মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

ইতিবাচক অভ্যাস গঠন করুন।



মনোভাব হচ্ছে এক ধরনের চিন্তার অভ্যাস।  [একজন মানুষ তার নিজের অভ্যাস নিজেই তৈরি করতে পারে।  এ অভ্যাস হতে পারে ভালো বা মন্দ।] অভ্যাস ভালো হোক বা মন্দ হোক, এসব অভ্যাস তৈরির পদ্ধতি কিন্তু এক।  জীবনে সফল হওয়ার জন্য যেমন ভালো অভ্যাস তৈরির পদ্ধতি খুব সহজেই অনুসরণ করা যায়, আবার তেমন ব্যর্থ হওয়ার জন্য মন্দ অভ্যাসও খুব সহজেই অনুসরণ করা সম্ভব।

অভ্যাস আমাদের সহজাত প্রবৃত্তি বা স্বাভাবিক প্রবণতা নয়। অভ্যাসের জন্য ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া দরকার।  হঠাৎ করে অভ্যাস তৈরি হয় না।  এগুলো গঠনের পিছনে কারণ থাকে।  [দীর্ঘদিনের চর্চা থাকে।  অনেকদিন ধরে একই ধরনের কাজ করে যাওয়া হয় অথবা একই ধরনের কাজ না করা হয়।] যখন আমরা অভ্যাস তৈরির প্রকৃত কারণ খুঁজে পাই, সেই কারণ সম্পর্কে দৃঢ়চেতা হয়ে উঠি তখন তা কর্মে প্রকাশ করার ব্যাপারে আমরা উদ্বুদ্ধ হই। এ সময়ও আমরা অভ্যাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম।  সেই কারণ সম্পর্কে আমরা সচেতন হওয়ার পর আমরা অভ্যাস গঠন করব নাকি করব না, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমাদের আয়ত্তের মধ্যে।  আমরা অভ্যাস তৈরির জন্য দরকারি কাজগুলো করতে পারি অথবা সেগুলো থেকে বিরত থাকতে পারি।  আমাদের সেই নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আছে।  বেশিরভাগ লোকজন অভ্যাস দ্বারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রিত মনে করে।  যখন সেসব অভ্যাসগুলো মন্দ বলে বিবেচিত হয় তখন তারা নেতিবাচকভাবে মনোভাব পোষণ করে।


নিচের ধাপগুলো আপনাকে আপনার মন্দ অভ্যাস দূর করে ভালো অভ্যাস গঠনে সহায়তা করবে :


ধাপ #১ : আপনার মন্দ অভ্যাসগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন।

ধাপ #২ : এগুলোর প্রকৃত কারণ কী?

ধাপ #৩ : এগুলো সমর্থন করে এমন সহায়ক কারণ কী?

ধাপ #৪ : মন্দ অভ্যাসের বদলে ভালো ও ইতিবাচক এক অভ্যাস বেছে নিন।

ধাপ #৫ : ভালো অভ্যাসটি নিয়ে চিন্তা করুন। এর সুবিধা ও ফলাফল নিয়ে চিন্তা করুন।

ধাপ #৬ : এই অভ্যাস গঠন করার জন্য কাজ আরম্ভ করুন।

ধাপ #৭ : এই অভ্যাসকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য প্রতিদিন কোন না কোন কাজ করুন।

ধাপ #৮ : ভালো অভ্যাসের দরুন একটি সুবিধা লাভ করে থাকলে নিজেকে তার জন্য পুরস্কৃত করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন