১। আত্মবিশ্বাসঃ
এটি এক জাদুকরি শক্তি যা নিজের কর্মকাণ্ড এবং নিজের শক্তি- সামর্থ্যের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। বলা হয়- আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের মূল সূত্র। একজন পুরুষ ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করতে চাইলে এ গুণটি থাকা অপরিহার্য।
২। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ভিত্তিক প্রচেষ্টাঃ
ইতিবাচক ফলাফল পেতে হলে কোনো কাজ করার আগে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা দরকার। কাজটি সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। আরও দরকার নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা। প্রচেষ্টা মানে প্রচণ্ড চেষ্টা, অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে যাওয়া। একটি ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করতে শুধু কিছু কাজই সম্পাদন করলে হয় না। বরং সব সময়ই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে মনযোগী হতে হবে।
৩। ঝুঁকি গ্রহণঃ
একজন সফল উদ্যোক্তা অনুধাবন করেন যে, কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে তিনি ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন। তবুও লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঝুঁকি গ্রহণের মতো প্রয়োজনীয় মানসিকতা এবং সাহস তার থাকে।
কারণ তিনি তথ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
ব্যবসায় উদ্যোক্তা হলেন তারা- যারা সিদ্ধান্ত নেবেন, ব্যবস্থা নেবেন। বিশ্বাস করেন যে, নিজেদের ভাগ্য তারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তারা মনে করেন, সাফল্য ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে না। বরং তা নির্ভর করে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি এবং সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্রীভূত মনোযোগের ওপর।
তাহলে উপরের কোন বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? বিশ্বাস করুন বা না করুন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাস দ্বারা সবকিছুই করা সম্ভব। আপনি যদি নিজের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখতে পারেন, তবে প্রথম যে সুবিধাটি হবে সেটি হলো- একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কার্যক্রমে অধিক মনোযোগী হতে পারবেন।
আপনার আত্মবিশ্বাসকে উচ্চতর পর্যায়ে রাখতে কিছু সূত্রাবলী আলোচনা করা হলো-
৪। ইতিবাচক চিন্তাঃ
ইতিবাচক চিন্তার শুরুটা হবে ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে। কাজ শুরুর আগে চিন্তা করুন, প্রথম ধাপেই ভালো কিছু একটা হবে। নেতিবাচক চিন্তাকে মোটেই প্রশ্রয় দিবেন না এক্ষেত্রে। বিশ্বাস রাখুন, আপনার আকাঙ্ক্ষিত একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
মনে রাখবেন, ইতিবাচক চিন্তা সংক্রামক। যখন তা ছড়িয়ে পড়ে- তখন নতুন নতুন বন্ধু, গ্রাহক এবং ধারণার জন্ম দেয়।
৫। অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে যানঃ
আপনার সব ইতিবাচক চিন্তা, বিশ্বাস এবং ধারণা পৃথিবীতে অচল যদি আপনি তা কাজে না লাগান। আপনাকে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। কাজ করতে হবে। কোনো ধরনের অজুহাত চলবে না এক্ষেত্রে। কাজ করতে হবে নাছোড়বান্দার মতো। অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে যান।
কোনো ধাপ অতিক্রম করতে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অবলম্বন করুন। সাফল্য না আসলে নতুন আরও একটি পরিকল্পনা তৈরী করে আবার চেষ্টা করুন। সাফল্য অর্জন করার আগে কাজটি ত্যাগ করা চলবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সাফল্য অর্জন করতে না পারছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে যান।
রচনার প্রথমাংশে যে বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছি- তা সাফল্য অর্জনকারী সব উদ্যোক্তারই থাকে। আপনিও সামনের দিকে তাকান। আপনাকে কোন অবস্থানে দেখতে চান, তা নির্দিষ্ট করুন। নিজের সামর্থ্য, শক্তি এবং দক্ষতার ওপর আস্থা রাখুন। নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়ে যান। অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে যান। কোনোভাবেই পিছিয়ে যাবেন না। প্রচেষ্টা ত্যাগ করবেন না। আর তা যদি করতে পারেন, তবে অর্ধেক পথ পৌঁছে গেছেন -এ কথা মনে করতেই পারেন আপনি। আপনার সাফল্য কামনায় আপনার পাশে আছে ঠিক ধারণা ব্লগ এবং আমি ফজলে রাব্বি।
তথ্য সহযোগিতায় - ASBD Business Forum
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন