লউকৌঅপ থিংকিং মডেল ব্যবহার করুন

সঠিকভাবে ধীর চিন্তা করার জন্য নিয়মিতভাবে লউকৌঅপ মডেল ব্যবহার করুন। লউকৌঅপ’র পূর্ণরূপ হলো: ‘লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কৌশল, অগ্রাধিকার এবং পদক্ষেপ’ (Goals, Objectives, Strategies, Priorities, and Actions)।

লক্ষ্য (Goals): দীর্ঘমেয়াদি, নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, সময়-বেষ্টিত যেসকল বৃহৎ লক্ষ্য ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অর্জন করতে চান― কোন ধরনের বিক্রয়, লাভ, উন্নয়ন, শেয়ার দর ও গুণগত মান অর্জন করতে আপনি ইচ্ছুক।

উদ্দেশ্য (Objectives): আপনার বৃহৎ লক্ষ্যকে অর্জন করার জন্য অন্তর্বতী যেসব উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে। মনে করুন, আপনার দীর্ঘমেয়াদি বৃহৎ লক্ষ্যগুলো একটি মইয়ের শেষ প্রান্তেআছে। মইয়ের প্রতিটি ধাপ একেকটি অন্তর্বতী উদ্দেশ্য যা আপনাকে বৃহৎ লক্ষ্যে পৌঁছে দিবে।

কৌশল (Strategies): প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যেমন ধরুন, ব্যবসার একটি উদ্দেশ্য হলো সর্বো”চ বিক্রয় নিশ্চিতকরণ। এই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বিভিন্নকৌশল রয়েছে।


অগ্রাধিকার (Priorities): কিছু কাজ লক্ষ্য অর্জনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। সবক্ষেত্রে ৮০/২০ নীতির প্রয়োগ করুন। কোন ২০ ভাগ কাজ করলে আপনার লক্ষ্যের ৮০ ভাগ অর্জিত হবে?

পদক্ষেপ (Actions): নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, সময়-বেষ্টিত কোন কোন পদক্ষেপ নিলে, কৌশল খাটিয়ে উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করে নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন?

এই চিন্তা পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সতর্কভাবে প্রতিটি পদক্ষেপ বিবেচনা করলে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাবে। এই পদ্ধতি মানুষকে ধীর চিন্তা এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা, উভয়ই করতে বাধ্য করে।

তথ্যসূত্র:গেট স্মার্ট তথা স্মার্ট হোন
ফজলে রাব্বি (Fazle Rabbi)

আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশ করা। saphollo.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন