১। যা আপনি চান না তা চাইবেন না।
অন্যদের সাফল্যের
গল্প শুনেই তাই করতে হবে বলে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। আপনি যা চান তাই করুন। অন্যান্যরা
করছে বলে আপনিও করছেন এমন কাজ করবেন না। আপনার নিজস্ব পথ এবং পরিকল্পনা অনুসরণ করুন
- নাকি সাকিবের। ভয় পাবেন না, সমাজ সমালোচনা করবেই। সমাজের চাপে আপনার স্বপ্নকে
দূরে ঠেলে দিবেন না।
২। সুযোগ হারাবেন না।
উত্তম সেই হয় বা সাফল্য
অর্জন করে সেই পুরুষ যে সুযোগ কাজে লাগায়। আজকের দিনটিকে এমন ভাবে যাপন করুন যাতে
যেদিন সাফল্য অর্জন করবেন সেদিন সকলকে বলতে পারেন যে আমি আমার
প্রতিটি দিন সাফল্য অর্জন করার প্রতি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
৩। ঠিক কাজটি করুন।
যখন আমরা চয়ন করার সুযোগ পাই যে কোন পথে যাব তখন ইহা অনেক গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি
কোন পথটি চয়ন করছেন। কারণ আপনার ঠিক সিদ্ধান্তটিই আপনাকে সাফল্যের
প্রতি আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই যেকোন পথ চয়ন করার ক্ষেত্রে
আপনার নীতি এবং আদর্শকে কাজে লাগান।
৪। নিজের ওপর আস্থা রাখুন।
৮০ বছরের বুড়ো হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আজই কাজ
করুন! এমন
পুরুষ হোন যে কাজ করে তারপর কথা বলে নাকি ফাঁকা বুলি দিয়ে বেড়ায়।
৫। নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হোন। অনেক উদ্যোক্তা তাদের ধারণা,
তাদের দক্ষতা বা বাজার পরিস্থিতির জন্য ব্যর্থ হয় না, বরং তাদের ত্যাগ করার জন্য,
নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগহীন হওয়ার কারণে ব্যর্থ হয়। অনেকেই সময়
বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য ব্যাপারে এত বেশি মনোযোগ দেয় যে নিজের নির্দিষ্ট
লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগই থাকে না। কিন্তু সাফল্য
অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন
মনোযোগী হতে হবে।
৬। উদ্দেশ্য ভুলে যাবেন না।
ব্যবসা আপনাকে পরিবর্তন করবে। ভুলে যাবেন না নিজের এবং
আজকের এই পরিস্থিতির কথা। ভুলে যাবেন না কেন আপনি একজন উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা করতে
চেয়েছেন। আপনার উদ্দেশ্য - “জনগণের প্রতি উপকারী সেবা সম্পন্ন করা”
ব্যাপারটি স্মরণ রাখবেন।
৭। আপনার মহান হওয়ার সম্ভাবনা খুঁজুন।
আপনি অসাধারণ উপহার পেয়েছেন। আপনি অনুপ্রেরণাদায়ক সাফল্য
অর্জন করেছেন এবং আপনার আশেপাশের এবং বিশ্বের সকলের প্রতি মহান সেবা সম্পন্ন
করেছেন। আপনার একটি দায়িত্ব আছে এই ক্ষমতাকে প্রয়োগ করার, সমাজের জন্য উপকারী সেবা
সম্পন্ন করার এবং নিজেকে মহান করে তোলার।