শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১

বই পর্যালোচনা: দ্য টোটাল মানি মেকওভার: ডেভ র‌্যামসি

#ব‌ই_পর্যালোচনা:

দ্য টোটাল মানি মেকওভার: ডেভ র‌্যামসি

The Total Money Makeover by Dave Ramsey

অর্থ সংক্রান্ত সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধান

বইয়ের সারমর্ম লিখেছেন: ফজলে রাব্বি


প্রকাশনা: Thomas Nelson

প্রথম প্রকাশ, ২০০৩

© 2003, 2007, 2009, 2013 by David L. Ramsey III

মূল্য: ২৫০ টাকা

পৃষ্ঠা: ২৩৭

তথ্যসূত্র: https://thelifelifebalance.com/book-summary-the-total-money-makeover-by-dave-ramsey/


ডেভ র‌্যামসির বই দ্য টোটাল মানি মেকওভার-এ আর্থিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য ৭ ধাপের একটি পরিকল্পনার কথা বলেন। যদিও বইয়ের শিরোনাম দেখে অনেকেই একে বেশি বেশি মনে করেন, তবুও ডেভ র‌্যামসি আসলেই চমৎকার এক কৌশল ও উপায় আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। প্রতিটি ধাপের মূল কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এবং এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে সাধারণ যেসব বাধাবিপত্তির সম্মুখীন মানুষজন হয়, তার পূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।


যদি তার ব্যাখ্যা ও ধাপগুলো খুবই বাস্তবসম্মত। তবুও আমি বলব, পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে হয়তো ধাপগুলো পুরোপুরি খাপ খাবে না। কিন্তু এখান থেকে ধারণা নিয়ে যেকেউ তার বিদ্যমান অবস্থা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে।


এ বইয়ে প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। বেশির ভাগই, বিবাহিত ও পারিবারিক লোকজনের উদাহরণ, যারা র‌্যামসির পরামর্শ অনুসরণ করেছেন এবং সফল হয়েছেন। আমি গুণে দেখেছি, বইয়ে প্রায় ৫০টিরও বেশি বাস্তব ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি তাদের ছবিও দেয়া হয়েছে। এ ধরনের ছবি ও লোকজনের বাস্তব ঘটনা বইটিকে আসলেই প্রাণবন্ত করে তুলেছে। অনেকে সমালোচনা করেন এসব ছবি ও ঘটনা না থাকলে এ বই ৩০ পৃষ্ঠার বেশি হত না। তবে আমি বলব, এসব ঘটনা ও ছবিই বইটিকে আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। তাই আমি বলব, এ বই কিনে আমার টাকা উসুল হয়েছে এবং আমি অন্যদেরও বইটি পড়তে সুপারিশ করব।


এবার বইয়ের ব্যাপারে আসা যাক। শুরু করছি র‌্যামসির একটি উক্তি দিয়ে। কিছু কিছু মানুষ তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে ঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে না। র‌্যামসি এ ধরনের মারাত্মক অবস্থাকে বর্ণনা করেছেন এভাবে:


‘আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও পারিবারিক সদস্যরা আপনার আর্থিক অব্যবস্থাপনার অপারগতা বা এ শিক্ষার অভাবকে অপ্রয়োজনীয় বলে উপস্থাপন করবে, যাতে করে আপনার মনে হবে আপনি তো ভালোই করছেন।’


র‌্যামসি সমাজ নিয়েও চিন্তাভাবনা করেছেন। বিশেষ করে পাশ্চাত্যের সমাজ নিয়ে। একটি সমাজ কীভাবে চলে, সমাজের উৎসাহদায়ক বিষয়গুলো কী, সমাজে উত্তম বলে কী কী জিনিসকে দেখা হয়, আর্থিক ব্যাপারে সমাজের গোঁড়া চিন্তাভাবনাগুলো কী, বিশেষ করে ঋণ নেয়ার ব্যাপারে সমাজের চিন্তাভাবনা কী কী-সেগুলোর ব্যাপারে অধ্যয়ন করেন।


ডেভ র‌্যামসি ফাইন্যান্স ও রিয়েল স্টেট বিষয়ে অনার্স করেছেন। তিনি বর্তমানে রেডিও শো করেন যেখানে আর্থিক বিষয়ে হাজারো মানুষকে সরাসরি পরামর্শ দেন। বিশেষ করে, বাড়ি মরটগেজ নেয়া, সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেন। মানুষের মধ্যে অর্থ বিষয়ক কিছু রূপকথা বা কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। র‌্যামসি তার বইয়ে এসব কথা বেশ দারুণভাবে তুলে ধরেন। এ ব্যাপারটা আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে। পরবর্তী পৃষ্ঠায় এ ব্যাপারে সংক্ষেপে বলা আছে।


বইয়ের একটি মূল্যবান অনুচ্ছেদ হচ্ছে মানুষের সম্পর্ক ও ঋণের ব্যাপার। র‌্যামসি বলেন যে আপনি যখন একজন বন্ধু বা আত্মীয়কে ঋণ দিবেন, তখন ঋণগ্রহীতা ঋণদাতার দাসে পরিণত হয়। তাদের সাথে আপনার সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। আপনি যদি আপনার বন্ধু বা আত্মীয়কে সাহায্য করতে চান, তবে তাদেরকে উপহার হিসাবে টাকা দিন। আবার, ব্যাংক ঋণের সময় জামিনদার হয়ে স্বাক্ষর করার ব্যাপারে র‌্যামসি সতর্ক করেছেন। কখনোই পরিচিত, অপরিচিত বা ঘনিষ্ঠ কোনো ব্যক্তির জামিনদার হয়ে ব্যাংক ঋণের জন্য স্বাক্ষর দিবেন না। কারণ একটি বড় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি ঋণের টাকা ঠিকমতো পরিশোধ করে না। তখন জামিনদারকে ব্যাংক দায়ী করে এবং তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করে। এরকমভাবে অনেক অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আপনার উচিত হবে, এ ধরনের পরামর্শকে কঠিনভাবে অনুসরণ করা।


র‌্যামসির অর্থ সংক্রান্ত দর্শন বেশ যৌক্তিক এবং সম্মত হওয়ার মতো। তিনি ঠিকমতোই এ পয়েন্টকে তুলে ধরেন যে অর্থ থাকলে অন্যদের সাহায্য করা এবং বিশ্বকে অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।


ভালো লোকজনের একটি ভালো ইচ্ছা আছে বলেই তাকে মানুষ মনে রাখে না; তার পাশাপাশি তার (ভালো লোকের) অর্থ থাকতে হবে এবং ভালো ইচ্ছাকে কাজে লাগাতে হবে। টাকাপয়সা ভালো ইচ্ছা ও উদ্যোগকে কাজে পরিণত করার শক্তি ও ক্ষমতা দেয়। তাই আমি বারবার, প্রায় নির্লজ্জের মতো বলে যাব যে আমাদের উচিত সম্পদ গড়ে তোলা।


অবশ্য র‌্যামসির যৌক্তিক কথা আমার কাছে সহনীয় বলেই বোধ হয়েছে। অন্যান্য বিনিয়োগ ও অর্থ সংক্রান্ত লেখকদের মতো, র‌্যামসিও তার নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তিনি কীভাবে সফল হলেন এবং সম্পদ গড়ে তুললেন তা উল্লেখ করেছেন। নিজের অনভিজ্ঞতার কারণে এবং যুবক বয়সে র‌্যামসি সম্পদ গড়ে তোলার পরও তা হারিয়ে ফেলেন। নিজের বিবাহিত জীবন ও পরিবার নিয়ে তিনি বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়ে যান। তারপর সেখান থেকে কীভাবে উঠে আসেন এবং কী শিক্ষা পান, তাই আমাদেরকে বলেছেন এ বইয়ে।


আমার মনে হয়, প্রত্যেক লেখকই তার জীবনের বিভিন্ন বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হন এবং তা থেকে কী শিক্ষা পেলেন তা অভিজ্ঞতার মুক্তা হিসাবে ব্যবহার করেন। আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে কেউ একজন যদি নিজে ধনী না হয়, তবে সে ধনী হওয়ার কলাকৌশল জানে এবং বোঝে বলে বর্ণনা করলেই মানুষজন তার কথার মূল্য দিবে না। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য ব্যক্তিকে অবশ্যই কষ্টকর সেসব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যা তাকে আগুনের মতো পোড়ায়। আর এ জন্যই আমি বইয়ের লেখক না হয়ে, বইয়ের পর্যালোচনা লিখছি।


অনেক বইয়েই লিখা থাকে যে আমিও এক সময় আপনার মতো ছিলাম। … … ...। তারপর আমি এভাবে এভাবে উন্নতি করেছি। আমি মনে করি, একেক জনের পরিবেশ, পরিস্থিতি একেক রকম, তাই প্রত্যেকের বাধাবিপত্তি থেকে শিক্ষাও বিভিন্ন হবে। কিন্তু একে অপরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানলে আরও উত্তমভাবে নিজেদের বাধাবিপত্তির মোকাবিলা করা সম্ভব।


এখন আমরা বইয়ের সূত্রাবলিতে চলে যাই।


সম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রস্তুতিমূলক কিছু পরামর্শ:


র‌্যামসি তার পদ্ধতি বা কলাকৌশল অনুসরণ করার আগে অংশগ্রহণকারীদের বলেন, প্রথমে মানুষকে ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ক শিক্ষার পুনর্পাঠ নিতে হবে। তিনি ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ক শিক্ষার ব্যাপারে বলতে গিয়ে জোর দিয়ে বলেন এ ব্যাপারটার ৮০% মানসিক এবং অভ্যাসগত বিষয়। আমরা যদি সম্পদ গড়তে চাই, তবে আমাদেরকে নতুন অভ্যাস এবং চিন্তা পদ্ধতি গঠন করতে হবে। তিনি আমাদের কিছু নিয়মের ব্যাপারেও বলেন:


  • কোনো নতুন গাড়ি কিনবেন না বা ঋণ করেও গাড়ি কিনবেন না (আমেরিকায় গাড়ির প্রচলন এতো বেশি যে এটা বাংলাদেশে মটরসাইকেলের মতো অবস্থা।)।

  • ঋণের সময় বৃদ্ধি বা অনেক ধরনের ঋণকে একত্র করে কোনো লাভ হয় না। এভাবে সমস্যার গোড়ায় আপনি কখনো পৌঁছাতে পারবেন না।

  • আপনার মৃত্যুর পূর্বপরিকল্পনা গ্রহণ করা অতি উত্তম, কিন্তু আগে থেকে টাকা ব্যয় বা সঞ্চয় করা অবিজ্ঞচিত ব্যাপার। আপনি টাকাটার আরও ভালো ব্যবহার করতে পারেন। কোথাও বিনিয়োগ করে আরও ভালো মুনাফা নিতে পারেন।

  • দেউলিয়া ঘোষণা করার ব্যাপারটা এড়িয়ে চলনু। অনেক বিশেষজ্ঞ হয়তো আপনাকে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বলবে, তা এড়িয়ে চলুন। দেউলিয়া ঘোষণা করলে পরবর্তীতে আপনার সুনামের ওপর এর যথেষ্ট নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

  • আপনি যদি তালাক নেন, তবে অবশ্যই আপনার নামে কোনো ঋণ আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নিন। থাকলে, তা থেকে নিজের নাম কাটান বা কারও ঋণ নিতে জামিন দিয়ে থাকলে তা থেকেও নিজের নাম কাটান। দরকার হলে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করে হলেও ঋণ পরিশোধ করুন এবং নিজের নাম সরান। কারণ তালাক হলেও ঋণের বোঝা আপনার নামের ওপর থেকে সরে না।

  • বাজেট করার ক্ষেত্রে খাম পদ্ধতি ব্যবহার করুন। আলাদা আলাদা নামে খাম করুন এবং টাকা আলাদা খামে রাখুন।

  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার বীমা করা দরকার হবে। এটা আপনার দেশ, অবস্থা ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে করবেন। গাড়ির বীমা, ঘরের, জীবনবীমা, পঙ্গু অবস্থার বীমা, স্বাস্থ্য বীমা করতে পারেন। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যয় সবচেয়ে বেশি হয়। তাই স্বাস্থ্য বীমা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

  • আপনি একদিন না একদিন মারা যাবেন। তাই আগে থেকেই একটি উইল করে রাখুন। এতে করে আপনার টাকা কোথায় যাবে তা নিশ্চিত হতে পারবেন।

  • প্রতি বছর কিছু সময় নিয়ে নিজেকে আর্থিক ব্যাপারে শিক্ষিত করার চেষ্টা করুন। ফাইন্যান্স তথা অর্থায়ন সম্পর্কে কিছু পড়ুন এবং বছর শেষে তা পর্যালোচনা করুন। সম্পদ এমনি এমনি গড়ে ওঠে না। এটা গড়ে তুলতে হয়। আর তাছাড়া আর্থিক ব্যাপারে জানতে হলে যে দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে হবে তা-ও নয়। বছরে একবার হলেও অর্থায়ন তথা ফাইন্যান্স সম্পর্কে একটি বই পড়ুন।

  • ক্রেডিট কার্ড থেকে নিজের নাম কাটান। ক্রেডিট কার্ড থাকলে টাকাপয়সা চুরি বা ছিনতাই হবে না-এ ধরনের রূপকথায় বিশ্বাস করবেন না। এটা সত্য নয়।


শুরু করার আগে সামান্য ভূমিকা


এ বইয়ের মূল ভিত্তি হচ্ছে মনোযোগ, পুরোপুরি মনোযোগ। আপনি যদি ঋণ থেকে বাঁচতে চান, নিজেকে সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই আর্থিক বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। প্রথম প্রথম অগ্রগতির গতি হবে ধীর। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। আপনার হয়তো মনে হবে আপনি কিছু অর্জন করতে পারছেন না। এতে করে নিজের মধ্যে হাল ছেড়ে দেয়ার মনোভাব তৈরি হতে পারে। কিন্তু কখনো হাল ছাড়বেন না। এ বইয়ে উল্লিখিত পদ্ধতি ধাপে ধাপে অনুসরণ করে যান। কেবল চেষ্টা না, নিজে থেকে আরও কিছু যোগ করে এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হোন। আপনি পারবেন।


ধাপ ১: প্রথমে ইমার্জেন্সি ফান্ড দিয়ে আরম্ভ করুন।


আমরা প্রায়ই অনাঙ্ক্ষিতভাবে খরচ করে ফেলি। তাই প্রথমেই ইমার্জেন্সি ফান্ড গঠন করুন। এতে করে অনাঙ্ক্ষিত ব্যয় হ্রাস পাবে। মনে রাখবেন, আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে আপনার আয়। আপনার আয় যদি হয় বছরে ৩ লাখ টাকা, তবে এর ২০% বা ২৫% আপনার ইমার্জেন্সি ফান্ড হিসাবে গঠন করুন। অথবা আপনার বিপদআপদ অনুমান করে ইমার্জেন্সি ফান্ড গঠনের প্রস্তুতি নিন।



ধাপ ১: প্রথমে আরম্ভ করুন, জরুরি অবস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে। একটি ইমার্জেন্সি ফান্ড গঠন করুন।

ধাপ ২: ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে সর্বাত্মক মনোযোগ দিন। প্রথমে ছোট ছোট অংশে ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নিন।

ধাপ ৩: জরুরি অবস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহের টার্গেট পূরণ করুন। ইমার্জেন্সি ফান্ডের অর্থ সংগ্রহের টার্গেট পূরণ করুন।

ধাপ ৪: আপনার আয়ের ১৫ শতাংশ টাকা রিটায়ারম্যান্ট তথা বৃদ্ধ বয়স বা অবসরের জন্য বিনিয়োগ করুন।

ধাপ ৫: কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সঞ্চয় করুন।

ধাপ ৬: বাড়ির মরটগেজের টাকা পরিশোধ করুন।

ধাপ ৭: সম্পদ গড়ুন এবং এর একটা অংশ দান করুন (যাকাতের মতো)।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন