অনুপ্রেরণার প্রতীক - হেলেন কেলার।




গত শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলোর একজন হেলেন কেলার। উনি একজন অন্ধ, বধির এবং বোবা মহিলা ছিলেন। তার শিক্ষক ছিলেন সুলিভান। ৪৮ বছর যাবৎ তিনি হেলেন কেলারকে শিখিয়েছেন, তাকে বই পড়িয়ে শুনিয়েছেন। এইভাবে হেলেন স্নাতক পাশ করে।

সুলিভান তার স্বামী, সংসার সব ত্যাগ করেছিলেন হেলেনকে সহযোগিতা করার জন্যে। হেলেনের জন্যে বই পড়তে পড়তে মহান এই শিক্ষক শেষ বয়সে অন্ধ হয়ে যান। তার চেষ্টার ফলে হেলেন কেলার পরবর্তীতে কথা বলা শিখেন। হেলেনের জীবনের প্রথম বাক্য ছিলো, "আমি আর বোবা নই।"

পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিখ্যাত লেখিকা, অনুপ্রেরণার বক্তা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ হয়েছেন। নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাকে নিজ উদ্যোগে, সসম্মানে "ডক্টরেট" প্রদান করেছে। "অনুগ্রহ করে, আমাদের ডিগ্রীটি নিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে আপনাকে ডিগ্রী দিতে পারলে।" যদিও কোন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে একটা সময় ভর্তি করতেই চাইছিলো না।

খ্যাতি ছড়ানোর পর গ্রাহামবেল, রবীন্দ্রনাথ, আমেরিকা, জাপানের মন্ত্রীরা, চার্লি চ্যাপলিন সহ অনেকে উনার সাথে বন্ধুত্ব এবং আলাপ করেন।

হেলেন প্রায় ৯টি ভাষা জানতেন। গায়কের গলায় হাত রেখে জ্ঞানের কথা বুঝতেন। একবার তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, "আপনার যে দৃষ্টিশক্তি নেই, কানে শুনতে পান না, আপনার দুঃখ লাগে না?" হেলেন উত্তর দিয়েছিলেন, "আমার কাছে এতো কিছু আছে, যে কি নেই তা নিয়ে আমি চিন্তা করার মতন কোন সময় পাই না।"

তার মতে, "যার দৃষ্টিশক্তি আছে, কিন্তু জীবনে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই তার অবস্থা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ।" তাই, আজ থেকেই আত্মবিনাশী আলসেমী পরিহার করে আত্মবিশ্বাসী জীবন গড়ার সংকল্প করুন।

তথ্য সহযোগিতায় : আবেদ নিয়াজ, Corporate Ask এর প্রধান কার্যনির্বাহী।
ফজলে রাব্বি (Fazle Rabbi)

আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশ করা। saphollo.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন