#সময়_ব্যবস্থাপনার_যত_কলাকৌশল
তত্ত্ব :
আপনি আপনার বর্তমান অবস্থানকে দুইভাবে দেখতে পারেন। প্রথম হচ্ছে অনুমান করে পরিমাপ। এর জন্য সবচেয়ে সহজ হচ্ছে বৃত্তাকার চার্ট ব্যবহার করা। একে পাই চার্টও বলা হয়। এতে আপনি বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানতে পারেন। যেমন :
লেখালেখি
টেলিফোন
মিটিং
পরিকল্পনা
এছাড়াও আপনি আরও ব্যক্তিগত ও প্রয়োজনীয় বিষয় যোগ করতে পারেন। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কাজে আপনার কতটুকু সময় অতিবাহিত হচ্ছে।
দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে একটি ডাইরিতে আপনার কর্মসূচি বা অনুসূচি লিখে রাখা। এতে করে আপনি আপনার নিজের সময় সম্পর্কে ছবির মতো স্পষ্ট দেখতে পাবেন। কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত অনুসূচি তৈরি করুন এবং পালন করতে থাকুন। এরপর অনুসূচির ডাইরি দেখলেই কোথায় কত সময় যায় এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
আপনি বেশ সহজে এই অনুসূচি দেখে আপনার সময় কোন কোন খাতে যায় তা দেখতে পাবেন। এতে করে কোন কোন খাতে আপনার সময় ব্যয় করা উচিত সেই সম্পর্কে বেশ সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
হাতে কলমে কাজ :
পাই চার্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি আপনার গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন। এতে করে আপনি কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছেন এবং কতটুকু সময় দিচ্ছেন তা বুঝতে পারবেন। এতে করে আপনার মস্তিষ্কে একটি স্পষ্ট ছবি তৈরি হবে। সময় ব্যবস্থাপনার যত কলাকৌশল জানার আগে এই ছবি তৈরি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসব কাজ করে আপনি দেখতে পাবেন আপনি আপনার সময়কে কোন পথে, কোনদিকে ব্যয় করছেন। আপনার কাজ কোনদিকে, কোন ফলাফল বয়ে আনবে। এসব কাজ করে কী আপনার জীবনে কোন ইতিবাচক ফলাফল আসবে কিনা তাও বুঝতে পারবেন।
আপনি যদি না জানেন আপনি কোথায় যেতে চান তবে কী করে বলেন আপনি ঠিক বা ভুল জায়গায় আছেন?
তত্ত্ব :
আপনি আপনার বর্তমান অবস্থানকে দুইভাবে দেখতে পারেন। প্রথম হচ্ছে অনুমান করে পরিমাপ। এর জন্য সবচেয়ে সহজ হচ্ছে বৃত্তাকার চার্ট ব্যবহার করা। একে পাই চার্টও বলা হয়। এতে আপনি বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানতে পারেন। যেমন :
লেখালেখি
টেলিফোন
মিটিং
পরিকল্পনা
দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে একটি ডাইরিতে আপনার কর্মসূচি বা অনুসূচি লিখে রাখা। এতে করে আপনি আপনার নিজের সময় সম্পর্কে ছবির মতো স্পষ্ট দেখতে পাবেন। কমপক্ষে এক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত অনুসূচি তৈরি করুন এবং পালন করতে থাকুন। এরপর অনুসূচির ডাইরি দেখলেই কোথায় কত সময় যায় এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
আপনি বেশ সহজে এই অনুসূচি দেখে আপনার সময় কোন কোন খাতে যায় তা দেখতে পাবেন। এতে করে কোন কোন খাতে আপনার সময় ব্যয় করা উচিত সেই সম্পর্কে বেশ সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
হাতে কলমে কাজ :
পাই চার্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি আপনার গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন। এতে করে আপনি কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছেন এবং কতটুকু সময় দিচ্ছেন তা বুঝতে পারবেন। এতে করে আপনার মস্তিষ্কে একটি স্পষ্ট ছবি তৈরি হবে। সময় ব্যবস্থাপনার যত কলাকৌশল জানার আগে এই ছবি তৈরি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এসব কাজ করে আপনি দেখতে পাবেন আপনি আপনার সময়কে কোন পথে, কোনদিকে ব্যয় করছেন। আপনার কাজ কোনদিকে, কোন ফলাফল বয়ে আনবে। এসব কাজ করে কী আপনার জীবনে কোন ইতিবাচক ফলাফল আসবে কিনা তাও বুঝতে পারবেন।
তথ্যসূত্র :
১। টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা)। মূল : ব্রায়ান ট্রেসি। অনুবাদ : ফজলে রাব্বি। ঢাকা, সাফল্য প্রকাশনী, ২০১৭।