একদিন এক ব্যাং রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সে বড় এক গর্তে পড়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও উঠতে পারল না। পাশ দিয়ে এক খরগোশ যাচ্ছে। গর্তে ব্যাং দেখে তার মায়া হল। সেও চেষ্টা করল। কিন্তু ব্যাংকে গর্ত থেকে বের করতে পারল না। এসময় জঙ্গল থেকে আর পশুপাখি এল। তারা সকলে মিলে চেষ্টা করল। কিন্তু তাতেও কোনো ফল হল না। পশুপাখিরা বলল, ‘তোমার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসি। যেহেতু তোমাকে কিছু সময়ের জন্য এখানেই থাকতে হবে।’ এই বলে তারা কিছুদূর এগিয়ে গেল। এমন সময় পিছন ফিরে দেখল সেই ব্যাংটি লাফিয়ে লাফিয়ে আসছে। পশুপাখিরা তো অবাক। জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি উঠলে কী করে?’ ব্যাং বলল, ‘আমি দেখলাম একটি বড় ট্রাক গর্তের ওপর এসে পড়ছে। তখন আমাকে গর্ত থেকে বের হতেই হল।’
আমরাও জীবনের গর্ত থেকে তখন বের হই যখন বের হতেই হবে। ঠিক সেই ব্যাং এর মতো। যতক্ষণ আমাদের হাতে চেনাজানা পন্থা আছে ততক্ষণ আমরা পরিবর্তিত হব না। সত্য কথা হচ্ছে বেশিরভাগ লোকজন পুরাতন সমস্যার নতুন কোন সমাধান করার চেয়ে পুরাতন সমস্যা নিয়ে থাকতেই বেশি আরামবোধ করে। যেমন ময়লা রাস্তা পরিষ্কার করার নতুন কোন সমাধান করার চেয়ে মানুষ ময়লা নিয়ে থাকতেই বেশি আরামবোধ করে। তারা নতুন কোন সমাধান করার ক্ষেত্রে কেমব্রিজের নবাবের মতো বক্তব্য দেয়।
তিনি বলেছিলেন, ‘যেকোনো সময়ে, যেকোনো কারণ থাকলেও কোনো ধরনের পরিবর্তন ঘটানো নিন্দার বিষয়।’
যেসব মানুষ বিশ্বাস করে প্রথমবার বলে এ কাজ করা যাবে না তারা কোনোদিন কোনো কাজ সম্পন্ন করতে পারে না।
মানুষের পক্ষে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভব। আর এ কথাই হচ্ছে অনুপ্রেরণার মূল কথা। আপনি যখন অনুধাবন করবেন আপনাকে সবসময় একই রকম থাকার কোনো দরকার নেই তখন আপনার আকাঙ্ক্ষা জ্বলে উঠবে। আপনি তখন নিজের মধ্যে পরিবর্তনের এক জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা অনুভব করবেন। পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করুন। পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জের প্রেমে পড়ে যান এবং দেখবেন পরিবর্তিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা কী করে বেড়ে উঠছে।