হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, পুরুষ বা নারী, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অন্বেষণ করা ফরজ। (ইবনে মাজাহ: ২২৪)। এভাবে মহানবী জ্ঞান অন্বেষণ এবং অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। মহান আল্লাহকে উপলব্ধি করতে, মারিফাত (maarifah) অর্জন করতে জ্ঞান দরকার। আর এজন্যই জ্ঞানের ওপর এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মুসলমানের ধর্মীয় এবং আত্মিক উন্নতির জন্য জ্ঞান অন্বেষণ এবং অর্জন করা দায়িত্ব। এটা একটা পবিত্র দায়িত্ব। এই উপলব্ধি একজন মুসলমানের সচেতনতা বৃদ্ধি করে। একজন মানুষের মধ্যে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করার প্রয়াস সৃষ্টি করে। এতে করে জগৎ এবং বস্তু সম্পর্কে মানুষ গভীর জ্ঞান অর্জন করে। একজন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক স্তর উন্নীত হয়।
জ্ঞান অর্জন করা যে কতটা জরুরি এবং দরকারি তা মহানবীর জীবনযাপন দেখলেই বোঝা যায়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, একজন বিশ্বাসীর জন্য বিজ্ঞতা (wisdom) হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া সম্পদের মতো। যখনই সে সেই সম্পদ খুঁজে পাবে, সাথে সাথে সেটা গ্রহণ করবে (কারণ এটা তারই সম্পদ)। (সুনান আত-তিরমিজী, হাদিস নং: ২৬৮৭)। মহানবীর পুরো জীবনই জ্ঞান, বিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার উদাহরণে ভরপুর। তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে, সর্বত্র প্রজ্ঞার চর্চা করেছেন, বিজ্ঞতার সাথে জীবনযাপন করেছেন এবং জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এবং আল কুরআনের শিক্ষা মানবজাতির জন্য জ্ঞানের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। সেই ভাণ্ডার থেকে আমি কিছু জ্ঞান আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশা করি, এই জ্ঞান আপনার জীবনকে সুখী ও সমৃদ্ধ করতে, বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ঘটাতে বাতিঘরের মতো কাজ করবে।