সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯

প্রতিকূল অবস্থা নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে।

আমি বিশ্বাস করি জীবনে যদি সমস্যা না থাকে তবে তা আমাদের সম্ভাবনাকে সীমিত করে ফেলে। এজন্যই আমি যত উদ্যোক্তাদের দেখি তাদের প্রত্যেকের জীবনে অসংখ্য বাধাবিপত্তি ও প্রতিকূল অবস্থার ঘটনা খুঁজে পাই। আর তাদের সেই বাধাবিপত্তি ও প্রতিকূল অবস্থাই তাদের সামনে নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। উদাহরণ স্বরূপ, বার্নাই মার্কাসের (Bernie Marcus) কথা বলা যায়। তিনি এক দরিদ্র রাশিয়ান কাঠমিস্ত্রির সন্তান ছিলেন। তিনি নিউ জার্সির হেন্ডি ডেন নামক এক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। (হেন্ডি ডেন নিজের-কাজ-নিজে-করুন এমন একটি হার্ডওয়ার বা হাতুড়ি পেরেকের দোকান।) তাকে হঠাৎ চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

(ছবিসূত্র : https://bensbargains.com/thecheckout/features/5-best-5-worst-things-to-buy-at-home-depot/)

তখন ১৯৭৮ সাল। চাকুরিচ্যুত হয়ে মার্কাস আর্থার ব্ল্যাংকের (Arthur Blank) সাথে মিলে তাদের নিজস্ব ব্যবসা আরম্ভ করেন। ১৯৭৯ সালে তারা তাদের প্রথম দোকান নেয় জির্জিয়ার আটলান্টাতে। এর নাম ছিল হোম ডিপোট। আজকে আমেরিকায় হোম ডিপোটের ৭৬০ টিরও বেশি দোকান আছে। সেখানে ১ লাখ ৫৭ হাজার লোক কাজ করে। তারা তাদের ব্যবসা দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রতি বছর তাদের বাৎসরিক বিক্রয় হয় ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। [বাংলাদেশের ২০১৯-২০ বাজেটের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। হোম ডিপোটের মতো একটি কোম্পানির বাৎসরিক বিক্রয় বাংলাদেশের এক বছরের ব্যয়ের অর্ধেক। এতে করে আপনি সহজেই বুঝতে পারছেন ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ আয়ের ব্যাপ্তি কত বিশাল হতে পারে। আর সেবার বিস্তৃতি তো আরও ব্যাপক।]

(ছবিসূত্র : https://en.wikipedia.org/wiki/The_Home_Depot)

আমি নিশ্চিত, বার্নাই মার্কাস তার চাকরি চলে যাওয়া খুব একটা খুশি হননি। কিন্তু তিনি যদি চাকরিতেই থাকতেন তবে কে জানে, তিনি আজকে যে সাফল্য অর্জন করেছেন তা অর্জন করতে পারতেন কিনা।

সামনে এরকম আরও কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করা হবে যেখানে আপনি দেখতে পাবেন প্রতিকূল অবস্থা কীভাবে নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। ঠিক ধারণার সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

নতুন বছরে এমন স্বপ্ন দেখুন যা আগে কখনো দেখা হয়নি

ব্যবস্থাপনা বিষয়ক খ্যাতিমান লেখক পিটার ড্রুকার (Peter Drucker) বলেন, 'পরিকল্পনা কেবল এক নামকাওয়াস্তের উদ্দেশ্যে পরিণত হয় যদি না তা আপনাকে তাৎক্ষণিক কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করে।' (Plans are only good intentions unless they immediately degenerate into hard work.) আগামী ২০২০ সালের জন্য কী পরিকল্পনা করছেন যা আপনাকে আপনার স্বপ্ন পূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে?


জন এফ কেনেডি (John Fitzgerald Kennedy) ১৯৬৩ সালের ২৮ জুন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে স্বপ্ন সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, 'আমাদের এমন পুরুষ দরকার যারা এমন সব স্বপ্ন দেখতে পারবে যা আগে কখনো দেখা হয়নি।' (We need man who can dream of things that never were.)


স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে একে অপরকে সহায়তা করতে হয়। এ ব্যাপারে অনুপ্রেরণার লেখক ও বক্তা জিগ জিগ্লার (Zig Ziggler) উত্তম বলেছেন, 'একে অপরকে ধ্বংস করার চেয়ে একে অপরকে উন্নত হতে সহায়তা করুন।' (Help each other grow instead of destroying each other.)

২০২০ সালের জন্য আপনার পরিকল্পনা করুন, স্বপ্ন দেখুন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে একে অপরকে সহায়তা করুন।

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

প্রতিকূল অবস্থার সুবিধা

মনোবিদ ড. জয়চি ব্রাদার্স বলেন, ‘যে ব্যক্তি জীবনে সাফল্য অর্জন করতে চায় তাকে অবশ্যই ব্যর্থতাকে একটি সুস্থ্য স্বাভাবিক বিষয় হিসাবে ধরে নিতে হবে। একে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করতে হবে।’ এমনকি বাধাবিপত্তি ও ব্যর্থতাকে সাফল্য অর্জনের পথে বাধা তো নয়ই; বরং অনেকটা দিকনির্দেশনার মতো। সাফল্য অর্জনের জন্য পথে এদেরকে আবশ্যকীয় উপাদান হিসাবে চিন্তা করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিকূল অবস্থার অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে কিছু মৌলিক সুবিধা সম্পর্কে উল্লেখ করা হল যাতে করে আরও সহজে প্রতিকূল অবস্থাকে বোঝা যায় :


প্রতিকূল অবস্থা জীবনকে প্রাণবন্ত করে তোলে


প্রতিকূল অবস্থা ও ব্যর্থতার মতো আর কোন কিছু জীবনকে এত প্রাণবন্ত করতে পারে না। ১৯৮০ সালের দিকে টাইম ম্যাগাজিন একদল লোকের ওপর জরিপ চালায়। এ জরিপ থেকে মানুষ প্রতিকূল অবস্থায় পড়লে জীবনের যে প্রাণচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পায় তাই ফুটে ওঠে। তারা এমন একদল লোকের ওপর জরিপ চালায় যারা কোম্পানির প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তিন তিনবার চাকরি হারিয়েছেন। মনোবিজ্ঞানীরা চিন্তা করলেন এরা নিশ্চয় হতাশ হয়ে পড়েছে। কিন্তু ফলাফল দেখা গেল তার বিপরীত; তারা বরং আশাবাদী। তাদের প্রতিকূল অবস্থা বরং তাদের জন্য এক ধরনের সুবিধা তৈরি করেছে। যেহেতু তারা প্রথমবার চাকরি হারিয়ে আবার চাকরির জন্য চেষ্টা করেছে, এরপরও এরকম দুইবার ঘটেছে, ফলে দেখা যায় তারা অন্য যারা কেবল এক কোম্পানিতেই চাকরি করেছে এবং কখনো চাকুরিচ্যুত হয়নি তাদের চেয়ে বেশি দক্ষভাবে বাধাবিপত্তি বা প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে পারে। তাই প্রতিকূল অবস্থাকে গ্রহণ করুন এবং জীবনকে প্রাণবন্ত করে তুলুন।

প্রতিকূল অবস্থা যে জীবনকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে তা দেখার জন্য একটি চলচ্চিত্র দেখতে পারেন। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ফরেস্ট গাম্প (Forrest Gump)


বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

বাধাবিপত্তি কী একজনের মনোভাবকে উন্নত করতে পারে?


