১৯৪৭- এর দাঙ্গার সময় নিয়ে সাদত হাসান মান্টোর অনুভূতি উঠে এসেছে তার ছোট গল্পের মধ্য দিয়ে। সেখান থেকেই একটি উল্লেখ করছি। গল্পের নাম চ্যালেঞ্জ।
‘আগুন লাগল যখন, সারা মহল্লা জ্বলে ছাই হলো...কেবল একটা দোকান বেঁচে গেল, সেই দোকানের ওপর সাইনবোর্ড তখনো পড়া যাচ্ছিল...
“এখানে বাড়ি বানানোর মাল-সামান পাওয়া যায়।”’
অনুবাদক জাভেদ হুসেন সাদত হাসান মান্টো সম্পর্কে সংক্ষেপে বেশ চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। আর সরাসরি উর্দু থেকে বাংলা ভাষায় ভাষান্তর করেও মূলভাব বজায় রাখার পাশাপাশি বক্তব্যকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মান্টোর রচনা আমি এই প্রথম পাঠ করলাম। অনুবাদক মান্টো সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন,
‘উন্মত্ততাকে মান্টো কোনো ব্যাখ্যায় ঢাকতে চাননি। কোনো প্রেক্ষাপটে ফেলার ঝামেলাও তিনি পোহানসি। গল্প সরাসরি ঘটনাস্থলে পাঠককে আচমকা টেনে আনে। এই গল্পগুলো একেকটা তীক্ষè সুচের মতো ঢুকে যায়, পাঠক শিউরে ওঠেন। তিনি নির্মমভাবে সেই সুচের মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেন। সেই বিষ আমাদের চেতনায় টিকার কাজ করবে বলে মান্টোর মনে হয়েছিল। ভারতের কোনো মহল্লা বা রাস্তায়, যেখানে নাম না-জানা চরিত্র, ঘটনা তুলে আনেন মান্টো সিনেমার দৃশ্যের নিখুঁত ক্যামেরার চোখে।’
মান্টো যে বিষ দিয়ে আমাদের চেতনায় টিকার মতো করে কাজ করবে বলে চিন্তা করেছিলেন তা অনেকটা সত্য। কারণ ক্ষতকে ক্ষত বলে মেনে নেওয়া একে সারানোর পূর্বশর্ত। আর বাংলায় প্রবাদ আছে, ‘লোহা লোহাকে কাটে।’ মান্টোর এমনই এক ছোট গল্প দিয়ে বই পর্যালোচনা শেষ করছি।
‘দুই বন্ধু মিলে দশ-বিশজন মেয়ের মধ্য থেকে একটা মেয়েকে বেছে বেয়াল্লিশ টাকায় কিনে নিল। রাত শেষ হলে পরে এক বন্ধু সেই মেয়েকে জিজ্ঞেস করল, “তোমার নাম কী?”
মেয়ে তার নাম বলল। নাম শুনে সেই বন্ধু হতবাক হয়ে রইল। বলল, “আমাদের তো বলল তুমি অন্য ধর্মের!”
মেয়েটি জবাব দিল, “ওরা মিথ্যে বলেছে।”
এই কথা শুনে সে ছুটে তার বন্ধুর কাছে গিয়ে বলল, “ওই হারামজাদারা আমাদের ধোঁকা দিয়েছে। চল মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে আসি।”’
গল্পে নাম ছিল - লোকসান।
‘আগুন লাগল যখন, সারা মহল্লা জ্বলে ছাই হলো...কেবল একটা দোকান বেঁচে গেল, সেই দোকানের ওপর সাইনবোর্ড তখনো পড়া যাচ্ছিল...
“এখানে বাড়ি বানানোর মাল-সামান পাওয়া যায়।”’
অনুবাদক জাভেদ হুসেন সাদত হাসান মান্টো সম্পর্কে সংক্ষেপে বেশ চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। আর সরাসরি উর্দু থেকে বাংলা ভাষায় ভাষান্তর করেও মূলভাব বজায় রাখার পাশাপাশি বক্তব্যকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মান্টোর রচনা আমি এই প্রথম পাঠ করলাম। অনুবাদক মান্টো সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন,
‘উন্মত্ততাকে মান্টো কোনো ব্যাখ্যায় ঢাকতে চাননি। কোনো প্রেক্ষাপটে ফেলার ঝামেলাও তিনি পোহানসি। গল্প সরাসরি ঘটনাস্থলে পাঠককে আচমকা টেনে আনে। এই গল্পগুলো একেকটা তীক্ষè সুচের মতো ঢুকে যায়, পাঠক শিউরে ওঠেন। তিনি নির্মমভাবে সেই সুচের মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে বিষ ঢুকিয়ে দেন। সেই বিষ আমাদের চেতনায় টিকার কাজ করবে বলে মান্টোর মনে হয়েছিল। ভারতের কোনো মহল্লা বা রাস্তায়, যেখানে নাম না-জানা চরিত্র, ঘটনা তুলে আনেন মান্টো সিনেমার দৃশ্যের নিখুঁত ক্যামেরার চোখে।’
মান্টো যে বিষ দিয়ে আমাদের চেতনায় টিকার মতো করে কাজ করবে বলে চিন্তা করেছিলেন তা অনেকটা সত্য। কারণ ক্ষতকে ক্ষত বলে মেনে নেওয়া একে সারানোর পূর্বশর্ত। আর বাংলায় প্রবাদ আছে, ‘লোহা লোহাকে কাটে।’ মান্টোর এমনই এক ছোট গল্প দিয়ে বই পর্যালোচনা শেষ করছি।
‘দুই বন্ধু মিলে দশ-বিশজন মেয়ের মধ্য থেকে একটা মেয়েকে বেছে বেয়াল্লিশ টাকায় কিনে নিল। রাত শেষ হলে পরে এক বন্ধু সেই মেয়েকে জিজ্ঞেস করল, “তোমার নাম কী?”
মেয়ে তার নাম বলল। নাম শুনে সেই বন্ধু হতবাক হয়ে রইল। বলল, “আমাদের তো বলল তুমি অন্য ধর্মের!”
মেয়েটি জবাব দিল, “ওরা মিথ্যে বলেছে।”
এই কথা শুনে সে ছুটে তার বন্ধুর কাছে গিয়ে বলল, “ওই হারামজাদারা আমাদের ধোঁকা দিয়েছে। চল মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিয়ে টাকা নিয়ে আসি।”’
গল্পে নাম ছিল - লোকসান।