রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন

আপনি কি এমন কাউকে চেনেন যে দেখা হলেই তার কাজকর্ম সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করতে থাকে? আমি তো নির্ঘাত একজনকে চিনি। আমার এক আত্মীয়। সদ্য চাকরি পেয়েছেন এবং দেখা হলেই অভাব অভিযোগের শেষ নেই। তাদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য আজই কয়েকটা কৌশল অবলম্বন করুন। কেন? কারণ অন্যের পেট খারাপ, বমি বমি ভাব অথবা খাবারে তেলাপোকা পেয়েছে এ কথা শুনে আপনার কি ভালো লাগবে?

লেডি হল্যান্ড বলেন, ❝সমস্যাকে জিইয়ে রাখলে কমে না; বরং ডালপালা গজিয়ে ওঠে এবং বৃদ্ধি পায়।❞ তাই অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। সত্যি কথা বলতে কেউই আপনার দুঃখ-দুর্দশার গল্প শুনতে ইচ্ছুক নয়। নিজের দুঃখদুর্দশার আলোচনা সমস্যাকে ঘনীভূত বৈ কিছু করে না। আর আশেপাশের মানুষগুলোকে দূরে ঠেলে দেয়।
এমন সব অবস্থা যার ওপর আপনার কোনো হাত নেই এবং তা আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রভাবও রাখে না সেগুলো নিয়ে পেরেশান হওয়ার কোনো মানে হয় না। উইলিয়াম পেন বলেন, ❝সুখী জীবনের রহস্য হলো যখন অন্যরা তাদের সমস্যা নিয়ে বসে আছে তখন আপনি আপনার জীবনের সুখের মুহূর্তগুলোর হিসাব করুন।❞

চেষ্টা করুন যেকোনো ঘটনাকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করতে। চার্লস ডিকেন্স বলেন, ❝আপনার বর্তমান সুখময় মুহূর্তগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিন, যা প্রত্যেকের প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। অতীতের দুর্ভাগ্য নিয়ে পড়ে থাকবেন না, যা প্রত্যেকের কিছু না কিছু থাকে।❞

যদি আপনার সামনে সমস্যা অনেক বড় হয়ে দেখা দেয়, তবে একটি কাগজ কলম নিন। আর সেসব বিষয় লিখুন যার জন্য আপনি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। বিশ্বাস করুন আপনার অভিযোগ-অনুযোগ সব পালিয়ে যাবে। আল্লাহই আপনার জন্য যথেষ্ট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন