়াম ডব্লিও. ওয়ার্ড
যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করতে চান তবে শৃঙ্খলা মেনে চলুন, সময় মেনে কাজ করুন। কিন্তু যদি আপনি মধ্যম অবস্থায় থাকতে চান তবে ইহার দাম পরিশোধ করতে হবে হতাশা দ্বারা। আজই সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি কি শৃঙ্খলার সাথে দক্ষ এবং সুখী জীবন যাপন করবেন অথবা হতাশ হয়ে মধ্যম অবস্থা পড়ে থাকবেন।



৬৩। যে পুরুষ একটি পাহাড় সরিয়ে ফেলে সে আরম্ভ করেছিল ছোট্টছোট্ট পাথরগুলো সরানোর দ্বারা। - চিনা প্রবাদ

৬৪। বহুদূর যেতে আমাদের ভয় পাওয়া উচিত নয়, কারণ সাফল্য নিহিত থাকে এর একটু পিছনেই। - মারশেল প্রোস্ট



৬৫। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি চিন্তা, পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি আস্থা একজন পুরুষকে ধনী করে তুলতে পারে।

৬৬। লোকজন অলস নয়; তাদের কেবল গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য আছে, আসলে, তাদের লক্ষ্যগুলো এমন যে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করে না।

৬৭। কোন কিছুই সম্ভব নয় যদি আপনি চিন্তা করেন ইহা অসম্ভব। কোন কিছুই অসম্ভব নয় যদি আপনি চিন্তা করেন ইহা সম্ভব। ইতিবাচক চিন্তা করুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন এবং যেকোন কিছুই সম্ভব। - থমাস জে. ভিলর্ড

৬৮। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে কি পেলাম সেটা বড় প্রশ্ন নয়, বরং কি করেছি সেটাই মুখ্য প্রশ্ন। - কার্লাইল



৬৯। যারা নিজেদের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করে তারা সাধারণত চুপ থাকে। - লা ফনটেইন



৭০। সফল লোকজন যে কাজগুলো করে অসফল লোকজন তা করার সাহস করে না।

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে আরও পৃষ্ঠা - ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০