চিন্তা
করুন গত দিনটির কথা। অনেকগুলো আনন্দপ্রদ বিষয় রয়েছে যা আপনাকে তুলে নিতে হবে।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।
১।
আপনি কি বেঁচে আছেন?
২।
আপনার পিতা মাতা কি আপনাকে ভালবাসে?
৩।
আপনি কি সুস্থ আছেন?
৪।
আপনার বন্ধুদের দেখে কি আপনার মুখে হাসি ফোটে?
এই
সবগুলো বিষয়ই আনন্দপ্রদ এবং একজন ব্যক্তিকে খুব সহজেই আনন্দ প্রদান করে। আনন্দপ্রদ
এবং ইতিবাচক চিন্তা করার মানে একজন ব্যক্তি তার মনকে খুশির উত্তেজনা দ্বারা ভরিয়ে
রাখে। একজন ব্যক্তি যখন তার মন এবং মস্তিষ্ককে খুশির উত্তেজনা দ্বারা ভরিয়ে রাখে
তখন তাকে দেখে তার আশেপাশের মানুষরাও খুশি হয়ে ওঠে।
ইহা
আপনি নিজেও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনার কোন বন্ধুকে পরীক্ষার জন্য নির্বাচন
করুন। ধরুন বন্ধুটির নাম সোয়াদ। সোয়াদের সাথে দেখা হলে তাকে হাসিমুখে জিজ্ঞেস
করুন, “সোয়াদ,
ভালো আছো কি?”
স্বাভাবিক ভাবে সেও আপনাকে হাসিমুখে উত্তর দেবে, “হ্যাঁ”,
ভালো আছি।
এভাবে
আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নিন দেখবেন আপনার সাথে ভালো এবং ইতিবাচক ঘটনাগুলোই বেশী
ঘটছে। ইহার অবশ্য যৌক্তিক কারণ রয়েছে। যেহেতু একজন ব্যক্তির মন কেবল আনন্দপ্রদ
বিষয় খোঁজে এবং তুলে নেয় এবং অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ভুলে যায় স্বাভাবিক ভাবেই তিনি
আনন্দে থাকেন। এতে করে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ঘটে। যারা আনন্দে থাকতে চায়
এবং আনন্দে থাকে তাদের কাছে অন্যরাও তাদের আনন্দ প্রকাশ করতে সাহস পায়। হ্যাঁ,
সাহস পায়। “সাহস”
শব্দটি ব্যবহার করার মানে হল যেকোন ঘটনা থেকে আনন্দপ্রদ বিষয়টি বের করে নিজের মনকে
আনন্দিত করা একটি সাহসী কাজ।
কয়লার
খনিতে হাজার টন কালো কয়লার মধ্যে একটি উজ্জ্বল হীরা তুলে নেওয়া যেমন একটি সাহসী
কাজ তেমনি জীবনের অপ্রীতিকর বিষয় ভুলে আনন্দপ্রদ বিষয় তুলে নিতে পারা তেমনি একটি
সাহসী কাজ। এই কাজটি ব্যক্তিরা খুব সহজেই করে থাকেন কারণ তাদের আছে প্রচন্ড ইচ্ছা
শক্তি। ব্যক্তিরা এই ইচ্ছা ব্যবহার করে তাদের মনকে আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নিতে
বাধ্য করেন, মনকে শান্ত এবং আনন্দিত রাখেন।
এভাবে
দেখাটা আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে আত্ম তুষ্টি। কিন্তু বিষয়টি অন্য রকম। যে
ব্যক্তি তার ঘটনাগুলো থেকে আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নেন তিনি পরবর্তী কাজ করার
জন্য আরোও বেশী শক্তি পান অপর ব্যক্তির তুলনায় যিনি অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ভুলতে পারে
না।
তাই
আনন্দপ্রদ বিষয়গুলো তুলে নিন এবং অপ্রীতিকর বিষয়গুলো ভুলে যান। যাতে আপনি আরও বেশী
করে নিজের কাজে মনোযোগ দিতে পারেন, যা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আপনার কাছে।
-একটি
নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন-