মস্তিষ্ক
মস্তিষ্ক,
মানব শরীরের সর্বাধিক উঁচুতলার কক্ষ, যা একই সাথে প্রচার করে এবং গ্রহণ করে চিন্তা
তরঙ্গগুলোকে। ইহাকে প্রচারকারী এবং গ্রহণকারী স্টেশন বলা হয়।
পূর্ববর্তী
লেখায় সৃষ্টিশীল কল্পনা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, যা মস্তিষ্কের “গ্রাহক অংশ” রূপে কাজ
করে। ইহা চিন্তা তরঙ্গগুলোকে গ্রহণ করে একজন ব্যক্তির অবচেতন মন হতে, এমনকি অন্য
কোন ব্যক্তির মন হতে যা অপরাপর ব্যক্তিদের মস্তিষ্ক দ্বারা প্রচারিত হয়। চিন্তা
তরঙ্গগুলো যা মানুষের মনে “ধারণা” বা “উপায়” বলে ঝিলিক দেয়, এগুলো সাধারণ ভাবে আসতে পারে চারটি উৎস হতে।
যথাঃ
ক.
অসীম বুদ্ধিমত্তা
খ.
একজন ব্যক্তির অবচেতন মন
গ.
অন্য ব্যক্তির মন
ঘ.
অন্য ব্যক্তির অবচেতন মন
ব্যক্তির
অবচেতন মন হচ্ছে ব্যক্তির চিন্তা তরঙ্গের গুদাম ঘর। যেখানে একজন তার পঞ্চ ইন্দ্রিয়
দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যগুলো সাজিয়ে সংরক্ষিত করে রাখে। ইহা ব্যক্তির ধারণার উৎস। আবার
অপর ব্যক্তির মনও একটি উৎস। কারণ একজন ব্যক্তির চিন্তাগুলো যখন অপর ব্যক্তি শুনতে
পায় তখন তার সচেতন মন দ্রুত ইহার অবশেষ বা উপসংহার তৈরীর চেষ্টা করে একটি ধারণা
সৃষ্টির মাধ্যমে। যখন অপর ব্যক্তির সচেতন মন অবশেষ সৃষ্টি করতে অক্ষম তখন অবচেতন
মন সহায়তার জন্য প্রস্তুত হয় এবং ধারণা সৃষ্টি করে।
উক্ত চারটি
উৎস হতে ধারণা রূপে উদ্ভাবিত চিন্তা তরঙ্গগুলো গৃহিত হয় সৃষ্টিশীল কল্পনা দ্বারা।
চিন্তা
তরঙ্গগুলো যখন উচ্চ হারে স্পন্দিত হয় তখন এগুলো প্রকাশিত হয় বর্হিবিশ্বে। ইহা
রেডিও এর মত ক্রিয়া করে- একটি স্টেশন, মূল স্টেশন হতে শব্দ তরঙ্গগুলো প্রকাশ করা
হয়, তারপর ছড়িয়ে যায় বাতাসে। যার কাছে গ্রাহক যন্ত্র রয়েছে তিনি তরঙ্গগুলো যন্ত্রে
গ্রহণ করেন এবং শুনতে পান শব্দগুলো। ব্যক্তির নিকটে গ্রাহক যন্ত্র হচ্ছে সৃষ্টিশীল
কল্পনা। আর প্রেরক যন্ত্র হচ্ছে অবচেতন মন।
মস্তিষ্কের “প্রেরক অংশ” হচ্ছে
অবচেতন মন যা চিন্তা তরঙ্গগুলোকে প্রেরণ করে। চিন্তা তরঙ্গগুলো যা উচ্চ হারে
স্পন্দিত হয় তা মিশ্রিত হতে হয় আবেগ বা অনুভূতি দ্বারা। ইহা ইতিবাচক বা নেতিবাচক
উভয় প্রকার আবেগ দ্বারা মিশ্রিত হতে পারে। আপনার ইচ্ছাকে ইতিবাচক আবেগ দ্বারা
মিশ্রিত করতে হবে, এতে আপনি স্বপরামর্শ সূত্রের সহায়তা নিতে পারেন।
মস্তিষ্কের
কর্মসূচি তিনটি সূত্রের উপর নির্ভরশীল। এগুলো হচ্ছে অবচেতন মন, সৃষ্টিশীল কল্পনা
এবং স্বপরামর্শ। প্রচারকারী অংশ, অবচেতন মনকে আপনি সহায়তা করতে পারেন স্বপরামর্শ
দ্বারা। এভাবে আপনার মস্তিষ্ক আপনার ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপান্তরের জন্য ব্যবহার
করুন। আপনি তিনটি সূত্রকেই কাজে লাগাতে পারেন। এর জন্য ইচ্ছা অধ্যায়ে দেওয়া
নির্দেশনা গুলোকে অধ্যবসায়ের সহিত পালন করুন।