স্বকীয়তার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা


নিজস্ব স্বকীয়তা ধরতে হবে। আমেরিকান সাহিত্যিক রালফ ওয়াল্ডো এমারসন বলেন, ❝স্বকীয়তা ধর। অনুকরণ ছাড়। অনুকরণ আত্মহত্যার শামিল। স্বকীয়তাতেই মুক্তি।❞

এটা এমারসন বলেন আমেরিকা ইংল্যান্ড থেকে স্বাধীন হওয়ার ৫০-৬০ বছর পর। তখন আমেরিকার সাহিত্যিকরা দেদারসে ইংরেজ সাহিত্যকে অন্ধ অনুকরণ করে যাচ্ছে।

এমারসন অনুভব করেন যে আমেরিকাকে তার কৃষ্টিক স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এমারসনের ভাষায়, মাথায় না দাঁড়াইয়া পায়ে দাঁড়াইতে হইবে।

পরবর্তীতে জারট্রুড স্টেইন, এযরা পাউন্ড, টি. এস. ইলিয়ট মার্কিনীদেরকে এই কৃষ্টিক স্বকীয়তায় উদ্ধুদ্ধ করেন।

এযরা পাউন্ড বলেন, যে ভাষা ও সাহিত্য জনগণ হইতে বিযুক্ত হইল, সত্য হইতেই সে বিচ্যুত হইল।

এযরা পাউন্ড এ ব্যাপারে চিনের ধর্মীয় নেতা কনফুসিয়াসের নযির দেন। কনফুসিয়াসের মতে আদর্শ দেশ শাসক সেই ব্যক্তি যিনি দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নামে চিনেন। পাউন্ড বলেন, নাম ধরিয়া ডাকা ঘনিষ্ঠতার লক্ষণ। এযরা পাউন্ড দেশের সাহিত্যিককে দেশের জনগণের সহিত এমনি ঘনিষ্ঠ হইতে বলেন।

আবুল মনসুর আহমেদ বাংলাদেশের কালচার বইতে বাংলাদেশের সাহিত্যিকদের করণীয় এবং দেশের কৃষ্টিক স্বকীয়তার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেন।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের কালচার। আবুল মনসুর আহমদ। ঢাকা, আহমদ পাবলিশিং হাউস, ২০১৭। পৃ. ৪৭, ৪৮, ৫০।
ফজলে রাব্বি (Fazle Rabbi)

আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশ করা। saphollo.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন