সোমবার, ২ আগস্ট, ২০২১

হোয়াই নেশনস ফেইল বইয়ের সারমর্ম

Why Nations Fail: A Summary



হোয়াই নেশনস ফেইল বইয়ের বাংলা সারমর্ম:

বইয়ের সংক্ষিপ্তসার…

উন্নত দেশগুলো 'অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের' কারণে ধনী - মূলত রাজ্য এবং মুক্ত বাজারের সংমিশ্রণ যেখানে:

১। রাষ্ট্র ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারের নিশ্চয়তা দেয় এবং চুক্তি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণকে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহ প্রদান করে।

২। শিক্ষা ও অবকাঠামো প্রদানের মাধ্যমে রাজ্যের বিনিয়োগ ও বৃদ্ধি সক্ষম করে।

৩। রাষ্ট্র একটি ছোট অভিজাতদের দ্বারা একচেটিয়া হওয়ার পরিবর্তে তার নাগরিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।  গুরুত্বপূর্ণভাবে, কর্মক্ষেত্রে একটি গণতান্ত্রিক নীতি থাকা দরকার যেখানে রাজনীতিতে মানুষ এমন প্রতিষ্ঠান ও আইন প্রতিষ্ঠা করে যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য কাজ করে, কেবল ধনীদের উপকারের জন্য কাজ না করে।

৪। রাষ্ট্রকেও সহিংসতা তথা সন্ত্রাসের ওপর একচেটিয়া অবস্থান বজায় রাখতে হবে।

যেসব দেশ উন্নয়নের জন্য 'অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান' গড়ে তোলে, দেশের উন্নয়নে তারা উৎসাহ দেয়। 'অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান' হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এতে করে উন্নত দেশসমূহ তাদের দেশের জনগণকে অন্তর্ভুক্তমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। এর বিপরীতে, লেখকরা উলটা 'এক্সট্রাক্টিভ ইকোনমিক ইনস্টিটিউশন তথা শোষণমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান'। এক্ষেত্রে লেখকরা বলেন, দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসক এবং তার চক্র সুইস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখার মাধ্যমে মনে করে তারা উন্নত হচ্ছে। আসলে তা নয়। লেখকরা বলেন এতে করে দেশের উন্নতি স্বল্পমেয়াদে বৃদ্ধি হতে পারে,  কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে দারিদ্র্য দেখা দিবে।

লেখকরা আরও পরামর্শ দেন যে গত তিন থেকে চার শতাব্দীতে অনেক অনুন্নত দেশে কাজ করার জন্য 'একটি দুষ্ট চক্র' রয়েছে। এগুলোকেই লেখকরা উচ্চবিত্ত শ্রেণী দ্বারা গঠিত শোষণমূলক প্রতিষ্ঠান বলেছেন। এসব শোষণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রথমে ঔপনিবেশিক শক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল (সাধারণত ইতোমধ্যে বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ শোষণমূলক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্মিত)। যা স্বাধীনতার পর আরও বেশি শোষণমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এতে করে, দেশের অভ্যন্তরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় এসব শোষণমূলক প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্বের ক্ষমতা নেয়ার জন্য। এতে করে, দেশটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। লেখকরা এই ধরনের দেশের জন্য খুব অল্পই আশা দেখতে পান।

এর বিপরীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো তিন থেকে চার শতাব্দী ধরে ‘গুণী চক্র’ দ্বারা শাসিত। এটাকে লেখকরা বলেন, জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা অন্তর্ভুক্তমূলক প্রতিষ্ঠান। যেখানে অনেক বেশি জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে করে ক্রমান্বয়ে সেসব দেশে উদ্যোক্তা ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার জন্য প্রণোদনা তৈরি করেছে।


যেসব দেশ একে অপরের সাথে ভৌগোলিকভাবে নিকটে রয়েছে সেসব দেশের তুলনামূলক গবেষণার মাধ্যমে লেখকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন:

 মেক্সিকো/ আমেরিকা

 দক্ষিণ/ উত্তর কোরিয়া

 বতসোয়ানা/ জিম্বাবুয়ে

 তারা যুক্তি দেন যে এই জোড়া দেশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো যা গত কয়েক দশক/ শতাব্দীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটাই তাদের আপেক্ষিক উন্নয়ন/ অনুন্নততার ব্যাখ্যা দেয়।

 বইটির সারমর্ম এর ভূমিকা এবং প্রথম অধ্যায়ে নিবিড়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।


হোয়াই নেশনস ফেইল তথা কেন জাতি ব্যর্থ হয়: ভূমিকা

মিশরের মতো দেশগুলো দরিদ্র কারণ তারা একটি সংকীর্ণ অভিজাত শ্রেণীর দ্বারা শাসিত হয়েছে। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর ব্যয়ে নিজেদের সুবিধার জন্য সমাজকে সংগঠিত করেছে। (এটা উত্তর কোরিয়া, সিয়েরা লিওন, জিম্বাবুয়ের জন্যও প্রযোজ্য)

এর বিপরীতে গ্রেট ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো ধনী, কারণ তাদের নাগরিকরা ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকারী অভিজাতদের উৎখাত করেছিল এবং এমন একটি সমাজ তৈরি করেছিল যেখানে রাজনৈতিক অধিকারগুলো আরও বিস্তৃতভাবে বিতরণ করা হয়েছিল, যেখানে সরকার তার নাগরিকদের কাছে দায়বদ্ধ এবং দায়িত্বশীল ছিল, যেখানে বিপুল জনগণ অর্থনৈতিক সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে। (এটা জাপান এবং বতসোয়ানার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)

প্রথম অধ্যায় - এত কাছাকাছি, তবুও কত ভিন্নতা

প্রথম অধ্যায়ের আলোচনা আরম্ভ হয় নোগলেসের দুই দিকের তুলনার মাধ্যমে। যার অর্ধেক রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরিজোনায়, আর বাকি অর্ধেক রয়েছে মেক্সিকোতে।


এরিজোনার অর্ধেকের বেশি মানুষের গড় আয় $30,000 তথা ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, প্রাপ্তবয়স্কদের অধিকাংশই হাইস্কুল পাশ, রাস্তাঘাট পাকা, আইন -শৃঙ্খলা আছে, অধিকাংশ মানুষ ৬৫ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত জীবিত থাকে। অথচ দক্ষিণ দিকের (যে অংশ ম্যাক্সিকোতে পড়েছে) অর্ধেকের বেশি মানুষের গড় আয় তিনগুণ কম। আর অন্যান্য সবকিছু একইভাবে খারাপ।

লেখকরা উল্লেখ করেছেন যে এই পার্থক্য কেবল পরিবেশ বা সংস্কৃতির কারণে হতে পারে না। এটা অবশ্যই রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক সুযোগের কারণে হতে পারে।

তারা আরও যুক্তি দেয় যে পার্থক্যটি বোঝার জন্য, আপনাকে ১৬ এবং ১৭ শতকের প্রথম দিকে উপনিবেশবাদের দিকে ফিরে যেতে হবে।

মেক্সিকোই প্রথম দাসত্ব এবং শোষণমূলক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থার অধীনে উপনিবেশিত হয়েছিল। ১৫ শতাব্দীতে, স্প্যানিশরা মূলত তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে বিদ্যমান দাস পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাহাড় উত্তোলন করে, যা এলিট-শাসনের উত্তরাধিকার এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্য রাজনৈতিক অধিকারের অভাব রেখে যায়।

এলিট-শাসনের উত্তরাধিকার বলতে ধনী পরিবারের লোকজনই কেবল শাসন করবে। যেমন, বাবা যদি ধনী পরিবারের হয়, তবে তারপর তার ছেলে বা বউ ঐ অঞ্চল শাসন করবে। এতে করে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়। জনগণ মেধার ভিত্তিতে শাসক পায় না; বরং উত্তরাধিকার সূত্রে ধনী পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে পড়ে।

উত্তর আমেরিকা, মূলত ইংরেজদের দ্বারা ১০০ বছর পরে বসতি স্থাপন বা উপনিবেশ করা। উত্তর আমেরিকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দাসত্বের অনুপস্থিতি ছিল এবং জনসংখ্যার কম ঘনত্বের কারণে দাস প্রথাগুলো কাজ করছিল না। যদিও ইংরেজরা তাদের শুরুর দিকের উপনিবেশ করতে গিয়ে প্রথম বিশ বছর বা তার কিছু বেশি সময় দাস প্রথা চালানোর চেষ্টা করে। অবশেষে, ইংল্যান্ডে ফিরে এল উপনিবেশ স্থাপনকারী কোম্পনি (দ্য ভার্জিনিয়া কোম্পানি)। কোম্পানি বুঝতে পারল যে উপনিবেশবাদ কাজ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে বসতি স্থাপনকারীদের জন্য প্রণোদনা প্রদান করা - তাই তারা কাজের বিনিময়ে তাদের জমি প্রদান করে। এটাই পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংবিধান এবং কংগ্রেসের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, যা তখনকার দিনের ইংরেজ সরকারের জন্য সমস্যা তৈরি করেছিল।

বাকি অধ্যায় যুক্তি দেখায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন এখন এত ধনী এবং কেন লাতিন আমেরিকার (আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, মেক্সিকো প্রভৃতি) বেশিরভাগ দেশ এত দরিদ্র তা বোঝার জন্য পরবর্তী ৩০০ বছরের ইতিহাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আমেরিকার ৩০০ বছরের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপক্ষে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করে (লেখকরা উদাহরণস্বরূপ মাইক্রোসফটের একচেটিয়া ব্যবসা ভাঙার কথা উল্লেখ করেছেন) ব্যাপকভাবে তাদের (জনগণের) প্রত্যেকের জন্য কাজ করে। পেটেন্ট সিস্টেম তথা মেধাস্বত্ত্ব ব্যবস্থা, ক্রেডিট সিস্টেম তথা ঋণ ব্যবস্থা, এবং শিক্ষার মতো অন্যান্য বিষয়গুলো যে কেউ এটাকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ দেয় এবং সম্পদের সুবিধা ভোগ করে।

লাতিন আমেরিকা (মেক্সিকো) এর বিপরীতে, ১৯৯০ এর দশক পর্যন্ত বেশিরভাগ দেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং একশ্রেণির স্বৈরশাসন দেখেছিল যেখানে ছোট এলিটদের একটি ধারাবাহিক ব্যবস্থা তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য শাসন করেছিল। এই অস্থিতিশীলতা একচেটিয়া শক্তির উত্থানের দিকে পরিচালিত করে। এরকম অবস্থার সুযোগ নিয়ে যেকেউ চেষ্টা করে ধনী হতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত না পরবর্তী স্বৈরশাসক আপনার সমস্ত অর্থ নিয়ে যায়। যাই হোক, অর্থ এবং শিক্ষার অভাব প্রতিযোগিতাকে বাধা দেয়।

গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, ঐতিহাসিকভাবে একটি দেশ কেন সৌভাগ্যবান এবং ধনী তা ব্যাখ্যা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে করে সহজেই বোঝা যাবে বর্তমানে দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে বিকশিত হতে পারে। যদিও তা সহজ নয়, কারণ একটি দেশের সংস্কৃতি যদি হয় একচেটিয়া ব্যবসা, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অধিকারের অভাব।

তৃতীয় অধ্যায় - সমৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য তৈরি করা

এ অধ্যায়ে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ৩৮ তম প্যারালাল (38th parallel) দ্বারা ভাগ করা হয়। ১৯৪০ সালের দিকে তাদের উন্নতি হয়তো একই পর্যায়ে ছিল, কিন্তু আজ তা আকাশ-পাতাল তফাত। যাই হোক, তাদের অর্থেনৈতিক অবস্থার বিস্তর পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জীবনযাত্রার মান উত্তর কোরিয়ার চেয়ে ১০ ‍গুণ বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার জীবনমান পর্তুগালের মতো। আর উত্তর কোরিয়ার জীবনমান আফ্রিকার উপ-সাহারার দেশগুলোর মতো। উত্তর কোরিয়ার লোকজন দক্ষিণ কোরিয়ার লোকজনের চেয়ে ১০ বছর কম বাঁচে।




এই দুইটি দেশের মধ্যকার তফাতকে ইনস্টিটিউশন তথা প্রাতিষ্ঠানিক পার্থক্য ছাড়া আর কিছু দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায় না।

দক্ষিণ কোরিয়াতে, বেসরকারি সম্পত্তি এবং বাজার নির্মাণের জন্য উৎসাহিত করা হয় (যদিও প্রথম দিকে স্বৈরশাসক দ্বারা দেশটি শাসিত ছিল)। এভাবে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা হয়। একই সময় সরকার শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করে। এর ফলে নতুন নতুন কলকারখানা শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা নিতে সক্ষম হয়।

অপরপক্ষে, উত্তর কোরিয়াতে বেসরকারি সম্পত্তি এভং বাজার নির্মাণ করা নিষিদ্ধ। আর সরকার থেকে একটি কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা আরোপ করা হয়। এটা সরাসরি দেশের মধ্যে স্থবিরতা তৈরি করে।


এক্সট্রাক্টিভ এবং ইনক্লুসিভ ইনস্টিটিউশন

বিভিন্ন দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সাফল্যের যে পার্থক্য বিদ্যমান তার কারণ তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান - এসব প্রতিষ্ঠানের আইনকানুন দেশের অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করে এবং জনগণকে উৎসাহ দেয়। এ আইনকানুনের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বেসরকারি সম্পত্তির অধিকার - যে অধিকারকে রাষ্ট্র আইন দ্বারা সমর্থন দেয়। দক্ষিণ কোরিয়াতে, লোকজন জানে তারা তাদের প্রচেষ্টার পুরস্কার পাবে। কিন্তু এর বিপরীতে উত্তর কোরিয়াতে, এ ধরনের ব্যক্তি উদ্যোগের জন্য কোন প্রণোদনা বা উৎসাহ দেওয়ার মতো আইন বা নীতি নেই। মানুষ নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে না, নতুন কিছুতে বিনিয়োগ করবে না, কারণ রাষ্ট্র তাদের এমন উদ্যোগের সুবিধা ভোগ করবে। তাদের কাছ থেকে তাদের প্রচেষ্টার ফসল ছিনিয়ে নিবে। এখানে রাষ্ট্র বলতে মূলত রাষ্ট্রের অল্প সংখ্যক এলিট বা উচ্চবিত্ত শ্রেণিকে বোঝানো হয়েছে।

একটি সমাজকে উন্নত হতে হলে সেখানে ‘ইক্লুসিভ তথা জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা অন্তর্ভুক্তমূলক প্রতিষ্ঠান’ দরকার - এমন এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে যাতে অধিক সংখ্যক মানুষের উন্নতি ঘটে - 






























এক্সট্রাক্টিভ ইকোনমিক ইনস্টিটিউশন তথা শোষণমূলক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান

জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা অন্তর্ভুক্তমূলক প্রতিষ্ঠান


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন