সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

প্রত্যেক বাধা যা আপনাকে মুকাবিলা করতে হয় তা কিন্তু আপনার জন্য মূল্যবান তথ্য বহন করে।


যদি আপনি না জানেন যে কেন আপনি ব্যর্থ হয়েছেন তবে আপনি এখনও আরম্ভ রেখাতে পড়ে আছেন। শুরুতে আপনি যেমন শিখেছিলেন এখনও তেমনিই রয়ে গেছেন। এমন কিছুই শিখেননি যাতে আপনি সামনে এগিয়ে যেতে পারেন।

সেখানে একটি প্রবাদ আছে যে, যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে অস্বীকার করে তারা অন্ধের মতন পুনরায় একই ভুল করে। ইহা আমাদের ব্যর্থতাগুলোর মতনই। যদিনা আমরা আমাদের ব্যর্থতাগুলো থেকে শিক্ষা নিই, আমরা প্রায়ই একই ভুল করে যাব প্রতিটিবার যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা কিছু শিখছি এবং আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যের পথ সংশোধন করছি অথবা আমাদের লক্ষ্যটি ত্যাগ করে সাময়িক বাধাকে চিরস্থায়ী ব্যর্থতা রূপে মেনে নিচ্ছি।

প্রত্যেক বাধা যা আপনাকে মুকাবিলা করতে হয় তা কিন্তু আপনার জন্য মূল্যবান তথ্য বহন করে, অবশ্য যদি আপনি ইহা সতর্কভাবে অধ্যয়ন করেন ইহা আপনাকে পর্যায়ক্রমে সাফল্যের প্রতি ধাবিত করবে। দুর্দশা, বাধা, ব্যর্থতা ব্যতীত আপনার মধ্যকার বিজ্ঞতা কখনওই সমৃদ্ধ হবে না এবং বিজ্ঞতা ব্যতীত, সাফল্য নিশ্চিতভাবে স্বল্প সময়ের জন্যই উপভোগ্য হবে।


যখনই আপনি একটি ভুল করবেন, বলবেন, "বেশ ভালো! ইহার কারণ আমি খুঁজে বের করবো। আমি ইহা পুনরায় করবো না।" সন্দেহ নেই যে আপনি আবার ভুল করবেন, কিন্তু এগুলো আর আপনাকে বিরক্ত করবে না যদি আপনি এগুলোকে শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা রূপে প্রয়োগ করেন।

তথ্য সহযোগিতায় - নেপোলিয়ন হিল ফাউন্ডেশন।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

কিভাবে ৫ মিনিটের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন


ব্যবসায় বা জীবনে বিভিন্ন সময় আপনার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে বা হ্রাস পেতে পারে। এই হ্রাসকৃত আত্মবিশ্বাসকে ৫ মিনিট বা তারচেয়েও কম সময়ে ফিরিয়ে আনুন এবং সমস্যা সমাধান করে বীরদর্পে আপনার ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত জীবনে এগিয়ে যান।

আমরা আজ আপনাদের সাথে গবেষণা লব্ধ তিনটি সূত্র নিয়ে আলোচনা করবো। এগুলো গবেষণা করে জানা গেছে যে এই তিনটি সূত্র পালন করলে একজন পুরুষ ৫ মিনিট বা তারচেয়ে কম সময়ের মধ্যেই তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে বা বৃদ্ধি করাতে সক্ষম হয়।

১। দুই মিনিট ধরে একটি উঁচু অঙ্গভঙ্গি ধারণ করে রাখুন।

একটি বিখ্যাত গবেষণায় দেখা গেছে একটি উঁচু অঙ্গভঙ্গি একজন পুরুষের আত্মবিশ্বাসকে খুব দ্রুত বৃদ্ধি করে। সামাজিক মনোবিজ্ঞানী এমি কাডি তার গবেষণায় এই ব্যাপারটি তুলে ধরেন। পরবর্তী সময় হার্ভাড বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একটি দল এই ব্যাপারটি নিয়ে পরীক্ষা চালান। তারা কিছু পুরুষকে চাকরির সাক্ষাৎকার গ্রহণের পূর্বে একটি উঁচু অঙ্গভঙ্গি এবং কিছু পুরুষকে একটি নিচু বা হতাশ অঙ্গভঙ্গি ধারণ করতে অনুরোধ জানান। তারপর সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় দেখা যায় যারা একটি উঁচু অঙ্গভঙ্গি করেছিল তারা ভালো সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাছাড়া তাদের হরমোনেও ইতিবাচক হরমোনগুলোর বৃদ্ধি এবং হতাশা উৎপন্নকারী হরমোনগুলোর হ্রাস ঘটে।



২। আপনার ভবিষ্যৎ আত্মকে (নিজেকে) দেখুন একজন সফল পুরুষ রূপে।

আপনার জীবনে একটি নির্দিষ্ট প্রধান লক্ষ্য থাকা অত্যন্ত আবশ্যক। যদি এই ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়ে থাকেন তবে এখনই আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট প্রধান লক্ষ্য স্থির করার প্রতি কাগজ এবং কলম নিন। তারপর নিজেকে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একজন সফল পুরুষ রূপে চিন্তা এবং কল্পনা করুন।
কাডি পরামর্শ দিয়েছেন, “আপনার উচিৎ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ এই দুইয়ের মধ্যকার দূরত্ব যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা।” ইহা এখনই চেষ্টা করুন। নিজেকে ভবিষ্যতের একজন সফল পুরুষ রূপে কল্পনা করুন এবং এই সাফল্য অর্জন করতে কি কাজগুলো করা দরকার তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং ইহা অনুযায়ী কাজ করুন।

৩। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন, এখনকার জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য।

কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন আপনার মানসিকতায় ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করবে। অথচ ইহার জন্য আপনাকে কোন খরচই করতে হবে না। ছোট ছোট কাজ সম্পন্ন করে নিজেকে ধন্যবাদ দিন, অন্যান্যদের ধন্যবাদ দিন এবং আল্লাহকে ধন্যবাদ দিন।

প্রতিদিন সকালে উঠে একটি সুন্দর সকালের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ দিন। দিন শেষে সবগুলো কাজগুলো সম্পন্ন করে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিন। এইভাবে প্রতিদিন ছোট্ট ছোট্ট কাজের প্রতি ধন্যবাদ দিয়ে অভ্যাস গঠন করুন। ইহা আপনার মধ্যে মানসিক শান্তি তৈরি করবে এবং ইতিবাচক হরমোনগুলো বৃদ্ধি করবে।

ইহা এখনই চেষ্টা করুন। তিনটি সূত্র কাজে লাগিয়ে জীবনে সাফল্য অর্জন করুন এই প্রত্যাশা রইল।


তথ্য সহযোগিতায় – Success Magazine.

শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সমস্যা সমাধানে ৩টি সূত্র কাজে লাগান এবং এখনই কাজগুলো সম্পাদন করুন।


যেকোন সমস্যা সমাধান করা যায় যদি আপনি চিন্তা করে ইহার সমাধান সম্ভব। স্মরণ রাখবেন, পরবর্তী সময় যদি আপনাকে কেউ বলে যে অসম্ভব তার মানে হচ্ছে আপনি এখনও ইহার সমাধান খুঁজে পাননি। ইহা নিশ্চয়ই আপনার কাছে এখন স্বাভাবিক মনে হচ্ছে যে সমাধান যদি একজন পেয়েই যায় তবে তা আর সমস্যা বা অসম্ভব রূপে থাকে না।

প্রকৃতপক্ষে, ইহাই ঘটে। যতদিন পর্যন্ত বিমান বা উড়োজাহাজ উদ্ভাবন হয়নি ততদিন পর্যন্ত লোকজন চিন্তা করেছে যে মানুষের পক্ষে আকাশে ওড়া অসম্ভব। কিন্তু কিছু বিশ্বাসী পুরুষ, যারা চিন্তা করতো সমাধানের, তারাই উদ্ভাবন করে আকাশে ওড়ার কলাকৌশল এবং যন্ত্রপাতি যা আজকের সারা বিশ্ব স্বাভাবিকভাবেই দেখে। কিন্তু চিন্তা করে দেখেন যে বিমান উদ্ভাবন হওয়ার একদিন আগ পর্যন্তও আকাশে ওড়া ছিল অসম্ভব। তাই আপনার সমস্যাও চিরস্থায়ী নয়, সমাধানের চিন্তা করুন এবং ধৈর্য ধরে কাজ করে যান। আপনি সমাধান করতে পারবেন।

সমস্যার সমাধান করার জন্য আমরা আজকে ৩টি সূত্র নিয়ে আলোচনা করবো।

১। আজকের কাজের একটি তালিকা তৈরি করুন।

আপনি আজকে কি কাজগুলো করবেন এমন একটি তালিকা তৈরি করুন। কাজগুলো অধ্যবসায়ের সাথে সম্পন্ন করুন। চিন্তা করুন যে আপনি কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন এবং কাজ করে যান। আপনার কাছে যে উপাদানগুলো আছে তাই নিয়ে কাজ আরম্ভ করুন। আগামীতে আপনার কাজগুলো সম্পন্ন করতে যে উপাদানগুলো দরকার হতে পারে এগুলো এখন আপনার কাছে হয়ত নেই তবে বিশ্বাস করুন, এগুলো সব আপনার কাছে হাজির হবে। তবে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই কাজ আরম্ভ করতে হবে।

২। একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন এবং একটি অলীক স্বপ্নের মধ্যে তফাৎ বুঝুন।

এই তফাৎ বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন হচ্ছে বাস্তব এবং একটি অলীক স্বপ্ন বাস্তব নয়। যে ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন দেখে তিনি ইহা সম্বন্ধে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে, সে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে এবং নির্দিষ্ট স্বপ্ন পূরণের পথে যত তাৎক্ষণাৎ বাধা আসুক এগুলোর সমাধান করে এগিয়ে যায়। কিন্তু একটি অলীক স্বপ্নচারী ব্যক্তি বসে অপেক্ষা করে যাতে অন্য কেউ তার সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেয় অথবা আশা করে সমস্যাগুলো যেন আপনাআপনি বা নিজেরাই সমাধান হয়ে যায়।

এমন পুরুষ হবেন না যিনি তার অলীক স্বপ্নের কথা সকলকে বলে বেড়ায় এবং অভিযোগ করে যে কেউ তার অলীক স্বপ্ন পূরণের জন্য সহযোগিতা করছে না। এমন একজন পুরুষ হোন যিনি একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন দেখে এবং ইহা পূরণের জন্য যতকিছু দরকার তার দারকারি সকল পদক্ষেপগুলো নিয়ে তাদের নির্দিষ্ট স্বপ্নকে একটি বাস্তবতায় পরিণত করে।



৩। আপনি যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তার প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন।

মনোযোগকে একটি নির্দিষ্ট স্বপ্নের প্রতি কেন্দ্রীভূত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনি একটি গাছ থেকে আম পাড়তে চান কিন্তু আপনি ঢিল ছুঁড়লেন পাশে থাকা ডাব গাছের দিকে লক্ষ্য করে। কিন্তু আপনি আশা করছেন যেন আমটি মাটিতে পড়ে। ইহা কি সম্ভব বলে মনে হয় আপনার? ঠিক তেমনই, একজন পুরুষ যিনি একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন দেখেন এবং ইহার জন্য অবিরত কাজ করে যান তিনিই অবশেষে সাফল্য অর্জন করে যদিনা তিনি মাঝপথে তার স্বপ্নকে ত্যাগ করে অন্য কোন কাজ করে থাকেন।

তথ্য সহযোগিতায় – Success Magazine.

সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

৫টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছেন তো !


আপনি এই বছর কি করতে যাচ্ছেন? ফুলগাছ লাগানো? ক্রিকেট? তারপর কি? আমার ভাগ্য ভালো কারণ আমার মা আমাকে প্রায়ই এই ধরনের প্রশ্ন করতেন।

পরিবারের সন্তানদের মধ্যকার একজন হওয়ার কারণে আমাকে মা প্রায়ই প্রশ্ন করতেন, তুমি কলেজের পর কি নিয়ে পড়ালেখা করতে চাও? তারা আমার স্বপ্নগুলো এবং আমার ধারণাগুলো সম্বন্ধে জানতে চাইতেন, উৎসাহ দিতেন। কি ধরনের পেশা তুমি চাও? কি ধরনের সমস্যার সমাধান তুমি করতে চাও? জনগণকে কি ধরনের উপকারী সেবা তুমি দিতে চাও?

যখন আমরা কিশোর ছিলাম তখন আমাদেরকে প্রায়ই প্রশ্ন করা হত, তুমি এরপর কি করতে চাও? 

যখন তুমি বড় হবা তখন কি হতে চাও? ইহা জীবনের খুবই সহজ এবং সরল অংশ ছিল। কিন্তু এখন 

যখন আমরা বড় হয়েছি তখন কি হবে?

এখন আর আমাকে কেউ এই প্রশ্ন করে না। আপনাকে করেছি কি?

যখন আপনি সকলের কাছেই বড় হয়ে গেছেন তখন এই প্রশ্ন করা বন্ধ হয়ে গেছে।

এখন আপনি যদি নিজেকে এই প্রশ্ন না করেন তবে অন্য কেউই আপনাকে এই প্রশ্ন করবে না।

ইহা আপনার ওপরই নির্ভর করে।

এখানে আজ আপনাদের সাথে আমি আলোচনা করবো ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিয়ে যার উত্তর আপনার দেওয়া উচিৎ যদি আপনি জীবনে অগ্রগতি তৈরি করতে চান।

১। আপনার নতুন বছরের অঙ্গীকারগুলো কি?
বছরের প্রথমেই অঙ্গীকারগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনি বছর জুড়ে আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে কি করতে চান, কোন কাজগুলো সম্পন্ন করতে চান তার একটি তালিকা তৈরি করে সামনে রাখুন। আমি আমার দিনপঞ্জিকায় লিখে রেখেছি। ইহা একটি চমৎকার পদ্ধতি। যতবার দিনপঞ্জিকায় তারিখ দেখতে তাকাই তখনই আমার চোখে পড়ে আমার অঙ্গীকারগুলো। আপনিও ইহা চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

২। আপনার বিশ্বে আপনি কি ধরনের প্রভাব ফেলতে চান?
আপনার বিশ্ব বলতে এখানে আপনার পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-স্বজন, সমাজ, আপনার দেশ বা সম্পূর্ণ বিশ্ব হতে পারে। নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য কি কাজ করতে চান এবং তাদের কিভাবে খুশিতে দেখতে চান? আপনার দেশের জনগণের জন্য কি ধরনের উপকারী সেবা সম্পন্ন করতে চান?



৩। বিশাল স্বপ্ন দেখুন। ছোট থেকে শুরু করুন এবং এখনই শুরু করুন।
ইহাই আমার সূত্র। যখন স্বপ্ন দেখবেন তখন বিশাল স্বপ্ন দেখুন। একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন দেখুন। কোন এলোমেলো চিন্তা নয়, নির্দিষ্ট স্বপ্ন। একটি পরিষ্কার কাগজে লিখে রাখুন এবং একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন। ছোট একটি কাজ দিয়ে শুরু করুন এবং এখনই থেকে যা কিছু আছে তাই নিয়ে কাজে নেমে যান।

৪। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন এবং আবিষ্কার করুন।
অন্যান্য পুরুষদের সাথে যোগাযোগ করুন। নতুন পেশা সংক্রান্ত পুরুষদের সাথে আলাপ করুন। নিরীক্ষা করুন আপনার নির্দিষ্ট স্বপ্নটি কিভাবে কাজে লাগাবেন। তারপর দেখবেন নতুন আরও অনেক কিছুই আপনি আবিষ্কার করছেন এবং আপনার নির্দিষ্ট স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

৫। যেভাবেই হোক সময় পার হয়েই যাবে।
“কঠিন সময় সর্বদা থাকে না, কিন্তু কঠিন লোকজন থাকে।” এই শিরোনামে রবার্ট এইচ. শুলারের একটি বই আছে। সময় কঠিন হবে আবার তা সহজ হয়েও যাবে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কিসের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন? আপনি কি কঠিন সময়ের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন বা আপনার একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন পূরণের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন? এখনই ইহা সম্বন্ধে চিন্তা করুন।

আমাদেরকে জানান, আপনি কিভাবে আপনার একটি নির্দিষ্ট স্বপ্ন পূরণ করছেন? কি সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছেন? সমস্যাগুলোর সমাধান করার প্রতি আপনি কি পদ্ধতি অবলম্বন করছেন? আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে আগ্রহী। ধন্যবাদ।


তথ্য সহযোগিতায় – Success Magazine.

শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আপনার ইতিবাচক মনকে অনুপ্রেরণা দিতে উক্তিগুলোর ৫১টি থেকে ৬০টি।

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।

৫১। অধিকাংশ পুরুষরা ব্যর্থতার সাথে সাক্ষাৎ করে কারণ তাদের নতুন পরিকল্পনা সৃষ্টিতে অধ্যবসায়ের অভাব যা সেই ব্যর্থতার জায়গা নিবে। - নেপোলিয়ন হিল।

৫২। আপনাকে অবশ্যই আপনার অতীত ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে, কিন্তু অতীত সাফল্যগুলোর আনন্দে নিষ্কর্মা হয়ে থাকলে চলবে না। - ডেনিস ওয়েটলে

৫৩। আগেভাগে এলোমেলোভাবে চিন্তা করে কাজ করা কঠিন, কিন্ত আপনি যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজটি শুরু করে দেন তবে দেখবেন সহজ হয়ে গিয়েছে। রবার্ট এম. পিরসিগ (ইতিবাচক অভ্যাস গঠন সম্বন্ধে)

৫৪। কিছু পুরুষ সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে যা অন্যান্য পুরুষরা বলেছিল করা যাবে না। এখনই সিদ্ধান্ত নিন, আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ করবেন অথবা অন্যানদের সমালোচনায় নিজের পছন্দের কাজ ত্যাগ করবেন।

৫৫। জীবনভর শিখনের জন্য নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করুন। আপনি জীবনে যত সম্পদ পাবেন তন্মোধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে আপনার মন এবং আপনি ইহার মধ্যে কি রাখছেন। - ব্রায়ান ট্রেসি

৫৬। সাফল্য কখনও আপনার খোঁজে আসবে না যদিও আপনি ইহার অপেক্ষায় বসে থাকেন। আপনাকে অবশ্যই উঠে দাঁড়াতে হবে এবং ইহার জন্য কাজ করে আপনার স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে। - পোহ ইউ কিং

৫৭। সাফল্যের পথে সর্বদাই অনেক বড় 'স' বিদ্যমান থাকে। কেউ ইহাকে পাঠ করে সমস্যা রূপে এবং অন্যান্যরা ইহাকে পাঠ করে সুযোগ রূপে। - ফজলে রাব্বি

৫৮। সমস্যাকে যে পুরুষ সুযোগে রূপান্তর করতে পারে সেই সাফল্য অর্জন করতে পারে। - ফজলে রাব্বি

৫৯। যদি আমরা সর্বদা পিছনে ফিরে দেখি, তবে আমরা সামনে কি আছে তা দেখার সক্ষমতা হারাবো। - জাস্টিন সিমস

৬০। আমি অনুভব করি যে সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ব্যর্থতা অতিক্রম করার শিক্ষা। আপনাকে অবশ্যই ইহা সহ্য করতে হবে, কিন্তু কখনওই ইহা গ্রহণ করবেন না। - রিজি জেকসন

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। নেপোলিয়ন হিলের চিন্তা করুন এবং ধনী হোন। সাফল্য প্রকাশনী।
খ। 1001 motivational quotes for success by Thomas J. Vilord

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে আরও পৃষ্ঠা - ০১ ০২ ০৩ ০৪ ০৫ ০৬ ০৭ ০৮ ০৯ ১০

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সাফল্য অর্জন করতে চান কি? তবে আপনার অবসর সময়ে এই ৭টি জিনিস করুন।


আপনার কম উৎপাদনকারী অভ্যাসগুলোকে পরিবর্তন করে লাভজনক অভ্যাসগুলোকে আরত্ত করুন যাতে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন।

আপনি কি জানেন যে প্রথমে যারা আরম্ভ করে তারা অন্ততপক্ষে চারবার ব্যর্থ হয়? আপনি কি জানেন যে কেন একটি ব্যবসাকে সাফল্যমণ্ডিত করতে এত কঠিন হয়? ইহা নির্ভর করে একজন প্রতিষ্ঠাতা তার অবসর সময়ে কি করেন তার ওপর।

একজনের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তিনি তার অবসর সময়ে কি করেন তার ওপর। একজন পুরুষ তার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে সাফল্যমণ্ডিত হয়ে উঠতে পারে কারণ যারা জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন তারা কখনই তাদের অবসর সময় নিষ্কর্মাভাবে শুয়ে বা বসে কাটায় না।

আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা রূপে সাফল্য খুঁজে থাকেন এবং ইহা আপনার কাছে কঠিন বলে প্রতীয়মান হয় তবে আপনার এখনই খুঁজে দেখা উচিৎ যে আপনি আপনার অবসর সময় কিভাবে ব্যয় করছেন। কাছ থেকে বিশ্লেষণ করুন। এখন কিভাবে আপনার অবসর সময় ব্যয় করেন এবং আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আপনার কিভাবে সময় ব্যয় করা উচিৎ? নিম্নের কিছু অভ্যাসগুলো বিবেচনা করতে পারেন আপনার কম উৎপাদনকারী অভ্যাসগুলোকে পরিবর্তন করে এই লাভজনক অভ্যাসগুলোকে আরত্ত করার প্রতি।

১। ব্যায়াম।

ব্যায়াম করা উভয় শরীর এবং মনের জন্য উত্তম। ব্যায়াম মানে হাঁটাচলা, দৌড় বা দড়ি লাফ প্রভৃতি নিয়মিত কর্ম। প্রতিদিন ১০ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম একজনের শরীর এবং মনকে সতেজ করে তোলে, মেজাজ ইতিবাচক করে, হতাশা কমায় এবং পরিষ্কার চিন্তা করতে সহযোগিতা করে।

২। শখ।

আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন যে কিছু সফল পুরুষরা তাদের ব্যবসায়িক কর্মগুলো হইতে ভিন্ন কাজেও উৎসাহ দেখায়? ইহার ওপর নির্ভর করে তাদের অবসর আনন্দ। তারা এসব শখগুলো হইতে তাদের আনন্দ চয়ন করেন এবং সুখীভাবে সময় কাটান। শখগুলো হতাশা দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সৃষ্টিশীলতা জন্য একটি চমৎকার উৎস।

৩। শিখন।

সাফল্য মানে শিখনের আনন্দ নেওয়া এবং সর্বদা শিখনের প্রতি ভালোবাসা। আপনি যদি আপনার মধ্যকার শিখনের প্রতি ভালোবাসাকে অনুপ্রাণিত করতে চান তবে নতুন কিছু শিখুন। কিছু পুরুষরা নতুন ভাষা শিখে, কিছু নতুন ধরণের প্রযুক্তি পণ্যে বিনিয়োগ করে। বেশিরভাগ তাদের আপন আপন ব্যবসায়িক ক্ষেত্র অনুযায়ী শিখন চালিয়ে যায়।

৪। মন খালি করা।

যোগ ব্যায়াম বর্তমানে একটি ক্রমবর্ধমান ব্যায়ামে পরিণত হয়েছে। কারণ ইহা আপনার মনকে খালি করে, যেকোন উদ্বিগ্নতা, নেতিবাচক চিন্তা বা ভীতি থেকে। মন খালি করার পদ্ধতিগুলো আপনার মন থেকে ভয়, আশঙ্কা দূর করবে এবং আপনি এই খালি স্থানে ইতিবাচক শক্তি দ্বারা পূর্ণ করতে পারবেন।


৫। সেবা।

আপনি যদি আপনার ভবিষ্যৎ দৃষ্টিতে আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্যকে দেখতে না পান তবে আপনার চেয়ে কম সৌভাগ্যবানদের সেবা করার দ্বারা নিজের চেতনাকে পুনজ্জ্বীবিত করুন। সমাজকে সেবা দেওয়া মাধ্যমে আপনি আপনার কাজের চিন্তা থেকে সরে গিয়ে সমাজকে দেখবেন এবং এতে আপনি আরও ভালো করে আপনার ব্যবসাকে সম্পন্ন করার প্রতি এবং সমাজের সেবা করার প্রতি মনোযোগী হবেন।

৬। পাঠ।

নিজেকে এক কদম এগিয়ে রাখতে বা আধুনিক রাখতে হলে সর্বোৎকৃষ্ট পথ হচ্ছে পাঠ করা। ইহা হতে পারে নিত্য নতুন খবরগুলো পাঠ করা, একটি ব্যক্তিগত উন্নয়ন বিষয়ক বই পাঠ, ব্যবসা সম্বন্ধীয় একটি বই পাঠ অথবা আপনার পছন্দ অনুযায়ী একজন সফল পুরুষের আত্ম জীবনী পাঠ করা। এতে আপনার চেতনা ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পাবে, আপনার চিন্তা প্রক্রিয়া গতিশীল হবে।

৭। পরিবার।


যখনই সময় পান একটু বিরতি নিন আপনার ভালোবাসার মানুষদের জন্য। এমনকি সপ্তাহে মাত্র ১ ঘণ্টাও যদি আপনি আপনার পরিবারের সাথে কাটান অন্যান্য সবকিছু চিন্তা হইতে সরিয়ে রেখে তবে ইহা আপনাকে কাজের চাপ, হতাশা দূর করে বাড়ির আনন্দে আনন্দিত করে তুলবে। সাফল্যমণ্ডিত পুরুষরা ইহা স্মরণ রাখে যে পরিবারের সাথে আনন্দে জীবন যাপন করা তাদের সাফল্যের সিঁড়িতে এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

"স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে।" চেতন ভগত।


থ্রি ইডিয়টস চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে চেতন ভগতের উপন্যাস অবলম্বনে। চেতন ভগত সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। জন্ম ভারতের নয়াদিল্লিতে, ১৯৭৪ সালের ২২ এপ্রিল। বই লেখার পাশাপাশি তরুণদের জন্য উৎসাহমূলক বক্তৃতা করেন তিনি। চেতন ভগত ২০০৮ সালের ২১ নভেম্বর দিল্লিতে হিন্দুস্তান টাইমস নেতৃত্ব সম্মেলনে এই বক্তৃতা দেন। 

"আমি নেতা নই। আমি একজন স্বপ্নচারী মানুষ যে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে জানে। আজ আমি বলতে এসেছি কীভাবে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারি। 

"বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আগে আমাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। ভেবে দেখো, সবাই সুখী, ধনী আর সফল প্রতিবেশীর সঙ্গেই বন্ধুত্ব করতে চায়, তাই না? যে পরিবারে সব সময় দ্বন্দ্ব আর ঝগড়া লেগেই থাকে, তাদেরকে সবাই এড়িয়ে চলে। জাতির ক্ষেত্রেও ঠিক একই নীতি প্রযোজ্য। আমাদের মধ্যে অসংখ্য সমস্যা আর বিভেদ। তবে আজ আমাদের প্রশ্ন এটা নয় যে এই সমস্যার দায় কার। আমাদের প্রশ্ন, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা হবে? 

"এমন দেশ গড়তে হবে যেখানে সবাই নিজের যোগ্যতা, উদ্যম আর পরিশ্রম দিয়ে উন্নতি করতে পারবে। যেখানে কেউ জিজ্ঞেস করবে না, তুমি কোথা থেকে এসেছ, সবাই জানতে চাইবে, তুমি কোথায় যচ্ছে। আমরা সবাই এমন দেশের স্বপ্ন দেখি। 

"এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে অনেক কিছু করতে হবে এবং রাজনীতিবিদদের দোষ দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আমি মনে করি, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের চিন্তাধারা অবশ্যই বদলাতে হবে, শুধু জনগণ নয়, নেতাদেরও একই কাজ করতে হবে। এগুলো হলো, ভেদাভেদের রাজনীতির বদলে ঐকমত্যের রাজনীতির প্রচলন করা, আভিজাত্যের খোলস ছেড়ে জনতার কাতারে মিশে যাওয়া এবং ব্যবহারিক ইংরেজির চর্চা করা। 

"প্রথমে রাজনীতির কথায় আসি। আমি পাঁচ বছর ধরে ভারতের তরুণদের পর্যবেক্ষণ করছি। শুধু বড় শহরগুলোতে নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে তাদের গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমাদের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশজুড়ে আছেন এই তরুণেরা, এঁরাই প্রকৃত ভোটব্যাংক। কিন্তু রাজনীতিবিদদের ভাষণে তরুণদের স্বপ্ন প্রতিফলিত হয় না। নেতারা এখন পুরোনো আমলের দেশপ্রেমের বুলি কপচান আর ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদি সংস্কারের মাহাত্ম্য প্রচার করেন। কিন্তু তরুণেরা আসলে কী চান? তাঁরা চান ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে, ভালো চাকরি করতে, নিজেদের সামনে আদর্শ হিসেবে অনুকরণীয় কাউকে পেতে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্থান করে দেওয়ার মতো এত আসন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নেই, চাকরির ক্ষেত্রেও তাই। তরুণদের সবচেয়ে বড় একতা এখানেই যে তাঁরা সবাই দেশকে এগিয়ে নিতে চান, উন্নতি করতে চান। তরুণদের এই স্বপ্ন পূরণের জন্য অবকাঠামো প্রয়োজন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এসব অর্জন করা মোটেই সহজ নয়, কিন্তু আমাদের মধ্যে একতা গড়ে তোলার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। 

"বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি দৃঢ় কিন্তু নিরপেক্ষ কণ্ঠের খুব প্রয়োজন। কেউ যখন কোনো ছুতোয় আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইবে, তখন সেই বিভেদ সৃষ্টিকারীর দলের কাউকেই জোর গলায় এর প্রতিবাদ করে তার অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। কেউ যদি বলে যারা মারাঠি নয়, তাদের আক্রমণ করা উচিত, তাহলে মারাঠিদের মধ্য থেকেই এই আগ্রাসী আহ্বানের প্রতিবাদ করতে হবে। জাতির বিবেকরূপী কণ্ঠস্বরই পারে সবাইকে দেশের স্বার্থে একত্র করতে। তরুণ প্রজন্মও তাই চায়। 

"দ্বিতীয়ত, আমাদের ঠুনকো আভিজাত্যের অহংকারে মাটিতে পা না ফেলার অভ্যাসটা একটু বদলাতে হবে। যখনই কেউ একটু সফল, একটু বেশি শিক্ষিত, ধনী, বিখ্যাত, মেধাবী কিংবা সংস্কৃতিমনা হয়ে ওঠে, সে নিজেকে খুব একটা কেউকেটা ভাবা শুরু করে। নিজেকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে আলাদা করে এমন লোকদের সঙ্গে মেলামেশা করা শুরু করে, যারা সাধারণ মানুষকে মানুষ বলেই মানতে নারাজ। বায়বীয় বুদ্বুদে বুদ্ধিজীবী পরিবেষ্টিত হয়ে থাকতে ভালো লাগে মানি, কিন্তু এই বুদ্ধির উপযোগিতা কোথায়? 

"টিভি খুললে শতকরা ৭০ ভাগ সময় দিল্লি, মুম্বাই কিংবা বেঙ্গালুরুর খবর দেখতে পাই, কিন্তু শুধু এই তিনটি শহর নিয়েই ভারত নয়। ভারতের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ এসব শহরে থাকে না। তাদের খবর যদি গণমাধ্যমে যথাযথভাবে প্রচার করা না হয়, দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে? আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব করতে বলছি না। দেশে ব্যবসা করতে হলেও জনগণকে জানতে হবে, তাদের চাহিদা বুঝতে হবে। এতে মানসম্মান নষ্ট হয় না। আমার বই রেলস্টেশনে, শহরের অলিগলিতে বিক্রি হয়। এতে তো পাঠকের চোখে আমি সস্তা হয়ে যাই না। শুধু মুম্বাইয়ের মঞ্চে হেঁটে চলা মডেলরা কী পরেছে, তা নয়, ইন্দোর আর রায়পুরের রাস্তায় হেঁটে চলা মানুষেরা কী ভাবছে, তা-ও জানতে হবে। মেকি আভিজাত্য না দেখিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। শুধু অপসংস্কৃতির ধুয়ো তুলে গালিগালাজ করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। 

"সবশেষে আমি বলতে চাই, ইংরেজি শেখার ব্যাপারে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই আর পরীক্ষার খাতায় সীমাবদ্ধ না রেখে, ইংরেজি শিক্ষা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমি একজন গ্রামের ছেলেকে হিন্দিতে জ্যামিতি বা পদার্থবিদ্যা শেখাতে পারি, কিন্তু সে যখন চাকরি খুঁজতে যাবে, তখন সেটা তার খুব একটা কাজে লাগবে না। কিন্তু ইংরেজি তাকে একটা ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করবে। ইংরেজির প্রসার ঘটিয়ে আমরা যদি দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারি, তাহলে আমরা সংস্কৃতি রক্ষার জন্য অনেক উদ্যোগ নিতে পারব, কিন্তু অসংখ্য মানুষকে বেকার কিংবা ক্ষুধার্ত রেখে আর যা-ই হোক, সংস্কৃতি রক্ষার কথা ভাবা যায় না। 

"এসব শুধু বক্তৃতা করার জন্য বলা নয়, আমাদের নিজেদের অবস্থান থেকেই আমরা কোনো না কোনোভাবে এই কাজগুলো করতে পারি। অন্তত বন্ধুদের আড্ডাতেই না-হয় সবাই কিছুক্ষণ এটা নিয়ে কথা বললেন। যদি আরও কোনো উপায়ে এই ধারণাগুলো দশজনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন, তবে তা-ই করুন। আজ আমরা এখানে বসে চমৎকার বক্তৃতা শুনছি, এর অর্থ হচ্ছে আমাদের অনেক কিছু আছে, যা এ দেশের কোটি কোটি মানুষের নেই। দেশের কাছ থেকে তো অনেক কিছুই নিলাম, আসুন, এবার ভেবে দেখি, দেশকে আমরা কী দিতে পারি। 

"সূত্র: ওয়েবসাইট, ইংরেজি থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: অঞ্জলি সরকার

আমি জনাব চেতন ভগতের সাথে একমত এবং আমি আরও একটি ব্যাপার সংযুক্ত করতে আগ্রহী। ব্যাপারটি হচ্চে আমাদেরকে গবেষণা করতে হবে এবং গবেষণার প্রতি বিনিয়োগ ও মনোযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। যেকোন বিষয়ের উন্নতির জন্য গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইহা কঠিন কিছু নয়। একজন পুরুষ তার নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তথ্যগুলোকে বিশ্লেষণ করে - গবেষণা করে জীবনে সাফল্য অর্জন করবে।

সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আরেকবার পরিকল্পনা করে এগিয়ে যান।

যখন আপনি হতাশ এবং নিম্নমুখী অনুভব করেন, তখন আরও হতাশ বা কাজটি ত্যাগ করার দরকার নেই। এক মুহূর্ত থামুন, চিন্তা করুন যে আপনি এ পর্যন্ত এসেছেন। আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করার দীর্ঘ পথের অনেকদূর আপনি চমৎকার করে পার করেছেন, সমস্যা এসেছিল আপনি সেগুলোর সমাধান করেছেন। তাহলে আজ কেন ত্যাগ করবেন? অতীত ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং আরেকবার পরিকল্পনা করে কেন এগিয়ে যাবেন না?

শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

আপনার মনকে সাহস যোগাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে ১০টি অনুপ্রেরণামূলক বাক্য।

৪১। ছোট্ট একটু ভালো কাজ করুন যেখানেই আপনি থাকুন না কেন। এভাবে সেই ছোট্ট একটু ভালো কাজগুলো একসাথে এই পৃথিবীকে সম্পূর্ণ ভরিয়ে তুলবে। - ডেসমন্ড টুটু



৪২। নিজেকে প্রশ্ন করুন - আমি কি আমার স্বপ্নকে ভুলে যাব অথবা আমার স্বপ্নের জন্য কাজ করবো?

৪৩। বিজয়ীরা হচ্ছে সাধারণ লোকজন যাদের আছে অসাধারণ হৃদয়।

৪৪। সবশেষে সাফল্য পথের সকল ভুলগুলো মুছে দেয়। সাফল্য অর্জনই একমাত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্য।

৪৫। আমি হয় পথ খুঁজে নেবো, নাহয় নিজেই পথ বানিয়ে নেবো।

৪৬। আপনি যত বেশি অতীতের প্রতি ঘৃণা পোষণ করবেন, আপনি তত বেশি আপনার মনকে বিষাক্ত করে তুলবেন এবং আপনার বর্তমানকে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। অতীত ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যান, বর্তমানকে কাজে লাগান। প্রতিদিন আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে কাজ করে যান।

৪৭। যদি একজন পুরুষের মন তার লক্ষ্য পূরণ করার ব্যাপারে বিশ্বাসী হয়, পুরুষটির মন ইহা অর্জন করতে পারবে। - নেপোলিয়ন হিল

৪৮। একজন ব্যক্তির একটি অঙ্গীকার একশত ব্যক্তির চেয়ে উত্তম যাদের কেবলমাত্র একটি আগ্রহ আছে। - মেরী ক্রাউলী
২০১৬ এর জন্য আপনার অঙ্গীকার কি?

৪৯। সেখানে কোন সংক্ষিপ্ত পথ নেই। বিজয় নির্ভর করে  প্রতিদিনের বাধাগুলো অতিক্রম করার ওপর।

৫০। আপনি আজকে যেখানে আছেন সেখানে আপনার চিন্তাগুলো আপনাকে নিয়ে এসেছে; আপনি আগামীকাল সেখানে যাবেন যেখানে আপনার চিন্তাগুলো আপনাকে নিয়ে যাবে। - জেমস এলিন

তথ্য সহযোগিতায় -
ক। Global Citizens.
খ। Success Magazine.
গ। Spirit Science.

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে নিজেকে তৈরী করুন একজন যোগ্য নেতা রূপে।


আজ আমরা নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করবো। নেতৃত্ব হচ্ছে পরিচালিত করা। ইহা উভয় সম্মুখ দিকে বা পশ্চাৎ দিকে পরিচালিত করা হতে পারে। ইহা নির্ভর করে যিনি নেতৃত্ব দিবেন তার চিন্তা এবং মনোভাবের ওপর। আপনি যদি আপনার চয়নকৃত পেশায় নেতৃত্ব দিতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে নেতৃত্ব সম্বন্ধে এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্বন্ধে জানতে হবে এবং এই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

এই পৃথিবীতে দুই রকমের পুরুষ রয়েছে। এক রকম যারা পরিচিত নেতা রূপে এবং অন্যরা অনুসারী রূপে। প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি কোন ধাপে থাকতে চান। আপনি কি আপনার চয়নকৃত পেশায় নেতা রূপে বিরাজ করতে চান বা অনুসারী রূপে থাকতে চান? একজন নেতা এবং একজন অনুসারীর মধ্যকার বড় পার্থক্য হচ্ছে তাদের সেবার বিনিময় মূল্য যার পার্থক্য খুবই বিশাল।

একজন অনুসারী হওয়া অসম্মানজনক নয়। অপর পক্ষে, একজন অনুসারী হয়ে থাকাতে কোন খ্যাতিও নেই। তবে বেশিরভাগ নেতারা আরম্ভ করেছিলেন অনুসারীর স্থান থেকে। তারা মহান নেতা ছিলেন কারণ তারা ছিলেন বুদ্ধিমান অনুসারী। কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত, যে পুরুষ একজন নেতাকে বুদ্ধিমত্তার সাথে অনুসরণ করতে পারে না, সে একজন দক্ষ নেতা হয়ে উঠতে পারে না। নেতার কাছ থেকে একজন অনুসারীর শিক্ষার অন্যতম বিষয় হচ্ছে যে তার নেতার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ।

নেতৃত্বের প্রধান গুণাবলী হচ্ছে –

ক। স্থির সংকল্প সাহস।
খ। আত্ম নিয়ন্ত্রণ।
গ। ন্যায়বিচার সম্পর্কে তীক্ষ্মধার অনুভূতি।
ঘ। সিদ্ধান্তের স্থিরতা।
ঙ। পরিকল্পনাগুলোর স্থিরতা।
চ। বিনিময় মূল্যের অধিক কাজ করার অভ্যাস।
ছ। একটি আনন্দদায়ক ব্যক্তিত্ব।
জ। সহানুভূতি এবং বুঝজ্ঞান।
ঝ। পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে দক্ষ।
ঞ। পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষা।
ট। সহযোগিতা।

নেতা কখনও স্বয়ংক্রিয়ভাবে জন্ম হয় না। নেতা হতে হলে নিজেকে উপরোক্ত গুণাবলী দিয়ে তৈরী করতে হয়। নিজেকে তৈরী করুন নেতা রূপে এবং জীবনে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যান।

তথ্য সহযোগিতায় – নেপোলিয়ন হিলের চিন্তা করুন এবং ধনী হোন। সাফল্য প্রকাশনী।

বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ফেব্রুয়ারি মাসের পরিকল্পনাঃ ১০টি সূত্র আপনাকে করে তুলবে আরও কার্যক্ষম এবং গ্রহণক্ষম।


পরিকল্পনা হচ্ছে আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে অতি আবশ্যক এবং সহায়ক। ইহা পথ নির্দেশিকার মতন। যা আপনাকে প্রতিনিয়ত সঠিক রাস্তায় রাখার প্রতি স্মরণ করিয়ে দিবে। ঠিক রাস্তায় চলার এই নিশ্চয়তা আপনার আত্মবিশ্বাসকে প্রতিনিয়ত করে তুলবে আরও বলশালী। ঠিক ধারণা আপনাকে আজকে ১০টি সূত্রের ব্যাপারে জানাবে যাতে আপনি আপনার কাজগুলো আরও দক্ষভাবে করে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন।

চলুন, আরম্ভ করা যাক!

১। যেতে থাকুন।
কাজ করার জন্য একটি পরিকল্পনা সৃষ্টি করুন যা আপনার পছন্দ অনুযায়ী হয় এবং ইহার সাথেই যেতে থাকুন। সপ্তাহজুড়ে এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যান। ঠিকভাবে কাজ করতে বারবার দেখুন এবং স্মরণ করুন আপনার পরিকল্পনা, যথাযথভাবে।

২। অজুহাত ত্যাগ করুন।
এখন থেকে দিনের বাকি অংশ পর্যন্ত কোন অজুহাত না দেওয়ার চেষ্টা করুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন এবং নিজের যা আছে তার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান।

৩। পরিমাপ করুন।
বিকালে কাজ শেষ করার পূর্বে আপনার পরিকল্পনাটি আবার দেখুন। কতদূর এগিয়ে গিয়েছেন তা দেখুন এবং কলম দিয়ে দাগ দিন। এভাবে পরিমাপ করলে আপনার একটি হিসাব থাকবে আপনার উদ্দেশ্যগুলোর প্রতি।

৪। আড্ডা দিন।
সপ্তাহ শেষে, একজন বন্ধুর সাথে দেখা করুন যার সাথে দীর্ঘদিন আলাপ হয়নি। দেখবেন এই আলাপ আপনার মেজাজকে ইতিবাচক করে তুলেছে।

৫। সময়সীমা।
এখন থেকেই, চিহ্নিত করুন আপনার সময় কিভাবে ব্যয় হয়। যেভাবে ব্যয় করেন তাই একটি খাতায় লিখুন। তারপর সেই পথগুলো খুঁজুন যাতে আপনি এই সময়ের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেন। ধীরে ধীরে এগিয়ে যান। হয়ত পূর্বে ৬ ঘণ্টা আড্ডা দিতেন, পরবর্তী সময় ইহাকে ৫ ঘণ্টায় নামিয়ে আনুন। যতক্ষণ পর্যন্ত ৫ ঘণ্টায় না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান।

৬। অনুপ্রেরণার একটি ঝলক খুঁজুন।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চিন্তা করুন আপনি কি সম্বন্ধে অধিক আগ্রহী। এতে আপনার মস্তিষ্ক সজীব এবং উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠবে যা আপনি পরবর্তী সময় কাজে লাগাতে পারবেন।

৭। হীন আলাপ বন্ধ করুন।
আগামীকাল সকালে উঠে সুন্দর একটি সকালের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ দিন, হাতমুখ ধুয়ে হাসি মুখে আয়নার সামনে দাঁড়ান এবং নিজের প্রশংসা করুন যে আপনি দেখতে সুন্দর এবং সুস্থ আছেন। আপনার কাজের প্রথম ঘণ্টাটি যতটা সম্ভব উৎসাহের সাথে কাজ করে যান।

৮। পছন্দনীয় বাক্য খুঁজুন।
একটি বাক্য চয়ন করুন যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে। ইহাকে লিখে রাখুন এবং এমন জায়গায় রাখুন যাতে ইহাকে প্রতিদিন দেখতে পারেন। এখনই এই কাজটি করুন।

৯। আওয়াজ করে বলুন।
আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্বন্ধে আওয়াজ করে বলুন, যাতে কানে পরিষ্কার শুনতে পান এবং আপনার মনে একটি পরিষ্কার চিত্র তৈরী হয় আপনার গন্তব্য সম্বন্ধে। এইভাবে আপনি আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্যের প্রতি এগিয়ে যেতে থাকবেন। আজই এই অভ্যাসটি চালু করুন।

১০। লাফ দিয়ে বেড়া ডিঙান।
আপনার সমস্যাগুলো কি আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে আপনাকে থামিয়ে রাখছে? এক মুহূর্ত থামুন এবং ইহা সম্বন্ধে চিন্তা করুন। একটি কাগজে লিখুন সমস্যাটি এবং সম্ভাব্য সমাধানগুলো লিখে ফেলুন। তারপর আপনি কোন সমাধানটি কাজে প্রয়োগ করবেন সিদ্ধান্ত নিন, একটি পরিকল্পনা তৈরী করুন এবং ইহা অনুযায়ী তাৎক্ষণাৎ কাজ করুন।

তথ্য সহযোগিতায় – www.success.com