আব্রাহাম মাসলোর পিরামিড বা চাহিদার সোপান তত্ত্ব

মাসলোর পিরামিড

আসলে তোমার কী প্রয়োজন? আর তুমি আসলে কী চাও (কী আকাঙ্ক্ষা করো)?

২০০৩ সালের জার্মান চলচ্চিত্র হায়ারঙ্কল (Hierankl) শুরু হয় জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দিয়ে:

“তুমি কি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত?

তোমার কি পরিবার আছে?

তুমি কি কাজ করার জন্য বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উৎসাহ পাও?”

চলচ্চিত্রটি হয়তো তোমার ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু এই প্রশ্নগুলো চমৎকার।

চলচ্চিত্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী: তিনটি প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে জীবন স্বর্গময়। দুটির উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে তুমি সুখী। একটির উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে বেঁচে থাকা সম্ভব। এখন তুমি নিজেকে প্রশ্ন করে জেনে নাও তোমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রশ্নের জবাব।

১৯৪৩ সালে মনোবিজ্ঞানী আব্রাহাম মাসলো তার বিখ্যাত “মানবিক চাহিদার স্তর” তত্ত্ব প্রকাশ করেন। তিনি মানুষের চাহিদাগুলোকে এভাবে শ্রেণিবদ্ধ করেন:

শারীরিক চাহিদা: খাওয়া, ঘুম, উষ্ণতা, যৌন সম্পর্ক।

নিরাপত্তা: থাকার জায়গা, কাজের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ অথবা বিপদ থেকে সুরক্ষা।

সামাজিক সম্পর্ক: বন্ধু, সঙ্গী, ভালোবাসা।

স্বীকৃতি: সামাজিক মর্যাদা, ক্ষমতা, অর্থ।

আত্ম-উপলব্ধি: ব্যক্তিত্বের প্রকাশ, ব্যক্তিগত সম্ভাবনা অর্জন, বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতা।

এই স্তরগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়:

মৌলিক চাহিদা: প্রথম তিনটি স্তর।

যখন এগুলো পূরণ হয়, তখন মানুষ আর এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না।

উন্নয়নের চাহিদা: শেষ দুই স্তর।

এগুলো কখনো পূর্ণতা লাভ করে না। এগুলো মানুষের জীবনভর প্রক্রিয়া। মাসলোর পিরামিড তত্ত্বে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে যখন আমরা আমাদের চাহিদাগুলোর সাথে নিজেদের আকাঙ্ক্ষার তুলনা করি।

পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সাধারণ নিয়ম (Rule of thumb) হলো: “যা আমরা সবচেয়ে বেশি আকাঙ্ক্ষা করি, তাই আমাদের সবচেয়ে কম প্রয়োজন।”

আর পড়ুন: আব্রাহাম মাসলোর চাহিদার সোপান তত্ত্ব

ফজলে রাব্বি (Fazle Rabbi)

আমার জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশ করা। saphollo.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন