রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬

আপনার বয়স কি ১৮? তাহলে, জেনে নিন ১০টি জিনিস।


১। ভুলগুলো থেকে শিখতে ভালোবাসুন।
সর্বদাই চেষ্টা করবেন ভুলগুলো থেকে শেখার। আপনি এখনও তরুণ এবং শিখছেন। তাই ভুল হতেই পারে। ভুলগুলো বিশ্লেষণ করুন এবং এগুলো থেকে শিক্ষা নিন যাতে পরবর্তী সময় আরও ভালোভাবে একটি দায়িত্ব সম্পাদন করতে পারেন।

২। প্রায়ই হ্যাঁ বলুন।
কিছু সময় আপনার আরামদায়ক জায়গাগুলো থেকে বের হয়ে দেখুন বাহিরে কি ঘটছে। কোন নতুন জায়গা থেকে ঘুরে আসুন। এতে আপনার মাঝে নতুন উদ্যম তৈরি হবে এবং আপনার শেখার আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে।


৩। স্বল্পই কাজে দক্ষ হোন।
কখনই সব ধরনের কাজ করতে যাবেন না। যে সবগুলো কাজ সম্পন্ন করতে যায় সে কোন কাজেই দক্ষ হয়ে ওঠে না। আপনার মূল্যবান সময় এবং শ্রম বিভিন্ন দিকে অপচয় না করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে কাজে লাগান। বুঝতেই পারছেন, বিভিন্ন পথে হাঁটলে কোন গন্তব্যেই আপনি পৌঁছাবেন না, পথে পথে ঘুরে মরবেন।

৪। আপনি কেমন অনুভব করেন তা বলুন।
যদি কেউ আপনার অনুভূতিকে আঘাত করে থাকে তবে তাকে ইহা বলুন এবং সরাসরি, স্পষ্টভাবে বলুন। মনের মধ্যে কষ্ট পোষণ করে রাখবেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে যে অপরজন হয়ত আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য বক্তব্যটি দেয়নি, হয়ত সে অন্যকোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তা আপনার কাছে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি। এছাড়াও আপনার পিতা-মাতাকে বলুন - আমি তোমাকে ভালোবাসি। জীবন অতি ছোট এবং এই স্বল্প সময়ে মধ্যেই আমরা আমাদের আশেপাশের লোকজন থেকে বহু ভালোবাসা পেয়ে থাকি। আমাদের দরকার এই জিনিসগুলোর প্রতি তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানানো, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

৫। পরিবর্তনকে ভালোবাসতে শিখুন।
একটি ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সময় যেমন পরিবর্তন হচ্ছে তেমনি অন্যান্য সকল জিনিসগুলোই পরিবর্তন হবে। তাই ইহাকে সহজভাবে গ্রহণ করুন এবং পরিবর্তন থেকে শিক্ষা নিন। পরিবর্তন মেনে নিয়ে এগিয়ে যান।


৬। আপনি যতটা ক্ষতি হওয়ার চিন্তা করেন, প্রকৃতপক্ষে ততটা ঘটে না।
প্রায় সময়ই দেখা যায় যে আমাদের ভীতি আমাদেরকে এমন সব ক্ষতির সম্ভাবনা কল্পনায় তুলে ধরে যে আমরা কাজটি করতে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে যাই এবং কাজটি করতে দীর্ঘসূত্রিতা বা ঢিলামি করি। আপনি বিদ্যালয় শেষ করে যে ব্যবসার চিন্তা করে ছিলেন তা করছেন না কেন? বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে যারা একটু সাহস করে নিজের পছন্দানুযায়ী কাজ আরম্ভ করেছে তারাই সবচেয়ে সফল এবং সুখী জীবন যাপন করছে। তাই আরও একটু সাহস নিয়ে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে একটি পদক্ষেপ দিন।

৭। অন্যান্য লোকজন কি চিন্তা করবে এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়া বন্ধ করুন।
আপনার জীবন আপনার নিজের। আপনার সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য লোকজনের প্রভাবকে এড়িয়ে চলুন। ইহাকে বলা হয় সমালোচনা ভীতি। একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে যে আপনি নিজে কি চিন্তা করেন এবং নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি কি অনুভব করেন।

৮। নিজের সাথে এবং অন্যান্যদের সাথে সৎ থাকুন।
সর্বদাই নিজের সাথে এবং অন্যান্যদের সাথে সৎ থাকুন। সততা আপনাকে মানসিক শান্তি দিবে এবং মানসিক শান্তি একটি অমূল্য জিনিস। যেকোন সম্পর্কে সততা বজায় রাখুন কারণ সততাই হচ্ছে যেকোন সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

৯। যত পারেন নতুন নতুন লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করুন।
ব্যাপারটি হয়ত প্রথম দিকে অস্পষ্ট হতে পারে, কিন্তু আপনি যত বেশি নতুন লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তত বেশি আপনার সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। কখন কোন লোক আপনার কাজে লাগবে হয়ত আপনি নিজেও বলতে পারেন না। তবে লোকজনের সাথে আচরণ করার ক্ষেত্রে ভদ্রতা বজায় রাখুন।

১০। একাকী হওয়ার জন্য আলাদা সময় রাখুন।
নিজের সাথে সময় কাটানো বেশ চমৎকার। নিশ্চুপ, নিশব্দভাবে নিজের সাথে সময় কাটান, চিন্তা করুন এবং নিজের চেতনাকে অনুভব করুন। একটি চলচ্চিত্র বা নাটক দেখুন, কোথাও একা বেড়াতে যান। অবশ্য একা যাওয়ার চিন্তাটি একটু ভীতি উৎপাদন করতে পারে, তবে আপনি ব্যাপারটি কাজে লাগিয়ে দেখুন চমৎকার অভিজ্ঞতা পাবেন। আপনি নতুন জিনিস শিখতে পারবেন এবং নিজের প্রতি আরও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।

রচনাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে এবং মন্তব্য দিতে ভুলবেন না আমরা আপনার মন্তব্য শুনতে আগ্রহী ধন্যবাদ

তথ্য সহযোগিতায় - Success Magazine.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন