লেখক এডওয়ার্ড এভারেট হেলের বক্তব্য দিয়ে আরম্ভ করছি,
'আমি তো মাত্র একজন! কিন্তু আমিই সেই একজন যে কাজটি করে দেখাব। আমি সবকিছু করতে পারব না, তবে আমি কিছু একটা করতে পারি। আর আমি যা করতে পারি না তার দ্বারা আমি যা করতে পারি তা নষ্ট হতে দিব না।'
১৮১৩ সনের কথা। ইংল্যান্ডের কারাগারে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তিন চারশ মহিলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের জন্য ঘুমানোর কোন বিছানা নেই, ভালো কোন খাবারদাবার নেই। এদের মধ্যে বয়স্ক নারী, তরুণী ও বালিকারাও রয়েছে। তারা ময়লা মেঝেতে, ছেঁড়া কাপড়চোপড় পরে ঘুমায়। তাদের প্রতি কারও নজর নেই। সরকারও তাদেরকে এমন অখাদ্য দেয় যেন তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার কোন দায় নেই।
এলিজাবেথ ফ্রাই তাঁর সুযোগ দেখলেন। তিনি কারাগারে গিয়ে বন্দীদের সাথে দেখা করলেন। তিনি বন্দীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করলেন। একটি বিদ্যালয় খুললেন। বন্দীদের বললেন যে তারা যেন নিজেদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষক বেছে নেয়। তারা নিজেদের মধ্য থেকে একজনকে নেছে নিল যে কিছুদিন আগে ঘড়ি চুরির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। মাত্র তিন মাসের মাথায় যাদেরকে পূর্বে 'বন্য জন্তুজানোয়ার' বলে ডাকা হত, তারা আমূল বদলে গেল। তারা এখন অনেক ভদ্র ও সভ্য হয়ে উঠেছে।
এলিজাবেথ ফ্রাইয়ের এই সমাজকর্ম ততদিন চলল যতদিন না সরকার এহেন মহৎ কর্মকে আইনত স্বীকৃতি দিল। এরপর সারা দেশব্যাপী কারাগারের বন্দীদের পড়ালেখা ও সেলায়ের কাজ শেখান হল। ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের সভ্য দেশসমূহ এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন এবং গ্রহণ করলেন।
তথ্যসূত্র :
১। https://en.m.wikipedia.org/wiki/Elizabeth_Fry
২। https://www.thepositivemom.com/one-person-can-make-a-difference-and-everyone-try
৩। https://en.m.wikipedia.org/wiki/File:Mrs._Fry_reading_to_the_prisoners_in_Newgate_John_Johnson.jpg