শিল্পী ডেভিড বেলিস ও টেড ওরল্যান্ড একবার এক আর্ট শিক্ষকের কথা বলেছিলেন। আর্ট শিক্ষক তার ক্লাসের শিক্ষার্থীদের দুই ভাগে ভাগ করেন এবং এক ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা চালান। পরীক্ষাটি ছিল ব্যর্থতার সুবিধা নিয়ে। পরীক্ষার ফলাফল ছিল এমন :


মৃৎশিল্পের শিক্ষক একদিন তার ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জানালেন তিনি আজকে ক্লাসের শিক্ষার্থীদের দুই ভাগে ভাগ করে দিবেন। ক্লাসের সকলকে ছবি আঁকতে হবে। ক্লাসের বাম দিকে যারা আছেন তাদেরকে কেবল ছবির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে গ্রেড নম্বর দেওয়া হবে। আর ক্লাসের ডান দিকে যারা আছেন তাদেরকে কেবল ছবির গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে গ্রেড নম্বর দেওয়া হবে। পদ্ধতি বেশ সহজ : যারা পঞ্চাশটি ছবি আঁকবে তাদেরকে ‘এ’ গ্রেড। চল্লিশটির জন্য ‘বি’ গ্রেড। আর যাদেরকে গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে গ্রেড নম্বর দেওয়া হবে তাদেরকে কেবল একটি ছবি আঁকলেই হবে। এক মাস পর সকলেই তাদের ছবি নিয়ে হাজির হল। দারুণ বিষয় হল : যারা পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ছবি এঁকেছে তারা গুণগত মানের ওপর ভিত্তি করে আঁকা ছবির চেয়ে বেশি ভালো করেছে। এখান থেকে দেখা গেল : পরিমাণ ভিত্তিক দলটি অনেক বেশি ছবি এঁকেছে, ভুল করেছে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে এবং আবার এঁকেছে। আর গুণগত মান ভিত্তিক দলটি অনেক বেশি তত্ত্ব নিয়ে আলাপ করেছে, যথার্থ ছবি বা ছবির পরিপূর্ণতা নিয়ে অনেক আলাপ করেছে কিন্তু কাজকর্মের মাধ্যমে সেই চেষ্টা তুলে ধরতে পারেনি।


শিল্প, ব্যবসা, খেলাধূলা, সম্পর্ক বা অন্য যেকোনো ধরনের কাজকর্মে আপনার কী উদ্দেশ্য তা কোনো ব্যাপার নয়। আসল ব্যাপার হল― সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পন্থা হচ্ছে আগে আগে ব্যর্থ হোন, প্রায়ই ব্যর্থ হোন এবং ব্যর্থ হয়েও সামনে এগিয়ে যান (The only way you can get ahead is to fail early, fail often, and fail forward)।

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

ইতিবাচক অভ্যাস গঠন করুন।



মনোভাব হচ্ছে এক ধরনের চিন্তার অভ্যাস।  [একজন মানুষ তার নিজের অভ্যাস নিজেই তৈরি করতে পারে।  এ অভ্যাস হতে পারে ভালো বা মন্দ।] অভ্যাস ভালো হোক বা মন্দ হোক, এসব অভ্যাস তৈরির পদ্ধতি কিন্তু এক।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য যেমন ভালো অভ্যাস তৈরির পদ্ধতি খুব সহজেই অনুসরণ করা যায়, আবার তেমন ব্যর্থ হওয়ার জন্য মন্দ অভ্যাসও খুব সহজেই অনুসরণ করা সম্ভব।

অভ্যাস আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি বা স্বাভাবিক প্রবণতা নয়। অভ্যাসের জন্য ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া দরকার।  হঠাৎ করে অভ্যাস তৈরি হয় না।  এগুলো গঠনের পিছনে কারণ থাকে।  [দীর্ঘদিনের চর্চা থাকে।  অনেকদিন ধরে একই ধরনের কাজ করে যাওয়া হয় অথবা একই ধরনের কাজ না করা হয়।] যখন আমরা অভ্যাস তৈরির প্রকৃত কারণ খুঁজে পাই, সেই কারণ সম্পর্কে দৃঢ়চেতা হয়ে উঠি তখন তা কর্মে প্রকাশ করার ব্যাপারে আমরা উদ্বুদ্ধ হই। এ সময়ও আমরা অভ্যাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম।  সেই কারণ সম্পর্কে আমরা সচেতন হওয়ার পর আমরা অভ্যাস গঠন করব নাকি করব না, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমাদের আয়ত্তের মধ্যে।  আমরা অভ্যাস তৈরির জন্য দরকারি কাজগুলো করতে পারি অথবা সেগুলো থেকে বিরত থাকতে পারি।  আমাদের সেই নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আছে।  বেশিরভাগ লোকজন অভ্যাস দ্বারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রিত মনে করে।  যখন সেসব অভ্যাসগুলো মন্দ বলে বিবেচিত হয় তখন তারা নেতিবাচকভাবে মনোভাব পোষণ করে।


নিচের ধাপগুলো আপনাকে আপনার মন্দ অভ্যাস দূর করে ভালো অভ্যাস গঠনে সহায়তা করবে :


ধাপ #১ : আপনার মন্দ অভ্যাসগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন।

ধাপ #২ : এগুলোর প্রকৃত কারণ কী?

ধাপ #৩ : এগুলো সমর্থন করে এমন সহায়ক কারণ কী?

ধাপ #৪ : মন্দ অভ্যাসের বদলে ভালো ও ইতিবাচক এক অভ্যাস বেছে নিন।

ধাপ #৫ : ভালো অভ্যাসটি নিয়ে চিন্তা করুন। এর সুবিধা ও ফলাফল নিয়ে চিন্তা করুন।

ধাপ #৬ : এই অভ্যাস গঠন করার জন্য কাজ আরম্ভ করুন।

ধাপ #৭ : এই অভ্যাসকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য প্রতিদিন কোন না কোন কাজ করুন।

ধাপ #৮ : ভালো অভ্যাসের দরুন একটি সুবিধা লাভ করে থাকলে নিজেকে তার জন্য পুরস্কৃত করুন।

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯

গর্তে পড়ে যাওয়া এক ব্যাং।


একদিন এক ব্যাং রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সে বড় এক গর্তে পড়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও উঠতে পারল না। পাশ দিয়ে এক খরগোশ যাচ্ছে। গর্তে ব্যাং দেখে তার মায়া হল। সেও চেষ্টা করল। কিন্তু ব্যাংকে গর্ত থেকে বের করতে পারল না। এসময় জঙ্গল থেকে আর পশুপাখি এল। তারা সকলে মিলে চেষ্টা করল। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হল না। পশুপাখিরা বলল, ‘তোমার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসি। যেহেতু তোমাকে কিছু সময়ের জন্য এখানেই থাকতে হবে।’ এই বলে তারা কিছুদূর এগিয়ে গেল। এমন সময় পিছন ফিরে দেখল সেই ব্যাংটি লাফিয়ে লাফিয়ে আসছে। পশুপাখিরা তো অবাক। জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি উঠলে কী করে?’ ব্যাং বলল, ‘আমি দেখলাম একটি বড় ট্রাক গর্তের ওপর এসে পড়ছে। তখন আমাকে গর্ত থেকে বের হতেই হল।’

আমরাও জীবনের গর্ত থেকে তখন বের হই যখন বের হতেই হবে। ঠিক সেই ব্যাং এর মতো। যতক্ষণ আমাদের হাতে চেনাজানা পন্থা আছে ততক্ষণ আমরা পরিবর্তিত হব না। সত্য কথা হচ্ছে বেশিরভাগ লোকজন পুরাতন সমস্যার নতুন কোন সমাধান করার চেয়ে পুরাতন সমস্যা নিয়ে থাকতেই বেশি আরামবোধ করে। যেমন ময়লা রাস্তা পরিষ্কার করার নতুন কোন সমাধান করার চেয়ে মানুষ ময়লা নিয়ে থাকতেই বেশি আরামবোধ করে। তারা নতুন কোন সমাধান করার ক্ষেত্রে কেমব্রিজের নবাবের মতো বক্তব্য দেয়।

তিনি বলেছিলেন, ‘যেকোনো সময়ে, যেকোনো কারণ থাকলেও কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটানো নিন্দার বিষয়।’

যেসব মানুষ বিশ্বাস করে প্রথমবার বলে এ কাজ করা যাবে না তারা কোনোদিন কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারে না।

মানুষের পক্ষে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভব। আর এ কথাই হচ্ছে অনুপ্রেরণার মূল কথা। আপনি যখন অনুধাবন করবেন আপনাকে সবসময় একই রকম থাকার কোনো দরকার নেই তখন আপনার আকাঙ্ক্ষা জ্বলে উঠবে। আপনি তখন নিজের মধ্যে পরিবর্তনের এক জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা অনুভব করবেন। পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করুন। পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের প্রেমে পড়ে যান এবং দেখবেন পরিবর্তিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা কী করে বেড়ে উঠছে।

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) বইয়ের পর্যালোচনা


অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) বই কী নিয়ে? ১৭টি অধ্যায় নিয়ে অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) বই। প্রথমে জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। লেখক রাসেল এইচ. কনওয়েল হয়েছে ভারতবর্ষের এক গল্প দিয়ে তার বক্তব্য আরম্ভ করেন। ভারতবর্ষের জনগণ একজন রাজা খুঁজছেন। জ্যোতিষীরা নক্ষত্র গণনা করলেন।

নক্ষত্র জবাব দিল :

"দেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুঁজে দেখুন এবং যখন আপনি এমন একজন পুরুষকে খুঁজে পাবেন যাকে পশুপাখিরা অনুসরণ করে, সূর্য সেবা করে, পানি মেনে চলে এবং মানুষজন ভালোবাসা, তখন আপনাকে তার বংশ পরিচয় সম্পর্কে জানার দরকার নেই। সেই পুরুষই হবে রাজ্যের কাঙ্ক্ষিত উত্তরাধিকারী যিনি সিংহাসনে বসার যোগ্য ও রুপার মুকুটের অধিকারী।"

বইয়ের আরও প্রবন্ধগুলোর মধ্যে হচ্ছে কে প্রকৃত নেতা?, নারীর প্রভাব, গৃহপাঠ, আত্ম সহায়তা সহ প্রভৃতি। 


চিত্র : অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) বইয়ের সূচি।

পর্যবেক্ষণ বই কেন পড়বেন? ব্যক্তির নিজের উন্নতির জন্য পর্যবেক্ষণ দরকার। যদি আপনি মানুষের জন্য উপকারী সেবা সম্পন্ন করতে চান তাতেও পর্যবেক্ষণ দরকার। অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) বইয়ের ১৪ পৃষ্ঠা থেকে উদ্ধৃত : 

"শিকারি বলল, যখন আমি পাহাড়ে ফিরে এলাম আমি লক্ষ্য করলাম পাহাড়ের পাশেই একটি বড় গোল পাথর পড়ে আছে" শিকারি সেই পাথর সরিয়ে এক গর্ত করল। সেখানে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে রাখল। যাতে করে পাহাড়ের নিচের মানুষজন গ্রীষ্মকালে পানি ব্যবহার করতে পারে।

এই যে লক্ষ্য করার বিষয় বলা হয়েছে এই হচ্ছে পর্যবেক্ষণ। "ডক্টর জনসন, বলেন কিছু মানুষ দশ মাইলের পথ হেঁটে যা দেখতে পায় তা অন্যরা পুরো দেশগুলো দেখতে পায় না।" - পৃষ্ঠা ৫৯।

এভাবে আরও বহু গল্প, ঘটনা ও তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে লেখক পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। আশা করি এই বই আপনাকে সমৃদ্ধ করবে।

তথ্যসূত্র : অবজারভেশন। মূল : রাসেল এইচ. কনওয়েল। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯

কীভাবে বই পাঠ করবেন? (জ৪প পদ্ধতি)

বাংলাদেশের পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে আমি (ফজলে রাব্বি) অনুবাদ করার ক্ষেত্রে দেশের সংস্কৃতি বিবেচনা করেছি। আমি বিভিন্ন ভাষার বই, সংবাদ, চলচ্চিত্র, আলোচনা, অডিও, ভিডিও এবং বন্ধুদের সাথে আড্ডায় পাঠককে বোঝাতে সহায়ক যেসব উদাহরণ পেয়েছি তা প্রয়োগ করেছি। পাঠকের সাফল্য সম্বন্ধে সহযোগিতা করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। তাই এ কথাকে আমি সাফল্য প্রকাশনীর স্লোগান হিসাবে ব্যবহার করি। আমি পূর্বে উল্লেখ করেছি : পাঠ → বোঝা → উপলব্ধি। আমি পাঠ করি, পাঠ করার পর বোঝার চেষ্টা করি এবং পাঠকের কাছে বোধগম্য রূপে উপস্থাপনের চেষ্টা করি। আমি পাশ্চাত্যের বক্তব্য পদ্ধতি অনুসরণ করি― যে বক্তা তার দায়িত্ব হচ্ছে শ্রোতা বা পাঠককে বক্তব্য সম্পর্কে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলা। আপনি এ সম্পর্কে আরও পাঠ করতে পারেন― আউটলায়ার্স। মূল : ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল। অনুবাদ : এ.এম. নাইম হোসেন ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৮। পৃ. ১২২। এরপর উপলব্ধির জায়গায় পাঠক সেই শিক্ষা বাস্তবে প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা উপলব্ধি করবে।

বই পাঠ করার সবচেয়ে সহজ ও প্রচলিত উপায় সম্পর্কে বলছি। এর জন্য আমি আমার শিক্ষক অধ্যাপক মো. আলী নকী স্যারের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। বই পড়ার উত্তম ও কার্যকর এই পদ্ধতির নাম জ৪প। জ’তে জরিপ, আর ৪প মানে― প্রশ্ন, পাঠ, পুনরূদ্ধার, পর্যালোচনা। জ৪প পদ্ধতিকে চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হল :



জরিপ

১। বইয়ের মূল বক্তব্য কী?
বইয়ের আকার আয়তন, প্রচ্ছদ, বাঁধাই, কাগজ, ছাপা, ঘ্রাণ ইত্যাদি পরখ করে দেখুন।
নাম, শিরোনাম ও উপশিরোনামের দিকে লক্ষ করুন।
ছবি, তালিকা, টেবিল বা মানচিত্রের নিচের লেখা পাঠ করুন।
সূচনার দিকে লক্ষ দিন। শেষ অনুচ্ছেদ দেখুন। প্রায়ই দেখা যায় শেষ অনুচ্ছেদে মূল বক্তব্য বলার চেষ্টা করা হয়।

প্রশ্ন

এই অধ্যায় কী নিয়ে?
এই অধ্যায়ে কী কী প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে?
এই তথ্য আমাকে কীভাবে সহায়তা করবে?

পাঠ

বই থেকে বইকে উপলব্ধি করা।
আপনার প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন।

পুনরূদ্ধার

পূর্বে জানা কোনো জ্ঞানকে বর্তমান বই থেকে লব্ধ জ্ঞানের সাথে সমন্বয় করা।
কারও সাথে বইয়ের বিষয় নিয়ে আলাপ করুন। এতে করে আপনি যা কিছু পড়ে তা আরও পরিষ্কার হবে।

পর্যালোচনা

টীকা ও বই থেকে প্রাপ্ত আপনার উপলব্ধি লিখুন।
আপনার তথ্য ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পর্যালোচনা লিখুন।


তথ্যসূত্র :

১। আউটলায়ার্স। মূল : ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল। অনুবাদ : এ.এম. নাইম হোসেন ও ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৮।

২। স্টার্ট উইথ হোয়াই। মূল : সাইমন সিনেক। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।

রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯

আপনার সময় কোথায় যায় তা আগে দেখুন

#সময়_ব্যবস্থাপনার_যত_কলাকৌশল

আপনি যদি না জানেন আপনি কোথায় যেতে চান তবে কী করে বলেন আপনি ঠিক বা ভুল জায়গায় আছেন?


তত্ত্ব :

আপনি আপনার বর্তমান অবস্থানকে দুইভাবে দেখতে পারেন। প্রথম হচ্ছে অনুমান করে পরিমাপ। এর জন্য সবচেয়ে সহজ হচ্ছে বৃত্তাকার চার্ট ব্যবহার করা। একে পাই চার্টও বলা হয়। এতে আপনি বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানতে পারেন। যেমন :

লেখালেখি
টেলিফোন
মিটিং
পরিকল্পনা

এছাড়াও আপনি আরও ব্যক্তিগত ও প্রয়োজনীয় বিষয় যোগ করতে পারেন। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কাজে আপনার কতটুকু সময় অতিবাহিত হচ্ছে।

দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে একটি ডাইরিতে আপনার কর্মসূচি বা অনুসূচি লিখে রাখা। এতে করে আপনি আপনার নিজের সময় সম্পর্কে ছবির মতো স্পষ্ট দেখতে পাবেন। কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত অনুসূচি তৈরি করুন এবং পালন করতে থাকুন। এরপর অনুসূচির ডাইরি দেখলেই কোথায় কত সময় যায় এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।


আপনি বেশ সহজে এই অনুসূচি দেখে আপনার সময় কোন কোন খাতে যায় তা দেখতে পাবেন। এতে করে কোন কোন খাতে আপনার সময় ব্যয় করা উচিত সেই সম্পর্কে বেশ সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

হাতে কলমে কাজ :

পাই চার্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি আপনার গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন। এতে করে আপনি কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছেন এবং কতটুকু সময় দিচ্ছেন তা বুঝতে পারবেন। এতে করে আপনার মস্তিষ্কে একটি স্পষ্ট ছবি তৈরি হবে। সময় ব্যবস্থাপনার যত কলাকৌশল জানার আগে এই ছবি তৈরি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এসব কাজ করে আপনি দেখতে পাবেন আপনি আপনার সময়কে কোন পথে, কোনদিকে ব্যয় করছেন। আপনার কাজ কোনদিকে, কোন ফলাফল বয়ে আনবে। এসব কাজ করে কী আপনার জীবনে কোন ইতিবাচক ফলাফল আসবে কিনা তাও বুঝতে পারবেন।


তথ্যসূত্র :

১। টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা)। মূল : ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯

আপনার মূল দক্ষতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন

প্রথমে চিন্তা করুন আপনি কী কী কাজে দক্ষ? সেই কাজগুলো খুঁজে বের করে সেগুলোতে আরও দক্ষ হয়ে উঠুন। আপনি যত বেশি আপনার শক্তিকে আপনার দক্ষতায় কাজে লাগাবেন তা আরও বেশি সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। মূল দক্ষতার জায়গাগুলোতে যা যা থাকতে হবে তা সম্পর্কে ব্রায়ান ট্রেসি তার বই টাইম ম্যানেজমেন্টে উল্লেখ করেছেন :

১. আপনি চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন, আপনার যে পেশা সেই পেশা সংক্রান্ত দায়িত্ব ও দাবি-দাওয়া থাকতে হবে।

২. দক্ষতার জায়গাগুলো এমন সেগুলোর জন্য আপনি শতভাগ দায়ী। কোনো অজুহাত নয়, অন্যকে দোষারোপ করা নয়, নিজের কাজের দায়িত্ব নিজে নিবেন। যদি আপনি নিজে কাজটি করতে না পারেন তবে অন্য কেউই এটা আপনার জন্য করে দিতে পারবে না। 

৩. এগুলো এমন কিছু কাজ যা পুরোপুরি আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণে। এই কাজগুলো করতে আপনার অন্য কারও সহায়তার দরকার নেই।

আপনার এমন কিছু কাজ আছে যা কেবল আপনিই করতে পারেন। এসব কাজে আরও দক্ষ হয়ে উঠুন। এতে করে আপনি অন্যদের থেকে অনন্য হয়ে উঠবেন। অনন্যতা নিয়ে তারিক হক, তার বই ‘বদলে যান এখনই’ তে বলেছেন, ‘একবার তলিয়ে দেখুন, যে আপনাকে ব্যঙ্গ করছে, তারই হয়তো এটা একটা বড় সমস্যা, আপনার নয়। নিজেকে কখনো ছোট ভাববেন না। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে আপনি একজন অনন্য মানুষ। আপনার মতো আর কেউ নেই।’

নেতৃত্ব বিষয়ক বিশিষ্ট প্রশিক্ষক জন সি ম্যাক্সওয়েলও বলেন যে, আপনি যেসব কাজে দক্ষ তাতে আরও বেশি করে মনোযোগ দিন। সেসব বিষয়ের একজন আগ্রহী শিক্ষার্থী হয়ে উঠুন এবং যা শিখবেন তা কাজে লাগান। এতে করে আপনি আপনার কাজে আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন। যা শিখবেন তা অন্যদের সাথে বিনিময় করবেন। ফলে এই শিক্ষা আপনার মাঝে আরও বেশি পাকাপোক্ত হবে।


পরিশেষে, বার্ট্রান্ড রাসেলের কথা দিয়ে শেষ করছি। রাসেল তার বই শিক্ষা ও সমাজকাঠামোতে বলেছেন, ‘বর্তমান বিশ্বের জন্য দরকার প্রতিযোগিতা নয়, সংগঠন ও সহযোগিতা, প্রতিযোগিতার বিশ্বাসটাই সেকেলে হয়ে পড়েছে।’ নিজের শক্তিশালী দিকগুলো আরও শাণিত করুন এবং সহযোগিতা ও সংগঠনের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হোন।


তথ্যসূত্র :

১। টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা)। মূল : ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭। পৃ. ৬৫-৬৬।

২। বদলে যান এখনই। তারিক হক। ঢাকা, অনন্যা প্রকাশনী, ২০১৫।

৩। ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ (আপনার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি গঠন করুন)। মূল : জন সি ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

৪। শিক্ষা ও সমাজকাঠামো। মূল : বার্ট্রান্ড রাসেল। অনুবাদ : আরশাদ আজিজ। ঢাকা, অবসর প্রকাশনী, ২০০৭। পৃ. ৯০।

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯

আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কীভাবে কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করবেন?


মাত্র ৬টি ধাপের একটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।

আমরা ধরে নিচ্ছি আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে এবং সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যই আমরা পরিকল্পনা তৈরি করছি। আমাদের এখন দুইটি কাজ : প্রথম, একটি পরিকল্পনা তৈরি করা। দ্বিতীয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা।

১। আপনার লক্ষ্য হতে হবে পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাঁধা। লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে একটি বই পাঠ করতে পারেন - থিংক এন্ড গ্রো রিচ (চিন্তা করুন এবং ধনী হোন)। মূল : নেপোলিয়ন হিল। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৫। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের থাকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য :

ক। নির্দিষ্ট : আপনার লক্ষ্য হতে হবে পরিষ্কার ও স্পষ্ট। 'আমি টাকা চাই' একথা বললে হবে না। 'আমি ১ বছরের মধ্যে ১,০০,০০০ টাকা আয় করতে চাই' এভাবে বলাই হচ্ছে পরিষ্কার ও স্পষ্ট।

খ। পরিমাপযোগ্য : আপনার লক্ষ্য করে পরিমাপ করা যায় এমন। আপনি আরও টাকা আয় করতে চান। কিন্তু কত টাকা আয় করতে চান তা নির্দিষ্ট করে বলতে হবে। 'আমি ১ বছরের মধ্যে ১,০০,০০০ টাকা আয় করতে চাই' এভাবে নির্দিষ্ট করে বলতে হবে।

গ। অর্জনযোগ্য : আপনার লক্ষ্য হতে হবে আপনার সামর্থের মধ্যে। নতুবা আপনি লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন না এবং হতাশ হয়ে পড়বেন। 'আমি ১ বছরের মধ্যে ১,০০,০০০ টাকা আয় করতে চাই' এ কথা না বলে আপনি যদি লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করেন 'আমি ১ বছরের মধ্যে ১০,০০,০০০ টাকা আয় করতে চাই' এবং এক বছরের মধ্যে ১০,০০,০০০ টাকা আয় করতে না পারেন তবে আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন। এজন্য নিজের সামর্থ্য বিবেচনা করুন। আপনি যদি ১ বছরে ১,০০,০০০ টাকা আয় করেন, তারপর লক্ষ্য নিন '১ বছরে ৫,০০,০০০ টাকা আয় করব', তারপরের বছর লক্ষ্য নিন '১ বছরে ১০,০০,০০০ টাকা আয় করব'। নিজের সামর্থ্য বিবেচনা করে অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন।

ঘ। প্রাসঙ্গিক : আপনার লক্ষ্য হতে হবে আপনার জীবনের সাথে খাপ খায় এমন। আপনার জীবনের চরম যে লক্ষ্য তার সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।

ঙ। সময় : আপনার একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করতে হবে যে তারিখের মধ্যে আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জন করবেন। আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে অনুপ্রেরণার ৬৪টি বই প্রকাশ করা। তারিখ হচ্ছে ১৫/০৯/২০৩০। ১৭ বছর আগে ২০১৩ সালের এই তারিখ থেকে আমি আমার কাজ আরম্ভ করি। এজন্য এই তারিখকে আমি আমার লক্ষ্য পূরণের তারিখ হিসাবে নির্দিষ্ট করেছি।

২। ভবিষ্যৎ লক্ষ্য পূরণের জন্য আপনার পিছনের দিকে কিছু কাজ করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় দূরবর্তী লক্ষ্য অর্জনের জন্য লোকজন চিন্তা করে এখনি কাজ করার দরকার কী, পরে করলেও হবে। ২০৩০ সাল তো এখনও অনেকদূর। তাই কাজ বন্ধ রাখে। তাই বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পাবেন - ওয়ান স্মল স্টেপ ক্যান চেঞ্জ ইউর লাইফ (একটি ছোট্ট পদক্ষেপ আপনার জীবন বদলে দিতে পারে)। মূল : রবার্ট মৌরার (পিএইচডি)। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।

ধরুন, আপনি চিন্তা করলেন, ১ বছরের ৪টি বই প্রকাশ করব। তাহলে প্রতি ৩ মাসে ১টি বই প্রকাশ করতে হবে। ১ দিনে ৪ পৃষ্ঠা লিখতে হবে। এরকম টিক চিহ্ন দেওয়ার বক্স রেখে লিখে যান :

❑ ১ দিনে ৪ পৃষ্ঠা লিখব

❑ ৩ মাসে ১টি বই প্রকাশ করব

❑ ১ বছরের ৪টি বই প্রকাশ করব

প্রথমে দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর এভাবে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বড় লক্ষ্য অর্জন করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : আমি 'প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা লিখব' একথা ব্যবহার না করে '১ দিনে ৪ পৃষ্ঠা লিখব' ব্যবহার করেছি। কারণ আমি দেখেছি প্রতিদিন শব্দটির পরিবর্তে ১ দিন শব্দটি ব্যবহার করলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কাজ করতে সুবিধা হয়।


৩। আপনার লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করতে কী কী জিনিস দরকার তা নির্ধারণ করুন। এই ধাপে আপনি আপনার ছোট ও বড় লক্ষ্য পূরণের জন্য কী কী জিনিস আছে এবং কী কী জিনিস লাগবে তা খুঁজে বের করবেন এবং সংগ্রহ করবেন। আপনি কোথায় আছেন এবং কোথায় পৌঁছাবেন তার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করবেন। এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পাবেন - সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউট (একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সাফল্য অর্জন করুন)। মূল : নেপোলিয়ন হিল ও ডব্লিউ ক্লেমেন্ট স্টোন। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

৪। আপনার লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করতে কী কী কাজ করা দরকার তা নির্ধারণ করুন। এই ধাপটি হচ্ছে কাজ বিষয়ক। ধরুন আপনাকে আপনার ২টি পণ্য বিক্রয় করার জন্য ১০ জন গ্রাহককে ফোন করা লাগবে। আপনি দশজনকে ফোন করে কি বলবেন তা আগে থেকে ঠিক করুন। লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করতে, মানুষকে নেতৃত্ব দিতে নেতৃত্ব বিষয়ক বই পাঠ করতে পারেন - ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ (আপনার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি গঠন করুন)। মূল : জন সি ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

ব্যবসার ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজ করার জন্য আমরা মার্কেটিংকে ব্যবহার করি, ভালো গুণগত মানের পণ্য তৈরি করি, যাতে করে গ্রাহকরা বারবার ফিরে আসে।

৫। আপনি কী কী কাজ করবেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। এজন্য আপনি প্রতিদিন কাজ করার তালিকা তৈরি করুন। বাংলায় অনুসূচি বলে। সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পাঠ করুন এবং আপনার সময়কে কাজে লাগান। এই সম্পর্কিত বই - টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা)। মূল : ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

৬। এতক্ষণ যা যা পরিকল্পনা করলেন সেই অনুসারে এবার কাজ আরম্ভ করুন। আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। আপনি ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়েছেন এবং তা পূরণের জন্য পরিকল্পনা করেছেন। এবার কাজ করে যান। প্রায়ই দেখা যায় অনেককে লক্ষ্য নির্ধারণ করে পরিকল্পনা করে কিন্তু কাজ করে না। এই জিনিসটি কাটানোর জন্য ছোট ছোট সাফল্যে নিজেকে অভিবাদন জানান এবং বন্ধুদের নিয়ে আপনার ছোট্ট সাফল্য উদযাপন করুন। আর বড় লক্ষ্যের দিকে সবসময় চোখ রাখুন। এতে করে আপনি নিজের মধ্যে উৎসাহ পাবেন। শেষবেলায় আরও একটি বইয়ের নাম বলে যাই। জীবনকে উপভোগ করতে পড়ুন - 7 স্ট্র্যাটেজিস ফর ওয়েলথ এন্ড হ্যাপিনেস (সুখ ও সমৃদ্ধি অর্জনের ৭টি সূত্র)। মূল : জিম রন। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।



তথ্যসূত্র :

১। https://www.thebalancesmb.com/how-to-create-an-action-plan-to-achieve-your-goals-1794129

২। থিংক এন্ড গ্রো রিচ (চিন্তা করুন এবং ধনী হোন)। মূল : নেপোলিয়ন হিল। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৫।

৩। ওয়ান স্মল স্টেপ ক্যান চেঞ্জ ইউর লাইফ (একটি ছোট্ট পদক্ষেপ আপনার জীবন বদলে দিতে পারে)। মূল : রবার্ট মৌরার (পিএইচডি)। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।

৪। সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউট (একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সাফল্য অর্জন করুন)। মূল : নেপোলিয়ন হিল ও ডব্লিউ ক্লেমেন্ট স্টোন। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

৫। ডিভেলপিং দ্য লিডার উইদিন ইউ (আপনার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি গঠন করুন)। মূল : জন সি ম্যাক্সওয়েল। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

৬। টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা)। মূল : ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।

৭। 7 স্ট্র্যাটেজিস ফর ওয়েলথ এন্ড হ্যাপিনেস (সুখ ও সমৃদ্ধি অর্জনের ৭টি সূত্র)। মূল : জিম রন। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৯।

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ব্যক্তিত্বের ধরন - বনচউ (উদ্যোক্তা)


বনচউ ব্যক্তিত্বের অধিকারীদের জন্য জনপ্রিয় কিছু পেশা :


সব ধরনের পেশাতেই কিন্তু সব ধরনের ব্যক্তিত্বের সফল লোক আছে। আমরা কেবল বলতে চাচ্ছি এ ধরনের পেশায় বনচউ ব্যক্তিত্বের অধিকারী লোকজন সন্তুষ্ট ও তৃপ্তি বোধ করে।

উদ্যোক্তাবাদ / ব্যবসা ক্ষেত্রে


উদ্যোক্তা
উদ্ভাবক
ব্যবস্থাপনা পরামর্শক
নতুন উদ্যোগে বিনিয়োগকারী
সাহিত্য কর্মের সহায়তাকারী (Literary agent)
ফটোগ্রাফার
সাংবাদিক
স্বত্বাধিকারী : রেস্তোঁরা বা হোটেল
অভিনেতা
সম্পদের ব্যবস্থাপক : ব্যবসায়িক / পারিবারিক

বাজারজাতকরণ / সৃজনশীল ক্ষেত্রে


সৃজনশীল বিজ্ঞাপন নির্দেশক
বাজার গবেষক বা বিশ্লেষক
জনসংযোগ রক্ষাকারী বিশেষজ্ঞ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবস্থাপক
বিজ্ঞাপন গবেষক বা পরিকল্পনাকারী
খেলোয়াড়দের ব্যবস্থাপক

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ক্ষেত্র


কৌশলগত পরিকল্পনাকারী
ব্যবসায়িক অগ্রগতি নির্দেশক
কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পরামর্শক
আবাসন ব্যবসার এজেন্ট
কম্পিউটার বিশ্লেষক
যোগাযোগ রক্ষাকারী বিশেষজ্ঞ

রাজনীতি ক্ষেত্রে


রাজনীতিবিদ
রাজনৈতিক ব্যবস্থাপক
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সামাজবিজ্ঞানী

অন্যান্য ক্ষেত্রে


পরিবেশবিজ্ঞানী
শিক্ষা মনোবিদ
খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষক বা নির্দেশক
অপরাধ বিশেষজ্ঞ
গোয়েন্দা

জীবনে সাফল্য পেতে হলে আপনার শক্তিগুলোকে কাজে লাগান


নিজের জন্য এবং নিজের আদর্শ, বুদ্ধি ও ধারণাগুলোর জন্য আগ্রহ তৈরি করুন।


  • আপনি যখন আপনার সামর্থ্যরে কথা বলবেন তখন নিজের আদর্শ, বুদ্ধি, ধারণা ও প্রেরণা নিয়ে স্বাভাবিক আগ্রহের সাথে কথা বলুন। আপনার পূর্বের কাজগুলোর কথা, সেগুলোর সাফল্যের কথা তুলে ধরুন এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা বলুন।
  • আপনার নিজের ওপর ও নিজের সামর্থ্যরে ওপর আত্মবিশ্বাসের কথা বলুন। আপনি যেকোনো প্রকল্প বা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে প্রকাশ করুন।


নতুন কিছু দেখুন এবং নতুন নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগান


  • আপনার আদর্শ, বুদ্ধি বা ধারণাগুলোকে নানান উপায়ে কাজে লাগান। আপনি হয়তো কোনো সংগঠন বা কোম্পানিকে আপনার উদ্ভাবনকুশলতা দিয়ে সহায়তা করতে পারেন।
  • আপনার আদর্শ, বুদ্ধি বা ধারণাগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিন - এসব পরিবর্তন কীভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমস্যার সমাধান করবে তা বলুন।


আপনার নিজের কর্মের সমাধান নিজেই করুন


  • যেকোনো সামাজিক ঝোঁক বুঝতে নিজের ‘দূরদৃষ্টি’কে কাজে লাগান। ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবে এমন লোকজনকে খুঁজে বের করুন।
  • লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করতে এবং নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে আপনার শক্তি ও সামর্থ্য কাজে লাগান। এমন লোকজনের সাথে পরিচিত হন যারা আপনাকে অন্য আরও প্রভাবশালী লোকজনের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে সক্ষম হবে।


লোকজনের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করুন


  • আপনার যোগাযোগকে বিস্তৃত করুন। বিশেষ করে, এমন এমন লোকজনের সাথে পরিচয় রাখুন যারা আপনাকে অন্য আরও প্রভাবশালী লোকজনের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে সক্ষম হবে।
  • লোকজনকে জিজ্ঞেস করুন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মতামত জানতে চান। এতে করে প্রচুর তথ্য পাবেন, যা পরবর্তীতে আপনার কাজে লাগবে।


অন্যদেরকে কী কী জিনিস অনুপ্রাণিত করে তা খুঁজে বের করুন


  • অন্যরা কী বলছে আর কী বলছে না তা খুঁজে বের করুন। তাদের চাহিদা সম্পর্কে, তাদের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে খুঁজুন। এগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে তাদেরকে কী করে সহায়তা করতে পারবেন।
  • সকলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং কর্মক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক আবহ তৈরি করতে আপনার স্বাভাবিক আকর্ষণীয়তা ও হাস্যরস বোধ বজায় রাখুন।


অন্যদেরকে দেখান যে আপনি আপনার অবস্থানে দাঁড়িয়েও চিন্তা করতে পারেন


  • অন্যদেরকে দেখান যে অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলেও আপনি সৃজনশীল উপায়ে আপনার সামর্থ্যকে কাজে লাগাতে পারেন।
  • আপনার সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্যদের সাথে আলাপ করুন। এতে করে আপনি যে সমস্যার সময়, যেকোনো দুর্ঘটনা বা জরুরি সময়ে দায়িত্ব নেওয়ার মতো সামর্থ্য রাখেন তা ফুটে উঠবে।


দীর্ঘমেয়াদি জিনিসের সম্ভাবনা ও সমস্যা বিশ্লেষণ করে দেখান


  • দীর্ঘমেয়াদি জিনিসের পরিণতি দেখার মতো আপনার দূরদৃষ্টি আছে এবং তা যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখান। কোনো পণ্য বা পদ্ধতির মাধ্যমে তা করতে পারেন।
  • অতীত কর্মকে গঠনমূলক সমালোচনা করুন এবং আপনি যে নির্মোহচিত্তে সমালোচনা করতে পারেন তা দেখান।


সম্ভাব্য ফাঁদ


অনেক ধরনের কাজে ব্যস্ত হওয়ার প্রবণতা থেকে সতর্ক থাকুন। এতে করে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।


  • চেষ্টা করুন এক সময়ে একটি প্রকল্পে কাজ করার। বিভিন্ন জিনিসের দিকে গভীর মনোযোগ দিক, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সবকিছু পর্যালোচনা করুন। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, বর্ণনা ও সময়সীমা লক্ষ রাখুন। পথ চলতে যেকোনো অবাস্তব বুদ্ধি বা ধারণা এড়িয়ে চলুন। আপনার প্রাধান্যের তালিকা তৈরি করুন এবং সেই তালিকা অনুযায়ী কাজ করে যান।


অন্যান্য মানুষের আবেগকে অবৈধভাবে বা অগুরুত্বপূর্ণ মনে করে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে করে অন্যের কাছে অহংকারী ও দুর্বিনীত বলে প্রতীয়মান হবেন।


  • একটি প্রকল্প বা কথা বা আপনার বিবৃতি অন্যের ওপর কী রূপ প্রভাব ফেলে তা বোঝার চেষ্টা করুন। অন্যদের প্রতি নেতিবাচক সমালোচনা না করে ইতিবাচক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। এও জানবেন যে কিছু কিছু মানুষ সমালোচনাকে মারাত্মক আঘাত হিসাবে নেয়।


নিজেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখুন এবং দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করুন। সিদ্ধান্তকে এতদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখবেন না যে আপনার হাত থেকে সকল সুযোগ চলে যায়।

(দীর্ঘসূত্রতা মানে কাজ জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী করার প্রবণতা। দীর্ঘসূত্রিতা মানে চিরক্রিয়তা।)


  • কাজের সময়সীমার সাথে দৃঢ়সংলগ্ন হয়ে থাকুন এবং একে অভ্যাসে প্রতিষ্ঠিত করুন। অনুসূচি মেনে চলুন। অন্যদের সময়সূচিকে গুরুত্ব দিন এবং আপনার যদি আসতে দেরি হয় তবে অন্যদেরকে আগেই জানান।


অন্য কেউ কথা বলছে, বলতে দিন। কথার মাঝে কথা বলবেন না। আপনার সামনে হয়তো কোনো একটি আদর্শ, বুদ্ধি বা ধারণার উদয় হতে যাচ্ছে। একটু ধৈর্য ধরে শুনুন।


  • আপনার শ্রবণ ক্ষমতাকে কাজে লাগান। আরেকজন কী বলছে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনার আদর্শ, বুদ্ধি বা ধারণা প্রকাশ করার আগে আরেকজন কী বলছে তা শুনুন।
  • ব্যক্তির কথাকে পুনরায় একইভাবে বলুন। এ এক চমৎকার কৌশল। পুনরায় বলে নিশ্চিত হোন যে আপনি যা বুঝেছেন উক্ত ব্যক্তি তাই বলতে চেয়েছেন।



আপনার কাজ সম্পর্কিত শক্তিগুলো :



  • যোগাযোগ করার চমৎকার দক্ষতা এবং আপনার আদর্শ, বুদ্ধি বা ধারণার মাধ্যমে অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করার সামর্থ্য
  • গ-ির বাইরে চিন্তা করার আগ্রহ এবং নতুন নতুন সম্ভাবনা চিন্তা করে বের করা
  • সমস্যা সমাধানের জন্য সৃজনশীল চিন্তার শক্তি
  • ঝুঁকি নেওয়ার সাহস, নতুন জিনিস নিয়ে চেষ্টা করা এবং বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে ওঠা
  • আগ্রহের জায়গা বিস্তর এবং নতুন জিনিস খুব সহজেই শেখার সামর্থ্য


আপনার কাজ সম্পর্কিত দুর্বলতাগুলো :



  • নিজেকে সংগঠিত করে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়া
  • প্রাধান্য বজায় রাখা ও কাজ করা কঠিন এবং সিদ্ধান্তে দীর্ঘসূত্রতা
  • অতি আত্মবিশ্বাসী; এতে করে আপনি হয়তো নিজের সামর্থ্য বা অভিজ্ঞতাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন
  • কী ঘটা সম্ভব সেদিকে সর্বদা মনোযোগ। বরং কীভাবে কাজে লাগানো যায় তার দিকে মনোযোগ দিতে হবে
  • আপনি যা কিছু দিতে পারবেন তারচেয়েও বেশি প্রতিজ্ঞা করার প্রবণতা


আপনার শক্তিগুলো ব্যবহার করা সহজ।

একজন বনচউ হিসাবে


আপনার সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে আপনাকে প্রাধান্য তৈরি করা, একাগ্রচিত্তে কাজ করা এবং অন্যদের প্রতি যেসব প্রতিজ্ঞা করেন সেগুলোকে মেনে চলা শিখতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আমি কীভাবে বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানব?

৭টি সহজ পদ্ধতিতে আপনি একটি বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন :

- প্রথমে উক্ত জায়গার ভাষা শিখুন।
- ছুটির দিনে তারা বিনোদনের জন্য কোথায় যায় সেখানে যান, অনুষ্ঠানে যোগ দিন
- নতুন নতুন খাবার খেয়ে দেখুন
- প্রশ্ন করতে ভয় পাবেন না
- জাদুঘর ঘুরে আসুন
- স্থানীয় গান শুনুন
- খোলা মন নিয়ে চলাফেরা করুন

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

আপনার ব্যক্তিত্বের ধরন কী?

নিচের প্রশ্নগুলো ব্যবহার করুন এবং তালিকা ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্বের ধরন নির্ণয় করুন। প্রতিটি বাক্য পড়ে নিজেকে জানার চেষ্টা করুন। হয়তো একটি ধরনের সবকিছুর সাথে আপনার মিলবে না। তবুও চেষ্টা করে যান। পরবর্তী লেখা থাকবে কোনো কোনো ধরনের ব্যক্তিদের কী কী গুণ ও দোষ রয়েছে। এতে করে আপনি আপনার গুণগুলোকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন এবং দোষগুলোকে হ্রাস করতে পারবেন।


১। আপনার মনোযোগ কী বাহ্যিক বিষয়াবলির দিকে নিবিষ্ট নাকি অভ্যন্তরীণ বিষয়াবলির দিকে? যদি আপনি :


- অনেক কথা বলেন, বেশি বেশি বাইরে যেতে, ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করেন
- দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশ পরিস্থিতিকে পছন্দ করেন
- অন্যদের সাথে নানা ধরনের বুদ্ধি বা ধারণা নিয়ে আলাপ করতে পছন্দ করেন, যা কিছু চিন্তা করেন তা প্রকাশ করতে পছন্দ করেন
- অন্যদের মনোযোগ নিতে, সকলের মনোযোগ নিজের দিকে টানতে পছন্দ করেন

তাহলে আপনি একজন বহির্মুখী (ব) ব্যক্তি।


অথবা

- একটু আড়ালে থাকেন, নিজের মতো থাকতে পছন্দ করেন
- একটু ধীরেসুস্থে চিন্তা করতে, শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন
- নিজের মাথার ভিতর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দ করেন
- সকলের মনোযোগ নিজের দিকে না টেনে সকলকে পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করেন
তাহলে আপনি একজন অন্তর্মুখী (অ) ব্যক্তি।

২। কোন তথ্যকে আপনি কীভাবে গ্রহণ করেন? যদি আপনি :


- বাস্তব বিষয়াবলির দিকে নজর দেন
- একদম তথ্য উপাত্ত ও সংখ্যা কী বলে সেদিকে খেয়াল করেন
- এমন কোন বুদ্ধি বা ধারণা পছন্দ করেন যা কেবল বাস্তবে প্রয়োগযোগ্য
- যেকোনো জিনিসকে নির্দিষ্টভাবে, একদম সোজাসুজিভাবে বর্ণনা করে থাকেন

তাহলে আপনি একজন বাস্তবধর্মী (স) ব্যক্তি।


অথবা

- বিষয়াবলি কেমন হবে বলে কল্পনা করেন
- যেকোনো বিষয়ের সামগ্রিক চিত্রের দিকটি দেখেন, সবকিছু একে অপরের সাথে কীভাবে মিলে যাচ্ছে তা দেখেন
- বিভিন্ন বুদ্ধি বা ধারণা নিয়ে আলাপ করতে পছন্দ করেন
- অলঙ্কার দিয়ে, কাব্যিক উপায়ে কথা বলতে পছন্দ করেন

তাহলে আপনি একজন অন্তর্জ্ঞানমূলক (ন) ব্যক্তি।

৩। আপনি কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন? যদি আপনি :


- কোনো আবেগ না দিয়ে কেবল যৌক্তিক বিচারে চিন্তা করেন
- ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতাকে মূল্যায়ন করেন
- যেকোনো তর্কের মধ্যে খুুঁত খুঁজে বের করেন
- একদম যুক্তি দিয়ে সবকিছু বর্ণনা করেন

তাহলে আপনি একজন চিন্তাশীল (চ) ব্যক্তি।


অথবা

- আপনার ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ও নীতিনৈতিকতার মূল্য দেন এবং আপনার কাজকর্ম অন্যদের ওপর কী রূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন
- সঙ্গতি রক্ষা করেন এবং ক্ষমাশীল হন
- অন্যদের সন্তুষ্ট করেন এবং মানুষের মধ্য থেকে উত্তম গুণাবলিকে খুঁজে বের করে দেখান
- উষ্ণ চরিত্রের এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন

তাহলে আপনি একজন আবেগপ্রবণ (আ) ব্যক্তি।

৪। আপনি কীভাবে নিজের বাহ্যিক জীবন পরিচালনা করেন? যদি আপনি :


- যেকোনো বিষয়কে একবারে সমাপ্ত করতে আগ্রহী হন
- নিয়মকানুন ও সময়সীমাকে শ্রদ্ধা করা উচিত বলে চিন্তা করেন
- খুঁটিনাটি বিষয় পছন্দ করেন, যেকোনো নির্দেশনার ধাপে ধাপে এগিয়ে যান
- পরিকল্পনা তৈরি করেন, আপনি কীসের মধ্যে পা বাড়াচ্ছেন তার সম্পর্কে জানতে চান

তাহলে আপনি একজন বিচারবিবেচনাধর্মী (র) ব্যক্তি।


অথবা

- যেকোনো বিষয়কে ঝুলিয়ে রাখতে পছন্দ করেন
- নিয়মকানুন ও সময়সীমাকে নমনীয় হিসাবে (মানাও যায়, না মানলেও হয়) দেখেন
- যাত্রাপথে পা বাড়িয়ে দিলেন এবং যেতে যেতে জিনিসগুলোকে উন্নত করবেন এবং পথ খুঁজে বের করবেন
- স্বতঃস্ফূর্তভাব, চমক পছন্দ করেন এবং নতুন নতুন জিনিস মোকাবিলা করতে পছন্দ করেন

তাহলে আপনি একজন উপলব্ধিধর্মী (উ) ব্যক্তি।

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ব্যক্তিত্বের ধরন নিয়ে মায়ার্স-ব্রিগস পরীক্ষা

নিজেকে জানার জন্য ব্যক্তিত্বের ধরন অত্যন্ত কার্যকরী। আমি কী, আমি কী রকম,
আমার মানসিকতা কেমন তা জানার জন্য ব্যক্তিত্বের ধরনগুলো আমাদেরকে
আরও সহায়তা করেন বিজ্ঞানী কার্ল জাং এই মানসিক ধরন নিয়ে অনেকদিন
গবেষণা করেন। ১৯২১ সালে তার বই সাইকোলোজিক্যাল টাইপস প্রকাশিত হয়।
পরবর্তীতে মায়ার্স-ব্রিগস (মেয়ে ও মা) অনেক চিন্তাভাবনা করে ব্যক্তিত্বের
ধরনগুলোকে নির্দিষ্ট করতে একটি পরীক্ষার প্রচলন করেন। একে বলা হয়
মায়ার্স-ব্রিগস পরীক্ষা।

তাহলে চলুন আমরা জেনে নেই একজন ব্যক্তির কী কী রকমের ব্যক্তিত্ব
হতে পারে? ব্যক্তিত্বের ধরনকে কিছু সংকেত দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এগুলো
নিচে দেখানো হয়েছে। এই সংকেতগুলোর কাজ কী, তা পরে বলছি।

আপনার ব্যক্তিত্ব হতে পারে বহির্মুখী (ব) অথবা অন্তর্মুখী (অ), বাস্তবধর্মী (স)
অথবা অন্তর্জ্ঞানমূলক (ন), চিন্তাশীল (চ) অথবা আবেগপ্রবণ (আ),
বিচারবিবেচনাধর্মী (র) অথবা উপলব্ধিধর্মী (উ)।

বহির্মুখী (ব) অথবা অন্তর্মুখী (অ)



আপনি যদি বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন,
আপনি যদি মনে করেন আপনার চারপাশে সবসময় কেউ না কেউ
থাকলে আপনার ভালো লাগে, তাহলে আপনি একজন বহির্মুখী (ব)
ব্যক্তি। আর যদি আপনি একা থাকতেই বেশি পছন্দ করেন, লোকজনের
সাথে কম মিশতেই বেশি পছন্দ করেন, তবে আপনি একজন অন্তর্মুখী (অ) ব্যক্তি।

বাস্তবধর্মী (স) অথবা অন্তর্জ্ঞানমূলক (ন)





আপনি একটি সমস্যা সমাধান করার জন্য কীভাবে এগিয়ে যাবেন?
সমস্যা সংক্রান্ত যেসকল তথ্য হাতে আছে কেবল সেগুলোর উপরই
ভরসা করে থাকবেন নাকি সীমিত তথ্যের বাইরে গিয়েও চিন্তা করবেন?
যদি আপনি প্রথম ধারণার সাথে একমত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার
ব্যক্তিত্ব হলো বাস্তবধর্মী (স)। আর আপনি যদি দ্বিতীয় ধারণার সাথে
একমত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব হলো অন্তর্জ্ঞানমূলক (ন)।

চিন্তাশীল (চ) অথবা আবেগপ্রবণ (আ)





কোনো সমস্যা সমাধানে আপনি কোনটিকে আগে প্রাধান্য দিয়ে
থাকেন? তথ্য কী বলছে তা, নাকি আপনার মন কী বলছে তা?
নিজেকে একজন বিচারকের আসনে কল্পনা করুন। আপনি এমন
একজনের বিচার করছেন, যাকে তথ্যের ভিত্তিতে দোষী প্রমাণ করা
হয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন যে সে দোষী নয়। অথবা দোষী হলেও,
সে আপনার পরিবারের খুব কাছের একজন ব্যক্তি। এক্ষেত্রে আপনি
কীভাবে এগিয়ে যাবেন? যদি আপনি তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন,
তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব চিন্তাশীল (চ)। আর যদি মনকে গুরুত্ব
দেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনি আবেগপ্রবণ (আ)।

বিচারবিবেচনাধর্মী (র) অথবা উপলব্ধিধর্মী (উ)




খুব সহজ একটি উদাহরণ চিন্তা করুন। কোনো কাজের সময়সীমা
আপনি কীভাবে বিবেচনা করেন? আপনি কী সময়সীমা শেষ হওয়ার
আগেই সুন্দরমতো কাজ শেষ করে ফেলেন? তাহলে আপনি
বিচারবিবেচনাধর্মী (র)। আর যদি আপনি কোনো রকমে সময়সীমার
আগের রাতে কাজ শেষ করে জমা দেওয়ার চিন্তা করেন, তাহলে
আপনার ব্যক্তিত্ব হলো উপলব্ধিধর্মী (উ)।

এগুলো তো হলো আপনার ব্যক্তিত্বের ধরন। এখানে যে চারটি ভাগের
কথা বলা হয়েছে, সেখানে আপনি প্রতিটির যেকোনো একটি ব্যক্তিত্বের
দিকে এগিয়ে যাবেন। অর্থাৎ মোট চার জোড়া ব্যক্তিত্বের মধ্য থেকে
যেকোনো চারটি প্রকার নিয়ে আপনার পূর্ণ ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাবে।
আপনার পূর্ণ ব্যক্তিত্ব হবে নিচের ছবির ১৬ প্রকারের যেকোনো একটি।



তথ্যসূত্র :

১। https://en.m.wikipedia.org/wiki/Myers%E2%80%93Briggs_Type_Indicator

২। https://roar.media/bangla/main/lifestyle/history-of-myers-briggs-test/

৩। http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/Ramim07/30143480