মনোবিদ ড. জয়চি ব্রাদার্স বলেন, ‘যে ব্যক্তি জীবনে সাফল্য অর্জন করতে চায় তাকে অবশ্যই ব্যর্থতাকে একটি সুস্থ্য স্বাভাবিক বিষয় হিসাবে ধরে নিতে হবে। একে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করতে হবে।’ এমনকি বাধাবিপত্তি ও ব্যর্থতাকে সাফল্য অর্জনের পথে বাধা তো নয়ই; বরং অনেকটা দিকনির্দেশনার মতো। সাফল্য অর্জনের জন্য পথে এদেরকে আবশ্যকীয় উপাদান হিসাবে চিন্তা করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিকূল অবস্থার অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে কিছু মৌলিক সুবিধা সম্পর্কে উল্লেখ করা হল যাতে করে আরও সহজে প্রতিকূল অবস্থাকে বোঝা যায় :
প্রতিকূল অবস্থা জীবনকে প্রাণবন্ত করে তোলে
প্রতিকূল অবস্থা ও ব্যর্থতার মতো আর কোন কিছু জীবনকে এত প্রাণবন্ত করতে পারে না। ১৯৮০ সালের দিকে টাইম ম্যাগাজিন একদল লোকের ওপর জরিপ চালায়। এ জরিপ থেকে মানুষ প্রতিকূল অবস্থায় পড়লে জীবনের যে প্রাণচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পায় তাই ফুটে ওঠে। তারা এমন একদল লোকের ওপর জরিপ চালায় যারা কোম্পানির প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তিন তিনবার চাকরি হারিয়েছেন। মনোবিজ্ঞানীরা চিন্তা করলেন এরা নিশ্চয় হতাশ হয়ে পড়েছে। কিন্তু ফলাফল দেখা গেল তার বিপরীত; তারা বরং আশাবাদী। তাদের প্রতিকূল অবস্থা বরং তাদের জন্য এক ধরনের সুবিধা তৈরি করেছে। যেহেতু তারা প্রথমবার চাকরি হারিয়ে আবার চাকরির জন্য চেষ্টা করেছে, এরপরও এরকম দুইবার ঘটেছে, ফলে দেখা যায় তারা অন্য যারা কেবল এক কোম্পানিতেই চাকরি করেছে এবং কখনো চাকুরিচ্যুত হয়নি তাদের চেয়ে বেশি দক্ষভাবে বাধাবিপত্তি বা প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে পারে। তাই প্রতিকূল অবস্থাকে গ্রহণ করুন এবং জীবনকে প্রাণবন্ত করে তুলুন।
প্রতিকূল অবস্থা যে জীবনকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে তা দেখার জন্য একটি চলচ্চিত্র দেখতে পারেন। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ফরেস্ট গাম্প (Forrest Gump)।