প্রত্যেকের মাথার মধ্যে তার নিজেস্ব ও স্বতন্ত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। একমাত্র সেই পুরুষই জীবনে সাফল্য অর্জন করে যে মস্তিষ্কের এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাত্মক ও স্নাত্মকোত্তর ডিগ্রি গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিনই তাদের পর্যবেক্ষণ চলতে থাকে। প্রতিদিনই তাদের পাঠ্যসূচি তাদের পর্যবেক্ষণ দ্বারা সমৃদ্ধ হতে থাকে।
যা আমাদের কাছে অভিজ্ঞতা বয়ে নিয়ে আনে। গভীর চিন্তা করার সুযোগ দেয়। ভালো অনুভূতি নিয়ে আসে এবং একজনকে কাজ করার ক্ষমতা দেয়। এটাই হচ্ছে ক্ষমতার উৎস।
চিন্তা করে দেখুন, বই তো হচ্ছে একজন পর্যবেক্ষকের বর্ণনা। যে পর্যবেক্ষক আমার আপনার মতোই মানুষ। সে কেবল তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে। আর আমরা তার সেই পর্যবেক্ষণকে জানছি। যা আমরা নিজেরাও পর্যবেক্ষণ করতে পারতাম। যদি আমরা নিজেরা আমাদের পর্যবেক্ষণকে কাজে লাগাই, বাস্তবে প্রয়োগ করি তবে আমরাও এমন কোন মহামূল্যবান বই রচনা করতে পারি যা পাঠ করে অন্যরা উপকৃত হবে।
পর্যবেক্ষণ ব্যতীত সাহিত্য পাঠ ও ধ্যান করা হচ্ছে জমাট বাঁধা একদলা মাটির উপর বৃষ্টি ও সূর্যের আলো পড়ার মতো। যতই বৃষ্টি হোক পানি মাটির দলার ভিতরে প্রবেশ করে না। যতই সূর্যের আলো পড়–ক, বাইরের অংশ রোদে পুড়ে শুকিয়ে যাবে কিন্তু ভিতরে আলো প্রবেশ করবে না। পানির শীতলতা ও আলোর উষ্ণতা কখনো মাটির গভীরে পৌঁছায় না। একই রকমভাবে যে পুরুষ সাহিত্য পাঠ করে ও ধ্যান করে কিন্তু কখনো সাহিত্যর আনন্দ বা ধ্যানের উপকারিতা ভোগ করতে পারে না কারণ তার হৃদয় বদ্ধ, সে নিজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে প্রয়োগ করেনি।
কেবল সেই বিদ্যালয়গুলো ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকৃত বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো এটা স্মরণ রেখে তাদের পাঠদান চালিয়ে যায়। যারা তাদের শিক্ষার্থীদের কোনকিছু খুঁজে দেখতে, পর্যবেক্ষণ করতে উৎসাহিত করে যা বিদ্যালয়ের পাঠসূচিতে কখনো পাওয়া যায় না। আপনি কুকুরের লেজ দিয়ে তো আর ভালো একটি তীর বানাতে পারবেন না। আপনি কদাচিৎ এমন একজন পুরুষের মধ্যে মূল্যবোধ খুঁজে পাবেন যে তার দেখার ও শোনার ক্ষমতাকে কাজে লাগায়নি। সাধারণত না পাওয়ারই কথা। যে পুরুষ তার পর্যবেক্ষণকে কাজে লাগায়নি তার মধ্যে মূল্যবোধ খুঁজে পাবেন না।
জন স্টুয়ার্ট ব্লেকি বলেছেন :
ক্ষমতার আসল উৎস বই নয়; বরং পর্যবেক্ষণ।
যা আমাদের কাছে অভিজ্ঞতা বয়ে নিয়ে আনে। গভীর চিন্তা করার সুযোগ দেয়। ভালো অনুভূতি নিয়ে আসে এবং একজনকে কাজ করার ক্ষমতা দেয়। এটাই হচ্ছে ক্ষমতার উৎস।
চিন্তা করে দেখুন, বই তো হচ্ছে একজন পর্যবেক্ষকের বর্ণনা। যে পর্যবেক্ষক আমার আপনার মতোই মানুষ। সে কেবল তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে। আর আমরা তার সেই পর্যবেক্ষণকে জানছি। যা আমরা নিজেরাও পর্যবেক্ষণ করতে পারতাম। যদি আমরা নিজেরা আমাদের পর্যবেক্ষণকে কাজে লাগাই, বাস্তবে প্রয়োগ করি তবে আমরাও এমন কোন মহামূল্যবান বই রচনা করতে পারি যা পাঠ করে অন্যরা উপকৃত হবে।
পর্যবেক্ষণ ব্যতীত সাহিত্য পাঠ ও ধ্যান করা হচ্ছে জমাট বাঁধা একদলা মাটির উপর বৃষ্টি ও সূর্যের আলো পড়ার মতো। যতই বৃষ্টি হোক পানি মাটির দলার ভিতরে প্রবেশ করে না। যতই সূর্যের আলো পড়–ক, বাইরের অংশ রোদে পুড়ে শুকিয়ে যাবে কিন্তু ভিতরে আলো প্রবেশ করবে না। পানির শীতলতা ও আলোর উষ্ণতা কখনো মাটির গভীরে পৌঁছায় না। একই রকমভাবে যে পুরুষ সাহিত্য পাঠ করে ও ধ্যান করে কিন্তু কখনো সাহিত্যর আনন্দ বা ধ্যানের উপকারিতা ভোগ করতে পারে না কারণ তার হৃদয় বদ্ধ, সে নিজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে প্রয়োগ করেনি।
কেবল সেই বিদ্যালয়গুলো ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রকৃত বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো এটা স্মরণ রেখে তাদের পাঠদান চালিয়ে যায়। যারা তাদের শিক্ষার্থীদের কোনকিছু খুঁজে দেখতে, পর্যবেক্ষণ করতে উৎসাহিত করে যা বিদ্যালয়ের পাঠসূচিতে কখনো পাওয়া যায় না। আপনি কুকুরের লেজ দিয়ে তো আর ভালো একটি তীর বানাতে পারবেন না। আপনি কদাচিৎ এমন একজন পুরুষের মধ্যে মূল্যবোধ খুঁজে পাবেন যে তার দেখার ও শোনার ক্ষমতাকে কাজে লাগায়নি। সাধারণত না পাওয়ারই কথা। যে পুরুষ তার পর্যবেক্ষণকে কাজে লাগায়নি তার মধ্যে মূল্যবোধ খুঁজে পাবেন না।
জন স্টুয়ার্ট ব্লেকি বলেছেন :
‘এটা একটি বিস্ময়কর ব্যাপার যে আমরা কীভাবে খোলা চোখে হেঁটে যাই এবং কিছুই দেখি না।’
ফজলে রাব্বি
সূত্র : (বই) অবজারভেশন। সাফল্য প্রকাশনী।