এআই মডেল: আপনি কেমন ধরনের আলোচক?
এআই (AI) এর পূর্ণরূপ হলো অ্যাপ্রিসিয়েটিভ ইনক্যুয়েরি (Appreciative Inquiry), একটি পদ্ধতি যা আমেরিকান ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ডেভিড কুপাররাইডার প্রচলন করে। এই পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার পরিবর্তে এর শক্তি, ইতিবাচক দিক এবং সম্ভাবনার ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়। কোন কোম্পানি বা আইডিয়ার ক্ষেত্রে চিরায়ত প্রশ্ন হচ্ছে, “সমস্যা কী?”। এআই মডেলে চিরায়ত প্রশ্নের জায়গায় “এই মুহূর্তে কী ভালো চলছে?” ব্যবহৃত হয়।
দুর্বলতার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ব্যাপারটা শুরু থেকেই একটা নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করে।
প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রতিটি সিস্টেম, প্রতিটি পণ্য, প্রতিটি আইডিয়ার কিছু ত্রুটি থাকে। এই সত্যকে মেনে৷ নিয়ে আমাদের কাজ করা উচিত। এতে করে আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার পথে এগিয়ে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন আইডিয়া বা প্রকল্পের ত্রুটির ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া হলে সেটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিকে বাধাগ্রস্ত করে, যা ভালো কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মৌলিক নীতি হলো: এমন একটা আইডিয়া যেটা এখনও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি, সেটাকে বিকাশিত করা দরকার; বরং তাড়াহুড়ো করে সেটা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।
- মানুষ প্রায়ই আলোচনার সময় নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করে। তাদের আসল চরিত্র ফুটে ওঠে।
তারা কীভাবে কোনো প্রস্তাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তার ওপর ভিত্তি করে তারা নিচের চারটি বিভাগে পড়ে:
সমালোচক: “আইডিয়াটি ভালো, কিন্তু...”
স্বৈরাচারী: “না!”
স্কুলের শিক্ষক: “না, আইডিয়াটি ভালো নয় কারণ...”
এআই চিন্তক: “হ্যাঁ, আর আমরা এটাও করতে পারি...”
"সমালোচনা যেকেউ করতে পারে। আর বেশিরভাগ নির্বোধই তা করে।" – বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন।