বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি বনাম স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি

(চিত্র নেওয়া হয়েছে ইতিবাচক অভ্যাস গঠন করুন পোস্ট থেকে)

মানুষ তাদের অবস্থা পরিবর্তনে আগ্রহী কিন্তু তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে অনিচ্ছুক। আর তাই তারা একটি গণ্ডিতেই আবদ্ধ রয়ে যায়। যে ব্যক্তি আত্মবিসর্জনে ভয় পায় না, সে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। স্বর্গীয় ও পার্থিব, উভয় ক্ষেত্রে কথাটি সত্য। এমনকি যে ব্যক্তির একমাত্র উদ্দেশ্য সম্পদ অর্জন, তাকেও নিজের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য অনেক ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই সে একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল জীবন লাভ করতে পারবে। - জেমস অ্যালেন


যত বেশি ইতিবাচক চিন্তা করবেন, জীবনে ততই বেশি সাফল্য পাবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং একমাত্র উপায় হলো, আপনার চিন্তার গুণগত মান পরিমাপ করা। আপনার সিদ্ধান্তগুলো আপনার চিন্তারই বহিঃপ্রকাশ। আপনার চিন্তা যেমন হবে, আপনি তেমনই ফলাফল পাবেন।

অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যান লিখেছিলেন, ‘আপনার চিন্তা এবং চিন্তা অনুযায়ী করা কাজের ফলাফল সম্পর্কে সঠিক ভবিষ্যদবাণী করার ক্ষমতাই আপনার চিন্তার গুণগত মানের পরিমাপক।’ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, কোনো অর্থনৈতিক তত্ত্বের ভুল প্রয়োগে কী হতে পারে।


(চিত্র: কর্মফোর্ট জোন তথা সুবিধাজনক স্থান বা স্বস্তিদায়ক বলয়)

ফলাফল বা পরিণতই সব! প্রশ্ন একটাই, ‘আপনার বুদ্ধি কাজে লাগল কিনা?’

অনেক মানুষই দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলের গুরুত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্ত থাকে। তারা চিন্তা করে তাদের উদ্দেশ্যটাই আসল, ফলাফল নয়। এটাই বর্তমানে আমাদের সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মূল কারণ।

তারা বলে, ‘আমার উদ্দেশ্য যদি সৎ হয়, তবে আমার চিন্তা বা কাজের ফল ভালো না হলেও আমাকে দোষ দিতে পারবে না।’

আপনার সিদ্ধান্ত ও কাজের ফলাফল আগে থেকে সঠিকভাবে ধারণা করতে পারার ক্ষমতাই, আপনার বুদ্ধিমত্তার আসল পরিমাপক।

তথ্যসূত্র: গেট স্মার্ট। মূল: ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ: ফারহা আহমেদ। সম্পাদনা: ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০২১।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন